۞ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ الْعَظِيْمُ الْحَلِيْمُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আযীমুল হালীম, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম
আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বূদ নাই। যিনি মহান, মহা ধৈর্যময় মহা বিচক্ষণ, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বূদ নাই। যিনি মহান আরশের প্রভু, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বূদ নাই। যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের অধিপতি।
۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
আল্লাহুম্মাগ্ফিরলি ওয়ারহাম্নি ওয়াজ্বুরনি ওয়াহ্দিনি ওয়া ‘আ-ফিনি ওয়ার্যুক্বনি।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রিযিক দান করুন।
۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّ لَاۤ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফ্সি যুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগ্ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগ্ফিরলি মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা, ওয়ারহাম্নি ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম।
হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপর অসংখ্য জুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হতে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপর অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ
আল্লহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম ওয়া মিন আজাবিল কবরি ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে।
۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফি‘আ, ওয়া রিযক্বান ত্বইয়িবা, ওয়া আ‘মালান-মুতাক্বাব্বালা।
হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম, উত্তম রিযক, ও মাকবূল (কবূল হওয়ার মত) আমলের তাওফিক চাই।
۞ سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ، وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ. وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ- اَللّٰهُمَّ اٰمِيْنْ
সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইযযাতি আম্মা ইয়াসিফুন, ওয়া সালামুন আ‘লাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
আপনার প্রতিপালক যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী তিনি পবিত্র ঐ সকল কথা থেকে যা কাফিররা বলে থাকে এবং নবীদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক এবং সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য।
۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَاۤ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَاۤ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ، اَللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِيْ بِهٖ
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখিরুকা বি‘ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিক্বুদ্রাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাদ্লিকাল আযীম। ফা ইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু, ওয়া আনতা ’আল্লামূল গুয়ূব। আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আম্রা (বলে, মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) খাইরুন লী ফী দ্বীনি ওয়া মা‘আশী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাকদিরহু লী, ওয়া ইয়াস্সিরহু লী, ছুম্মা বারিক লী ফীহি। ওয়া ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা (বলে, মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) শাররুন লী ফী দীনী ওয়া মা’আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফনী ‘আনহু, ওয়াকদুর লিয়াল-খাইর। হাইসু কা-না, সুম্মা আরদ্বিনী বিহ্।
হে আল্লাহ! আমি আপনার ইলমের উসিলায় আপনার নিকট মঙ্গল কামনা করছি এবং আপনার কুদরতের উসিলায় আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার নিকট আপনার মহান অনুগ্রহ কামনা করছি। কেননা, আপনি ক্ষমতাবান, আর আমি অক্ষম এবং আপনি সর্বজ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ, এবং আপনি সমস্ত গোপন সম্পর্কে জ্ঞাত। হে আল্লাহ! যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার জন্য আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে মঙ্গলজনক হয়, তবে তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন এবং একে সহজ করে দিন। অতঃপর এর মধ্যে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে আমার জন্য মঙ্গলজনক না হয়, তবে আপনি এ কাজটিকে আমার থেকে দূরে রাখুন এবং যেখানেই আমার জন্য মঙ্গল রয়েছে তা আমার জন্য নির্ধারিত করুন এবং তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট করে দিন।
ইস্তিখারার উল্লেখিত পদ্ধতি কিছুটা দীর্ঘ। অনেক সময় মানুষ সিদ্ধান্ত পৌঁছার জন্য এত দীর্ঘ সময় নাও পেতে পারে। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সংক্ষিপ্ত দু‘আ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। দু‘আটি এই- ۞ اَللّٰهُمَّ خِرْ لِيْ وَاخْتَرْلِيْ অর্থ: হে আল্লাহআপনিই ঠিক করে দিন যে, আমাকে কোনটি অবলম্বন করতে হবে।’(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৫১৬; মুসনাদুল বাযযার, হাদীস নং: ৫৯; মুসনাদে আবু ইয়া'লা, হাদীস নং: ৪৪) এছাড়া আরেকটি দু‘আ হাদীস শরীফে রয়েছে- ۞ اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ، وَسَدِّدْنِيْ অর্থ: হে আল্লাহ! পথ দেখান সোজা এবং দেখান। পথ আমাকে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৭২৫) অনুরূপভাবে এ দু‘আটিও হাদীস শরীফে এসেছে- ۞ اَللّٰهُمَّ أَلْهِمْنِيْ رُشْدِيْ অর্থ: হে আল্লাহ! যে পথটি সঠিক তা আমার অন্তরে ঢেলে দিন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৪৮৩) যদি আরবীতে সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে নিজের ভাষায় এ দু‘আগুলো করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে যদি মুখে উচ্চারণ সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে মনে মনে হলেও এ দু‘আগুলো করা।
۞ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আংতাস্ সামী‘ঊল ‘আলীম। ওয়াতুব্ ‘আলাইনা, ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়্যা-বুর রাহিম।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ হতে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি এবং কেবল আপনিই সব কিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।
۞ رَبَّنَا اٰ تِنَا مِن لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি আপনার নিকট থেকে বিশেষ রহমত নাযিল করুন এবং আমাদের এ পরিস্থিতিতে আমাদের জন্য কল্যাণকর পথের ব্যবস্থা করে দিন।
۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اۤلِ مُحَمَّدٍ ،كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اۤلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اۤلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اۤلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
আল্লাহুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা ‘আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাক্তা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।
হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপর, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম (আ.) ও ইবরাহিমের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপর, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহিম (আ.) ও ইবরাহিমের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَ لَاۤ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ،- اَللّٰهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ,ওয়া নাসতাগ্ফিরুকা,ওয়া নু’মিনুবিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইক, ওয়ানুসনি আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা , ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু, মাই ইয়াফ জুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু, ওয়ালাকানুছল্লি, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাসআ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিলকুফ্ফারি মুলহিক।
হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামায পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, এবং আমরা আপনার আযাবকে ভয় করি। নিশ্চাই আপনার প্রকৃত আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।
۞ سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করতেছি, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নাই, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।
বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে আল্লাহ’র জন্য দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে সালাতুল হাজত বলা হয়।(সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ১৩৮৪) সংগত কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর নিকটে ছবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে। (সূরা বাকারাহ, আয়াত নং: ১৫৩) আল্লাহর নিকট বান্দার বিশেষ কোন প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক মানসিক যে কোন পেরেশানি দেখা দিলে উত্তমভাবে উযূ করে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও ছানা (প্রশংসা) এবং দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহর নিকট দু‘আ করবে। ۞ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ، سُبْحَانَ اللّٰهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، لَاۤ تَدَعْ لِي ْذَنْبًا إِلَّا غَفَرْتَهٗ ، وَ لَاۤ هَمًّا إِلَّا فَرَّجْتَهٗ، وَلَاۤ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلَّا قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম। সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছআলুকা মু’জিবাতি রহমাতিকা ওয়া আযা-ইমা মাগফিরাতিকা ওয়াল গ’নিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন, লা তাদা’লি- যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা কদাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন।
পরম সহনশীল ও দয়ালু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ অতীব পবিত্র। সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ্র জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট অবধারিত রহমত, তোমার অফুরন্ত ক্ষমা, সকল সদাচারের ভান্ডার এবং প্রতিটি পাপাচার থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট আরো প্রার্থনা করি যে, তুমি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দাও, আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দাও, তোমার সন্তুষ্টিমূলক প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করে দাও।
۞ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর সবরের গুণ ঢেলে দাও এবং আমাদেরকে অবিচল-পদ রাখ, আর কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান কর।
۞ وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللّٰهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ إِنْ تَرَنِ أَنَا أَقَلَّ مِنْكَ مَالًا وَوَلَدًا ﴿۳۹﴾
যদি তুমি আমাকে ধনে ও সন্তানে তোমার চাইতে কম দেখ, তবে যখন তুমি তোমার বাগানে প্রবেশ করলে, তখন একথা কেন বললে না; আল্লাহ যা চান, তাই হয়। আল্লাহর দেয়া ব্যতীত কোন শক্তি নেই।
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ تَسْمَعُ كَـلَامِيْ، وَتَرٰى مَكَانِيْ، وَتَعْلَمُ سِرِّيْ وَعَلَانِيَتِىْ، لَا يَخْفٰى عَلَيْكَ شَيْءٌ مِّنْ أَمْرِيْ، وَأَنَا الْبَآئِسُ الْفَقِيْرُ الْمُسْتَغِيْثُ الْمُسْتَجِيْرُ الْوَجِلُ الْمُشْفِقُ الْمُقِرُّ الْمُعْتَرِفُ بِذَنْبِىْ، أَسْأَلُكَ مَسْأَلَةَ الْمِسْكِيْنِ، وَأَبْتَهِلُ إِلَيْكَ ابْتِهَالَ الْمُذْنِبِ الذَّلِيْلِ، وَأَدْعُوْكَ دُعَآءَ الْخَآئِفِ الضَّرِيْرِ، وَدُعَآءَ مَنْ خَضَعَتْ لَكَ رَقَبَتُهٗ، وَفَاضَتْ لَكَ عَبْرَتُهٗ، وَذَلَّ لَكَ جِسْمُهٗ، وَرَغِمَ لَكَ أَنْفُهٗ. اَللّٰهُمَ لَا تَجْعَلْنِيْ بِدُعَآئِكَ شَقِيًّا، وَكُنْۢ بِيْ رَؤُوْفًا رَّحِيْمًا، يَا خَيْرَ الْمَسْؤُوْلِيْنَ! وَيَا خَيْرَ الْمُعْطِيْنَ! اَللّٰهُمَّ إِلَيْكَ أَشْكُوْ ضُعْفَ قُوَّتِيْ وَقِلَّةَ حِيْلَتِيْ وَهَوَانِيْ عَلَى النَّاسِ، يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ، إِلٰى مَنْ تَكِلُنِيْ؟ إِلٰى عَدُوٍّ يَـتَجَهَّمُنِيْ؟ أَمْ إِلٰى قَرِيْبٍ مَّلَّكْتَهٗ أَمْرِيْ؟ إِنْ لَّمْ تَكُنْ سَاخِطًا عَلَيَّ فَلَاۤ أُبَالِيْ غَيْرَ أَنَّ عَافِيَتَكَ أَوْسَعُ لِىْ.
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার কথা শুনছেন, আমার জায়গা (অবস্থান) দেখছেন, আমার গোপন ও প্রকাশ্য আপনার জানা, কোনো কিছুই আপনার অগোচর নয়। আমি তো দুর্দশাগ্রস্ত, মুখাপেক্ষী, ফরিয়াদী, আশ্রয়প্রার্থী, ভীত ও সন্ত্রস্ত, কৃতপাপ স্বীকারকারী। আপনার কাছে প্রার্থনা করছি নিঃস্ব ভিখারীর প্রার্থনা; আপনার সমীপে ক্রন্দন করছি তুচ্ছ পাপীর ক্রন্দন, আর আপনাকে ডাকছি ভীত ও বিপদগ্রস্তের ডাক এবং যেভাবে ঐ লোক ডাকে, যার গর্দান আপনার সমীপে অবনত, যার অশ্রু আপনার সম্মুখে প্রবাহিত, যার দেহ আপনার সম্মুখে লাঞ্ছিত আর যার নাক আপনার সামনে ধূলি-ধূসরিত। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা আমাকে দুর্ভাগা সাব্যস্ত কোরেন না, আমার প্রতি হোন পরম দয়ালু ও মেহেরবান। হে শ্রেষ্ঠ প্রার্থনাস্থল! সকল দাতার শ্রেষ্ঠ দাতা! ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অভিযোগ করছি নিজের দুর্বলতার, উপায়হীনতার ও লোকের চোখে মর্যাদাহীনতার। হে সকল দয়াময়ের বড় দয়াময়! কার হাতে আমাকে সমর্পণ করছেন? কোনো দুশমনের হাতে, যে আমার উপর নির্যাতন করবে? কিংবা কোনো দোস্তের ইখতিয়ারে আমার সব কিছু অর্পণ করছেন? আপনি যদি আমার প্রতি নারাজ না হয়ে থাকেন, তবে এসবের কোনো কিছুরই পরোয়া আমার নেই। তবে আপনার নিরাপত্তাই আমার জন্য অধিক প্রশস্ততাপূর্ণ।১০৯
اَللّٰهُمَّ افْتَحْ أَقْفَالَ قُلُوْبِنَا بِذِكْرِكَ، وَأَتْمِمْ عَلَيْنَا نِعْمَتَكَ، وَأَسْبِـغْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلِكَ، وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ.
ইয়া আল্লাহ! আপনার স্মরণ দ্বারা আমাদের হৃদয়ের তালাসমূহ খুলে দিন এবং আমাদের উপর আপনার দান পূর্ণ করুন। আমাদের প্রতি আপনার করুণা বর্ষণ করুন এবং আমাদেরকে আপনার নেক বান্দাদের মাঝে শামিল করুন।১৫১
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে