দু'আ (রমযান অধ্যায়)

মোট বিষয় - ১০ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দু‘আ-১

share dua
details icon

۞ اَللّٰهُمَّ اَهِلَّهٗ عَلَيْنَا بِالْاَمْنِ وَالْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْاِسْلَامِ رَبِّيْ وَرَبُّكَ اللّٰهُ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি, রাব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাহ।

অর্থঃ হে আল্লাহ, এই চাঁদকে আমাদের উপর বরকত, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সহিত উদিত করুন, হে চাঁদ, আমার ও তোমার রব আল্লাহ তা’আলা।

.

নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দু‘আ-২

share dua
details icon

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ، اَللّٰهُمَّ أَهِلَّهٗ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضٰى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللّٰهُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।

.

রজব ও শা‘বান মাসের দু‘আ

share dua
details icon

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْ رَجَبَ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজাবা ওয়া শা‘বানা ওয়া বাল্লিগনা রমাযানা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে রজব ও শা’বান মাসের বরকত দান করুন ও আমাদেরকে রামাযান মাসে পৌঁছে দিন।

.

রমযান মাসে পড়ার দু‘আ

share dua
details icon

۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া না‘ঊযুবিকা মিনান নারি।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে জান্নাত দান করেন এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেন।

.

সাহরী খাওয়া

share dua
details icon

সাহরীর গুরুত্ব: রোযার নিয়তে সুবহে সাদিকের পূর্বে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তা হল সাহরী। সাহরী খাওয়া সুন্নত। সাহরীতে পেট ভরে খাওয়া আবশ্যক নয়; এক দুই ঢোক পানি পান করেও এ সুন্নত আদায় করা যায়। শেষ ওয়াক্তে সাহরী গ্রহণ করা উত্তম: সাহরী করা যেমন মুস্তাহাব তেমনি তা ওয়াক্তের শেষ দিকে করাও উত্তম। অর্থাৎ সতর্কতামূলক সময় হাতে রেখে সুবহে সাদিকের পূর্ব-নিকটবর্তী সময়ে সাহরী করা ভালো। নবীজী (ﷺ) বলেন, আমরা নবীগণ এ মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে, সময় হওয়ার সাথে সাথেই ইফতার করব এবং শেষ ওয়াক্তে সাহরী গ্রহণ করব। (আল-মুজামুল আওসাত, তবারানী, হাদীস নং: ১৮৮৪; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং: ৪৮৮০) সাহাবায়ে কেরামের আমলও এরকম ছিল। হযরত আমর ইবনে মাইমুন আলআউদী রাহ. বলেন সাহাবায়ে কেরাম সময় হওয়ার সাথে সাথেই দ্রুত ইফতার করতেন আর শেষ ওয়াক্তে সাহরী করতেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭৫৯১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৮৯৩২) সাহরীতে রয়েছে বরকত কিন্তু তা গ্রহণ করা ওয়াজিব নয়। কেননা নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ একটানা রোযা পালন করেছেন অথচ সেখানে সাহরির কোন উল্লেখ নেই।

.

ইফতারের সময় পড়বে-১

share dua
details icon

۞ يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণঃ ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি ইগফির্‌লী।

অর্থঃ হে মহান ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।

.

ইফতারের সময় পড়বে-২

share dua
details icon

۞ اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফত্বারতু।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রোযা রেখেছি এবং আপনার রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।

.

ইফতারের পর এ দু‘আ পড়বে খেজুর দিয়ে ইফতার করা নবীজী (ﷺ) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাই খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে। নবীজী (ﷺ) বলেন, তোমাদের কেউ ইফতার করলে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর না থাকলে পানি দিয়ে। কেননা তা পবিত্র বস্তু। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৬৯৫

share dua
details icon

۞ ذَهَبَ الظَّمَأُ. وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ. وَثَبَتَ الْاَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণঃ জাহাবায যমাউ ওয়াব তাল্লাতিল ‘উরূক্বু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।

অর্থঃ পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনী সমূহ সতেজ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ (রোযার সওয়াব) নিশ্চিত হয়েছে।

.

অন্যের বাড়ীতে ইফতার করলে এ দু‘আ পাঠ করবে

share dua
details icon

۞ اَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ وَاَكَلَ طَعَامَكُمُ الْاَ بْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ

উচ্চারণঃ আফত্বরা ‘ইনদাকুমুস সা-ইমূন ওয়া আকালা ত্ব‘আমাকুমুল আবরার, ওয়া সল্লাত ‘আলাইকুমুল মালাইকাতু।

অর্থঃ রোযাদারগণ যেন তোমাদের বাড়ীতে ইফতার করে এবং নেক লোকেরা যেন তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের উপর রহমতের দু‘আ করে।

১০.

শবে ক্বদরে পড়ার দু‘আ

share dua
details icon

اَللّٰهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ ۞

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউয়ুন তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।

অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি অতি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে পছন্দ করেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।