۞ رَبَّـنَـا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا إنَّهَا سَآءَتْ مُسْتَقَرًّ وَّمُقَاماً
রাব্বানাসরিফ ‘আন্না আযাবা জাহান্নামা, ইন্না আযাবাহা কানা গারামা, ইন্নাহা সাআত মুস্তাক্বার্রাও ওয়া মুকামা।
হে আমাদের রব! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ। বসবাস ও আবাসস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা
হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহ তা‘আলার আখেরী রাসূল। তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য ছাড়া আল্লাহকে বিশ্বাস ও আল্লাহর আনুগত্যের দাবি অর্থহীন। কুরআন কারীমের বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার একমাত্র পথ হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর অনুসরণ। তাই তাঁর জন্য হৃদয়ের গভীরে মহববত ও ভালবাসা পোষণ করা এবং দু‘আ করা প্রত্যেক উম্মতের ঈমানী কর্তব্য। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘আলা নবী (ﷺ)-এর জন্য দরূদ পাঠের আদেশ করেছেন। এটা একদিকে যেমন আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের মর্যাদার প্রমাণ অন্যদিকে মুমিন বান্দার রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ۞ اِنَّ اللّٰہَ وَمَلٰٓئِکَتَہٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡہِ وَسَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি দরূদ পাঠাও এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও।
۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
আল্লহুম্মা সাল্লি আ’লা- মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা- আ-লি মুহাম্মাদিন কামা- সল্লাইতা আ’লা- ইব্রা-হীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্তা আ’লা ইব্রা-হীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে রহমত বর্ষণ করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন। আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর পরিজনের প্রতি, যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الأُمِّىِّ وَعَلٰى اٰلِهٖ وَسَلِّمْ تَسْلِيْمًا
আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিনিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ’লা আ-লিহী ওয়া সাল্লিম তাসলিমা।
হে আল্লাহ! তুমি শান্তি ও রহমত বর্ষণ কর উম্মী নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর।
۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّاَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
আল্লাহুম্মা সল্লিআ’লা- মুহাম্মাদিও ওয়া আনযিলহুল মাক্ব’আদাল মুক্বার্রবা ই’নদাকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ্।
হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর রহমত বর্ষিত কর, এবং কিয়ামতের দিন তুমি তাঁকে তোমার নিকটতম স্থানে অধিষ্ঠিত কর।
۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَاتًا بِرَحْمَتِه، وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِلْحًا أُجَاجًا بِذُنُوْبِنَا
আলহাম্দু লিল্লাহিল্লাজি ছাকানা আজবান ফুরতান বিরহমাতিহ্ ওয়ালাম ইয়াজ্ আ’লহু মিলহান উজাজান বিযুনুবিনা।
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে, যিনি আমাদেরকে স্বীয় রহমতে সুস্বাদু, সুমিষ্ট পানি পান করিয়েছেন এবং আমাদের গুনাহের কারণে তা তিক্ত ও লবণাক্ত করেননি।
۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنِيْ هٰذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ
আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আত্ব ‘আমানী হাযাত ত্ব‘আামা ওয়া রযাক্বনীহি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুউওয়াহ।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি আমাকে এই খানা খাওয়ালেন এবং আমার শক্তি ও সামর্থ ব্যতীতই এটা আমাকে দান করলেন।
۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فيْ ثَمَرِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مَدِيْنَتِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ صَاعِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مُدِّنَا
আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী সামারিনা ওয়া বারিক লানা ফী মাদীনাতিনা ওয়া বারিক লানা ফী সা ‘ইনা ওয়া বারিক লানা ফী মুদ্দি না।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিন, আমাদের শহরে বরকত দিন, আমাদের সা’ তথা বড় পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন, আমাদের মুদ্দ তথা ছোট পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে