আউযুবিল্লাহিস সামীইল–আযীম মীনাস শাইতানের রাজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি”
আমি পানাহ চাই আল্লাহর যিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ অভিশপ্ত শয়তান ও তাঁর ওয়াসওয়াসা, দম্ভ ও যাদু টোনা থেকে।
আল্লহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম ওয়া মিন আজাবিল কবরি ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে।
রাব্বানাআ-মান্নাবিমাআনঝালতা ওয়াত্তবা‘নার রাছূলা ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যা-কিছু নাযিল করেছেন আমরা তাতে ঈমান এনেছি এবং আমরা রাসূলের অনুসরণ করেছি। সুতরাং আমাদেরকে সেই সকল লোকের মধ্যে লিখে নিন, যারা (সত্যের) সাক্ষ্যদাতা।
রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ।
হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি এসব উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করেননি। আপনি (এমন ফজুল কাজ থেকে) পবিত্র। সুতরাং আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যাকেই জাহান্নামে দাখিল করবেন, তাকে নিশ্চিতভাবেই লাঞ্ছিত করলেন। আর জালিমগণ তো কোনও সাহায্যকারী পাবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এক ঘোষককে ঈমানের দিকে ডাক দিতে শুনেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আন।’ সুতরাং আমরা ঈমান এনেছি। কাজেই হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন, আমাদের মন্দসমূহ আমাদের থেকে মিটিয়ে দিন এবং আমাদেরকে পুণ্যবানদের মধ্যে শামিল করে নিজের কাছে তুলে নিন। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সেই সবকিছু দান করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি নিজ রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে দিয়েছেন। আমাদেরকে কিয়ামতের দিন লাঞ্ছিত করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি কখনও প্রতিশ্রুতির বিপরীত করেন না।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান করুন। এবং সৎকর্মপরায়ণদের মধ্যে শামিল কর। এবং পরবর্তীকালীন লোকদের মধ্যে আমার পক্ষে এমন রসনা সৃষ্টি করুন, যা আমার সততার সাক্ষ্য দেবে। এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহী ওয়া-রিজা নাফসিহী ওয়া যিনাতা আরশিহী ওয়া মিদাদা কালিমাতিহী।
আমি আল্লাহ তায়ালার প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তার সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ করার কালি পরিমাণ।
ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বি রহমাতিকা আস্তাগিস, আসলিহলি শা’নি- কুল্লাহু ওয়ালা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বর ফাতা আঈ-ন।
হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত মাখলূকের রক্ষাকারী, আমি আপনার রহমতের উসীলায় ফরিয়াদ করছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করে দিন এবং আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নফসের নিকট সোপর্দ করবেন না।
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হু ওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।
হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহ তা‘আলার আখেরী রাসূল। তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য ছাড়া আল্লাহকে বিশ্বাস ও আল্লাহর আনুগত্যের দাবি অর্থহীন। কুরআন কারীমের বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার একমাত্র পথ হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর অনুসরণ। তাই তাঁর জন্য হৃদয়ের গভীরে মহববত ও ভালবাসা পোষণ করা এবং দু‘আ করা প্রত্যেক উম্মতের ঈমানী কর্তব্য। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘আলা নবী (ﷺ)-এর জন্য দরূদ পাঠের আদেশ করেছেন। এটা একদিকে যেমন আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের মর্যাদার প্রমাণ অন্যদিকে মুমিন বান্দার রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ۞ اِنَّ اللّٰہَ وَمَلٰٓئِکَتَہٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡہِ وَسَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি দরূদ পাঠাও এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও।
রাব্বানাগফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিছা-ব।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন (অর্থাৎ কিয়ামতের দিন) আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও সকল মুমিনকে মাফ করে দিয়েন।১৮
ইয়া আল্লাহ! আমাদের মাটিতে প্রাচুর্য দিন। শোভা ও শ্যামলিমা দিন এবং শান্তি ও নিরাপত্তা দিন। যা কিছু আমাকে দান করেছেন, তার বরকত থেকে আমাকে বঞ্চিত কোরেন না। আর যা কিছু থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন, তার বিষয়ে আমাকে পরীক্ষাগ্রস্ত কোরেন না।৯০
ইয়া আল্লাহ! আপনি যেমন আমাকে সুন্দর আকৃতি দিয়েছেন, সুন্দর চরিত্রও দান করুন। আমার অন্তরের ক্ষোভ দূর করে দিন এবং যতদিন আমাদের জীবিত রাখেন পথভ্রষ্টকারী ফিতনাসমূহ থেকে আমাকে রক্ষা করুন।৯১
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া হাইয়্যুন লা ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খইর, ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।
এক আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কোনো মা’বূদ নেই। তিনি এক। তাঁর কোনো শরিক নেই। সকল রাজত্ব তাঁরই জন্যে। সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনিই জীবিত করেন, তিনিই মৃত্যু দেন। এবং তিনিই চিরঞ্জীব। তিনি কখনো মৃত্যু বরণ করেন না। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণের চাবিকাঠি। তিনিই সর্বশক্তিমান।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে