দু'আ

কারো আপনজনের মৃত্যু হলে এ দু‘আ দ্বারা সান্ত্বনা দিবে

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

কারো আপনজনের মৃত্যু হলে এ দু‘আ দ্বারা সান্ত্বনা দিবে

share dua

۞ اِنَّ لِلّٰهِ مَا اَخَذَ وَلِلّٰهِ مَا اَعْطٰی وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهٗ بِاَجَلٍ مُّسَمًّى فَاصْبِرْ وَاحْتَسِبْ

উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লাহি মা আখাযা ওয়া লিল্লাহি মা আ‘ত্বা ওয়া কুল্লু শাই ইন ‘ইনদাহূ বিআজালিম মুসাম্মান ফাসবির ওয়াহ তাসিব।

অর্থঃ নিশ্চয়ই (সমস্ত কিছু) আল্লাহ পাকেরই যা তিনি নিয়ে নিয়েছেন, আর যা প্রদান করেছেন তাও আল্লাহ পাকেরই এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রত্যেকের মৃত্যুকাল নির্ধারিত রয়েছে। সুতরাং তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সওয়াব-এর আশা কর।

উপকারিতাঃ

হযরত উসামা ইবনে যায়িদ (রাযি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী এর কন্যা (যায়নাব) তাঁর খিদমতে লোক পাঠালেন যে, আমার এক পুত্র মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে, তাই আপনি আমাদের এখানে আসুন। তিনি বলে পাঠালেন, (তাকে) সালাম দিবে এবং বলবেঃ আল্লাহরই অধিকারে যা কিছু তিনি নিয়ে যান আর তাঁরই অধিকারে যা কিছু তিনি দান করেন। তাঁর কাছে সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সে যেন সবর করে এবং সাওয়াবের আশায় থাকে। তখন তিনি তাঁর কাছে কসম দিয়ে পাঠালেন, তিনি যেন অবশ্যই আসেন। তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং তাঁর সাথে ছিলেন সা’দ ইবনে উবাদা, মু’আয ইবনে জাবাল, উবাই ইবনে কা’ব, যায়দ ইবনে সাবিত (রাযি) এবং আরও কয়েক জন। তখন শিশুটিকে রাসূল এর কাছে তুলে দেওয়া হল। তখন তার জান ছঠফট করছিল। রাবী বলেন, আমার ধারনা যে, তিনি বলেছিলেন, যেন তার শ্বাস মশকের মত (আওয়াজ হচ্ছিল)। আর নবী এর দু’ চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। সা’দ (রাযি) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একি? তিনি বললেন, হচ্ছে রহমত, যা আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার অন্তরে আমানত রেখেছেন। আর আল্লাহ পাক তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতই দয়া করেন।

উৎসঃ সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ১২৮৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯২৩