আউযুবিল্লাহি ওয়া ক্বুদরতিহী মিন শাররি মা-আজিদু ওয়া উহা-যিরু।
আমি আল্লাহ ও তাঁর কুদরতের কাছে আশ্রয় নিচ্ছি আমি যা অনুভব করছি এবং ভয় করছি তার অকল্যাণ থেকে।
বিসমিল্লা-হি আরকীকা মিন কুল্লি শাইইন ইউ’যীকা, মিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আও ‘আইনিং হা-সিদিন, আল্লাহু ইয়াশফীকা, বিসমিল্লা-হি আরকীকা।
আমি আল্লাহর নামে আপনাকে রুকইয়াহ করছি, সেই সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দিক; আমি আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি।
বিসমিল্লাহি ইয়ুবরিকা, ওয়ামিন কুল্লি দাঈন য়াশফীকা, ওয়ামিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদা, ওয়া শাররি কুল্লি যি আইনিন।
আল্লাহর নামে, তিনি আপনাকে (রোগ) মুক্ত করুন, সব রোগ হতে আপনাকে নিরাময় করুন, আর হিংসুকের অনিষ্ট হাত-যখন সে হিংসা করে আর সব বদ নযরওয়ালার অনিষ্ট হতে।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
আউযুবিল্লাহিস সামিইল আলিমি মিনাশ শাইত্বনির রাজিম। তিনবার পড়ে সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত ১ বার পাঠ করবে। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আযীযুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বির, ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা, ইউছাব্বিহু লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াল ‘ আযীযুল হাকীম
তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী, তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।
আল্লা-হুম্মা যা-সুলতানিল আযীম, যাল মান্নিল কাদীম, ওয়া যা-লিওয়াজহিল কারীম, ওয়ালিয়্যিল কালিমা-তিত তা-ম্মা-তি ওয়াদ্দা‘ওয়া-তিল মুসতাজা-বা-ত, ‘আ-ফিনা- মিন আনফুসিল জিন্নি, ওয়া আ‘ইয়ুনিল ইন্স।
হযরত আলি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবীজি (সা) এর পেরেশান অবস্থায় জিবরাইল আ. আসলেন। তিনি জিগ্যেস করেন হে মুহাম্মাদ! আপনি চিন্তিত কেন? আপনার চিন্তার ফুটেজ চেহারায় ভেসে উঠেছে? তিনি বলেন হাসান ও হুসাইনের বদ নজর লেগেছে। সে (জিবরাইল) বলে আপনি বদ নজর সম্পর্কে সত্য বলেছেন। কারণ নজর লাগা সত্য। জিবরাইল বলে আমি কি আপনাকে এমন কিছু কালিমা শিক্ষা দিব না? যার মাধ্যমে তাদের আরোগ্য লাভ করা সম্ভব? তিনি (সা) বললেন সেগুলো কি? সে (জিবরাইল) বলে তা হলো, اللَّهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيمِ , ذَا الْمَنِّ الْقَدِيمِ , ذَا الْوَجْهِ الْكَرِيمِ , وَلِيَ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ , عَافِ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ مِنْ نَفْسِ الْجِنِّ وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ ফলে উভয়ে সুস্থ হয়ে নবীজির সামনে খেলা করেন। নবীজি সা এর মাধ্যমে উম্মতকে শিফা লাভের আদেশ দেন।
সূরা ইখলাস: ১. قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ২. اللَّهُ الصَّمَدُ ৩. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ৪. وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ সূরা ফালাক্ব: ১. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ২. مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ৩. وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ৪. وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ৫. وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ সূরা নাস: ১. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ২. مَلِكِ النَّاسِ ৩. إِلَـٰهِ النَّاسِ ৪. مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ৫. الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ৬. مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
সূরা ইখলাস: ১. কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। ২. আল্লা-হুসসামাদ। ৩. লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। ৪. ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ। সূরা ফালাক্ব: ১. কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক ২. মিন শাররি মা-খালাক। ৩. ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ৪. ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ৫. ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ। সূরা নাস: ১. কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, ২.মালিকিন্না-ছ, ৩. ইলা-হিন্না-ছ। ৪. মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। ৫. আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। ৬. মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
আল্লাহু আকবারু কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান ওয়া সুব্হানাল্লাহে বুকরাতাও ওয়া আসীলা (তিনবার বলেন), আউযু বিল্লাহি মিনাশ–শায়তানির রাজীমি মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী।
রাব্বুনাল্লাহুল্লাযি ফিস সামাই তাকাদ্দাসা ইসমুকা, আমরুকা ফিস সামাই ওয়াল আরদি, কামা রাহমাতুকা ফিস সামায়ি, ফাজআ'ল রাহমাতাকা ফিল আরদি, ইগফির লানা হুবানা ওয়া খাতায়ানা আনতা রাব্বুত–তায়্যিবীন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা ওয়া শিফায়ান মিন শিফায়িকা আলা হাজাল ওয়াজা’ই।
আমাদের রব্ব আল্লাহ্ যিনি আসমানে আছেন। হে রব্ব! তোমার নাম পবিত্র। তোমার নির্দেশ আসমান যমীন উভয়ে প্রযোজ্য – যেভাবে আসমানে তোমার অশেষ রহমত রহিয়াছে, সেভাবে তুমি যমীনেও অশেষ রহমত বিস্তার কর। হে রব! তুমি ক্ষমা কর আমাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও অনিচ্ছাকৃত অপরাধসমূহ। তুমি পবিত্র লোকদের রব্ব। প্রেরণ কর তুমি তোমার রহমতসমূহ থেকে বিশেষ রহমত এবং তোমার আরোগ্যসমূহ থেকে বিশেষ আরোগ্য এই বেদনার প্রতি।
আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি, আযহিবিল বাসা, ইশফি, ওয়া আনতাশ শাফি, লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা, শিফাআন লা ইউগাদিরু সাক্বমা।
হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে। (৩বার)
আল্লাহুম্মাশফি আ’বদাকা ইয়ানকাউ লাকা আদুওয়ান, আউ ইয়ামশী লাকা ইলা সালাতিন।
ইয়া আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দাকে রোগমুক্ত করুন, যে আপনার দুশমনকে যখম করবে এবং আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোন (মৃতের) জানাযার সাথে চলবে।
আ‘ঊযু বি-ওয়াজহিল্লা-হিল আযীমিল্লাযী লা- শাইয়া আ‘যামু মিনহু, ওয়া বি-কালিমা-তিহিত তা-ম্মা-তিল্লাতী লা- ইউজা-উযুহুন্না বাররুন ওয়ালা- ফা-জির, ওয়া আসমা-ইল্লা-হিল হুসনা- কুল্লিহা মা- আ’লিম্তু মিনহা- ওয়া মা- লাম আ’লাম, মিন শার্রি মা- খালা-কা ওয়া যারা-আ ওয়া বারা-আ, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিল লা- উতীকু শাররাহু, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিন আনতা আ-খিযুন বি-না-সিয়্যাতিহি, ইন্না রব্বী আ’লা- সিরাতিম মুস্তা-কিীম।
আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সুমহান স্বত্বার আশ্রয় প্রার্থনা করি যার চেয়ে বড় আর কিছু নেই এবং আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালেমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই যাকে কোন কল্যাণ ও অনিষ্ট অতিক্রম করে না। আর আল্লাহ তায়ালা সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে যা আমি জানি ও যা জানিনা। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি সৃষ্টি জগতের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে যা তোমার আয়ত্বাধীন। নিশ্চয় আমার প্রভু সরল সোজা পথেই।
আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতিল্লাতি, লা ইউজায়ুযুহুন্না বার্রুন ওয়া লা ফাজিরুন, মিন শাররি মা খলাক্বা ওয়া যারআ ওয়া বারআ, ওয়া মিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস সামাই, ওয়া মিন শাররি মা ইয়া’রুজু ফীহা, ওয়া মিন শাররি মা যারআ ফিল আরদি, ওয়া মিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা, ওয়া মিন ফিতানিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ওয়া মিন ত্বওয়ারিক্বিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ইল্লা ত্বারিক্বান ইয়াত্বরুক্বু বিখাইরিন ইয়া রহমান।
আমি আল্লাহ্র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়!
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আ’ফওয়া ওয়াল আ’ফিয়াতা ফি দিনি ওয়া দুনইয়ায়া, ওয়া আহলি ওয়া মালি, আল্লাহুম্মাসতুর আ’ওরাতি, ওয়া আমিন রাওআ’তি, আল্লাহুম্মাহ’ফাযনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আ’ই ইয়ামিনি ওয়া আ’ন শিমালি, ওয়া মিন ফাওক্বি, ওয়া আউ’যু বিআ’যমাতিকা আন উগতালা মিন তাহ’তি।
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নিজ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে