۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰى
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আলহিক্বনী বিররফী-ক্বিল আ‘লা
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।
۞ لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ
উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, যাবতীয় রাজত্ব তাঁরই, তার জন্যই সকল প্রশংসা, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই।
۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهٖ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهٗ فِي الْمَهْدِيِّيْنَ، وَاخْلُفْهٗ فِي عَقِبِهٖ فِي الْغَابِرِيْنَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ، وَافْسَحْ لَهٗ فِي قَبْرِ هٖ، وَنَوِّرْ لَهٗ فِيْهِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লিফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী ‘আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউওয়ীর লাহু ফী-হি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।
কোনো মুসলমানের লাশ দাফনের সময় কবরে তিনবার মাটি দেওয়া মুস্তাহাব। উচ্চারণ ও অর্থ: প্রথমবার মাটি দেওয়ার সময় বলবে- مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ (মিনহা খলাক্বনাকুম) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। দ্বিতীয়বার বলবে- وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ (ওয়া ফী হা নু‘ঈ দুকুম) এ মাটির মধ্যেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব। তৃতীয়বার বলবে- وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى (ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তা-রতান উখরা) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে পুনরায় উঠাবো।
۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গা ইবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসানা, আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহূ মিন্না ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাম, ওয়া মানতাওয়াফ ফাইতাহূ মিন্না ফাতা ওয়াফফাহূ ‘আলাল ঈমান।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।
۞ اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহু লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহু লানা আজরাও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহু লানা শাফিয়াও ওয়া মুশাফফাআন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও তাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর এবং তাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহণীয় সুপারিশকারী বানাও।
۞ اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَّمُشَفَّعَةً
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজআলহা লানা শা-ফিয়াতাও ওয়া মুশাফফায়াহ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! ইহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও ইহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর। এবং ইহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।
۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهٗ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهٖ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهٗ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهٗ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهٖ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهٖ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهٖ، وَزَوْجَاً خَيْرًا مِنْ زَوْجِهٖ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ (وَعَذَابِ النَّارِ)
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, ওয়ারহামহু, ওয়া ‘আ-ফিহি, ওয়া‘ফু ‘আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়াওয়াসসি মুদখালাহু, ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্সালজি ওয়ালবারাদি, ওয়ানাক্বক্বিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবইয়াদা মিনাদদানাসি, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহি, ওয়া যাওজান খাইরাম মিন যাওজিহি, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আ‘য়িযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি [ওয়া ‘আযাবিন্না-র]
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, তাকে দয়া করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে মাফ করে দিন, তার মেহমানদারীকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন। আর আপনি তাকে ধৌত করুন পানি, বরফ ও শিলা দিয়ে, আপনি তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছেন। আর তাকে তার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর, তার পরিবারের বদলে উত্তম পরিবার ও তার জোড়ের (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম জোড় প্রদান করুন। আর আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং তাকে কবরের আযাব [ও জাহান্নামের আযাব] থেকে রক্ষা করুন”
۞ اَللّٰهُمَّ إِنَّ فُلاَنَ بْنَ فُلاَنٍ فِي ذِمَّتِكَ، وَحَبْلِ جِوَارِكَ، فَقِهٖ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ، فَاغْفِرْ لَهٗ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحيْمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা, ওয়া হাবলি জিওয়ারিকা, ফাক্বিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া আযা-বিন না-রি, ওয়া আনতা আহলুল ওয়াফাই ওয়াল হাক্ক, ফাগফির লাহু ওয়ারহামহু, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম
অর্থঃ হে আল্লাহ, অমুকের পুত্র অমুক আপনার যিম্মাদারীতে, আপনার নৈকট্যের নিরাপত্তায়। সুতরাং আপনি তাকে কবরের পরীক্ষা থেকে এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। আর আপনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী এবং প্রকৃত সত্যের অধিকারী। অতএব, আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং তার উপর দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।
۞ اَللّٰهُمَّ عَبْدُكَ وَابْنُ أَمَتِكَ اِحْتَاجَ إِلَى رَحْمَتِكَ، وَأَنْتَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِهٖ، إِنْ كَانَ مُحْسِناً فَزِدْ فِي حَسَنَاتِهٖ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئاً فَتَجَاوَزْ عَنْهُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ‘আবদুকা, ওয়াবনু আমাতিকা, ইহতাজা ইলা রাহমাতিকা, ওয়া আনতা গানিয়্যুন ‘আন ‘আযা-বিহি, ইন কা-না মুহসিনান ফাযিদ ফী হাসানা-তিহি, ওয়া ইনকা-না মুসীআন ফা তাজা-ওয়ায ‘আনহু
অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনার এক দাস, আর এক দাসীর পুত্র, আপনার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী, আপনি তাকে শাস্তি দেওয়া থেকে অমুখাপেক্ষী। যদি সে নেককার বান্দা হয়, তবে তার সওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন, আর যদি বদকার বান্দা হয়, তবে তার অপরাধকর্ম এড়িয়ে যান।
۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ، يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ، أَنْتُمْ سَلَفُنَا، وَنَحْنُ بِالْأَثَرِ
উচ্চারণঃ আসসালামু ‘আলাইকুম ইয়া আহলাল ক্বুবূরি, ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আসার।
অর্থঃ হে কবরবাসীগণ! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বে গমনকারী। আমরা আপনাদের অনুগামী।
۞ اِنَّ لِلّٰهِ مَا اَخَذَ وَلِلّٰهِ مَا اَعْطٰی وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهٗ بِاَجَلٍ مُّسَمًّى فَاصْبِرْ وَاحْتَسِبْ
উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লাহি মা আখাযা ওয়া লিল্লাহি মা আ‘ত্বা ওয়া কুল্লু শাই ইন ‘ইনদাহূ বিআজালিম মুসাম্মান ফাসবির ওয়াহ তাসিব।
অর্থঃ নিশ্চয়ই (সমস্ত কিছু) আল্লাহ পাকেরই যা তিনি নিয়ে নিয়েছেন, আর যা প্রদান করেছেন তাও আল্লাহ পাকেরই এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রত্যেকের মৃত্যুকাল নির্ধারিত রয়েছে। সুতরাং তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সওয়াব-এর আশা কর।