রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে।২
রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফরীন
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের ধৈর্য ও দৃঢ়তা দান করুন। আমাদের কদম অবিচলিত রাখুন আর কাফির কওমের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী করুন।৩
রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, তবে আপনি আমাদের পাকড়াও কোরেন না।৪ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের উপর এমন কঠিন কঠিন বিধান আরোপ কোরেন না, যেমন আরোপ করেছিলেন আমাদের আগের লোকদের উপর। (তারা ছিল আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, তাই সে কঠিন বিধান পালনে সক্ষম হয়েছিল। আমরা সবদিক থেকে দুর্বল, কঠিন বিধান পালনের সামর্থ্য আমাদের নেই। পরওয়ারদেগার! আমাদের উপর এমন (দুঃখ-কষ্টের) ভার চাপিয়ে দিয়েন না, যা আমরা সহজে বহন করতে পারব না। আমাদের ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করুন। আমাদের অপরাধ মার্জনা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির কওমের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী করুন।৫ (আমরা তো আপনারই দীনের সিপাহী। অতএব, আপনার বিদ্রোহী ও আপনার দ্বীনের বিরোধীদের মোকাবেলায় কেন আমাদের বিজয়ী করবেন না? সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে কীভাবে আপনি নিজ বান্দাদের সাহায্য করা থেকে বিরত থাকবেন?)
রাব্বানা-লা-তুঝিগ কুলূবানা-বা‘দা ইয হাদাইতানা -ওয়াহাবলানা-মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।
হে আমাদের রব! আপনি যে আমাদের (সত্যপথের) দিশা দিয়েছেন, এরপর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি কোরেন না। আর আমাদের দান করুন আপনার তরফ থেকে (বিশেষ) রহমত। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। (যে রহমত আপনি দান করবেন, তা আপনার শান মোতাবেকই হবে)।৬
রাব্বানা-মা-খালাকতা হাযা-বা-তিলান ছুবহা-নাকা ফাকিনা-‘আযা-বান্না-র
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এ (বিশ্বজগত) আপনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি। (অর্থহীন কাজ থেকে) আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। অতএব, জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।৮
রাব্বানাইন্নাকা মান তুদখিলিন্না-রা ফাকাদ আখঝাইতাহূ ওয়ামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসা-র।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনি যাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন, তাকে তো লাঞ্ছিতই করলেন। আর কেউ নেই এ জালিমদের মদদগার।৯
রাব্বানা-ইন্নানা-ছামি‘না-মুনা-দিআইঁ ইউনা-দী লিল ঈমা-নি আন আ-মিনূবিরাব্বিকুম ফাআমান্না-রাব্বানা-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকাফফির‘আন্না-ছাইয়িআ-তিনাওয়াতাওয়াফফানা-মা‘আল আব রা-র।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা এক আহ্বানকারীকে ঈমানের দিকে আহ্বান করে বলতে শুনেছি, ‘ঈমান আন তোমাদের পালনকর্তার উপর’ তখন আমরা ঈমান এনেছি (এ ঈমানের প্রতিদান আমাদের দান করুন)। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এরপর (আবেদন এই যে) আমাদের (বড় বড়) গুনাহ মাফ করুন এবং আমাদের (ছোট ছোট) ভুল-ত্রুটিও মার্জনা করুন। আর নেককারদের সাথে আমাদের মৃত্যু নসীব করুন। (নেককারদের মতো শুভ পরিণামও একটি নেয়ামত)।১০
রাব্বানা-ওয়া আ-তিনা-মা-ওয়া-‘আত্তানা-‘আলা-রুছুলিকা ওয়ালা-তুখঝিনা-ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আ-দ।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! নিজ রাসূলগণের মাধ্যমে আপনি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ করুন। আর কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্ছিত করেন না। আপনি তো কখনো প্রতিশ্রুতির অন্যথা করেন না। (সুতরাং তাঁর পক্ষ হতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কোনো আশংকা নেই। আমরা যে বারবার এই প্রার্থনা করছি এ আমাদের অস্থিরতা ও নিরুপায় অবস্থার ফল। তাছাড়া এ-ও তো জানা নেই যে, আমরা ঐ সকল প্রতিশ্রুতির উপযুক্ত সাব্যস্ত হব কিনা)।১১
রাব্বানা-জালামনা আনফুছানা-ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা-ওয়া তারহামনা-লানাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।
হে আমাদের রব! আমরা তো নিজেদের উপর জুলুম করেছি। আপনি যদি আমাদের মাফ না করেন এবং আমাদের উপর রহম না করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (কারণ, আপনি ছাড়া আর কে আমাদের লাভের মুখ দেখাতে পারে?)১২
আনতা ওয়ালিইউনা-ফাগফিরালানাওয়ারহামনা-ওয়া আনতা খাইরুল গা-ফিরীন।
আপনিই তো আমাদের মদদকারী। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের উপর রহম করুন। আপনি শ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী। (কারণ, আপনার ক্ষমাই প্রকৃত ও নিশ্চিত ক্ষমা। মাখলুকের ক্ষমা তো প্রকৃত ক্ষমা নয়, যে কিনা নিজেই আপনার ক্ষমার মুখাপেক্ষী)।১৪
রাব্বানা-লা-তাজ‘আলনা-ফিতনাতাল লিলকাওমিজ্জা-লিমীন। ওয়া নাজজিনা-বিরাহমাতিকা মিনাল কাওমিল কা-ফিরীন।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে জালিম কওমের জুলুমের শিকার কোরেন না এবং নিজ দয়ায় আমাদের জালিম কওমের পাঞ্জা থেকে মুক্ত করুন। (অর্থাৎ আমাদের উপর যতদিন তাদের শাসন নির্ধারিত, ততদিন যেন আমাদের উপর জুলুম করতে না পারে। এরপর তাদের শাসন থেকেই আমাদের নিষ্কৃতি দিন।)১৫
ফা-তিরাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আনতা ওয়ালিইইয়ী ফিদদুনইয়া-ওয়াল আখিরাতি তাওয়াফফানী মুছলিমাওঁ ওয়া আলহিকনী বিসসা-লিহীন।
হে আকাশ ও ভূমির স্রষ্টা! দুনিয়া-আখিরাতে আপনিই থাকুন আমার সহায়। আমাকে মৃত্যু দিয়েন ইসলামের উপর আর আমাকে যুক্ত কোরেন নেককারদের সাথে। (নেককারদের মতো শুভ পরিণাম তো এক মহা সৌভাগ্য)।১৬
রাব্বানাগফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিছা-ব।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন (অর্থাৎ কিয়ামতের দিন) আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও সকল মুমিনকে মাফ করে দিয়েন।১৮
রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের দান করুন আপনার নিজের পক্ষ হতে (বিশেষ) রহমত এবং ব্যবস্থা করুন আমাদের জন্য আমাদের কর্মের সফলতার।২১
রাব্বানা আ-মান্না-ফাগফিরলানাওয়ারহামনা-ওয়াআনতা খাইরুর রা-হিমীন।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদের মাফ করুন এবং আমাদের উপর রহম করুন। নিশ্চয়ই আপনি সকল দয়ালুর বড় দয়ালু। (সুতরাং নিজ দয়ায় আপনি তো আমাদের ক্ষমা করেই দিবেন; তবে আমাদের দাসত্বের দাবি অনুযায়ী আমরা আপনার কাছে মিনতি জানাতে থাকব যে, আমাদের ঈমানের বিনিময়ে মাগফিরাতের পুরস্কার আমাদের দান করুন)।
রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের দান করুন আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের তরফ থেকে চোখের শীতলতা। আর আমাদের বানান মুত্তাকীদের ইমাম।২৯
আল্লা–হুম্মা আতি নাফসি তাকওয়া-হা, ওয়া-জাক্কিহা, আনতা খাইরু মান জাক্কাহা, আনতা ওলিইউহা ওয়া মাওলা-হা।
ইয়া আল্লাহ! আমার সত্তাকে পরহেযগারী দান করুন এবং তাকে পরিশুদ্ধ করুন। আপনি-ই তো এর উত্তম পরিশুদ্ধকারী। আপনিই এর মালিক ও প্রভু।৪৩
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে