দু'আ (হজ্জ অধ্যায়)

মোট বিষয় - ২৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

চিন্তামুক্ত সফরের দু‘আ

۞ رَبِّ اَدْخِـلْـنِـىْ مُـدْخَـلَ صِـدْقٍ وَّاَخْـرِجْـنِـىْ مُـخْـرَجَ صِـدْقٍ وَّاجْـعَـلْ لِّـىْ مِـنْ لَّدُنْـكَ سُلْطَانًا نَصِيْرًا
উচ্চারণঃ

রাব্বি আদ্‌খিল্‌নি মুদ্‌খালা সিদক্বিও ওয়া আখ্‌রিযনি মুখ্‌রাজা সিদ্‌কিও ওয়াজা’আল্লি মিল্লাদুন্‌কা সুল্‌তা-নান্ন নাসি-রা।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্ত বাহির করাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান করো সাহায্যকারী শক্তি।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-৩

۞ اَللّٰهُمَّ اطْوِ لَهُ الْبُعْدَ، وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাত্ববি লাহুল বু’দা ওয়াহাওবিন আলাইহিস সাফার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি তার পথের দূরত্ব গুটিয়ে দিয়ো এবং তার জন্য সফর আসান করে দিয়ো।

.

বাড়ি থেকে বের হওয়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إنيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ ، أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ ، أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই; আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি, অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের উপর যুলম না করি অথবা আমার প্রতি যুলম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-১

۞ أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكَ وَأَمَانَـتَكَ ، وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكَ ۞ أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكِ وَأَمَانَـتَكِ ، وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكِ ۞ أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكُمْ وَأَمَانَـتَكُمْ ، وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكُمْ
উচ্চারণঃ

একজন পুরুষের জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকা ও-আমানাতাকা, ও-খাওয়াতিমা আমালিক একজন মহিলার জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকি ও-আমানাতাকি, ও-খাওয়াতিমা আমালিকি একাধিক পুরুষ/মহিলার জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকুম ও-আমানাতাকুম, ও-খাওয়াতিমা আমালিকুম

অর্থঃ

আমি তোমাদের ধর্ম, বিশ্বস্ততা এবং উত্তম পরিণতির ব্যাপারে আল্লাহর নিকট সমর্পন করলাম।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-২

۞ زَوَّدَكَ اللهُ التَّقْوَى ، وَغَفَرَ ذَنْبَكَ ، وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ
উচ্চারণঃ

যাউওয়াদাকাল্লা-হুত্ তাক্বওয়া, ওয়াগাফারা যামবাকা, ওয়া ইয়াসসারা লাকাল খাইরা হাইসুমা কুন্ত্।

অর্থঃ

আল্লাহ তোমাকে তাকওয়া (সংযমশীলতার-পাথেয়) প্রদান করুন, তোমার গোনাহ মাফ করে দিন, তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহ যেন তোমার জন্য কল্যাণ সহজ করে দেন।

.

সফরকালীন পড়ার দু‘আ

۞ سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللهِ وَحُسْنِ بَلَائِهٖ عَلَيْنَا ۞ رَبَّـنَا صَاحِبْنَا وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا عَائِذًا بِاللهِ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ

ছামিয়া ছামিয়ুন বিহামদিল্লা-হি ওয়া হুসনি বা-লাইহি আলাইনা রব্বানা ছাহিবনা ওয়া আফদিল আলাইনা আ-ইযান বিল্লাহি মিনান্নার।

অর্থঃ

শ্রোতা শ্রবণ করুন আল্লাহর প্রশংসা আমাদের জন্য তার উত্তম দান বখশিশ, কল্যাণ বয়ে এনেছে। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের সঙ্গী হন। আমাদের উপর ফযল ও করম করুন। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নাম থেকে।

.

সফরের দু‘আ

۞ اَللهُ أَكْبَرْ ، اَللهُ أَكْبَرْ ، اَللهُ أَكْبَرْ، سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَ ، وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ، اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى ، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى ، اَللّٰهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهٗ ، اَللّٰهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ ، وَالْخَلِيْفَةُ فِي الْأَهْلِ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ ، وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ ، وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالْأَهْلِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়াইন্না ইলা রাবিবনা লামুনক্বালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বিররা ওয়াত্তাক্বওয়া, ওয়ামিনাল আমালি মা-তারদ্বা। আল্লাহুম্মা হাওওয়িন আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়া আত্বওয়ি আন্না বু‘দাহ। আল্লাহুম্মা আন্তাস সা-হিবু ফিস সাফারি ওয়ালখালীফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন ওয়া সা-ইস সাফারি, ওয়াকাআবাতিল মানযারি, ওয়াসূ-ইল মুনক্কালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহলি।

অর্থঃ

আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান। পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুণ্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ করে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার-পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে এবং বাড়ি ফিরে ধন-সম্পদ, পরিবার ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

.

বাসিন্দাদের জন্য সফরকারীদের দু‘আ

۞ أَسْتَوْدِعُكَ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ ۞ أَسْتَوْدِعُكِ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ ۞ أَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ
উচ্চারণঃ

একজন পুরুষের জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদিউকাল্লাহাল্লাজি লা তাদিয়ু ওয়া দা-ই-য়ুহ। একজন মহিলার জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদিউকিল্লাহাল্লাজি লা তাদিয়ু ওয়া দা-ই-য়ুহ। গোষ্ঠীর লোকেদের জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদিউকুমুল্লাহাল্লাজি লা তাদিয়ু ওয়া দা-ই-য়ুহ

অর্থঃ

আল্লাহর উপর ভরসা করে তোমাদেরকে রাখলাম। যার উপর ভরসা করলে কখনো বিফলে যাবে না।

.

তালবিয়া

ইহরাম অবস্থায় ‘তালবিয়া’ পাঠ করতে হয়। তালবিয়ার বাক্যগুলো এরূপ:- ۞ لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لاَ شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণঃ

লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক, লাব্বায়কা লা শারীকা লাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারীকালাক।

অর্থঃ

আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ্! আমি উপস্থিত; আমি উপস্থিত, তোমার কোন শরীক নেই, আমি উপস্থিত; নিশ্চয় সব প্রশংসা এবং অশেষ অনুগ্রহ এবং আধিপত্যের তুমিই মালিক তোমার কোন অংশীদার নেই।

১০.

হজরে আসওয়াদকে চুমু দিয়ে বা ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করার দু‘আ

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ

আল্লাহ সবার চেয়ে বড়।

১১.

রোকনে ইয়ামানী এবং হজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে পড়ার দু‘আ

۞ رَبَّـنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্কিনা আযাবান্নার।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দান কর দুনিয়ার কল্যাণ এবং আখিরাতেরও কল্যাণ এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।

১২.

সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ে আরোহণের দু‘আ

۞ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِه اَللّٰهُ أَكْبَرْ ، اَللّٰهُ أَكْبَرْ ، اَللّٰهُ أَكْبَرْ ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ ، أَنْجَزَ وَعْدَهٗ ، وَنَصَرَ عَبْدَهٗ ، وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهٗ
উচ্চারণঃ

ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আইরিল্লাহ। আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহী। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শরীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।

অর্থঃ

নিশ্চয়ই সাফা-মারওয়া পাহাড় আল্লাহর নিদর্শানাবলীর মধ্য থেকে অন্যতম নিদশর্ন। আল্লাহ যেভাবে শুরু করেছেন, আমিও সেভাবে শুরু করছি। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি একক। তার কোন শরীক নাই। সকল ক্ষমতা তার এবং সকল প্রশংসার উপযুক্ত তিনিই। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি একক, তিনি তার ওয়াদা পূরন করেন, তার বান্দাদের সাহায্য করেন এবং একাই সম্মিলিত দুশমন বাহিনীকে পরাজিত করেন।

১৩.

যমযমের পানি পান করার দু‘আ

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ ۞
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান নাফি‘আও, ওয়া রিযক্বন ওয়াসি‘আও, ওয়া শিফাআম মিন কুল্লি দাইন।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম এবং প্রশস্ত রিযিক এবং সর্বপ্রকার রোগের শিফা চাচ্ছি।

১৪.

আরাফার দিনের দু‘আ

۞ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থঃ

আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি একক। তার কোন শরীক নাই। সকল ক্ষমতা তার এবং সকল প্রশংসার উপযুক্ত তিনিই। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

১৫.

মুজদালিফার দু‘আ

۞ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ ، أَنْجَزَ وَعْدَهٗ ، وَنَصَرَ عَبْدَهٗ ، وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهٗ
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ।

১৬.

জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপের দু‘আ

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবর।

অর্থঃ

আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

১৭.

৯ই যিলহজ্ব এর দু‘আ (তাকবীরে তাশরীক)

۞ اَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ. لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ . وَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ. وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

অর্থঃ

আল্লাহ মহান! আল্লাহ মহান! আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এবং আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

১৮.

হজরে আসওয়াদ এবং মাকামে ইবরাহীমের মাঝের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ قَنِّعْنِيْ بِمَا رَزَقْتَنِيْ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَاخْلُفْ عَلَيَّ كُلَّ غَائِبَةٍ لِّيْ بِخَيْرٍ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা কান্নি‘নী বিমা রাযাকতানী, ওয়াবারিকলী ফীহি, ওয়াখলুফ আলাইয়া কুল্লা গা-ইবাতিন লী বিখাইরিন।

অর্থঃ

হে প্রভু! তুমি যে রিযিক (জীবিকা) আমাকে দান করেছ, তাতেই আমাকে তুষ্ট রাখ। এবং উহাতে বরকত দান কর। এবং আমার প্রতিটি অনুপস্থিত বিষয়ক তুমি মঙ্গলের সহিত রক্ষণাবেক্ষণ কর।

১৯.

রাসূল (ﷺ) এর রওজা পাকের সামনে দাঁড়িয়ে সালাম বলা

۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا حَبِيْبَ اللهِ ۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِىَّ اللهِ
উচ্চারণঃ

আসসালামু ‘আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ। আসসালামু ‘আলাইকা ইয়া হাবীবাল্লাহ। আসসালামু ‘আলাইকা ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ।

অর্থঃ

হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর হাবীব! আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর নবী! আপনার উপর সালাম। বি:দ্র: পারলে এ জাতীয় আরও বাক্য যোগ করা যায়। না পারলে বা বেশী সময় না পেলে যতটুকু সম্ভব বলবে, অন্তত প্রথম বাক্যটা বলবে।

২০.

বাইতুল্লাহ থেকে বিদায় নেয়ার সময় দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ هٰذَا اَۤخِرَ الْعَهْدِ بِبَيْتِكَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লা তাজ‘আল হাযা আ-খিরাল আহদি বিবাইতিক।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, তোমার ঘরের এই (সফর) শেষ বিদায় যেন না হয়।