সালাতুল তাসবীহের ফযীলত

۞ سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
অর্থঃ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করতেছি, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নাই, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।
উৎসঃ সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং: ১২৯৯; সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ১৩৮৭; সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং: ১২১৬
উপকারিতাঃ
রাসূলুল্লাহ্ তাঁর চাচা সাইয়্যিদুনা আব্বাস (রাযি) কে বলেন, আমি আপনাকে রহমতের কথা বলব? আমি আপনাকে পুরস্কারের কথা বলব? আমি আপনাকে প্রাপ্তির কথা বলব? আমি আপনাকে স্রষ্টার অনুগ্রহের কথা বলব? আমি আপনাকে সৃষ্টিকর্তার দয়া-অনুগ্রহ ও অনুকম্পার কথা বলব? যখন আপনি নামায-টি পড়বেন তখন আল্লাহ তা‘আলা আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের, নতুন ও পুরোনো জানা এবং অজানা, ছোট-বড়, গুপ্ত ও প্রকাশিত সব পাপ মাফ করে দিবেন। তারপর নবীজী সালাতুল তাসবীহ পড়ার পুরো ব্যাপারটি দেখিয়ে দিলেন এবং আরো বলেন, যদি পারেন তবে এই নামায দিনে একবার পড়বেন, না হলে প্রতি জুমআর দিনে, যদি তাও না পারেন তবে মাসে একবার, আর তাও না সম্ভব হলে বছরে একবার, আর এটাও যদি সম্ভব না হয় তবে পুরো জীবদ্দশায় একবার। পড়ার পদ্ধতি চার রাকাত সালাতুত তাসবীহ নফল নামাযের নিয়ত করত যথারীতি সূরা ফাতেহার পর সূরা/কিরাত পাঠ করে তারপর দাঁড়ানো অবস্থাতেই উক্ত তাসবীহ ১৫ বার পড়বে, তারপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পড়ার পর উক্ত তাসবীহ ১০ বার, তারপর রুকু থেকে উঠে ’রব্বানা লাকাল হামদু’ বলার পর উক্ত তাসবীহ ১০ বার, তারপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ বলার পর উক্ত তাসবীহ ১০ বার, সিজদা থেকে উঠে দুই সিজদার মাঝখানে বসে ১০ বার পড়বে। তারপর দ্বিতীয় সিজদায় অনুরূপ ১০ বার, তারপর দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে বসে ১০ বার পড়বে। এই হল ১ রাকাতে ৭৫ বার। এরপর (আল্লাহু আকবার বলা ব্যতীতই) দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠবে এবং এইরূপে দ্বিতীয় রাকাত পড়বে। যখন দ্বিতীয় রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু... পড়ার জন্য বসবে, তখন আগে উক্ত তাসবীহ ১০ বার পড়বে তারপর আত্যাহিয়্যাতু পড়বে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠবে। অতঃপর তৃতীয় রাকাত ও চতুর্থ রাকাতেও উক্ত নিয়মে উক্ত তাসবীহ পাঠ করবে।