সালাতুল হাজত

বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে আল্লাহ’র জন্য দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে সালাতুল হাজত বলা হয়।(সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ১৩৮৪) সংগত কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর নিকটে ছবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে। (সূরা বাকারাহ, আয়াত নং: ১৫৩) আল্লাহর নিকট বান্দার বিশেষ কোন প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক মানসিক যে কোন পেরেশানি দেখা দিলে উত্তমভাবে উযূ করে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও ছানা (প্রশংসা) এবং দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহর নিকট দু‘আ করবে। ۞ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ، سُبْحَانَ اللّٰهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، لَاۤ تَدَعْ لِي ْذَنْبًا إِلَّا غَفَرْتَهٗ ، وَ لَاۤ هَمًّا إِلَّا فَرَّجْتَهٗ، وَلَاۤ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلَّا قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম। সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছআলুকা মু’জিবাতি রহমাতিকা ওয়া আযা-ইমা মাগফিরাতিকা ওয়াল গ’নিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন, লা তাদা’লি- যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা কদাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন।
অর্থঃ পরম সহনশীল ও দয়ালু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ অতীব পবিত্র। সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ্র জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট অবধারিত রহমত, তোমার অফুরন্ত ক্ষমা, সকল সদাচারের ভান্ডার এবং প্রতিটি পাপাচার থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট আরো প্রার্থনা করি যে, তুমি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দাও, আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দাও, তোমার সন্তুষ্টিমূলক প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করে দাও।
উপকারিতাঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা আল-আসলামী (রাযি) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ আমাদের নিকট বের হয়ে এসে বলেন, আল্লাহ্র নিকট অথবা তাঁর কোন মাখলূকের নিকট কারো কোন প্রয়োজন থাকলে, সে যেন উযূ করে দু রাকাত নামায পড়ে, অতঃপর উপরোক্ত দু‘আ পাঠ করে। অতঃপর সে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য যা চাওয়ার আছে তা প্রার্থনা করবে। কারণ তা আল্লাহ্ই নির্ধারিত করেন।
উৎসঃ সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ১৩৮৪; সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৪৭৯