দু'আ (নামাযের মধ্যে দু‘আ অধ্যায়)

মোট বিষয় - ১৮ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

কুনুত-ই-নাযেলা

"اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قَضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ"

উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব‌্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্‌দ্বা ‘আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা। তাবা-রক্‌তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)

অর্থঃ

“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।

.

তাকবীরে তাহরীমা

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ

উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ

আল্লাহ্‌ মহান।

.

সানা

۞ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَ لَاۤ إِلٰهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণঃ

সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়াতাবারাকাস্‌মুকা, ওয়াতা‘আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।

অর্থঃ

হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নেই।

.

আউযুবিল্লাহ

۞ أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

উচ্চারণঃ

আ'উযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।

অর্থঃ

হে আল্লাহ্! আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

.

বিসমিল্লাহ্‌

۞ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহিম।

অর্থঃ

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।

.

রুকুর দু‘আ

۞ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمْ

উচ্চারণঃ

সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম।

অর্থঃ

মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি মহান

.

ক্বওমার দু‘আ-১

۞ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهْ

উচ্চারণঃ

সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ তার কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে।

.

ক্বওমার দু‘আ-২

۞ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدْ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা লাকাল হামদ্।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা।

.

ক্বওমার দু‘আ-৩

۞ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ

উচ্চারণঃ

হামদান্ কাছী-রান্ তাইয়্যিবান মুবা-রাকান ফি-হি।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্য অগণিত প্রশংসা, যা পবিত্র ও বরকতময়।

১০.

সিজদার দু‘আ

۞ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلٰى

উচ্চারণঃ

সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা।

অর্থঃ

মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি সর্বোচ্চ।

১১.

দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাগ্‌ফিরলি ওয়ারহাম্‌নি ওয়াজ্‌বুরনি ওয়াহ্‌দিনি ওয়া ‘আ-ফিনি ওয়ার্‌যুক্বনি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রিযিক দান করুন।

১২.

তাশাহুদ

۞ اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهٗ، اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لَّاۤ إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ

উচ্চারণঃ

আত্তাহিইয়াতু লিল্‌লাহি ওয়াস্‌ সালাওয়াতু ওয়াত্ ত্বাইয়িবাত। আসসালামু ‘আলাইকা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্‌। আস্‌সালামু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লাহিস্‌ সালিহীন। আশ্‌হাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্‌দুহু ওয়া রাসুলুহ্‌।

অর্থঃ

যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় ইবাদত ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপর ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।

১৩.

দরূদ

۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اۤلِ مُحَمَّدٍ ،كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اۤلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اۤلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اۤلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা ‘আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইব্‌রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাক্‌তা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপর, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম (আ.) ও ইবরাহিমের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপর, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহিম (আ.) ও ইবরাহিমের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

১৪.

দু‘আ-ই মাসুরাহ-১

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّ لَاۤ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফ্‌সি যুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগ্‌ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগ্‌ফিরলি মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা, ওয়ারহাম্‌নি ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপর অসংখ্য জুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হতে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপর অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।

১৫.

দু‘আ-ই মাসুরাহ-২

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ

উচ্চারণঃ

আল্লহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম ওয়া মিন আজাবিল কবরি ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে।

১৬.

দু‘আ-ই কুনুত

۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا‎ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَ لَاۤ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ،- اَللّٰهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ,ওয়া নাসতাগ্‌ফিরুকা,ওয়া নু’মিনুবিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইক, ওয়ানুসনি আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা , ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু, মাই ইয়াফ জুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু, ওয়ালাকানুছল্লি, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাসআ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিলকুফ্‌ফারি মুলহিক।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামায পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, এবং আমরা আপনার আযাবকে ভয় করি। নিশ্চাই আপনার প্রকৃত আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।

১৭.

সালাম

۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ

উচ্চারণঃ

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহর পক্ষ হতে আপনার উপর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হউক

১৮.

নামাযের মধ্যে ওয়াসওয়াসা বন্ধের যিকির

۞ أَعُوْذُ بِا للہِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

উচ্চারণঃ

আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রজীম।

অর্থঃ

আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।