দু'আ (রুকাইয়ার দু'আ সমূহের অধ্যায় (কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত)

মোট বিষয় - ৫৭ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সূরা বাকারার প্রথম ৫ আয়াত

الٓمّٓۚ‏ ﴿۱﴾ ذٰ لِكَ الۡڪِتٰبُ لَا رَيۡبَۛۚۖ فِيۡهِۛۚ هُدًى لِّلۡمُتَّقِيۡنَۙ‏ ﴿۲﴾ الَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَيۡبِ وَ يُقِيۡمُوۡنَ الصَّلٰوةَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ يُنۡفِقُوۡنَۙ‏ ﴿۳﴾ وَالَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ بِمَۤا اُنۡزِلَ اِلَيۡكَ وَمَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِكَۚ وَبِالۡاٰخِرَةِ هُمۡ يُوۡقِنُوۡنَؕ‏ ﴿۴﴾ اُولٰٓٮِٕكَ عَلٰى هُدًى مِّنۡ رَّبِّهِمۡ‌ وَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ‏ ﴿۵﴾
উচ্চারণঃ

বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। (১) আলিফ লাম মীম। (২) যা-লিকাল কিতা-বু লা-রাইবা ফীহি হুদাল লিলমুত্তাকীন। (৩) আল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলগাইবি ওয়াইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ইউনফিকূ ন। (৪) ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিমা উনঝিলা ইলাইকা ওয়ামা উনঝিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন। (৫) উলা ইকা ‘আলা-হুদাম মির রাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

অর্থঃ

(১) আলিফ্-লাম-মীম, (২) এই সে কিতাব; এতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্যে এটা পথ-নির্দেশ, (৩) যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে ও তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা হতে ব্যয় করে, (৪) এবং তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে যারা ঈমান আনে ও আখিরাতে যারা নিশ্চিত বিশ্বাসী, (৫) তারাই তাদের প্রতিপালক-নির্দেশিত পথে আছে এবং তারাই সফলকাম।

.

সূরা আল আহ্‌ক্বাফ ( আয়াত নং ২৯ - ৩২ )

{وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنْصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَى قَوْمِهِمْ مُنْذِرِينَ (29) قَالُوا يَاقَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنْزِلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُسْتَقِيمٍ (30) يَاقَوْمَنَا أَجِيبُوا دَاعِيَ اللَّهِ وَآمِنُوا بِهِ يَغْفِرْ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (31) وَمَنْ لَا يُجِبْ دَاعِيَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِي الْأَرْضِ وَلَيْسَ لَهُ مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءُ أُولَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (32)} [الأحقاف: 29 - 32]
উচ্চারণঃ

ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন। কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনঝিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম। ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম। ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিঝিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন।

অর্থঃ

স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনতেছিল। যখন এরা তার নিকট উপস্থিত হল, এরা বলল, ‘চুপ করে শোনে কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হল এরা এদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে। তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শুনেছি যা অবতীর্ণ হয়েছে মূসার পরে, এটা এর পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। ‘হে আমাদের সম্প্রদায় ! আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হতে তোমাদেরকে রক্ষা করবেন।’ কেউ যদি আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া না দেয় তবে সে পৃথিবীতে আল্লাহ্ র অভিপ্রায় ব্যর্থ করতে পারবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না। এরাই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।

.

সূরা ত্বা-হা ( আয়াত নং - ৬৯ )

وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
উচ্চারণঃ

ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।

অর্থঃ

তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেখানেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।”

.

৬৫. সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত (৭০ হাজার ফেরেশতার) দু‘আ

۞ اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْـعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ ۞ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ
উচ্চারণঃ

আউযুবিল্লাহিস সামিইল আলিমি মিনাশ শাইত্বনির রাজিম। তিনবার পড়ে সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত ১ বার পাঠ করবে। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আযীযুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বির, ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা, ইউছাব্বিহু লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াল ‘ আযীযুল হাকীম

অর্থঃ

তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী, তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।

.

বদনজর: লক্ষণ, করণীয় ও রুকইয়াহ

সূরা তিনবার বা সাতবার অথবা সম্ভব হলে এর থেকে অধিকও পড়া। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۬ۙ وَ لَمْ یُوْلَدْ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۠﴿۴﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾ দূ‘আ তিনবার বা সাতবার অথবা সম্ভব হলে এর থেকে অধিকও পড়া। بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُّؤْذِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اَللّٰهُ يَشْفِيْكَ، بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ অর্থ: আমি আল্লাহর নামে আপনাকে রুকইয়াহ করছি, সেই সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দিক; আমি আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি। بِسْمِ اللّٰه ِالَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ অর্থ: আল্লাহ্‌র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। بِاسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَّشْفِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ অর্থ: আল্লাহর নামে (রুকইয়াহ করছি), তিনি আপনাকে মুক্ত করবেন এবং তিনিই প্রত্যেক রোগ থেকে আপনাকে আরোগ্য দিবেন। আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে এবং সকল বদনজরদাতার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুক। بِسْمِ اللّٰهِ ، أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللّٰهِ وَقُدْرَتِهٖ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ অর্থ: আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর সম্মান এবং তাঁর ক্ষমতার আশ্রয় নিচ্ছি, যা আমি অনুভব করি এবং যা আশঙ্কা করি, তার অকল্যাণ থেকে। اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে। أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ অর্থ: আমরা আল্লাহর পরিপূর্ণ কল্যাণময় বাক্যাবলীর দ্বারা প্রতিটি শয়তান, প্রাণনাশকারী বিষাক্ত জীব এবং অনিষ্টকারী বদনজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شرِّ مَا خَلَقَ অর্থ: আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। أَسْأَلُ اللّٰهَ الْعَظِيْمَ، رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، أَنْ يَّشْفِيَكَ অর্থ: আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে চাচ্ছি, যিনি মহান আরশের রব, তিনি যেন আপনাকে রোগমুক্তি প্রদান করেন।

.

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

۞ آمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلَائِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِه ۚ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَّسِيْنَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِيْنَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِه ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
উচ্চারণঃ

আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূন। কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহ, লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহ, ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা, লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত, রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না,-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা, -রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহ, ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

(১) রাসূল (অর্থাৎ হযরত মুহাম্মাদ ﷺ) তাতে ঈমান এনেছে, যা তাঁর উপর তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে এবং (তাঁর সাথে) মুমিনগণও। তাঁরা সকলে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে। (তারা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোনও পার্থক্য করি না (যে, কারও প্রতি ঈমান আনব এবং কারও প্রতি আনব না)। এবং তাঁরা বলে, আমরা (আল্লাহ ও রাসূলের বিধানসমূহ মনোযোগ সহকারে) শুনেছি এবং তা (খুশীমনে) পালন করছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার মাগফিরাতের ভিখারী, আর আপনারই কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন। (২) আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব অর্পণ করেন না। তার কল্যাণ হবে সে কাজেই যা সে স্বেচ্ছায় করে এবং তার ক্ষতিও হবে সে কাজেই, যা সে স্বেচ্ছায় করে। (হে মুসলিমগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে এই দু‘আ কর যে,) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দ্বারা যদি কোনও ভুল-ত্রুটি হয়ে যায় তবে সেজন্য তুমি আমাদের পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি সেই রকমের দায়িত্বভার অর্পণ করো না, যেমন তা অর্পণ করেছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর এমন ভার চাপিয়ো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের (ত্রুটিসমূহ) মার্জনা কর, আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর।

.

সন্তান না হওয়ার রুকাইয়া

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۬ۚ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚ وَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا یَـُٔوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾ আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ وَ اِنْ تُبْدُوْا مَا فِیْۤ اَنْفُسِكُمْ اَوْ تُخْفُوْهُ یُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللهُ ؕ فَیَغْفِرُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَیُعَذِّبُ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَاللهُ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۲۸۴﴾ اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلٰٓئِکَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ۟ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ٭۫ غُفْرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیْکَ الْمَصِیْرُ ﴿۲۸۵﴾ لَا یُکَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا کَسَبَتْ وَعَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا کَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا ٝ وَاغْفِرْ لَنَا ٝ وَارْحَمْنَا ٝ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۲۸۶﴾۠ লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া ইন তুবদূমা-ফীআনফুছিকুম আও তুখফূহু ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর। আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاکَ ۚ فَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْنَ ﴿۱۱۷﴾ۚ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ۚ فَغُلِبُوْا هُنَالِکَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ۚ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ۚۖ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ۙ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾ ওআউহাইনা ইলা মূসা আন আল্কি ‘আসা-কা, ফাইযা হিয়া তালকাফু মা ইয়াফিকূন। ফাওয়াকাআল হাক্কু ওয়া বাতালা মা কানো ইয়ামালূন। ফাগুলিবূ হুনালিকা ওয়ানকালাবূ সাগিরীন। ওয়া উলকিয়াস সাহারাতু সা-জিদীন। কালূ আ-মান্না বিরাব্বিল ‘আলামীন। রাব্বি মূসা ওয়া হারূন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম وَقَالَ فِرْعَوْنُ ائْتُوْنِیْ بِكُلِّ سٰحِرٍ عَلِیْمٍ ﴿۷۹﴾ فَلَمَّا جَآءَ السَّحَرَۃُ قَالَ لَهُمْ مُّوْسٰۤی اَلْقُوْا مَاۤ اَنْتُمْ مُّلْقُوْنَ ﴿۸۰﴾ فَلَمَّاۤ اَلْقَوْا قَالَ مُوْسٰی مَا جِئْتُمْ بِهِ ۙ السِّحْرُ ؕ اِنَّ اللهَ سَیُبْطِلُهٗ ؕ اِنَّ اللهَ لَا یُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۸۱﴾ وَیُحِقُّ اللهُ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِهٖ وَلَوْ کَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۠۸۲﴾ ওয়া ক্বালা ফিরআউনু ই’তুনী বিকুল্লি সাহিরিন আলীম। ফালাম্মা জা’আস-সাহারাতু ক্বালা লাহুম মূসা আলকূ মা আন্তুম মুলকূন। ফালাম্মা আলকাও, ক্বালা মূসা মা জি’তুম বিহিস্‌সিহরু, ইন্‌নাল্লাহা সায়ুবতিলুহু, ইন্‌নাল্লাহা লা ইউসলিহু ‘আমালাল মুফসিদীন। ওয়া ইউহিক্কুল্লাহুল হাক্কা বিকালিমাতিহী, ওয়ালাও কারিহাল মুজরিমূন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِکَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾ ওয়া আল্কি মা ফি ইয়ামীনিকা, তালকাফ মা সানা‘উ, ইন্‌না মা সানা‘উ কাইদু সাহিরিন, ওয়া ইউফলিহুস সাহিরু হাইসু আতা। সূরা সফফাত সম্পূর্ণটা পড়বে বা শুনবে সূরা মারইয়াম সম্পূর্ণটা পড়বে বা শুনবে بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, মালিকিন্না-ছ, ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ। সহবাসের সময় এই দু‘আ পড়বে بِسْمِ اللهِ ، اللهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি। তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখো। আমাদের যে সন্তান দান করবে (এ মিলনের ফলে) তা থেকেও শয়তানকে দূরে রাখো।’

.

মুখের জড়তা বা তোতলামির রুকাইয়া

قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِیْ صَدْرِیْ ﴿ۙ۲۵﴾ وَ یَسِّرْ لِیْۤ اَمْرِیْ ﴿ۙ۲۶﴾ وَ احْلُلْ عُقْدَۃً مِّنْ لِّسَانِیْ ﴿ۙ۲۷﴾ یَفْقَهُوْا قَوْلِیْ ﴿۪۲۸﴾ যদি উপরোক্ত কোন সমস্যা না থাকে অর্থাৎ জন্মগত নয় বরং সবসময় সুন্দর করে কথা বলতো এবং হঠাৎ করে তোতলামো শুরু করলো বা কথা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে বদনজরের রুকইয়াহ করবে।

.

জ্বিনের আসরের রুকাইয়া

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾ ذٰلِکَ الْکِتٰبُ لَا رَیْبَ ۚۖۛ فِیْهِ ۚۛ هُدًی لِّلْمُتَّقِیْنَ ۙ﴿۲﴾ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْغَیْبِ وَیُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ۙ﴿۳﴾ وَالَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْکَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِکَ ۚ وَ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ ؕ﴿۴﴾ اُوْلٰٓئِکَ عَلٰی هُدًی مِّنْ رَّبِّهِمْ ٭ وَ اُوْلٰٓئِکَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴿۵﴾ আলিফ লামমীম। যা-লিকাল কিতা-বুলা-রাইবা ফীহি হুদাল লিলমুত্তাকীন। আল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলগাইবি ওয়াইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুমইউনফিকূ ন। ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিমাউনঝিলা ইলাইকা ওয়ামাদ উনঝিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন। উলাইকা ‘আলা-হুদাম মিররাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّیٰطِیْنُ عَلٰی مُلْکِ سُلَیْمٰنَ ۚ وَمَا کَفَرَ سُلَیْمٰنُ وَلٰکِنَّ الشَّیٰطِیْنَ کَفَرُوْا یُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ٭ وَمَاۤ اُنْزِلَ عَلَی الْمَلَکَیْنِ بِبَابِلَ هَارُوْتَ وَمَارُوْتَ ؕ وَمَا یُعَلِّمٰنِ مِنْ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوْلَاۤ اِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَۃٌ فَلَا تَكْفُرْ ؕ فَیَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا یُفَرِّقُوْنَ بِهٖ بَیْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهٖ ؕ وَمَا هُمْ بِضَآرِّیْنَ بِهٖ مِنْ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللهِ ؕ وَیَتَعَلَّمُوْنَ مَا یَضُرُّهُمْ وَلَا یَنْفَعُهُمْ ؕ وَلَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرٰىهُ مَا لَهٗ فِی الْاٰخِرَۃِ مِنْ خَلَاقٍ ۟ؕ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهٖۤ اَنْفُسَهُمْ ؕ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۰۲﴾ ওয়াত্তাবা‘উ মা-তাতলুশশাইয়া-তীনু‘আলা- মুলকি ছুলাইমা-না ওয়ামা-কাফারা ছুলাইমা-নু ওয়ালা- কিন্নাশশাইয়া-তীনা কাফারূ ইউ‘আলিলমূনান্না-ছাছছিহরা ওয়ামা উনঝিলা ‘আলাল মালাকাইনি ব্বিা-বিলা হা-রূতা ওয়ামা-রূতা ওয়ামা- ইউ‘আলিলমা-নি মিন আহাদিন হাত্তা-ইয়াকূলা ইন্নামা-নাহনুফিতনাতুন ফালা-তাকফুর ফাইয়াতা‘আল্লামূনা মিনহুমা- মা-ইউফাররিকূনা বিহী বাইনাল মারই ওয়াঝাওজিহী ওয়ামা-হুম বিদাররীনা বিহী মিন আহাদিন ইল্লা- বিইযনিল্লা-হি ওয়াইয়াতা‘আল্লামূনা মা-ইয়াদুররুহুম ওয়ালাইয়ানফা‘উহুম ওয়ালাকাদ ‘আলিমূলামানিশতারা-হু মা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন খালাকিওঁ ওয়ালাবি’ছা মা-শারাও বিহী আনফুছাহুম লাও কা-নূইয়া‘লামূন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম وَ اِلٰـهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۶۳﴾۠ اِنَّ فِیْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّیْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْکِ الَّتِیْ تَجْرِیْ فِی الْبَحْرِ بِمَا یَنْفَعُ النَّاسَ وَمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ مَّآءٍ فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِیْهَا مِنْ كُلِّ دَآبَّۃٍ ۪ وَّتَصْرِیْفِ الرِّیٰحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَیْنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۱۶۴﴾ وَمِنَ النَّاسِ مَنْ یَّتَّخِذُ مِنْ دُوْنِ اللهِ اَنْدَادًا یُّحِبُّوْنَهُمْ کَحُبِّ اللهِ ؕ وَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَشَدُّ حُبًّا لِلّٰهِ ؕوَلَوْ یَرَی الَّذِیْنَ ظَلَمُوْۤا اِذْ یَرَوْنَ الْعَذَابَ ۙ اَنَّ الْقُوَّۃَ لِلّٰهِ جَمِیْعًا ۙ وَّاَنَّ اللهَ شَدِیْدُ الْعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾ ওয়া ইলাহুকুম ইলাহুন ওয়াহিদ, লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহীম। ইন্না ফি খালকিস্‌ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ়ি, ওয়াখ্তিলাফিল লাইলি ওয়ান্‌নাহার, ওয়াল্‌ফুল্কিল্লাতি তাজরী ফিল বাহরি বিমা ইয়ানফাউন্নাস, ওয়া মা আনযালাল্লাহু মিনাস্‌ সামা’ই মিন মা’ইন, ফা-আহইয়া বিহিল আরদ়া বা’দা মাওতিহা, ওয়া বাস্সা ফীহা মিন্‌ কুল্লি দাব্বাহ, ওয়া তাসরীফির্‌ রিয়াহি ওয়াস্‌সহাবিল মুসাখ্খারি বাইনাস্‌ সামা’ই ওয়াল আরদ়, লা-আয়াতিল্লি কওমিই ইয়াক্বিলূন। ওয়া মিনান্‌ নাসি মান্‌ ইয়্যাত্তাখিযু মিন দুনিল্লাহি আন্‌দাদান, ইউহিব্বূনাহুম কা হুব্বিল্লাহ, ওয়াল্লাযিনা আমানূ আশাদ্দু হুব্বান লিল্লাহ, ওয়ালাও ইয়ারা আল্লাযিনা যালামূ ইয্‌ ইয়্যারাউনাল আযাবা, আন্নাল কুওওয়াতা লিল্লাহি জামীয়ান, ওয়া আন্নাল্লাহা শাদীদুল আযাব। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۬ۚ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚ وَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا یَـُٔوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾ আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম شَهِدَ اللهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙ وَالْمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الْعِلْمِ قَآئِمًۢا بِالْقِسْطِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿ؕ۱۸﴾ اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللهِ الْاِسْلَامُ ۟ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ ؕ وَمَنْ یَّكْفُرْ بِاٰیٰتِ اللهِ فَاِنَّ اللهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ ﴿۱۹﴾ শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াল মালাইকাতুওয়া উলুল ‘ইলমি কাইমাম বিলকিছতিলাইল্লা-হা ইল্লা-হুওয়াল আঝীঝুল হাকীম। ইন্নাদ্দীনা ‘ইনদাল্লা-হিল ইছলা-মু ওয়ামাখতালাফাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা ইল্লা-মিম বা‘দি মা-জাআহুমুল ‘ইলমুবাগইয়াম বাইনাহুম ওয়ামাইঁ ইয়াকফুর বিআ-য়া-তিল্লা-হি ফাইন্নাল্লা-হা ছারী‘উল হিছা-ব। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম اِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِیْ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ۟ یُغْشِی الَّیْلَ النَّهَارَ یَطْلُبُهٗ حَثِیْثًا ۙ وَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمْرِهٖ ؕ اَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَ الْاَمْرُ ؕ تَبٰرَکَ اللهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۵۴﴾ اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْیَۃً ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الْمُعْتَدِیْنَ ﴿ۚ۵۵﴾ وَ لَا تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًا ؕ اِنَّ رَحْمَتَ اللهِ قَرِیْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۵۶﴾ ইন্না-রাব্বাকুমুল্লা-হুল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ফী ছিত্তাতি আইইয়া-মিন ছু ম্মাছ তাওয়া-‘আলাল ‘আরশি ইউগশিল লাইলান নাহা-রা ইয়াতলুবুহূহাছীছাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা ওয়ান নুজূমা মুছাখখারা-তিম বিআমরিহী আলা-লাহুল খালকুওয়াল আমরু তাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন। উদ‘ঊ রাব্বাকুম তাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতান ইন্নাহূলা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন। ওয়ালা-তুফছিদূফিল আরদিবা‘দা ইসলা-হিহা-ওয়াদ‘ঊহু খাওফাওঁ ওয়া তামা‘আন ইন্না রাহমাতাল্লা-হি কারীবুম মিনাল মুহছিনীন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম وَ اِذْ صَرَفْنَاۤ اِلَیْکَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ یَسْتَمِعُوْنَ الْقُرْاٰنَ ۚ فَلَمَّا حَضَرُوْهُ قَالُوْۤا اَنْصِتُوْا ۚ فَلَمَّا قُضِیَ وَلَّوْا اِلٰی قَوْمِهِمْ مُّنْذِرِیْنَ ﴿۲۹﴾ قَالُوْا یٰقَوْمَنَاۤ اِنَّا سَمِعْنَا کِتٰبًا اُنْزِلَ مِنْۢ بَعْدِ مُوْسٰی مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ یَهْدِیْۤ اِلَی الْحَقِّ وَ اِلٰی طَرِیْقٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۳۰﴾ یٰقَوْمَنَاۤ اَجِیْبُوْا دَاعِیَ اللهِ وَ اٰمِنُوْا بِهٖ یَغْفِرْ لَكُمْ مِّنْ ذُنُوْبِكُمْ وَ یُجِرْكُمْ مِّنْ عَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۳۱﴾ وَ مَنْ لَّا یُجِبْ دَاعِیَ اللهِ فَلَیْسَ بِمُعْجِزٍ فِی الْاَرْضِ وَلَیْسَ لَهٗ مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِیَآءُ ؕ اُولٰٓئِکَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۲﴾ ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন। কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনঝিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম। ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম। ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিঝিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম سَنَفْرُغُ لَكُمْ اَیُّهَ الثَّقَلٰنِ ﴿ۚ۳۱﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۲﴾ یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ فَانْفُذُوْا ؕ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطٰنٍ ﴿ۚ۳۳﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۴﴾ یُرْسَلُ عَلَیْكُمَا شُوَاظٌ مِّنْ نَّارٍ ۬ۙ وَّ نُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرٰنِ ﴿ۚ۳۵﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۶﴾ فَاِذَا انْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَکَانَتْ وَرْدَۃً کَالدِّهَانِ ﴿ۚ۳۷﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۸﴾ فَیَوْمَئِذٍ لَّا یُسْـَٔلُ عَنْ ذَنْۢبِهٖۤ اِنْسٌ وَّ لَا جَآنٌّ ﴿ۚ۳۹﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۴۰﴾ ছানাফরুগু লাকুম আইয়ুহাছছাকালা-ন। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । ফাইযান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ারদাতান কাদ্দিহা-ন। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু‘আন যামবিহী ইনছুওঁ ওয়ালা-জান। ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম لَوْ اَنْزَلْنَا هٰذَا الْقُرْاٰنَ عَلٰی جَبَلٍ لَّرَاَیْتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْیَۃِ اللهِ ؕ وَ تِلْکَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ یَتَفَکَّرُوْنَ ﴿۲۱﴾ هُوَ اللهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ عٰلِمُ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَۃِ ۚ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ اَلْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلٰمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَیْمِنُ الْعَزِیْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَکَبِّرُ ؕ سُبْحٰنَ اللهِ عَمَّا یُشْرِكُوْنَ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۚ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۠۲۴﴾ লাও আনঝালনা-হা-যাল কুরআ-না ‘আলা-জাবালিল লারাআইতাহু খা-শি‘আম মুতাসাদ্দি‘ আম মিন খাশয়াতিল্লা-হি ওয়া তিলকাল আমছা-লুনাদরিবুহা-লিন্নাছি লা‘আল্লাহম ইয়াতাফাক্কারূন। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ۙ﴿۱﴾ یَّهْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِهٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِکَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ﴿۲﴾ وَّ اَنَّهٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَۃً وَّ لَا وَلَدًا ۙ﴿۳﴾ وَّ اَنَّهٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللهِ شَطَطًا ۙ﴿۴﴾ কুলঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূইন্না-ছামি‘নাকুরআ-নান ‘আজাবা- । ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । ওয়া আন্নাহূতা‘আ- জাদ্দুরাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । ওয়া আন্নাহূকা-না ইয়াকূলুছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- । بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম اِذَا زُلْزِلَتِ الْاَرْضُ زِلْزَالَهَا ۙ﴿۱﴾ وَ اَخْرَجَتِ الْاَرْضُ اَثْقَالَهَا ۙ﴿۲﴾ وَ قَالَ الْاِنْسَانُ مَا لَهَا ۚ﴿۳﴾ یَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخْبَارَهَا ۙ﴿۴﴾ بِاَنَّ رَبَّکَ اَوْحٰی لَهَا ؕ﴿۵﴾ یَوْمَئِذٍ یَّصْدُرُ النَّاسُ اَشْتَاتًا ۬ۙ لِّیُرَوْا اَعْمَالَهُمْ ؕ﴿۶﴾ فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ خَیْرًا یَّرَهٗ ؕ﴿۷﴾ وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَهٗ ۠﴿۸﴾ ইযা-ঝুলঝিলাতিল আরদুঝিলঝা-লাহা-। ওয়া আখরাজাতিল আরদুআছকা-লাহা-। ওয়া কা-লাল ইনছা-নুমা-লাহা-। ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা-। বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা-। ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসদুরুন্না-ছুআশতা-তাল লিউউরাও আ‘মা-লাহুম। ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ। ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম اَلَمْ تَرَ کَیْفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِاَصْحٰبِ الْفِیْلِ ؕ﴿۱﴾ اَلَمْ یَجْعَلْ کَیْدَهُمْ فِیْ تَضْلِیْلٍ ۙ﴿۲﴾ وَّ اَرْسَلَ عَلَیْهِمْ طَیْرًا اَبَابِیْلَ ۙ﴿۳﴾ تَرْمِیْهِمْ بِحِجَارَۃٍ مِّنْ سِجِّیْلٍ ۪ۙ﴿۴﴾ فَجَعَلَهُمْ کَعَصْفٍ مَّاْكُوْلٍ ۠﴿۵﴾ আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল ফীল। আলাম ইয়াজ‘আল কাইদাহুম ফী তাদলীল ওয়া আরছালা ‘আলাইহিম তাইরান আবা-বীল। তারমীহিম বিহিজা-রাতিম মিন ছিজ্জীল। ফাজা‘আলাহুম কা‘আসফিম মা’কূল। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম قُلْ یٰۤاَیُّهَا الْکٰفِرُوْنَ ۙ﴿۱﴾ لَاۤ اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ ۙ﴿۲﴾ وَ لَاۤ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ ۚ﴿۳﴾ وَ لَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ ۙ﴿۴﴾ وَ لَاۤ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ ؕ﴿۵﴾ لَكُمْ دِیْنُكُمْ وَلِیَ دِیْنِ ۠﴿۶﴾ কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন। লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। ওয়ালা আনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۬ۙ وَ لَمْ یُوْلَدْ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۠﴿۴﴾ কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুসসামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, মালিকিন্না-ছ, ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।

১০.

চোখের সমস্যার রুকাইয়া

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। لَقَدْ كُنْتَ فِیْ غَفْلَۃٍ مِّنْ هٰذَا فَکَشَفْنَا عَنْکَ غِطَآءَکَ فَبَصَرُکَ الْیَوْمَ حَدِیْدٌ﴿۲۲﴾ লাকাদ কুনতা ফী গাফলাতিম মিন হা-যা- ফাকাশাফনা- ‘আনকা গিতাআকা ফাবাসারুকাল ইয়াওমা হাদীদ।

১১.

৩০৭ সূরা বাকারা (আয়াত নং: ২৪৮)

۞ وَقَالَ لَہُمۡ نَبِیُّہُمۡ اِنَّ اٰیَۃَ مُلۡکِہٖۤ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ التَّابُوۡتُ فِیۡہِ سَکِیۡنَۃٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَبَقِیَّۃٌ مِّمَّا تَرَکَ اٰلُ مُوۡسٰی وَاٰلُ هٰرُوۡنَ تَحۡمِلُہُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ  اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ﴿ۙ۲۴۸﴾
উচ্চারণঃ

ওয়াকা-লা লাহুম নাবিইয়ুহুম ইন্না আ-য়াতা মুলকিহী আই ইয়া’তিয়াকুমুত্তা-বূতু ফীহি ছাকীনাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া বাকিইইয়াতুম মিম্মা-তারাকা আ-লুমূছা-ওয়া আ-লু হা-রূনা তাহমিলুহুমুল মালাইকাতু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল্লাকুম ইন কুনতুম মু’মিনীন।

অর্থঃ

আর তাদের নবী তাদের বলেছিল, ‘তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট সেই তাবূত আসবে যাতে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে চিত্ত-প্রশান্তি এবং মূসা ও হারূন-বংশীয়গণ যা পরিত্যাগ করেছে তার অবশিষ্টাংশ থাকবে; ফিরিশতাগণ তা বহন করে আনবে। তোমরা যদি মু’মিন হও তবে অবশ্যই তোমাদের জন্যে এতে নিদর্শন আছে।

১২.

৩০৮ সূরা আত তাওবাহ্ (আয়াত নং: ২৬)

۞ ثُمَّ أَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَه عَلٰى رَسُوْلِه وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَأَنْزَلَ جُنُوْدًا لَمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِيْنَْ كَفَرُوْا وَ ذَٰلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِيْنَ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণঃ

ছু ম্মা আনঝালাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলা-রাছূলিহী ওয়া ‘আলাল মু’মিনীনা ওয়া আনঝালা জুনূদাল লাম তারাওহা- ওয়া ‘আযযাবাল্লাযীনা কাফারূ ওয়া যা-লিকা জাঝাউল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

অতঃপর আল্লাহ্ তাঁর নিকট থেকে তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা দেখতে পাও নাই আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন; এটাই কাফিরদের কর্মফল।

১৩.

৩০৯ সূরা আত তাওবাহ্ (আয়াত নং: ৪০)

۞ إِلَّا تَنْصُرُوْهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللّٰهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِه لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللّٰهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَه عَلَيْهِ وَأَيَّدَه بِجُنُوْدٍ لَمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللّٰهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللّٰهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ ﴿ۙ۴۰﴾
উচ্চারণঃ

ইল্লা-তানসুরূহু ফাকাদ নাসারাহুল্লা-হু ইযআখরাজাহুল্লাযীনা কাফারূ ছা-নিয়াছনাইনি ইযহুমা-ফিল গা-রি ইযইয়াকূলুলিসা-হিবিহী লা-তাহঝান ইন্নাল্লা-হা মা‘আনা- ফাআনাঝাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলাইহি ওয়া আইইয়াদাহূবিজুনূদিল লাম তারাওহা-ওয়া জা‘আলা কালিমাতাল্লাযীনা কাফারুছছুফলা- ওয়া কালিমাতুল্লা-হি হিয়াল ‘ঊলইয়া- ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম।

অর্থঃ

যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্ তো তাকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিররা তাকে বহিষ্কার করেছিল আর সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয় জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল ; সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, ‘বিষণ্ণ হয়ো না, আল্লাহ্ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ এরপর আল্লাহ্ তাঁর উপর তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং তাকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে যা তোমরা দেখ নাই; আর তিনি কাফিরদের কথা হেয় করেন। আল্লাহর কথাই সর্বোপরি এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

১৪.

সূরা আল ফাত্‌হ (আয়াত নং: ১৮)

۞ لَقَدْ رَضِیَ اللہُ عَنِ الْمُؤْمِنِیۡنَ اِذْ یُبَایِعُوۡنَکَ تَحْتَ الشَّجَرَۃِ فَعَلِمَ مَا فِیۡ قُلُوۡبِہِمْ فَاَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ عَلَیۡہِمْ وَ اَثَابَہُمْ فَتْحًا قَرِیۡبًا ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণঃ

লাকাদ রাদিয়াল্লা-হু ‘আনিল মু’মিনীনা ইযইউবা-ই‘ঊনাকা তাহতাশশাজারাতি ফা‘আলিমা মা-ফী কুলূবিহিম ফাআনঝালাছ ছাকীনাতা ‘আলাইহিম ওয়া আছা-বাহুম ফাতহান কারীবা-।

অর্থঃ

আল্লাহ্ তো মু’মিনগণের উপর সন্তুষ্ট হলেন যখন তারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বায়‘আত গ্রহণ করল, তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি অবগত ছিলেন; তাদেরকে তিনি দান করলেন প্রশান্তি এবং তাদেরকে পুরস্কার দিলেন আসন্ন বিজয়।

১৫.

সূরা আল ফাত্‌হ (আয়াত নং: ২৬)

۞ إِذْ جَعَلَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ قُلُوْبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَه عَلٰى رَسُوْلِه وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوٰى وَكَانُوْا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا وَكَانَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمًا ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণঃ

ইযজা‘আলাল্লাযীনা কাফারূফী কুলূবিহিমুল হামিইইয়াতা হামিইয়াতালজা-হিলিইইয়াতি ফাআনঝালাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলা-রাছূলিহী ওয়া আলাল মু’মিনীনা ওয়া আলঝামাহুম কালিমাতাততাকওয়া-ওয়া কা-নূআহাক্কা বিহা-ওয়া আহ লাহা- ওয়া কা-নাল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীমা-।

অর্থঃ

যখন কাফিররা তাদের অন্তরে পোষণ করত গোত্রীয় অহমিকা-অজ্ঞতার যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ্ তাঁর রাসূল ও মু’মিনদেরকে স্বীয় প্রশান্তি দান করলেন ; আর তাদেরকে তাক্ওয়ার বাক্যে সুদৃঢ় করলেন, এবং তারাই ছিল এটার অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ সমস্ত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন।

১৬.

বদনজরের আয়াত-১

۞ اَمْ یَحْسُدُوۡنَ النَّاسَ عَلٰی مَاۤ اٰتٰہُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضْلِہٖ ۚ فَقَدْ اٰتَیۡنَاۤ اٰلَ اِبْرٰهِيْمَ الْکِتٰبَ وَالْحِكْمَۃَ وَاٰتَیۡنٰہُمۡ مُّلْكًا عَظِیۡمًا ﴿۵۴﴾
উচ্চারণঃ

আম ইয়াহছু দূ নান না-ছা ‘আলা-মাআ-তা-হুমুল্লাহু মিন ফাদলিহী ফাকাদ আ-তাইনাআ-লা ইবরা-হীমাল কিতা-বা ওয়াল হিকমাতা ওয়া আ-তাইনা-হুম মুলকান ‘আজীমা।

অর্থঃ

বরং তারা কি লোকদেরকে হিংসা করে, আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে? তাহলে তো আমি ইবরাহীমের বংশধরকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি বিশাল রাজত্ব।

১৭.

বদনজরের আয়াত-২

۞ وَقَالَ یٰبَنِیَّ لَا تَدْخُلُوۡا مِنۡۢ بَابٍ وَّاحِدٍ وَّادْخُلُوۡا مِنْ اَبْوَابٍ مُّتَفَرِّقَۃٍ ؕ وَمَاۤ اُغْنِیۡ عَنۡكُمۡ مِّنَ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلّٰہِ ؕ عَلَیۡہِ تَوَکَّلْتُ ۚ وَ عَلَیۡہِ فَلْیَتَوَکَّلِ الْمُتَوَکِّلُوۡنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণঃ

ওয়া কা-লা ইয়া-বানিইইয়া লা-তাদখুলূমিম বা-বিওঁ ওয়া-হিদিওঁ ওয়াদখুলূমিন আবওয়াবিম মুতাফাররিকাতিওঁ ওয়ামাউগনী ‘আনকুম মিনাল্লা-হি মিন শাইইন ইনিল হুকমু ইল্লা-লিল্লা-হি ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া ‘আলাইহি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মুতাওয়াক্কিলূন।

অর্থঃ

ইয়াকুব বললেন, হে আমার বৎসগণ! সবাই একই প্রবেশদ্বার দিয়ে যেয়ো না, বরং পৃথক পৃথক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। আল্লাহর কোন বিধান থেকে আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারি না। নির্দেশ আল্লাহরই চলে। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি এবং তাঁরই উপর ভরসা করা উচিত ভরসাকারীদের।