দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

ঋণ পরিশোধের দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিক ওয়া আগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি তোমার হারাম থেকে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও। (হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয়) এবং তোমার অনুগ্রহে ছাড়া অন্য সবকিছু থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

.

দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দু‘আ-১

۞ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ الْعَظِيْمُ الْحَلِيْمُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আযীমুল হালীম, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম

অর্থঃ

আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বূদ নাই। যিনি মহান, মহা ধৈর্যময় মহা বিচক্ষণ, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বূদ নাই। যিনি মহান আরশের প্রভু, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বূদ নাই। যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের অধিপতি।

.

ঋণ পরিশোধের দু’আ-২

«بارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالأَدَاءُ»
উচ্চারণঃ

বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন্নামা জাযা-উস সালাফে আল-হামদু ওয়াল আদা-উ

অর্থঃ

আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও সঠিকভাবে তা আদায় করণ।

.

টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে পড়বে

۞ بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবাইস।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামে (প্রবেশ করছি), হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষতিকারক নর ও নারী জিন শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

.

আযান এবং আযানের উত্তর

اَللهُ اَكْبَرْ উত্তরে বলবে: اَللهُ اَكْبَرْ (৪ বার ) اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله উত্তরে বলবে: اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله ( ২ বার ) اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ উত্তরে বলবে: اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ ( ২ বার ) حَيَّ عَلَي الصَّلوةِ উত্তরে বলবে: لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ (২ বার) حَيَّ عَلَي الفَلَاحِ উত্তরে বলবে: لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ (২ বার ) (শুধুমাত্র ফজরের সময়) اَلصّلَوةُ خَيْرٌمِّنَ النَّوْمِ উত্তরে বলবে: صَدَقْتَ وَ بَرَرْتَ (২ বার) اَللهُ اَكْبَرْ উত্তরে বলবে: اَللهُ اَكْبَرْ (২ বার ) لَا اِلَهَ اِلَّا الله উত্তরে বলবে: لَا اِلَهَ اِلَّا الله (১ বার )
উচ্চারণঃ

আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবর (৪ বার) আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২ বার) আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ (২ বার) হাইয়া আলাস সালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) হাইয়া আলাল ফালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) (শুধুমাত্র ফযরের আযানের জন্য) আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম উত্তরঃ সাদাকতা ও বারারতা (২ বার) আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবার (২ বার) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (১ বার)

অর্থঃ

আল্লাহ সর্বশক্তিমান উত্তরঃ আল্লাহ সর্বশক্তিমান (৪ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই (২ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত (২ বার) নামাজের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (২ বার) সাফল্যের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (শুধুমাত্র ফযরের আযানের জন্য) ঘুম হতে নামাজ উত্তম উত্তরঃ সত্য বলেছেন, কল্যানের কথা বলেছেন (২ বার) আল্লাহ্ মহান উত্তরঃ আল্লাহ্ মহান (২ বার) আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই উত্তরঃ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই (১ বার)

.

মসজিদে প্রবেশের দু‘আ-১

۞ بِسْمِ اللهِ. وَالصَّلَا ةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ. اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু’ আলা রাসূলিল্লাহ্‌ আল্লাহুম্মাফ্‌তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামে (প্রবেশ করছি।) আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (ﷺ) এর উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দিন।

.

মসজিদ থেকে বের হওয়ার দু‘আ

۞ بِسْمِ اللهِ. وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ. اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি ওয়াস্‌সালা-তু ওয়াস্‌সালা-মু ‘আলা- রাসূ-লিল্লাহি আল্লহুমা ইন্নি আস আলুকা মিন ফাদ্বলিক।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি। আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (ﷺ) এর প্রতি দরূদ, রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট হালাল রুজির প্রার্থনা করছি।

.

সানা

۞ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَ لَاۤ إِلٰهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণঃ

সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়াতাবারাকাস্‌মুকা, ওয়াতা‘আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।

অর্থঃ

হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নেই।

.

ক্বওমার দু‘আ-১

۞ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهْ
উচ্চারণঃ

সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ তার কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে।

১০.

ক্বওমার দু‘আ-২

۞ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدْ
উচ্চারণঃ

রাব্বানা লাকাল হামদ্।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা।

১১.

সিজদার দু‘আ

۞ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلٰى
উচ্চারণঃ

সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা।

অর্থঃ

মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি সর্বোচ্চ।

১২.

দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাগ্‌ফিরলি ওয়ারহাম্‌নি ওয়াজ্‌বুরনি ওয়াহ্‌দিনি ওয়া ‘আ-ফিনি ওয়ার্‌যুক্বনি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রিযিক দান করুন।

১৩.

উযূর শুরুতে পড়ার দু‘আ-২

۞ بِسْمِ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি এবং প্রশংসা সবই কেবল তারই জন্যে।

১৪.

উযূর পর পড়ার দু‘আ-৩

۞ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَّاۤ إِلٰهَ إِ لَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণঃ

সুবহানা কাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়াআতূবু ইলাইকা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো মা’বূদ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি।

১৫.

তাকবীরে তাহরীমা

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ

আল্লাহ্‌ মহান।

১৬.

মুসাফাহা করার দু‘আ

۞ يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَ لَكُمْ
উচ্চারণঃ

ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম।

অর্থঃ

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকেও ক্ষমা করুন এবং আপনাদেরকেও ক্ষমা করুন।

১৭.

কাউকে বিদায় দেয়ার সময় পড়বে

۞ اَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكُمْ وَاَمَانَتَكُمْ وَخَوَاتِيْمَ اَعْمَالِكُمْ
উচ্চারণঃ

আস্তাউদি‘উল্লাহা দ্বীনাকুম, ওয়া আমানাতাকুম ওয়া খওয়াতীমা আ’মালিকুম।

অর্থঃ

তোমাদের দ্বীন ও ঈমানকে এবং তোমাদের আমানতদারীকে এবং তোমাদের ঈমানের উপর মৃত্যু আল্লাহ তা’আলার হাতে সোপর্দ করছি।

১৮.

দু‘আ-১৫৭

اَللّٰهُمَّ افْتَحْ أَقْفَالَ قُلُوْبِنَا بِذِكْرِكَ، وَأَتْمِمْ عَلَيْنَا نِعْمَتَكَ، وَأَسْبِـغْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلِكَ، وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আপনার স্মরণ দ্বারা আমাদের হৃদয়ের তালাসমূহ খুলে দিন এবং আমাদের উপর আপনার দান পূর্ণ করুন। আমাদের প্রতি আপনার করুণা বর্ষণ করুন এবং আমাদেরকে আপনার নেক বান্দাদের মাঝে শামিল করুন।১৫১

১৯.

শয়তান থেকে হেফাযতের দু‘আ

۞ لَااِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুলহামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

অর্থঃ

আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।

২০.

উযূর শুরুতে পড়ার দু‘আ-১

۞ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহির্‌ রাহ্‌মানির্‌ রাহীম।

অর্থঃ

আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি অসীম দয়ালু ও অত্যন্ত মেহেরবান।