আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্দ্বা ‘আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা। তাবা-রক্তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)
“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।
গুফরানাকা আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আযহাবা ‘আন্নীল আযা ওয়া ‘আ ফা-নী।
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর জন্যে, যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দিয়েছেন এবং আমাকে সুস্থ রেখেছেন।
আল্লাহুম্মা রাব্বাহা-যিহিদ্ দা’ওয়াতিত্তাম্মাহ্, ওয়াস্ সালাতিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদ্বি-লাহ, ওয়াব’আছহু মাক্বামাম্ মাহ্মু-দানিল্লাযি ওয়া ’আত্তাহ, ইন্নাকা লা-তুখ্লিফুল মিয়াদ্।
হে আল্লাহ! (তুমি) এ পরিপূর্ণ আহ্বানের এবং চিরস্থায়ী নামাযের প্রভু। তুমি মুহাম্মদ (ﷺ)-কে নৈকট্যের উসিলা, মহত্ত্ব এবং সর্বাপেক্ষা প্রশংসিত স্থানে (অর্থাৎ মাকামে মাহমুদে) আবির্ভূত করো, যার ওয়াদা তুমি তাঁকে দিয়েছো। নিশ্চয়ই তুমি কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করো না।
আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান। আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী ওয়া যিদ্নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর
হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর বা আলো দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নিচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন। হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”, “আমাকে নূর বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূর বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূর বৃদ্ধি করে দিন” “আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন।
আল্লাহুম্মা হাব্বিব ইলাইনাল ঈমান, ওয়া ঝাইয়িনহূ ফী কুলূবিনা, ওয়া কাররিহ ইলাইনাল কুফরা ওয়ালফুছূকা ওয়াল ‘ইসইয়া-ন, ওয়া জা‘আলনা মিনার রাশিদীন।
হে আল্লাহ! আমাদের অন্তরে ঈমানের ভালোবাসা সঞ্চার করুন এবং আমাদের অন্তরে তা (ঈমান) আকর্ষণীয় করুন। আর কুফর, গুনাহ ও অবাধ্যতাকে আমাদের অন্তরে ঘৃণ্য বানিয়ে দিন এবং আমাদেরকে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তরভুক্ত করুন।
ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি অক্ষমতা ও আলস্য থেকে, ভীরুতা ও অতিবার্ধক্য থেকে এবং ঋণ ও পাপ থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) দোযখের আযাব ও দোযখের ফিতনা থেকে (আশ্রয় নিচ্ছি) কবরের ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) সম্পদের কুফল ও সম্পদহীনতার অনিষ্ট থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে ও জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) অন্তরের কাঠিন্য ও উদাসীনতা থেকে; নিঃস্বতা, অপদস্থতা ও মুখাপেক্ষিতা থেকে; কুফরী, ফাসেকী ও জেদাজেদি থেকে আর লোকদেখানো ও লোকশোনানোর প্রবণতা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) বধিরতা ও মূকতা থেকে, মস্তিষ্ক বিকলন, কুষ্ঠ, খারাপ রোগ-ব্যাধি ও ঋণের বোঝা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) দুঃখ-দুশ্চিন্তা থেকে, কৃপণতা ও লোকের কর্তৃত্বপরায়ণতা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) অতি বার্ধক্যে উপনীত হওয়া ও দুনিয়ার ফিতনা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) ঐ জ্ঞান থেকে, যার উপকার নেই, ঐ মন থেকে, যাতে তুষ্টি নেই, ঐ অন্তর থেকে, যাতে বিনয়-নম্রতা নেই; আর ঐ দু‘আ থেকে, যা কবুল হয় না।৫৫
আইয়াওয়াদ্দুআহাদুকুম আন তাকূনা লাহু জান্নাতুম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু লাহু ফীহা-মিন কুল্লিছছামারা-তি ওয়া আসা-বাহুল কিবারু ওয়ালাহু যুররিইইয়াতুন দু‘আফাউ ফাআসা-বাহা ই‘সা-রুন ফীহি না-রুন ফাহতারাকাত কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুমুল আ-য়া-তি ল‘আল্লাকুম তাতাফাক্কারূন।
তোমাদের মধ্যে কেউ কি এটা পছন্দ করবে যে, তার খেজুর ও আঙ্গুরের একটা বাগান থাকবে, যার পাদদেশ দিয়ে নদী-নালা প্রবাহিত থাকবে (এবং) তা থেকে আরও বিভিন্ন রকমের ফল তার অর্জিত হবে, অতঃপর সে বার্ধক্য-কবলিত হবে আর তার থাকবে দুর্বল সন্তান-সন্ততি, এ অবস্থায় অকস্মাৎ এক অগ্নিক্ষরা ঝড় এসে সে বাগানে আঘাত হানবে, ফলে গোটা বাগান ভস্মিভূত হয়ে যাবে? ২০৪ এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় আয়াতসমূহ পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা কর।
লাকাদ ছামি‘আল্লা-হু কাওলাল্লাযীনা কালূইন্নাল্লা-হা ফাকীরুওঁ ওয়ানাহনু আগনিয়াউ । ছানাকতুবুমা-কা-লূওয়া কাতলাহুমুল আম্বিয়াআ বিগাইরি হাক্কিওঁ ওয়া নাকূলুযূকূ‘আযা-বাল হারীক।
যারা বলে, ‘আল্লাহ্ অবশ্যই অভাবগ্রস্ত আর আমরা অভাবমুক্ত’, তাদের কথা আল্লাহ্ শুনেছেন। তারা যা বলেছে তা আর নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার বিষয় আমি লিখে রাখব এবং বলিব, ‘তোমরা দহন-যন্ত্রণা ভোগ কর।’
ওয়া তারাল মুজরিমীনা ইয়াওমাইযিম মুকাররানীনা ফিল আসফা-দ । ছারা-বীলুহুম মিন কাতিরা-নিওঁ ওয়া তাগশা-উজূহাহুমুন্না-র।
সেই দিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে শৃংখলিত অবস্থায়, তাদের জামা হবে দাহ্য আলকাতরার এবং তাদের মুখমন্ডলকে আগুন আচ্ছন্ন করে ফেলবে।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে