বদনজর: লক্ষণ, করণীয় ও রুকইয়াহ
সূরা তিনবার বা সাতবার অথবা সম্ভব হলে এর থেকে অধিকও পড়া। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۬ۙ وَ لَمْ یُوْلَدْ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۠﴿۴﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾ দূ‘আ তিনবার বা সাতবার অথবা সম্ভব হলে এর থেকে অধিকও পড়া। بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُّؤْذِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اَللّٰهُ يَشْفِيْكَ، بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ অর্থ: আমি আল্লাহর নামে আপনাকে রুকইয়াহ করছি, সেই সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দিক; আমি আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি। بِسْمِ اللّٰه ِالَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ অর্থ: আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। بِاسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَّشْفِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ অর্থ: আল্লাহর নামে (রুকইয়াহ করছি), তিনি আপনাকে মুক্ত করবেন এবং তিনিই প্রত্যেক রোগ থেকে আপনাকে আরোগ্য দিবেন। আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে এবং সকল বদনজরদাতার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুক। بِسْمِ اللّٰهِ ، أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللّٰهِ وَقُدْرَتِهٖ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ অর্থ: আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর সম্মান এবং তাঁর ক্ষমতার আশ্রয় নিচ্ছি, যা আমি অনুভব করি এবং যা আশঙ্কা করি, তার অকল্যাণ থেকে। اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে। أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ অর্থ: আমরা আল্লাহর পরিপূর্ণ কল্যাণময় বাক্যাবলীর দ্বারা প্রতিটি শয়তান, প্রাণনাশকারী বিষাক্ত জীব এবং অনিষ্টকারী বদনজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شرِّ مَا خَلَقَ অর্থ: আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। أَسْأَلُ اللّٰهَ الْعَظِيْمَ، رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، أَنْ يَّشْفِيَكَ অর্থ: আমি মহান আল্লাহ্র কাছে চাচ্ছি, যিনি মহান আরশের রব, তিনি যেন আপনাকে রোগমুক্তি প্রদান করেন।
বদনজর সত্য, এবং বদনজরের ফলে একজন সুস্থ ব্যক্তি মৃত্যু পর্যন্তও চলে যেতে পারেন। বদনজর যে কারো থেকে লাগতে পারে, সন্তানের উপর মা বাবার, স্ত্রীর উপর স্বামীর। বা বন্ধুবান্ধব, অপরিচিত ব্যক্তি থেকেও হতে পারে। অর্থাৎ অমুক আমাকে হিংসে করে না, আমাকে পছন্দ করে তাই আমার ভাল কোনো কিছুতে তার নজর লাগবে না, বদনজরের ক্ষেত্রে এমন কোনো শত নেই। যে কারো থেকে বদনজর লাগতে পারে। বদনজর শুধু মানুষের উপর নয়, বরং ব্যবসাবাণিজ্য, সম্পদ, ফসল বা যে কোনো বস্তুর উপর লাগতে পারে। সাধারণত ব্যক্তি বুঝতে পারে, তার ঠিক কোন বিষয়টার উপর নজর লেগেছে। কারণ নজর লাগার পর সেই নির্দিষ্ট বিষয়টি আর আগের মত থাকে না। যেমন কারো মজাদার রান্নার উপর নজর লাগলো, দেখা যাচ্ছে তার রান্না আর মজা হচ্ছে না। কিংবা কেউ পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল, এখন আর ভাল নেই। কেউ ব্যবসায় লাভবান ছিল অথচ এখন ব্যবসা দিনদিন লসের দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়াও আরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। লক্ষণ ব্যক্তির অলসতা কাজ করবে সব কিছুতে, ঘুমঘুম লাগবে, শরীরে জ্বর জ্বর ভাব থাকবে, মন মেজাজ খারাপ থাকবে, নানান অসুখবিসুখ লেগে থাকবে, কোনো কাজে মন বসবে না, নির্দিষ্ট কিছু কাজ বারবার নষ্ট হতে থাকবে ইত্যাদি। এই ক্ষেত্রে রুকইয়াহ দুই রকম হতে পারে। করণীয় ১. নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়। ২. নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় না। নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় যদি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় তবে নজর কাটাতে কষ্ট কম হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তির অজু করা পানি জমিয়ে রেখে তা রোগীর গায়ে ঢেলে দিতে হবে। কিংবা ব্যক্তির খেয়ে রাখা প্লেট, গ্লাস, চামচ ধুয়ে সেই পানি রোগীর গায়ে ঢেলে দিবে। এতে করে ইনশাআল্লাহ নজর কেটে যাবে। নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় না যদি চিহ্নিত করা না যায় তবে নিচের সূরা ও দু‘আ পড়ে রোগীকে ফুঁ দিতে হবে। এক বোতল পানি রাখবেন, তাতেও ফুঁ দিবেন এবং রোগীকে পান করাবেন ও মাথায় মুখে শরীরে ছিটিয়ে দিবেন। আয়াতগুলোর অডিও রোগী নিয়মিত শুনবেন এবং নিজেও তিলাওয়াত করবেন।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে