দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

মনের চাহিদা মুতাবিক অবস্থা হলে পড়বে

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ بِنِعْمَتِهٖ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ
উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লা হিল্লাযী বিনিইমাতিহী তাতিম্মুস সালিহাত।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্য, যার নেয়ামতের বদৌলতে সর্বপ্রকার পূণ্যময় কাজ সমাধা ও সম্পন্ন হয়।

.

জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের দু‘আ

۞  رَبَّـنَـا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا إنَّهَا سَآءَتْ مُسْتَقَرًّ وَّمُقَاماً
উচ্চারণঃ

রাব্বানাসরিফ ‘আন্না আযাবা জাহান্নামা, ইন্না আযাবাহা কানা গারামা, ইন্নাহা সাআত মুস্তাক্বার্‌রাও ওয়া মুকামা।

অর্থঃ

হে আমাদের রব! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ। বসবাস ও আবাসস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা

.

জুমার দিন আসরের পরের দরূদ

۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الأُمِّىِّ وَعَلٰى اٰلِهٖ وَسَلِّمْ تَسْلِيْمًا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিনিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ’লা আ-লিহী ওয়া সাল্লিম তাসলিমা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি শান্তি ও রহমত বর্ষণ কর উম্মী নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর।

.

সংক্ষিপ্ত দরূদ-২

۞ صَلَّى اللهُ (تَعَالٰى) عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উচ্চারণঃ

সাল্লাল্লাহু (তা‘আলা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম

অর্থঃ

“আল্লাহ্‌ (তাআ’লা) তাঁর (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) প্রতি রহমত বর্ষণ করুন এবং তাঁকে শান্তি দান করুন।”

.

অতীব গুরুত্বপূর্ন একটি দরূদ

۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّاَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা সল্লিআ’লা- মুহাম্মাদিও ওয়া আনযিলহুল মাক্ব’আদাল মুক্বার্‌রবা ই’নদাকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ্‌।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর রহমত বর্ষিত কর, এবং কিয়ামতের দিন তুমি তাঁকে তোমার নিকটতম স্থানে অধিষ্ঠিত কর।

.

খাওয়ার শুরুতে পড়বে

۞  بِسْمِ اللهِ وَبَرَكَةِ اللهِ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি ওয়াবারাকাতিল্লাহ্‌।

অর্থঃ

আল্লাহ তা’আলার নামে (খাবার) শুরু করছি, এবং আল্লাহ তা‘আলার বরকতের সাথে এ খাবার গ্রহণ করছি।

.

ইস্তিগফার

۞  أَسْتَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণঃ

আস্তাগ্‌ফিরুল্লাহ

অর্থঃ

আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

.

খাবার সামনে এলে পড়বে

۞  اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী মা রযাক্বতানা ওয়াক্বিনা আযাবান্নার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে রিয্‌ক দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন, এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

.

খানা খাওয়ার সময় পড়বে

۞  اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِّنْهُ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত‘ইমনা খাইরাম-মিনহু।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।

১০.

খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ্‌ ভুলে গেলে বলবে

۞  بِسْمِ اللهِ أَوَّلَهٗ وَآخِرَهٗ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি আউওয়ালাহু ওয়াআখিরাহু।

অর্থঃ

আল্লাহর নামে খাবার শুরু করছি। খাবারের প্রারম্বে ও সমাপ্তিতে।

১১.

পানি পান করার পর পড়বে

۞  اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَاتًا بِرَحْمَتِه، وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِلْحًا أُجَاجًا بِذُنُوْبِنَا
উচ্চারণঃ

আলহাম্‌দু লিল্লাহিল্লাজি ছাকানা আজবান ফুরতান বিরহমাতিহ্‌ ওয়ালাম ইয়াজ্‌ আ’লহু মিলহান উজাজান বিযুনুবিনা।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে, যিনি আমাদেরকে স্বীয় রহমতে সুস্বাদু, সুমিষ্ট পানি পান করিয়েছেন এবং আমাদের গুনাহের কারণে তা তিক্ত ও লবণাক্ত করেননি।

১২.

খাওয়ার শেষে পড়ার দু‘আ-১

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِيْنَ
উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আত্ব ‘আমানা ওয়াসাক্বানা ওয়াজা ‘আলানা মুসলিমীন।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে যিনি আমাদের পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন।

১৩.

খাওয়ার শেষে পড়ার দু‘আ-২

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنِيْ هٰذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ
উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আত্ব ‘আমানী হাযাত ত্ব‘আামা ওয়া রযাক্বনীহি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুউওয়াহ।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি আমাকে এই খানা খাওয়ালেন এবং আমার শক্তি ও সামর্থ ব্যতীতই এটা আমাকে দান করলেন।

১৪.

মৌসুমের নতুন ফল খাওয়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فيْ ثَمَرِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مَدِيْنَتِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ صَاعِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مُدِّنَا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী সামারিনা ওয়া বারিক লানা ফী মাদীনাতিনা ওয়া বারিক লানা ফী সা ‘ইনা ওয়া বারিক লানা ফী মুদ্দি না।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিন, আমাদের শহরে বরকত দিন, আমাদের সা’ তথা বড় পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন, আমাদের মুদ্দ তথা ছোট পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন।

১৫.

দাওয়াত খেলে এই দু‘আ পড়বে-১

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيْمَا رَزَقْتَهُمْ، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্তাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন।

১৬.

কারো মেহমানদারী গ্রহণ করলে মেজবানকে শুনিয়ে এই দু‘আ পড়বে-৩

۞ أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ
উচ্চারণঃ

আকালা ত্বয়ামাকুমুল আবরর, ওয়াছল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাহ্, ওয়া আফ্ত্বরা ইন্দাকুমুছ ছ’য়িমুন।

অর্থঃ

যেন নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশ্তাগণ যেন তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আ করে এবং রোযাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।

১৭.

দস্তরখানা উঠানোর সময় এই দু‘আ পড়বে

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِىٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا
উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাছিরান ত্বাইয়্যিবান মুবা-রাকান ফিহি গায়রা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুওয়াদ্দাইন ওয়ালা মুস্তাগনান আনহু রাব্বানা।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্যে। অনেক অনেক প্রশংসা এবং পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। হে প্রভু! এ খানাকে না যথেষ্ট মনে করা যেতে পারে (যে আর প্রয়োজন হবে না), আর না একে সম্পূর্ণ বিদায় দেয়া যেতে পারে (যে আর তার সাক্ষাতের প্রয়োজন হবে না), না এ হতে অমুখাপেক্ষী হওয়া যায়।

১৮.

সালামের উত্তরে বলবে

۞ وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَ رَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهٗ
উচ্চারণঃ

ওয়া আলাইকুমুস্‌ সালাম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

অর্থঃ

এবং আপনার উপরেও শান্তি ও আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

১৯.

দু‘আ-১১৪

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ إِيْمَانًا يُّبَاشِرُ قَلْبِيْ وَيَقِيْنًا صَادِقًا حَتّٰىۤ أَعْلَمَ أَنَّهٗ لَا يُصِيْبُنِيْۤ إِلَّا مَا كَتَبْتَ لِيْ، وَرِضًى مِّنَ الْمَعِيْشَةِ بِمَا قَسَمْتَ لِيْ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ঐ ঈমান চাই, যা আমার অন্তরে মিশে যায়, ঐ পাকা ইয়াকীন চাই, যার দ্বারা নিশ্চিত জানব যে, আমার শুধু তা-ই হতে পারে, যা আমার জন্য লিখে রেখেছেন। আর চাই জীবিকার উপর সন্তুষ্টি, যা আপনি আমার হিস্যায় রেখেছেন।১১১

২০.

দু‘আ-১৬৭

اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ مِنْ عِنْدِكَ، وَأَفِضْ عَلَيَّ مِنْ فَضْلِكَ، وَ اَسْبِـغْ عَلَيَّ مِنْ رَّحْمَتِكَ وَأَ نْزِلْ عَلَيَّ مِنْۢ بَرَكَاتِكَ
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমাকে আপনার পক্ষ থেকে হেদায়েত নসীব করুন।১৬৬ আমার অন্তরে আপনার দান ও করুণা বর্ষণ করুন। আমার প্রতি আপনার করুণা পূর্ণ করুন এবং আমার উপর আপনার বরকত নাযিল করুন।