দু'আ (মানযিল (কুরআনে বর্ণিত আয়াতের মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করা) অধ্যায়)

মোট বিষয় - ১৯ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সূরা হাশর এর শেষ ৪ আয়াত

لَوۡ اَنۡزَلۡنَا هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ عَلٰى جَبَلٍ لَّرَاَيۡتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡيَةِ اللّٰهِ‌ؕ وَتِلۡكَ الۡاَمۡثَالُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُوۡنَ‏ ﴿۲۱﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ‏ ﴿۲۴﴾

উচ্চারণঃ

(২১) লাও আনঝালনা-হা-যাল কুরআ-না ‘আলা-জাবালিল লারাআইতাহু খা-শি‘আম মুতাসাদ্দি‘ আম মিন খাশয়াতিল্লা-হি ওয়া তিলকাল আমছা-লুনাদরিবুহা-লিন্নাছি লা‘আল্লাহম ইয়াতাফাক্কারূন। (২২) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। (২৩) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। (২৪) হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

অর্থঃ

(২১) যদি আমি এই কুরআন পর্বতের ওপর অবতীর্ণ করতাম তবে তুমি একে আল্লাহ্ র ভয়ে বিনীত এবং বিদীর্ণ দেখতে। আমি এই সমস্ত দৃষ্টান্ত বর্ণনা করি মানুষের জন্যে, যাতে তারা চিন্তা করে। (২২) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু। (২৩) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। এরা যাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তা হতে পবিত্র, মহান। (২৪) তিনিই আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁরই সকল উত্তম নাম। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

.

৬৫. সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত (৭০ হাজার ফেরেশতার) দু‘আ

۞ اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْـعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ ۞ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ

উচ্চারণঃ

আউযুবিল্লাহিস সামিইল আলিমি মিনাশ শাইত্বনির রাজিম। তিনবার পড়ে সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত ১ বার পাঠ করবে। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আযীযুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বির, ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা, ইউছাব্বিহু লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াল ‘ আযীযুল হাকীম

অর্থঃ

তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী, তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।

.

সূরা ফাতিহা

بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِيۡنَۙ‏ ﴿۱﴾ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِۙ‏ ﴿۲﴾ مٰلِكِ يَوۡمِ الدِّيۡنِؕ‏ ﴿۳﴾ اِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَاِيَّاكَ نَسۡتَعِيۡنُؕ‏ ﴿۴﴾ اِهۡدِنَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِيۡمَۙ‏ ﴿۵﴾ صِرَاطَ الَّذِيۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ ۙ‏ ﴿۶﴾ غَيۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا الضَّآلِّيۡنَ‏ ﴿۷﴾

উচ্চারণঃ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। (১) সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই, (২) যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু, (৩) কর্মফল দিবসের মালিক। (৪) আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি, (৫) আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, (৬) তাদের পথ, যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, (৭) তাদের পথ নয় যারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।

অর্থঃ

বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।

.

সূরা বাকারার প্রথম ৫ আয়াত

الٓمّٓۚ‏ ﴿۱﴾ ذٰ لِكَ الۡڪِتٰبُ لَا رَيۡبَۛۚۖ فِيۡهِۛۚ هُدًى لِّلۡمُتَّقِيۡنَۙ‏ ﴿۲﴾ الَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَيۡبِ وَ يُقِيۡمُوۡنَ الصَّلٰوةَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ يُنۡفِقُوۡنَۙ‏ ﴿۳﴾ وَالَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ بِمَۤا اُنۡزِلَ اِلَيۡكَ وَمَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِكَۚ وَبِالۡاٰخِرَةِ هُمۡ يُوۡقِنُوۡنَؕ‏ ﴿۴﴾ اُولٰٓٮِٕكَ عَلٰى هُدًى مِّنۡ رَّبِّهِمۡ‌ وَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ‏ ﴿۵﴾

উচ্চারণঃ

বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। (১) আলিফ লাম মীম। (২) যা-লিকাল কিতা-বু লা-রাইবা ফীহি হুদাল লিলমুত্তাকীন। (৩) আল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলগাইবি ওয়াইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ইউনফিকূ ন। (৪) ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিমা উনঝিলা ইলাইকা ওয়ামা উনঝিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন। (৫) উলা ইকা ‘আলা-হুদাম মির রাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

অর্থঃ

(১) আলিফ্-লাম-মীম, (২) এই সে কিতাব; এতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্যে এটা পথ-নির্দেশ, (৩) যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে ও তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা হতে ব্যয় করে, (৪) এবং তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে যারা ঈমান আনে ও আখিরাতে যারা নিশ্চিত বিশ্বাসী, (৫) তারাই তাদের প্রতিপালক-নির্দেশিত পথে আছে এবং তারাই সফলকাম।

.

সূরা বাকারার ১৬৩ নং আয়াত

۞ وَاِلٰهُكُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ

উচ্চারণঃ

(১৬৩) ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুল লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়ার রাহমা-নূর রাহীম।

অর্থঃ

তোমাদের মাবুদ একই মাবুদ, তিনি ছাড়া অন্য কোনও মাবুদ নেই। তিনি সকলের প্রতি দয়াবান, পরম দয়ালু।

.

সূরা বাকারার ২৫৫, ২৫৬ ও ২৫৭ নং আয়াত (আয়াতুল কুরসি ও পরের দুই আয়াত)

۞ اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَـىُّ الۡقَيُّوۡمُ لَا تَاۡخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوۡمٌ‌ؕ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ‌ؕ مَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ‌ؕ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ‌ۚ وَلَا يُحِيۡطُوۡنَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ‌‌ۚ وَلَا يَـــُٔوۡدُهٗ حِفۡظُهُمَا ‌ۚ وَ هُوَ الۡعَلِىُّ الۡعَظِيۡمُ‏ ﴿۲۵۵﴾ لَاۤ اِكۡرَاهَ فِى الدِّيۡنِ‌ۙ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَىِّ‌ۚ فَمَنۡ يَّكۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَيُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰهِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَكَ بِالۡعُرۡوَةِ الۡوُثۡقٰى لَا انْفِصَامَ لَهَا‌‌ ؕ وَاللّٰهُ سَمِيۡعٌ عَلِيۡمٌ‏ ﴿۲۵۶﴾ اَللّٰهُ وَلِىُّ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا يُخۡرِجُهُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَى النُّوۡرِ‌ وَالَّذِيۡنَ كَفَرُوۡۤا اَوۡلِيٰٓـــُٔهُمُ الطَّاغُوۡتُۙ يُخۡرِجُوۡنَهُمۡ مِّنَ النُّوۡرِ اِلَى الظُّلُمٰتِ‌ؕ اُولٰٓٮِٕكَ اَصۡحٰبُ النَّارِ‌‌ۚ هُمۡ فِيۡهَا خٰلِدُوۡنَ‏ ﴿۲۵۷﴾

উচ্চারণঃ

(২৫৫) আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহ ীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম। (২৫৬) লাইকরা-হা ফিদ্দীনি কাততাবাইইয়ানার রুশদু মিনাল গাইয়ি ফামাইঁ ইয়াকফুর বিত্তা-গূতি ওয়া ইউ’মিমবিল্লা-হি ফাকাদিছ তামছাকা বিল‘উরওয়াতিল উছকা লানফিসা-মা লাহা-ওয়াল্লা-হু ছামী‘উন ‘আলীম। (২৫৭) আল্লা-হু ওয়ালিইয়ূল্লাযীনা আ-মানূ ইউখরিজুহুম মিনাজ্জু লুমা-তি ইলান নূরি ওয়াল্লাযীনা কাফারুআওলিয়াউহুমুত্তা-গুতু ইউখরিজূনাহুম মিনান নূরি ইলাজ্জুলুমা-তি উলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।

অর্থঃ

(২৫৫) আল্লাহ তিনি, যিনি ছাড়া কোনও মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, (সমগ্র সৃষ্টির) নিয়ন্ত্রক, যাঁর কখনও তন্দ্রা পায় না এবং নিদ্রাও নয়, আকাশমণ্ডলে যা-কিছু আছে (তাও) এবং পৃথিবীতে যা-কিছু আছে (তাও) সব তাঁরই। কে আছে, যে তাঁর সমীপে তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করবে? তিনি সকল বান্দার পূর্ব-পশ্চাৎ সকল অবস্থা সম্পর্কে সম্যক অবগত। তারা তাঁর জ্ঞানের কোনও বিষয় নিজ আয়ত্তে নিতে পারে না কেবল সেই বিষয় ছাড়া, যা তিনি নিজে ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসী আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। আর এ দু’টোর তত্ত্বাবধানে তাঁর বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় না এবং তিনি অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ও মহিমাময়। (২৫৬) দীনের বিষয়ে কোনও জবরদস্তি নেই। হিদায়াতের পথ গোমরাহী থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এর পর যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, সে এক মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরল, যা ভেঙ্গে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও সবকিছু জানেন। (২৫৭) আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফর অবলম্বন করেছে তাদের অভিভাবক শয়তান, যারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারা সকলে অগ্নিবাসী। তারা সর্বদা তাতেই থাকবে।

.

সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াত

۞ لِلّٰهِ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ‌ؕ وَاِنۡ تُبۡدُوۡا مَا فِىۡۤ اَنۡفُسِكُمۡ اَوۡ تُخۡفُوۡهُ يُحَاسِبۡكُمۡ بِهِ اللّٰهُ‌ؕ فَيَـغۡفِرُ لِمَنۡ يَّشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَنۡ يَّشَآءُ‌ ؕ وَاللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَىۡءٍ قَدِيۡرٌ‏ ﴿۲۸۴﴾ اٰمَنَ الرَّسُوۡلُ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَيۡهِ مِنۡ رَّبِّهٖ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ‌ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلٰٓٮِٕكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ اَحَدٍ مِّنۡ رُّسُلِهٖ‌ وَقَالُوۡا سَمِعۡنَا وَاَطَعۡنَا‌ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيۡكَ الۡمَصِيۡرُ‏ ﴿۲۸۵﴾ لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا اكۡتَسَبَتۡ‌ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ اِنۡ نَّسِيۡنَاۤ اَوۡ اَخۡطَاۡنَا رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَاۤ اِصۡرًا كَمَا حَمَلۡتَهٗ عَلَى الَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا ‌‌ۚرَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ‌ ۚ وَاعۡفُ عَنَّا وَاغۡفِرۡ لَنَا وَارۡحَمۡنَا اَنۡتَ مَوۡلٰٮنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَى الۡقَوۡمِ الۡكٰفِرِيۡنَ‏ ﴿۲۸۶﴾

উচ্চারণঃ

(২৮৪) লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদ, ওয়া ইন তুবদূ মা-ফী আনফুছিকুম আও তুখফূহু ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর। (২৮৫) আ-মানাররাছূলু বিমা উনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা, কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। (২৮৬) লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-ত্ব-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

(২৮৪) যা-কিছু আছে আকাশমণ্ডলে এবং যা-কিছু আছে পৃথিবীতে, সব আল্লাহরই। তোমাদের অন্তরে যা আছে, তা তোমরা প্রকাশ কর বা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (২৮৫) রাসূল (অর্থাৎ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাতে ঈমান এনেছে, যা তাঁর উপর তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে নাযিল করা হয়েছে এবং (তাঁর সাথে) মুমিনগণও। তাঁরা সকলে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে। (তারা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোনও পার্থক্য করি না (যে, কারও প্রতি ঈমান আনব এবং কারও প্রতি আনব না)। এবং তাঁরা বলে, আমরা (আল্লাহ ও রাসূলের বিধানসমূহ মনোযোগ সহকারে) শুনেছি এবং তা (খুশীমনে) পালন করছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার মাগফিরাতের ভিখারী, আর আপনারই কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন। (২৮৬) আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব অর্পণ করেন না। তার কল্যাণ হবে সে কাজেই যা সে স্বেচ্ছায় করে এবং তার ক্ষতিও হবে সে কাজেই, যা সে স্বেচ্ছায় করে। (হে মুসলিমগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে এই দু‘আ কর যে,) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দ্বারা যদি কোনও ভুল-ত্রুটি হয়ে যায় তবে সেজন্য তুমি আমাদের পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি সেই রকমের দায়িত্বভার অর্পণ করো না, যেমন তা অর্পণ করেছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর এমন ভার চাপিয়ো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের (ত্রুটিসমূহ) মার্জনা কর, আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর।

.

সূরা আলে ইমরানের ১৮ নং আয়াত

۞ شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۙ وَالۡمَلٰٓٮِٕكَةُ وَاُولُوا الۡعِلۡمِ قَآٮِٕمًا ۢ بِالۡقِسۡطِ‌ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُؕ ﴿۱۸﴾‏

উচ্চারণঃ

(১৮) শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াল মালাইকাতুওয়া উলুল ‘ইলমি কাইমাম বিলকিছতিলাইল্লা-হা ইল্লা-হুওয়াল আঝীঝুল হাকীম।

অর্থঃ

(১৮) আল্লাহ স্বয়ং এ বিষয়ের সাক্ষ্য দেন এবং ফিরিশতাগণ ও জ্ঞানীগণও যে, তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, যিনি ইনসাফের সাথে (বিশ্ব জগতের) নিয়ম-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। তাঁর ক্ষমতা পরিপূর্ণ এবং হিকমতও পরিপূর্ণ।

.

সূরা আলে ইমরানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াত

۞ قُلِ اللّٰہُمَّ مٰلِکَ الۡمُلۡکِ تُؤۡتِی الۡمُلۡکَ مَنۡ تَشَآءُ وَتَنۡزِعُ الۡمُلۡکَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَتُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِکَ الۡخَیۡرُ ؕ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۶﴾ تُوۡلِجُ الَّیۡلَ فِی النَّہَارِ وَتُوۡلِجُ النَّہَارَ فِی الَّیۡلِ ۫ وَتُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَتُخۡرِجُ الۡمَیِّتَ مِنَ الۡحَیِّ ۫ وَتَرۡزُقُ مَنۡ تَشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ ﴿۲۷﴾

উচ্চারণঃ

(২৬) কুল্লিলা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানঝি‘উল মুলকা মিম্মান তাশাউ ওয়াতু‘ইঝঝুমান তাশাউ ওয়া তুযিল্লুমান তাশাউ বিইয়াদিকাল খাইরু; ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর। (২৭) তূলিজুল লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়াতূলিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়াতুখরিজুল হাইইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়াতুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়াতারঝুকু মান তাশাউ বিগাইরি হিছা-ব।

অর্থঃ

(২৬) বল, হে আল্লাহ! সার্বভৌম শক্তির মালিক! তুমি যাকে চাও ক্ষমতা দান কর, আর যার থেকে চাও ক্ষমতা কেড়ে নাও। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর এবং যাকে চাও লাঞ্ছিত কর। সমস্ত কল্যাণ তোমারই হাতে। নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। (২৭) তুমিই রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করাও। তুমিই নিষ্প্রাণ বস্তু হতে প্রাণবান বস্তু বের কর এবং প্রাণবান থেকে নিষ্প্রাণ বস্তু বের কর, আর যাকে ইচ্ছা অপরিমিত রিযিক দান কর।

১০.

সূরা আরাফের ৫৪, ৫৫ ও ৫৬ নং আয়াত

۞ اِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰهُ الَّذِىۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ فِىۡ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰى عَلَى الۡعَرۡشِ يُغۡشِى الَّيۡلَ النَّهَارَ يَطۡلُبُهٗ حَثِيۡثًا ۙ وَّالشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ وَالنُّجُوۡمَ مُسَخَّرٰتٍۢ بِاَمۡرِهٖ ؕ اَلَا لَـهُ الۡخَـلۡقُ وَالۡاَمۡرُ‌ ؕ تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِيۡنَ‏ ﴿۵۴﴾ اُدۡعُوۡا رَبَّكُمۡ تَضَرُّعًا وَّخُفۡيَةً‌ ؕ اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الۡمُعۡتَدِيۡنَ‌ ۚ‏ ﴿۵۵﴾ وَلَا تُفۡسِدُوۡا فِى الۡاَرۡضِ بَعۡدَ اِصۡلَاحِهَا وَادۡعُوۡهُ خَوۡفًا وَّطَمَعًا‌ ؕ اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰهِ قَرِيۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِيۡنَ‏ ﴿۵۶﴾

উচ্চারণঃ

(৫৪) ইন্না-রাব্বাকুমুল্লা-হুল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ফী ছিত্তাতি আইইয়া-মিন ছু ম্মাছ তাওয়া-‘আলাল ‘আরশি ইউগশিল লাইলান নাহা-রা ইয়াতলুবুহূহাছীছাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা ওয়ান নুজূমা মুছাখখারা-তিম বিআমরিহী আলা-লাহুল খালকুওয়াল আমরু তাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন। (৫৫) উদ‘ঊ রাব্বাকুম তাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতান ইন্নাহূ লা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন। (৫৬) ওয়ালা-তুফছিদূ ফিল আরদি বা‘দা ইসলা-হিহা-ওয়াদ‘ঊহু খাওফাওঁ ওয়া ত্বমা‘আন ইন্না রাহমাতাল্লা-হি কারীবুম মিনাল মুহছিনীন।

অর্থঃ

(৫৪) নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক সেই আল্লাহ, যিনি সমস্ত আসমান ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে ইস্তিওয়া গ্রহণ করেন। তিনি দিনকে রাতের দ্বারা ঢেকে দেন, যা দ্রুতগতিতে ধাবিত হয়ে তাকে ধরে ফেলে। এবং সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজি (সৃষ্টি করেছেন), যা সবই তাঁরই আজ্ঞাধীন। স্মরণ রেখ, সৃষ্টি ও আদেশ দান তাঁরই কাজ। আল্লাহ অতি বরকতময়, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। (৫৫) তোমরা বিনীতভাবে ও চুপিসারে নিজেদের প্রতিপালককে ডাক। নিশ্চয়ই তিনি সীমালংঘন-কারীদেরকে পছন্দ করেন না। (৫৬) এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর তাতে অশান্তি বিস্তার করো না এবং (অন্তরে তাঁর) ভয় ও আশা রেখে তাঁর ইবাদত কর। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।

১১.

সূরা বনী ইসরাঈলের শেষ ২ আয়াত

۞ قُلِ ادۡعُوا اللّٰهَ اَوِ ادۡعُوا الرَّحۡمٰنَ‌ ؕ اَ يًّا مَّا تَدۡعُوۡا فَلَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى ‌ۚ وَلَا تَجۡهَرۡ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتۡ بِهَا وَابۡتَغِ بَيۡنَ ذٰ لِكَ سَبِيۡلًا‏ ﴿۱۱۰﴾ وَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِىۡ لَمۡ يَتَّخِذۡ وَلَدًا وَّلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ شَرِيۡكٌ فِى الۡمُلۡكِ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ وَلِىٌّ مِّنَ الذُّلِّ‌ وَكَبِّرۡهُ تَكۡبِيۡرًا‏ ﴿۱۱۱﴾

উচ্চারণঃ

(১১০) কুলিদ‘উল্লা-হা আওয়ীদ ‘উর রাহমা-না আইঁ ইয়াম্মা-তাদ‘ঊ ফালাহুল আছমাঊল হুছনা-ওয়ালা-তাজহার বিসালা-তিকা ওয়ালা-তুখা-ফিত বিহা-ওয়াবতাগি বাইনা যালিকা ছাবীলা-। (১১১) ওয়া কুলিল হামদুলিল্লা-হিল্লাযী লাম ইয়াত্তাখিযওয়ালাদাওঁ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূ শারীকুন ফিল মুলকি ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূ ওয়ালিইয়ুম মিনাযযুল্লি ওয়া কাব্বিরহু তাকবীরা-।

অর্থঃ

(১১০) বলে দাও, তোমরা আল্লাহকে ডাক বা রহমানকে ডাক, যে নামেই তোমরা (আল্লাহকে) ডাক, (একই কথা। কেননা) সমস্ত সুন্দর নাম তো তাঁরই। তুমি নিজের নামায বেশি উঁচু স্বরে পড়বে না এবং অতি নিচু স্বরেও নয়; বরং উভয়ের মাঝামাঝি পন্থা অবলম্বন করবে। (১১১) বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর রাজত্বে কোন অংশীদার নেই এবং অক্ষমতা হতে রক্ষার জন্য তাঁর কোন অভিভাবকের প্রয়োজন নেই। তাঁর মহিমা বর্ণনা কর, ঠিক যেভাবে তাঁর মহিমা বর্ণনা করা উচিত।

১২.

সূরা মুমিনূনের শেষ ৪ আয়াত

۞ اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰكُمۡ عَبَثًا وَّاَنَّكُمۡ اِلَيۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ‏ ﴿۱۱۵﴾ فَتَعٰلَى اللّٰهُ الۡمَلِكُ الۡحَـقُّ‌ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡـكَرِيۡمِ‏ ﴿۱۱۶﴾ وَمَنۡ يَّدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَۙ لَا بُرۡهَانَ لَهٗ بِهٖۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنۡدَ رَبِّهٖؕ اِنَّهٗ لَا يُفۡلِحُ الۡـكٰفِرُوۡنَ‏ ﴿۱۱۷﴾ وَقُلْ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَارۡحَمۡ وَاَنۡتَ خَيۡرُ الرّٰحِمِيۡنَ‏ ﴿۱۱۸﴾

উচ্চারণঃ

(১১৫) আফাহাছিবতুম আন্নামা-খালাকনা-কুম আবাছাওঁ ওয়া আন্নাকুম ইলাইনা-লা-তুরজা‘ঊন। (১১৬) ফাতাআ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্কু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া, রাব্বুল ‘আরশিল কারীম। (১১৭) ওয়া মাইঁ ইয়াদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা লা-বুরহা-না লাহূবিহী ফাইন্নামাহিছা-বুহূ‘ইনদা রাব্বিহী ইন্নাহূলা-ইউফলিহুল কা-ফিরূন। (১১৮) ওয়া কুর রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুররা-হিমীন।

অর্থঃ

(১১৫) তবে কি তোমরা মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অহেতুক সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না? (১১৬) অতি মহিমাময় আল্লাহ, যিনি প্রকৃত বাদশাহ। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের মালিক। (১১৭) যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদকে ডাকে, যে সম্পর্কে তার কাছে কোন রকম দলীল-প্রমাণ নেই, তার হিসাব তার প্রতিপালকের নিকট আছে। জেনে রেখ, কাফেরগণ সফলকাম হতে পারে না। (১১৮) (হে রাসূল!) বল, হে আমার প্রতিপালক, আমার ত্রুটিসমূহ ক্ষমা কর ও দয়া কর। তুমি দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।

১৩.

সূরা সাফফাতের প্রথম ১১ আয়াত

۞ وَالصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ‏ ﴿۱﴾ فَالزّٰجِرٰتِ زَجۡرًا ۙ‏ ﴿۲﴾ فَالتّٰلِيٰتِ ذِكۡرًا ۙ‏ ﴿۳﴾ اِنَّ اِلٰهَكُمۡ لَوَاحِدٌ ﴿۴﴾ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَرَبُّ الۡمَشَارِقِ ؕ‏ ﴿۵﴾ اِنَّا زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡيَا بِزِيۡنَةِ اۨلۡكَوَاكِبِۙ‏ ﴿۶﴾ وَحِفۡظًا مِّنۡ كُلِّ شَيۡطٰنٍ مَّارِدٍ‌ۚ‏ ﴿۷﴾ لَّا يَسَّمَّعُوۡنَ اِلَى الۡمَلَاِ الۡاَعۡلٰى وَيُقۡذَفُوۡنَ مِنۡ كُلِّ جَانِبٍۖ ‏ ﴿۸﴾ دُحُوۡرًا وَّلَهُمۡ عَذَابٌ وَّاصِبٌ  ۙ‏ ﴿۹﴾ اِلَّا مَنۡ خَطِفَ الۡخَطۡفَةَ فَاَتۡبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ‏ ﴿۱۰﴾ فَاسۡتَفۡتِهِمۡ اَهُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمۡ مَّنۡ خَلَقۡنَاؕ اِنَّا خَلَقۡنٰهُمۡ مِّنۡ طِيۡنٍ لَّازِبٍ‏ ﴿۱۱﴾

উচ্চারণঃ

(১) ওয়াসসাফফা-তি সাফফা-। (২) ফাঝঝা-জিরা-তি ঝাজরা-। (৩) ফাত্তা-লিয়া-তি যিকরা-। (৪) ইন্না ইলা-হাকুম লাওয়া-হিদ। (৫) রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ওয়া রাব্বুল মাশা-রিক। (৬) ইন্না-ঝাইয়ান্নাছছামাআদ্দুনইয়া-বিঝীনাতিনিল কাওয়া-কিব। (৭) ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। (৮) লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। (৯) দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। (১০) ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূশিহা-বুন ছাকিব। (১১) ফাছতাফতিহিম আহুম আশাদ্দু খাল কান আম্মান খালাকনা- ইন্না-খালাকনা-হুম মিন ত্বীনিল লা-ঝিব।

অর্থঃ

(১) শপথ তাদের, যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। (২) তারপর তাদের, যারা কঠোরভাবে বাধা প্রদান করে। (৩) তারপর তাদের, যারা ‘যিকর’-এর তেলাওয়াত করে। (৪) নিশ্চয়ই তোমাদের মাবুদ একই। (৫) যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এর মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর মালিক এবং তিনি মালিক নক্ষত্ররাজি উদয়স্থলেরও। (৬) নিশ্চয়ই আমি নিকটবর্তী আকাশকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছি (বিভিন্ন) নকশা দ্বারা অর্থাৎ নক্ষত্রমণ্ডলী দ্বারা। (৭) এবং প্রত্যেক দুষ্ট (শয়তান) থেকে হেফাজতের মাধ্যম বানিয়েছি। (৮) তারা ঊর্ধ্ব জগতের কথাবার্তা শুনতে পারে না এবং সকল দিক থেকে তাদের উপর মার আসে। (৯) তাদেরকে করা হয় বিতাড়িত এবং (আখেরাতে) তাদের জন্য আছে স্থায়ী শাস্তি। (১০) তবে কেউ কোন কিছু ছোঁ মেরে নিয়ে যেতে চাইলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। (১১) সুতরাং তাদেরকে (অর্থাৎ কাফেরদেরকে) জিজ্ঞেস কর, তাদেরকে সৃষ্টি করা বেশি কঠিন, না আমার অন্যান্য মাখলুককে? আমি তো তাদেরকে সৃষ্টি করেছি আঠাল কাদা হতে।

১৪.

সূরা আর-রহমান এর ৩৩ থেকে ৪০ আয়াত পর্যন্ত

۞ يٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ اِنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ اَنۡ تَنۡفُذُوۡا مِنۡ اَقۡطَارِ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ فَانْفُذُوۡا‌ؕ لَا تَنۡفُذُوۡنَ اِلَّا بِسُلۡطٰنٍ‌ۚ‏ ﴿۳۳﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۴﴾ يُرۡسَلُ عَلَيۡكُمَا شُوَاظٌ مِّنۡ نَّارٍ وَّنُحَاسٌ فَلَا تَنۡتَصِرٰنِ‌ۚ‏ ﴿۳۵﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۶﴾ فَاِذَا انْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَكَانَتۡ وَرۡدَةً كَالدِّهَانِ‌ۚ‏ ﴿۳۷﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۸﴾ فَيَوۡمَٮِٕذٍ لَّا يُسۡـٴَـلُ عَنۡ ذَنۡۢبِهٖۤ اِنۡسٌ وَّلَا جَآنٌّ‌ۚ‏ ﴿۳۹﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۴۰﴾

উচ্চারণঃ

(৩৩) ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূ মিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন। (৩৪) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৫) ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন। (৩৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৭) ফাইযান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ারদাতান কাদ্দিহা-ন। (৩৮) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৯) ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু‘আন যামবিহী ইনছুওঁ ওয়ালা-জান। (৪০) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।

অর্থঃ

(৩৩) হে মানুষ ও জিন্ন সম্প্রদায়! তোমাদের যদি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সীমানা অতিক্রম করার সামর্থ্য থাকে, তবে তা অতিক্রম কর। তোমরা প্রচণ্ড শক্তি ছাড়া তা অতিক্রম করতে পারবে না। (৩৪) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে? (৩৫) তোমাদের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে আগুনের শিখা এবং তাম্রবর্ণের ধোঁয়া। তখন তোমরা পারবে না আত্মরক্ষা করতে। (৩৬) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে? (৩৭) (সেই সময় অবশ্যম্ভাবী) যখন আকাশ ফেটে যাবে এবং তা লাল চামড়ার মত লাল-গোলাপী হয়ে যাবে। (৩৮) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে? (৩৯) সেই দিন না কোন মানুষকে তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, না কোন জিন্নকে। (৪০) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?

১৫.

সূরা জ্বিনের প্রথম ৪ আয়াত

۞ قُلۡ اُوۡحِىَ اِلَىَّ اَنَّهُ اسۡتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الۡجِنِّ فَقَالُوۡۤا اِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡاٰنًا عَجَبًا ۙ‏ ﴿۱﴾ يَّهۡدِىۡۤ اِلَى الرُّشۡدِ فَاٰمَنَّا بِهٖ‌ ؕ وَلَنۡ نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ‏ ﴿۲﴾ وَّاَنَّهٗ تَعٰلٰى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّلَا وَلَدًا ۙ‏ ﴿۳﴾ وَّ اَنَّهٗ كَانَ يَقُوۡلُ سَفِيۡهُنَا عَلَى اللّٰهِ شَطَطًا ۙ‏ ﴿۴﴾

উচ্চারণঃ

(১)কুল ঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূ ইন্না-ছামি‘না কুরআ-নান ‘আজাবা- । (২)ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । (৩)ওয়া আন্নাহূ তা‘আ- জাদ্দু রাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । (৪)ওয়া আন্নাহূ কা-না ইয়াকূলু ছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- ।

অর্থঃ

(১) (হে রাসূল!) বলে দাও, আমার কাছে ওহী এসেছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে (কুরআন) শুনেছে অতঃপর (নিজ সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে) বলেছে, আমরা এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি। (২) যা সঠিক পথ প্রদর্শন করে। সুতরাং আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি। এখন আর আমরা আমাদের প্রতিপালকের সাথে (ইবাদতে) কখনও কাউকে শরীক করব না। (৩) এবং এই (বিশ্বাস করেছি) যে, আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা সমুচ্চ। তিনি কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি এবং কোন সন্তানও নয়। (৪) এবং এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবাস্তব কথা বলত।

১৬.

সূরা কাফিরুন

۞ قُلۡ يٰۤاَيُّهَا الۡكٰفِرُوۡنَۙ‏ ﴿۱﴾ لَاۤ اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَۙ‏ ﴿۲﴾ وَلَاۤ اَنۡـتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ‌ ۚ‏ ﴿۳﴾ وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡۙ‏ ﴿۴﴾ وَ لَاۤ اَنۡـتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ ؕ‏ ﴿۵﴾ لَـكُمۡ دِيۡنُكُمۡ وَلِىَ دِيۡنِ‏ ﴿۶﴾

উচ্চারণঃ

(১)কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন। (২) লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। (৩) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। (৪) ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, (৫) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। (৬) লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

অর্থঃ

(১) বলে দাও, হে সত্য-অস্বীকারকারীগণ! (২) আমি সেই সব বস্তুর ইবাদত করি না, যাদের ইবাদত তোমরা কর, (৩) এবং তোমরা তাঁর ইবাদত কর না যার ইবাদত আমি করি। (৪) এবং আমি (ভবিষ্যতে) তার ইবাদতকারী নই, যার ইবাদত তোমরা কর। (৫) এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি। (৬) তোমাদের জন্য তোমাদের দীন এবং আমার জন্য আমার দীন।

১৭.

সূরা ইখলাস

۞ قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ‌ ۚ‏ ﴿۱﴾ اَللّٰهُ الصَّمَدُ‌ ۚ‏ ﴿۲﴾ لَمۡ يَلِدۡ ۙ وَلَمۡ يُوۡلَدۡ ۙ‏ ﴿۳﴾ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾

উচ্চারণঃ

(১)কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। (২) আল্লা-হুসসামাদ। (৩) লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। (৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।

অর্থঃ

(১) বলে দাও, কথা হল আল্লাহ সব দিক থেকে এক। (২) আল্লাহই এমন যে, সকলে তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। (৩) তার কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন (৪) এবং তার সমকক্ষ নয় কেউ।

১৮.

সূরা ফালাক

۞ قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِۙ‏ ﴿۱﴾ مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَۙ‏ ﴿۲﴾ وَمِنۡ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَۙ‏ ﴿۳﴾ وَمِنۡ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى الۡعُقَدِۙ‏ ﴿۴﴾ وَمِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ‏ ﴿۵﴾

উচ্চারণঃ

(১)কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক (২) মিন শাররি মা-খালাক। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

অর্থঃ

(১) বল, আমি ভোরের মালিকের আশ্রয় গ্রহণ করছি (২) তিনি যা-কিছু সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে (৩) এবং অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা ছেয়ে যায় (৪) এবং সেই সব ব্যক্তির অনিষ্ট হতে, যারা (তাগা বা সুতার) গিরায় ফুঁ দেয় (৫) এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসা করে।

১৯.

সূরা নাস

۞ قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِۙ‏ ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِۙ‏ ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِۙ‏ ﴿۳﴾ مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ  ۙ الۡخَـنَّاسِ ۙ‏ ﴿۴﴾ الَّذِىۡ يُوَسۡوِسُ فِىۡ صُدُوۡرِ النَّاسِۙ‏ ﴿۵﴾ مِنَ الۡجِنَّةِ وَالنَّاسِ‏ ﴿۶﴾

উচ্চারণঃ

(১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, (২) মালিকিন্না-ছ, (৩) ইলা-হিন্না-ছ। (৪) মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। (৫) আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।

অর্থঃ

(১) বল, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি সমস্ত মানুষের প্রতিপালকের (২) সমস্ত মানুষের অধিপতির (৩) সমস্ত মানুষের মাবূদের (৪) সেই কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে, যে পেছনে আত্মগোপন করে (৫) যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়, (৬) সে জিনদের মধ্য হতে হোক বা মানুষের মধ্য হতে।

দু'আ (মানযিল (কুরআনে বর্ণিত আয়াতের মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করা) অধ্যায়) | মুসলিম বাংলা