দু'আ (নফল নামায অধ্যায়)

মোট বিষয় - টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সালাতুল তাসবীহের ফযীলত

share dua
details icon

۞ سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

অর্থঃ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করতেছি, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নাই, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।

.

ইস্তিখারা হযরত জাবির (রাযি) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাদের যাবতীয় কাজের জন্য ইস্তিখারা শিক্ষা দিতেন, যেমনভাবে তিনি কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন । (আর বলতেন) যখন তোমাদের কারো কোন বিশেষ কাজ করার ইচ্ছা হয়, তখন সে যেন দু’রাকাত নামায পড়ে, এবং নিচের দু‘আটি পাঠ করে।

share dua
details icon

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَاۤ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَاۤ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ، اَللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِيْ بِهٖ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখিরুকা বি‘ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিক্বুদ্‌রাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাদ্‌লিকাল আযীম। ফা ইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু, ওয়া আনতা ’আল্লামূল গুয়ূব। আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আম্‌রা (বলে, মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) খাইরুন লী ফী দ্বীনি ওয়া মা‘আশী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাকদিরহু লী, ওয়া ইয়াস্‌সিরহু লী, ছুম্মা বারিক লী ফীহি। ওয়া ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা (বলে, মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) শাররুন লী ফী দীনী ওয়া মা’আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফনী ‘আনহু, ওয়াকদুর লিয়াল-খাইর। হাইসু কা-না, সুম্মা আরদ্বিনী বিহ্।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার ইলমের উসিলায় আপনার নিকট মঙ্গল কামনা করছি এবং আপনার কুদরতের উসিলায় আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার নিকট আপনার মহান অনুগ্রহ কামনা করছি। কেননা, আপনি ক্ষমতাবান, আর আমি অক্ষম এবং আপনি সর্বজ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ, এবং আপনি সমস্ত গোপন সম্পর্কে জ্ঞাত। হে আল্লাহ! যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার জন্য আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে মঙ্গলজনক হয়, তবে তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন এবং একে সহজ করে দিন। অতঃপর এর মধ্যে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে আমার জন্য মঙ্গলজনক না হয়, তবে আপনি এ কাজটিকে আমার থেকে দূরে রাখুন এবং যেখানেই আমার জন্য মঙ্গল রয়েছে তা আমার জন্য নির্ধারিত করুন এবং তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট করে দিন।

.

ইস্তিখারার সংক্ষিপ্ত দু‘আ

share dua
details icon

ইস্তিখারার উল্লেখিত পদ্ধতি কিছুটা দীর্ঘ। অনেক সময় মানুষ সিদ্ধান্ত পৌঁছার জন্য এত দীর্ঘ সময় নাও পেতে পারে। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সংক্ষিপ্ত দু‘আ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। দু‘আটি এই- ۞ اَللّٰهُمَّ خِرْ لِيْ وَاخْتَرْلِيْ অর্থ: হে আল্লাহআপনিই ঠিক করে দিন যে, আমাকে কোনটি অবলম্বন করতে হবে।’(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৫১৬; মুসনাদুল বাযযার, হাদীস নং: ৫৯; মুসনাদে আবু ইয়া'লা, হাদীস নং: ৪৪) এছাড়া আরেকটি দু‘আ হাদীস শরীফে রয়েছে- ۞ اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ، وَسَدِّدْنِيْ অর্থ: হে আল্লাহ! পথ দেখান সোজা এবং দেখান। পথ আমাকে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৭২৫) অনুরূপভাবে এ দু‘আটিও হাদীস শরীফে এসেছে- ۞ اَللّٰهُمَّ أَلْهِمْنِيْ رُشْدِيْ অর্থ: হে আল্লাহ! যে পথটি সঠিক তা আমার অন্তরে ঢেলে দিন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৪৮৩) যদি আরবীতে সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে নিজের ভাষায় এ দু‘আগুলো করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে যদি মুখে উচ্চারণ সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে মনে মনে হলেও এ দু‘আগুলো করা।

.

সালাতুল হাজত

share dua
details icon

বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে আল্লাহ’র জন্য দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে সালাতুল হাজত বলা হয়।(সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ১৩৮৪) সংগত কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর নিকটে ছবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে। (সূরা বাকারাহ, আয়াত নং: ১৫৩) আল্লাহর নিকট বান্দার বিশেষ কোন প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক মানসিক যে কোন পেরেশানি দেখা দিলে উত্তমভাবে উযূ করে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও ছানা (প্রশংসা) এবং দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহর নিকট দু‘আ করবে। ۞ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ، سُبْحَانَ اللّٰهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، لَاۤ تَدَعْ لِي ْذَنْبًا إِلَّا غَفَرْتَهٗ ، وَ لَاۤ هَمًّا إِلَّا فَرَّجْتَهٗ، وَلَاۤ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلَّا قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম। সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছআলুকা মু’জিবাতি রহমাতিকা ওয়া আযা-ইমা মাগফিরাতিকা ওয়াল গ’নিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন, লা তাদা’লি- যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা কদাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন।

অর্থঃ পরম সহনশীল ও দয়ালু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ অতীব পবিত্র। সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ্‌র জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট অবধারিত রহমত, তোমার অফুরন্ত ক্ষমা, সকল সদাচারের ভান্ডার এবং প্রতিটি পাপাচার থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট আরো প্রার্থনা করি যে, তুমি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দাও, আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দাও, তোমার সন্তুষ্টিমূলক প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করে দাও।

দু'আ (নফল নামায অধ্যায়) | মুসলিম বাংলা