দু'আ (রুকাইয়ার দু'আ সমূহের অধ্যায় (কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত)

মোট বিষয় - ৫৭ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সূরা ইখলাস

۞ قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ‌ ۚ‏ ﴿۱﴾ اَللّٰهُ الصَّمَدُ‌ ۚ‏ ﴿۲﴾ لَمۡ يَلِدۡ ۙ وَلَمۡ يُوۡلَدۡ ۙ‏ ﴿۳﴾ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণঃ

(১)কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। (২) আল্লা-হুসসামাদ। (৩) লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। (৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।

অর্থঃ

(১) বলে দাও, কথা হল আল্লাহ সব দিক থেকে এক। (২) আল্লাহই এমন যে, সকলে তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। (৩) তার কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন (৪) এবং তার সমকক্ষ নয় কেউ।

.

সূরা সাফফাতের প্রথম ১১ আয়াত

۞ وَالصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ‏ ﴿۱﴾ فَالزّٰجِرٰتِ زَجۡرًا ۙ‏ ﴿۲﴾ فَالتّٰلِيٰتِ ذِكۡرًا ۙ‏ ﴿۳﴾ اِنَّ اِلٰهَكُمۡ لَوَاحِدٌ ﴿۴﴾ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَرَبُّ الۡمَشَارِقِ ؕ‏ ﴿۵﴾ اِنَّا زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡيَا بِزِيۡنَةِ اۨلۡكَوَاكِبِۙ‏ ﴿۶﴾ وَحِفۡظًا مِّنۡ كُلِّ شَيۡطٰنٍ مَّارِدٍ‌ۚ‏ ﴿۷﴾ لَّا يَسَّمَّعُوۡنَ اِلَى الۡمَلَاِ الۡاَعۡلٰى وَيُقۡذَفُوۡنَ مِنۡ كُلِّ جَانِبٍۖ ‏ ﴿۸﴾ دُحُوۡرًا وَّلَهُمۡ عَذَابٌ وَّاصِبٌ  ۙ‏ ﴿۹﴾ اِلَّا مَنۡ خَطِفَ الۡخَطۡفَةَ فَاَتۡبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ‏ ﴿۱۰﴾ فَاسۡتَفۡتِهِمۡ اَهُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمۡ مَّنۡ خَلَقۡنَاؕ اِنَّا خَلَقۡنٰهُمۡ مِّنۡ طِيۡنٍ لَّازِبٍ‏ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণঃ

(১) ওয়াসসাফফা-তি সাফফা-। (২) ফাঝঝা-জিরা-তি ঝাজরা-। (৩) ফাত্তা-লিয়া-তি যিকরা-। (৪) ইন্না ইলা-হাকুম লাওয়া-হিদ। (৫) রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ওয়া রাব্বুল মাশা-রিক। (৬) ইন্না-ঝাইয়ান্নাছছামাআদ্দুনইয়া-বিঝীনাতিনিল কাওয়া-কিব। (৭) ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। (৮) লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। (৯) দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। (১০) ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূশিহা-বুন ছাকিব। (১১) ফাছতাফতিহিম আহুম আশাদ্দু খাল কান আম্মান খালাকনা- ইন্না-খালাকনা-হুম মিন ত্বীনিল লা-ঝিব।

অর্থঃ

(১) শপথ তাদের, যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। (২) তারপর তাদের, যারা কঠোরভাবে বাধা প্রদান করে। (৩) তারপর তাদের, যারা ‘যিকর’-এর তেলাওয়াত করে। (৪) নিশ্চয়ই তোমাদের মাবুদ একই। (৫) যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এর মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর মালিক এবং তিনি মালিক নক্ষত্ররাজি উদয়স্থলেরও। (৬) নিশ্চয়ই আমি নিকটবর্তী আকাশকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছি (বিভিন্ন) নকশা দ্বারা অর্থাৎ নক্ষত্রমণ্ডলী দ্বারা। (৭) এবং প্রত্যেক দুষ্ট (শয়তান) থেকে হেফাজতের মাধ্যম বানিয়েছি। (৮) তারা ঊর্ধ্ব জগতের কথাবার্তা শুনতে পারে না এবং সকল দিক থেকে তাদের উপর মার আসে। (৯) তাদেরকে করা হয় বিতাড়িত এবং (আখেরাতে) তাদের জন্য আছে স্থায়ী শাস্তি। (১০) তবে কেউ কোন কিছু ছোঁ মেরে নিয়ে যেতে চাইলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। (১১) সুতরাং তাদেরকে (অর্থাৎ কাফেরদেরকে) জিজ্ঞেস কর, তাদেরকে সৃষ্টি করা বেশি কঠিন, না আমার অন্যান্য মাখলুককে? আমি তো তাদেরকে সৃষ্টি করেছি আঠাল কাদা হতে।

.

সূরা বাকারার ১৬৩ নং আয়াত

۞ وَاِلٰهُكُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ
উচ্চারণঃ

(১৬৩) ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুল লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়ার রাহমা-নূর রাহীম।

অর্থঃ

তোমাদের মাবুদ একই মাবুদ, তিনি ছাড়া অন্য কোনও মাবুদ নেই। তিনি সকলের প্রতি দয়াবান, পরম দয়ালু।

.

সূরা আলে ইমরানের ১৮ নং আয়াত

۞ شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۙ وَالۡمَلٰٓٮِٕكَةُ وَاُولُوا الۡعِلۡمِ قَآٮِٕمًا ۢ بِالۡقِسۡطِ‌ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُؕ ﴿۱۸﴾‏
উচ্চারণঃ

(১৮) শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াল মালাইকাতুওয়া উলুল ‘ইলমি কাইমাম বিলকিছতিলাইল্লা-হা ইল্লা-হুওয়াল আঝীঝুল হাকীম।

অর্থঃ

(১৮) আল্লাহ স্বয়ং এ বিষয়ের সাক্ষ্য দেন এবং ফিরিশতাগণ ও জ্ঞানীগণও যে, তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, যিনি ইনসাফের সাথে (বিশ্ব জগতের) নিয়ম-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। তাঁর ক্ষমতা পরিপূর্ণ এবং হিকমতও পরিপূর্ণ।

.

সূরা আরাফের ৫৪, ৫৫ ও ৫৬ নং আয়াত

۞ اِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰهُ الَّذِىۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ فِىۡ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰى عَلَى الۡعَرۡشِ يُغۡشِى الَّيۡلَ النَّهَارَ يَطۡلُبُهٗ حَثِيۡثًا ۙ وَّالشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ وَالنُّجُوۡمَ مُسَخَّرٰتٍۢ بِاَمۡرِهٖ ؕ اَلَا لَـهُ الۡخَـلۡقُ وَالۡاَمۡرُ‌ ؕ تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِيۡنَ‏ ﴿۵۴﴾ اُدۡعُوۡا رَبَّكُمۡ تَضَرُّعًا وَّخُفۡيَةً‌ ؕ اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الۡمُعۡتَدِيۡنَ‌ ۚ‏ ﴿۵۵﴾ وَلَا تُفۡسِدُوۡا فِى الۡاَرۡضِ بَعۡدَ اِصۡلَاحِهَا وَادۡعُوۡهُ خَوۡفًا وَّطَمَعًا‌ ؕ اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰهِ قَرِيۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِيۡنَ‏ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণঃ

(৫৪) ইন্না-রাব্বাকুমুল্লা-হুল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ফী ছিত্তাতি আইইয়া-মিন ছু ম্মাছ তাওয়া-‘আলাল ‘আরশি ইউগশিল লাইলান নাহা-রা ইয়াতলুবুহূহাছীছাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা ওয়ান নুজূমা মুছাখখারা-তিম বিআমরিহী আলা-লাহুল খালকুওয়াল আমরু তাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন। (৫৫) উদ‘ঊ রাব্বাকুম তাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতান ইন্নাহূ লা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন। (৫৬) ওয়ালা-তুফছিদূ ফিল আরদি বা‘দা ইসলা-হিহা-ওয়াদ‘ঊহু খাওফাওঁ ওয়া ত্বমা‘আন ইন্না রাহমাতাল্লা-হি কারীবুম মিনাল মুহছিনীন।

অর্থঃ

(৫৪) নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক সেই আল্লাহ, যিনি সমস্ত আসমান ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আরশে ইস্তিওয়া গ্রহণ করেন। তিনি দিনকে রাতের দ্বারা ঢেকে দেন, যা দ্রুতগতিতে ধাবিত হয়ে তাকে ধরে ফেলে। এবং সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজি (সৃষ্টি করেছেন), যা সবই তাঁরই আজ্ঞাধীন। স্মরণ রেখ, সৃষ্টি ও আদেশ দান তাঁরই কাজ। আল্লাহ অতি বরকতময়, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। (৫৫) তোমরা বিনীতভাবে ও চুপিসারে নিজেদের প্রতিপালককে ডাক। নিশ্চয়ই তিনি সীমালংঘন-কারীদেরকে পছন্দ করেন না। (৫৬) এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর তাতে অশান্তি বিস্তার করো না এবং (অন্তরে তাঁর) ভয় ও আশা রেখে তাঁর ইবাদত কর। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।

.

সূরা আর-রহমান এর ৩৩ থেকে ৪০ আয়াত পর্যন্ত

۞ يٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ اِنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ اَنۡ تَنۡفُذُوۡا مِنۡ اَقۡطَارِ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ فَانْفُذُوۡا‌ؕ لَا تَنۡفُذُوۡنَ اِلَّا بِسُلۡطٰنٍ‌ۚ‏ ﴿۳۳﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۴﴾ يُرۡسَلُ عَلَيۡكُمَا شُوَاظٌ مِّنۡ نَّارٍ وَّنُحَاسٌ فَلَا تَنۡتَصِرٰنِ‌ۚ‏ ﴿۳۵﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۶﴾ فَاِذَا انْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَكَانَتۡ وَرۡدَةً كَالدِّهَانِ‌ۚ‏ ﴿۳۷﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۸﴾ فَيَوۡمَٮِٕذٍ لَّا يُسۡـٴَـلُ عَنۡ ذَنۡۢبِهٖۤ اِنۡسٌ وَّلَا جَآنٌّ‌ۚ‏ ﴿۳۹﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণঃ

(৩৩) ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূ মিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন। (৩৪) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৫) ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন। (৩৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৭) ফাইযান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ারদাতান কাদ্দিহা-ন। (৩৮) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৯) ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু‘আন যামবিহী ইনছুওঁ ওয়ালা-জান। (৪০) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।

অর্থঃ

(৩৩) হে মানুষ ও জিন্ন সম্প্রদায়! তোমাদের যদি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সীমানা অতিক্রম করার সামর্থ্য থাকে, তবে তা অতিক্রম কর। তোমরা প্রচণ্ড শক্তি ছাড়া তা অতিক্রম করতে পারবে না। (৩৪) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে? (৩৫) তোমাদের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে আগুনের শিখা এবং তাম্রবর্ণের ধোঁয়া। তখন তোমরা পারবে না আত্মরক্ষা করতে। (৩৬) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে? (৩৭) (সেই সময় অবশ্যম্ভাবী) যখন আকাশ ফেটে যাবে এবং তা লাল চামড়ার মত লাল-গোলাপী হয়ে যাবে। (৩৮) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে? (৩৯) সেই দিন না কোন মানুষকে তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, না কোন জিন্নকে। (৪০) সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?

.

আয়াতুল কুরসী

۞ اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَـىُّ الۡقَيُّوۡمُ لَا تَأْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوۡمٌ‌ؕ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ‌ؕ مَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ‌ؕ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ‌ۚ وَلَا يُحِيۡطُوۡنَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ‌‌ۚ وَلَا يَـــُٔوۡدُهٗ حِفۡظُهُمَا ‌ۚ وَ هُوَ الۡعَلِىُّ الۡعَظِيۡمُ‏
উচ্চারণঃ

আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।

অর্থঃ

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

.

৩১০ সূরা আল ফাত্‌হ (আয়াত নং: ৪)

۞ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ فِیۡ قُلُوۡبِ الْمُؤْمِنِیۡنَ لِیَزْدَادُوۡۤا اِیۡمَانًا مَّعَ اِیۡمَانِہِمْ ؕ وَ لِلّٰهِ جُنُوۡدُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ کَانَ اللہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণঃ

হুওয়াল্লাযীআনঝালাছ ছাকীনাতা ফী কুলূবিল মু’মিনীনা লিইয়াঝদা-দূ ঈমা-নাম মা‘আ ঈমা-নিহিম ওয়া লিল্লা-হি জনূদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান হাকীমা-।

অর্থঃ

তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান দৃঢ় করে নেয়, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

.

বদনজরের আয়াত-৩

۞ وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللّٰهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ إِنْ تَرَنِ أَنَا أَقَلَّ مِنْكَ مَالًا وَوَلَدًا ﴿۳۹﴾
উচ্চারণঃ

ওয়ালাওলাইযদাখালতা জান্নাতাকা কুলতা মা-শাআল্লা-হু লা-কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ইন তারানি আনা আকাল্লা মিনকা মা-লাওঁ ওয়া ওয়ালাদা-।

অর্থঃ

যদি তুমি আমাকে ধনে ও সন্তানে তোমার চাইতে কম দেখ, তবে যখন তুমি তোমার বাগানে প্রবেশ করলে, তখন একথা কেন বললে না; আল্লাহ যা চান, তাই হয়। আল্লাহর দেয়া ব্যতীত কোন শক্তি নেই।

১০.

৩১৬ বদনজরের আয়াত-৪

۞ وَإِنْ يَّكَادُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَيُزْلِقُوْنَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوْا الذِّكْرَ وَيَقُوْلُوْنَ إِنَّهٗ لَمَجْنُوْنٌ ﴿ۙ۵۱﴾ وَمَا هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِيْنَ ﴿ۙ۵۲﴾
উচ্চারণঃ

ওয়া ইয়ঁ ইয়াকা- দুল্লাযীনা কাফারূ লাইউঝলিকূনাকা বিআবসা-রিহিম লাম্মাছামি‘উযযিকরা ওয়া ইয়াকূলূনা ইন্নাহূলামাজনূন। ওয়ামা-হুওয়া ইল্লা- যিকরুলিলল‘আ- লামীন।

অর্থঃ

কাফিররা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন এরা যেন এদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়িয়ে ফেলিবে এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল!’ অথচ এটা তো বিশ্বজগতের জন্য কেবলই উপদেশ।

১১.

বদনজরের আয়াত-৫

۞ اَلَّذِيْ خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَا تَرٰى فِيْ خَلْقِ الرَّحْمٰنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرٰى مِنْ فُطُوْرٍ ﴿ۙ۳﴾ ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيْرٌ ﴿ۙ۴﴾
উচ্চারণঃ

আল্লাযী খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা- মিন ফুতূর। ছু ম্মার জি‘ইলবাসারা কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর।

অর্থঃ

যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।

১২.

রুকাইয়ার দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِه وَنَفْثِه وَهَمْزِه
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবারু কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান ওয়া সুব্হানাল্লাহে বুকরাতাও ওয়া আসীলা (তিনবার বলেন), আউযু বিল্লাহি মিনাশ–শায়তানির রাজীমি মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী।

১৩.

রুকাইয়ার দু‘আ-২

۞ بِسْمِ اللّٰه ِالَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।

অর্থঃ

আল্লাহ্‌র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। (৩বার)

১৪.

রুকাইয়ার দু‘আ-৩

۞ رَبُّنَا اللّٰهُ الَّذِيْ فِي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اِسْمُكَ، أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، كَمَا رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحمَتَكَ فِي الْأَرْضِ، وَاغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا، أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِيْنَ أَنْزِلْ رَحْمَةً مِّنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِّنْ شِفَائِكَ عَلٰى كُلِّ وَجَعٍ،
উচ্চারণঃ

রাব্বুনাল্লাহুল্লাযি ফিস সামাই তাকাদ্দাসা ইসমুকা, আমরুকা ফিস সামাই ওয়াল আরদি, কামা রাহমাতুকা ফিস সামায়ি, ফাজআ'ল রাহমাতাকা ফিল আরদি, ইগফির লানা হুবানা ওয়া খাতায়ানা আনতা রাব্বুত–তায়্যিবীন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা ওয়া শিফায়ান মিন শিফায়িকা আলা হাজাল ওয়াজা’ই।

অর্থঃ

আমাদের রব্ব আল্লাহ্ যিনি আসমানে আছেন। হে রব্ব! তোমার নাম পবিত্র। তোমার নির্দেশ আসমান যমীন উভয়ে প্রযোজ্য – যেভাবে আসমানে তোমার অশেষ রহমত রহিয়াছে, সেভাবে তুমি যমীনেও অশেষ রহমত বিস্তার কর। হে রব! তুমি ক্ষমা কর আমাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও অনিচ্ছাকৃত অপরাধসমূহ। তুমি পবিত্র লোকদের রব্ব। প্রেরণ কর তুমি তোমার রহমতসমূহ থেকে বিশেষ রহমত এবং তোমার আরোগ্যসমূহ থেকে বিশেষ আরোগ্য এই বেদনার প্রতি।

১৫.

রুকাইয়ার দু‘আ-৪

۞ اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاْسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি, আযহিবিল বাসা, ইশফি, ওয়া আনতাশ শাফি, লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা, শিফাআন লা ইউগাদিরু সাক্বমা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে। (৩বার)

১৬.

রুকাইয়ার দু‘আ-৫

۞ اَللّٰهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا ، أَوْ يَمْشِيْ لَكَ إِلٰى صَلَاةٍ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাশফি আ’বদাকা ইয়ানকাউ লাকা আদুওয়ান, আউ ইয়ামশী লাকা ইলা সালাতিন।

অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দাকে রোগমুক্ত করুন, যে আপনার দুশমনকে যখম করবে এবং আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোন (মৃতের) জানাযার সাথে চলবে।

১৭.

রুকাইয়ার দু‘আ-৬

۞ أَعُوْذُ بِوَجْهِ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ الَّذِيْ لَا شَيْءَ أَعْظَمُ مِنْهُ ، وَبِكَلِمَاتِهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، وَأَسْمَاءِ اللّٰهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ لَا أُطِيْقُ شَرَّهٗ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِه، إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ،
উচ্চারণঃ

আ‘ঊযু বি-ওয়াজহিল্লা-হিল আযীমিল্লাযী লা- শাইয়া আ‘যামু মিনহু, ওয়া বি-কালিমা-তিহিত তা-ম্মা-তিল্লাতী লা- ইউজা-উযুহুন্না বাররুন ওয়ালা- ফা-জির, ওয়া আসমা-ইল্লা-হিল হুসনা- কুল্লিহা মা- আ’লিম্তু মিনহা- ওয়া মা- লাম আ’লাম, মিন শার্রি মা- খালা-কা ওয়া যারা-আ ওয়া বারা-আ, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিল লা- উতীকু শাররাহু, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিন আনতা আ-খিযুন বি-না-সিয়্যাতিহি, ইন্না রব্বী আ’লা- সিরাতিম মুস্তা-কিীম।

অর্থঃ

আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সুমহান স্বত্বার আশ্রয় প্রার্থনা করি যার চেয়ে বড় আর কিছু নেই এবং আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালেমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই যাকে কোন কল্যাণ ও অনিষ্ট অতিক্রম করে না। আর আল্লাহ তায়ালা সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে যা আমি জানি ও যা জানিনা। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি সৃষ্টি জগতের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে যা তোমার আয়ত্বাধীন। নিশ্চয় আমার প্রভু সরল সোজা পথেই।

১৮.

রুকাইয়ার দু‘আ-৭

۞ أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيْهَا ، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِى الْأَرْضِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا ، وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمٰنُ
উচ্চারণঃ

আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতিল্লাতি, লা ইউজায়ুযুহুন্না বার্রুন ওয়া লা ফাজিরুন, মিন শাররি মা খলাক্বা ওয়া যারআ ওয়া বারআ, ওয়া মিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস সামাই, ওয়া মিন শাররি মা ইয়া’রুজু ফীহা, ওয়া মিন শাররি মা যারআ ফিল আরদি, ওয়া মিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা, ওয়া মিন ফিতানিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ওয়া মিন ত্বওয়ারিক্বিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ইল্লা ত্বারিক্বান ইয়াত্বরুক্বু বিখাইরিন ইয়া রহমান।

অর্থঃ

আমি আল্লাহ্‌র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়!

১৯.

রুকাইয়ার দু‘আ-৮

۞ أَعُوْذُ بِاللّٰهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِهٖ وَنَفْخِهٖ وَنَفْثِهٖ
উচ্চারণঃ

আউযুবিল্লাহিস সামীইল–আযীম মীনাস শাইতানের রাজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি”

অর্থঃ

আমি পানাহ চাই আল্লাহর যিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ অভিশপ্ত শয়তান ও তাঁর ওয়াসওয়াসা, দম্ভ ও যাদু টোনা থেকে।

২০.

অপমৃত্যু থেকে বাঁচা ও বিভিন্ন মুসীবত থেকে নিরাপত্তার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ. اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وَاۤمِنْ رَوْعَاتِيْ. اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ.
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আ’ফওয়া ওয়াল আ’ফিয়াতা ফি দিনি ওয়া দুনইয়ায়া, ওয়া আহলি ওয়া মালি, আল্লাহুম্মাসতুর আ’ওরাতি, ওয়া আমিন রাওআ’তি, আল্লাহুম্মাহ’ফাযনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আ’ই ইয়ামিনি ওয়া আ’ন শিমালি, ওয়া মিন ফাওক্বি, ওয়া আউ’যু বিআ’যমাতিকা আন উগতালা মিন তাহ’তি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নিজ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে।