দু'আ (খাবার ও পানাহার অধ্যায়)

মোট বিষয় - ১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

খাবার সামনে এলে পড়বে

۞  اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী মা রযাক্বতানা ওয়াক্বিনা আযাবান্নার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে রিয্‌ক দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন, এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

.

খাওয়ার শুরুতে পড়বে

۞  بِسْمِ اللهِ وَبَرَكَةِ اللهِ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি ওয়াবারাকাতিল্লাহ্‌।

অর্থঃ

আল্লাহ তা’আলার নামে (খাবার) শুরু করছি, এবং আল্লাহ তা‘আলার বরকতের সাথে এ খাবার গ্রহণ করছি।

.

খানা খাওয়ার সময় পড়বে

۞  اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِّنْهُ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত‘ইমনা খাইরাম-মিনহু।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।

.

খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ্‌ ভুলে গেলে বলবে

۞  بِسْمِ اللهِ أَوَّلَهٗ وَآخِرَهٗ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি আউওয়ালাহু ওয়াআখিরাহু।

অর্থঃ

আল্লাহর নামে খাবার শুরু করছি। খাবারের প্রারম্বে ও সমাপ্তিতে।

.

পানি পান করার পর পড়বে

۞  اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَاتًا بِرَحْمَتِه، وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِلْحًا أُجَاجًا بِذُنُوْبِنَا
উচ্চারণঃ

আলহাম্‌দু লিল্লাহিল্লাজি ছাকানা আজবান ফুরতান বিরহমাতিহ্‌ ওয়ালাম ইয়াজ্‌ আ’লহু মিলহান উজাজান বিযুনুবিনা।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে, যিনি আমাদেরকে স্বীয় রহমতে সুস্বাদু, সুমিষ্ট পানি পান করিয়েছেন এবং আমাদের গুনাহের কারণে তা তিক্ত ও লবণাক্ত করেননি।

.

খাওয়ার শেষে পড়ার দু‘আ-১

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِيْنَ
উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আত্ব ‘আমানা ওয়াসাক্বানা ওয়াজা ‘আলানা মুসলিমীন।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে যিনি আমাদের পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন।

.

খাওয়ার শেষে পড়ার দু‘আ-২

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنِيْ هٰذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ
উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আত্ব ‘আমানী হাযাত ত্ব‘আামা ওয়া রযাক্বনীহি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুউওয়াহ।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি আমাকে এই খানা খাওয়ালেন এবং আমার শক্তি ও সামর্থ ব্যতীতই এটা আমাকে দান করলেন।

.

মৌসুমের নতুন ফল খাওয়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فيْ ثَمَرِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مَدِيْنَتِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ صَاعِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مُدِّنَا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী সামারিনা ওয়া বারিক লানা ফী মাদীনাতিনা ওয়া বারিক লানা ফী সা ‘ইনা ওয়া বারিক লানা ফী মুদ্দি না।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিন, আমাদের শহরে বরকত দিন, আমাদের সা’ তথা বড় পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন, আমাদের মুদ্দ তথা ছোট পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন।

.

দাওয়াত খেলে এই দু‘আ পড়বে-১

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيْمَا رَزَقْتَهُمْ، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্তাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন।

১০.

দাওয়াত খাওয়ার দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِيْ ، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী

অর্থঃ

হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাকে আহার করান এবং যে আমাকে পান করাবে আপনি তাকে পান করান।

১১.

কারো মেহমানদারী গ্রহণ করলে মেজবানকে শুনিয়ে এই দু‘আ পড়বে-৩

۞ أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ
উচ্চারণঃ

আকালা ত্বয়ামাকুমুল আবরর, ওয়াছল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাহ্, ওয়া আফ্ত্বরা ইন্দাকুমুছ ছ’য়িমুন।

অর্থঃ

যেন নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশ্তাগণ যেন তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আ করে এবং রোযাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।

১২.

দস্তরখানা উঠানোর সময় এই দু‘আ পড়বে

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِىٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا
উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাছিরান ত্বাইয়্যিবান মুবা-রাকান ফিহি গায়রা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুওয়াদ্দাইন ওয়ালা মুস্তাগনান আনহু রাব্বানা।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্যে। অনেক অনেক প্রশংসা এবং পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। হে প্রভু! এ খানাকে না যথেষ্ট মনে করা যেতে পারে (যে আর প্রয়োজন হবে না), আর না একে সম্পূর্ণ বিদায় দেয়া যেতে পারে (যে আর তার সাক্ষাতের প্রয়োজন হবে না), না এ হতে অমুখাপেক্ষী হওয়া যায়।

১৩.

দুধ পান করার সময় পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক-লানা ফীহি ওয়াযিদনা মিনহ্‌।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি এই দুধের মধ্যে বরকত দান করুন এবং অধিক পরিমাণে দান করুন।