১. اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ ۞ উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ। অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। ২. اَللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ ۞ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতাস্ সালামু ওয়া মিন্কাস্ সালাম, তাবারক্তা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম। অর্থ: হে আল্লাহ্! আপনিই শান্তিদাতা এবং আপনার থেকেই কেবল শান্তি কামনা করি। আপনি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও সম্মানের অধিকারী। আমল নবী কারীম (ﷺ) সালাত শেষে তিনবার ইস্তিগফার করে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৫৯১, ৫৯২) ৩. এই দু‘আটি ১ বার পড়বে ۞ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَاۤ شَرِيْكَ لَهٗ. لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ. اَللّٰهُمَّ لَاۤ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَ لَاۤ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَ لَاۤ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদ। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির। আল্লাহুম্মা লা-মানিয়া লিমা আতাইত। ওয়া-লা মুতিয়া লিমা মানা‘তা ওয়ালা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ। অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁর। তারই জন্য সকল প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান, হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান তা কেউ রোধ করতে পারে না, আর আপনি যা রোধ করতে চান তা কেউ দিতে পারবে না এবং কোন সম্পদশালীকে তার সম্পদ আপনার থেকে রক্ষা করতে পারে না। আমল হযরত মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাযি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) প্রত্যেক ফরয সালাত এর পর উক্ত দু‘আ পড়তেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ৮৪৪; ইবনুস সুন্নী, হাদীস নং: ১৩৭, ১৩৬) ৪. اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ ۞ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আঈন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিক। অর্থ: হে আল্লাহ্! আমাকে আপনার যিকির, শোকর এবং উত্তম রূপে ইবাদত করতে সাহায্য করুন। আমল হযরত মু‘আয ইবনে জাবাল (রাযি) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী (ﷺ) তার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি। তিনি বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর উক্ত দু‘আটি কখনো পরিহার করবে না। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং: ১৫২২; সুনানে কুবরা, নাসায়ী, হাদীস নং: ৯৮৫৭) ৫. আয়াতুল কুরসী (১বার) ফযীলত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ব্যতীত কোন কিছু তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। (সুনানে কুবরা, নাসায়ী, হাদীস নং: ৯৯২৮; ইবনুস্ সুন্নী, হাদীস নং: ১২৩) ৬. তাসবীহে ফাতেমী: অর্থাৎ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবর। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৫৯৫-১)
۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ربِّ الْعَالَمِيْنَ، وَالصَّلٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ
উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ‘লা সায়্যিদিল মুরসালিন।
অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক এবং দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক সাইয়্যিদুল মুরসালীন প্রিয় নবী (ﷺ) এর উপর।
۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফি‘আ, ওয়া রিযক্বান ত্বইয়িবা, ওয়া আ‘মালান-মুতাক্বাব্বালা।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম, উত্তম রিযক, ও মাকবূল (কবূল হওয়ার মত) আমলের তাওফিক চাই।
۞ سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ، وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ. وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ- اَللّٰهُمَّ اٰمِيْنْ
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইযযাতি আম্মা ইয়াসিফুন, ওয়া সালামুন আ‘লাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
অর্থঃ আপনার প্রতিপালক যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী তিনি পবিত্র ঐ সকল কথা থেকে যা কাফিররা বলে থাকে এবং নবীদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক এবং সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য।