দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সূরা ওয়াকিয়া

إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ خَافِضَةٌ رَافِعَةٌ إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا فَكَانَتْ هَبَاءً مُنْبَثًّا وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ وَقَلِيلٌ مِنَ الْآخِرِينَ عَلَى سُرُرٍ مَوْضُونَةٍ مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِنْ مَعِينٍ لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ وَفَاكِهَةٍ مِمَّا يَتَخَيَّرُونَ وَلَحْمِ طَيْرٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ وَحُورٌ عِينٌ كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ فِي سِدْرٍ مَخْضُودٍ وَطَلْحٍ مَنْضُودٍ وَظِلٍّ مَمْدُودٍ وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ لَا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا عُرُبًا أَتْرَابًا لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ وَثُلَّةٌ مِنَ الْآخِرِينَ وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ وَظِلٍّ مِنْ يَحْمُومٍ لَا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنْثِ الْعَظِيمِ وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ لَآكِلُونَ مِنْ شَجَرٍ مِنْ زَقُّومٍ فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تُمْنُونَ أَأَنْتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ عَلَى أَنْ نُبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنْشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَحْرُثُونَ أَأَنْتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ لَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ إِنَّا لَمُغْرَمُونَ بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِي تَشْرَبُونَ أَأَنْتُمْ أَنْزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُونَ لَوْ نَشَاءُ جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ أَأَنْتُمْ أَنْشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنْشِئُونَ نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِلْمُقْوِينَ فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْتُمْ مُدْهِنُونَ وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ فَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ فَسَلَامٌ لَكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ فَنُزُلٌ مِنْ حَمِيمٍ وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণঃ

ইযা-ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ। লাইছা লিওয়াক‘আতিহা-কা-যিবাহ। খা-ফিদাতুর রাফি‘আহ। ইযা-রুজ্জাতিল আরদুরাজ্জা-। ওয়া বুছছাতিল জিবা-লুবাছছা-। ফাকা-নাত হাবাআম মুমবাছছা-। ওয়া কুনতুম আঝওয়া-জান ছালা-ছাহ। ফাআসহা-বুল মাইমানাতি মাআসহা-বুল মাইমানাহ। ওয়া আসহা-বুল মাশআমাতি মাআসহা-বুল মাশআমাহ । ওয়াছছা-বিকূনাছছা-বিকূন। উলাইকাল মুকাররাবূন। ফী জান্না-তিন না‘ঈম। ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন। ওয়া কালীলুম মিনাল আ-খিরীন। ‘আলা-ছুরুরিমমাওদূ নাহ। মুত্তাকিঈনা ‘আলাইহা-মুতাকা-বিলীন। ইয়াতূ ফূ‘আলাইহিম বিলদা-নুমমুখাল্লাদূন। বিআকওয়া-বিওঁ ওয়া আবা-রীকা ওয়াকা’ছিম মিম্মা‘ঈন। লা-ইউসাদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-ওয়ালা ইউনঝিফূন। ওয়া ফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়ারূন। ওয়া লাহমি তাইরিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন। ওয়া হূরুন ‘ঈন। কাআমছা-লিল লু’লুয়িল মাকনূন। জাঝাআম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন। লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়াওঁ ওয়ালা-তা’ছীমা-। ইল্লা-কীলান ছালা-মান ছালা-মা-। ওয়া আসহা-বুল ইয়ামীনি মাআসহা-বুল ইয়ামীন। ফী ছিদরিম মাখদূদ। ওয়া তালহিমমানদূ দ। ওয়া জিলিলমমামদুদ। ওয়া মাইমমাছকূব। ওয়া ফা-কিহাতিন কাছীরাহ। লা-মাকতূ‘আতিওঁ ওয়ালা-মামনূ‘আহ। ওয়া ফুরুশিমমারফূ‘আহ। ইন্নাআনশা’না-হুন্না ইনশাআ। ফাজা‘আলনা-হুন্না আবকা-রা। ‘উরুবান আতরা-বা-। লিআসহা-বিল ইয়ামীন। ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন। ওয়া ছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন। ওয়া আসহা-বুশশিমা-লি মাআসহা-বুশ শিমা-ল। ফী ছামূমিওঁ ওয়া হামীম। ওয়া জিলিলম মিইঁ ইয়াহমূম। লা-বা-রিদিওঁ ওয়ালা-কারীম। ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুতরাফীন। ওয়াকা-নূইউসিররূনা ‘আলাল হিনছিল ‘আজীম। ওয়া কা-নূইয়াকূলূনা আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্নালামাব‘ঊছূন। আওয়া আ-বাউনাল আওওয়ালূন। কুল ইন্নাল আওওয়ালীনা ওয়াল আ-খিরীন। লামাজমূ‘ঊনা ইলা-মীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম। ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন। লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম। ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন। ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম। ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম। হা-যা-নুঝুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন। নাহনুখালাকনা-কুম ফালাওলা-তুসাদ্দিকূন। আফারাআইতুমমা-তুমনূন। আ আনতুম তাখলুকূনাহূআম নাহনুল খা-লিকূন। নাহনুকাদ্দারনা-বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন। ‘আলাআননুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম ওয়া নুনশিআকুম ফী মা-লা-তা‘লামূন। ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুন্নাশআতাল ঊলা-ফালাওলা-তাযাক্কারূন। আফারাআইতুম মা-তাহরুছূন। আআনতুম তাঝরা‘ঊনাহূআম নাহনুঝঝা-রি‘ঊন। লাও নাশা-উ লাজা‘আলনা-হু হুতা-মান ফাজালতুম তাফাক্কাহূন। ইন্না-লামুগরামূন। বাল নাহনুমাহরূমূন। আফারাআইতুমুল মাআল্লাযী তাশরাবূন। আ আনতুম আনঝালতুমূহু মিনাল মুঝনি আম নাহনুল মুনঝিলূন। লাও নাশাউ জা‘আলনা-হু উজা-জান ফালাওলা-তাশকুরূন। আফারাআইতুমুন্না-রাল্লাতী তূরূন। আ আনতুম আনশা’তুম শাজারাতাহাআম নাহনুল মুনশিঊন। নাহনুজা‘আলনা-হা-তাযকিরাতাওঁওয়া মাতা-‘আল লিলমুকবিন। ফাছাববিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম। ফালাউকছিমুবিমাওয়া-কি‘ইননুজূম। ওয়া ইন্নাহূলাকাছামুল লাও তা‘লামূনা ‘আজীম। ইন্নাহূলাকুরআ-নুন কারীম। ফী কিতা-বিম মাকনূন। লা-ইয়ামাছছুহূইল্লাল মুতাহহারূন। তানঝীলুম মির রাব্বিল ‘আ-লামীন। আফা বিহা-যাল হাদীছিআনতুম মুদহিনূন। ওয়া তাজ‘আলূনা রিঝকাকুম আন্নাকুম তুকাযযি বূন। ফালাও লাইযা-বালাগাতিল হুলকূম। ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানজু রূন। ওয়া নাহনুআকরাবুইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা-তুবসিরূন। ফালাওলাইন কুনতুম গাইরা মাদীনিন। তার জি‘ঊনাহাইন কুনতুম সা-দিকীন। ফাআম্মাইন কা-না মিনাল মুকাররাবীন। ফারাওহুওঁ ওয়া রাই হা-নুওঁ ওয়া জান্নাতুনা‘ঈম। ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আসহা-বিল ইয়ামীন। ফাছালা-মুল্লাকা মিন আসহা-বিল ইয়ামীন। ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকাযযি বীনাদ্দাল্লীন। ফানুঝুলুম মিন হামীম। ওয়া তাসলিয়াতুজাহীম। ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াকীন। ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।

অর্থঃ

যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না। তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত। যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে। আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে। অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে। আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে। সুতরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান! আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য! আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী। তারাই সান্নিধপ্রাপ্ত। তারা থাকবে নিআমতপুর্ণ জান্নাতসমূহে । বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে, আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে। স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে! তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়। তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা, পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপুর্ণ পেয়ালা নিয়ে, তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে। আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে। আর পাখির গোশ্ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে। আর থাকবে ডাগরচোখা হূর, যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা, তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ। তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা; শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’ আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল! তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে, আর কাঁদিপণূর্ কলাগাছের নিচে, আর বিস্তৃত ছায়ায়, আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে, আর প্রচুর ফলমূলে, যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না। (তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে; নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব। অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী সোহাগিনী ও সমবয়সী। ডানদিকের লোকদের জন্য। তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে। আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে। আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে, আর প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়, যা শীতলও নয়, সখু করও নয়। নিশ্চয় তারা ইতঃপূবের্ বিলাসিতায় মগ্ন ছিল, আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত। আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?’ ‘আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?’ বল, ‘নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা, এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে’। তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা, তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে, অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে। তদুপরি পান করবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি। অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায় প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী, আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না? তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীযর্পাত করছ সে সম্পর্কে? তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা? আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না, তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না। আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না? তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে, তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি? আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে- (এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’। ‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’। তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বষর্ণ কর, না আমি বৃষ্টি বষর্ণ কারী? ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না? তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল, তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি? একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর। সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের, আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে, নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া। তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত। তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ? আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে। সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়? আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক। আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না। তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়, তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত। আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন, তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’। আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট, তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে, আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে। নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য। অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

.

দু‘আ-ই মাসুরাহ-১

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّ لَاۤ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফ্‌সি যুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগ্‌ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগ্‌ফিরলি মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা, ওয়ারহাম্‌নি ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপর অসংখ্য জুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হতে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপর অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।

.

নামাযের মধ্যে ওয়াসওয়াসা বন্ধের যিকির

۞ أَعُوْذُ بِا للہِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণঃ

আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রজীম।

অর্থঃ

আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

.

পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর পড়ার দু‘আ সমূহ

১. اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ ۞ উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ। অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। ২. اَللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ ۞ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতাস্‌ সালামু ওয়া মিন্‌কাস্ সালাম, তাবারক্‌তা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম। অর্থ: হে আল্লাহ্‌! আপনিই শান্তিদাতা এবং আপনার থেকেই কেবল শান্তি কামনা করি। আপনি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও সম্মানের অধিকারী। আমল নবী কারীম (ﷺ) সালাত শেষে তিনবার ইস্তিগফার করে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৫৯১, ৫৯২) ৩. এই দু‘আটি ১ বার পড়বে ۞ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَاۤ شَرِيْكَ لَهٗ. لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ. اَللّٰهُمَّ لَاۤ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَ لَاۤ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَ لَاۤ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদ। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির। আল্লাহুম্মা লা-মানিয়া লিমা আতাইত। ওয়া-লা মুতিয়া লিমা মানা‘তা ওয়ালা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ। অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁর। তারই জন্য সকল প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান, হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান তা কেউ রোধ করতে পারে না, আর আপনি যা রোধ করতে চান তা কেউ দিতে পারবে না এবং কোন সম্পদশালীকে তার সম্পদ আপনার থেকে রক্ষা করতে পারে না। আমল হযরত মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাযি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) প্রত্যেক ফরয সালাত এর পর উক্ত দু‘আ পড়তেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ৮৪৪; ইবনুস সুন্নী, হাদীস নং: ১৩৭, ১৩৬) ৪. اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ ۞ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আঈন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিক। অর্থ: হে আল্লাহ্‌! আমাকে আপনার যিকির, শোকর এবং উত্তম রূপে ইবাদত করতে সাহায্য করুন। আমল হযরত মু‘আয ইবনে জাবাল (রাযি) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী (ﷺ) তার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি। তিনি বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর উক্ত দু‘আটি কখনো পরিহার করবে না। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং: ১৫২২; সুনানে কুবরা, নাসায়ী, হাদীস নং: ৯৮৫৭) ৫. আয়াতুল কুরসী (১বার) ফযীলত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ব্যতীত কোন কিছু তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। (সুনানে কুবরা, নাসায়ী, হাদীস নং: ৯৯২৮; ইবনুস্ সুন্নী, হাদীস নং: ১২৩) ৬. তাসবীহে ফাতেমী: অর্থাৎ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবর। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৫৯৫-১)

.

মুনাজাতের মধ্যে দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফি‘আ, ওয়া রিযক্বান ত্বইয়িবা, ওয়া আ‘মালান-মুতাক্বাব্বালা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম, উত্তম রিযক, ও মাকবূল (কবূল হওয়ার মত) আমলের তাওফিক চাই।

.

মুনাজাতের মধ্যে দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ حَـاسِـبْـنِـىْ حِـسَـابًا يَّـسِـيْـرًا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা হাসিবনী হিসাবাই ইয়াসীরা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমার হিসাবকে সহজ করে দিও।

.

ইস্তিখারার সংক্ষিপ্ত দু‘আ

ইস্তিখারার উল্লেখিত পদ্ধতি কিছুটা দীর্ঘ। অনেক সময় মানুষ সিদ্ধান্ত পৌঁছার জন্য এত দীর্ঘ সময় নাও পেতে পারে। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সংক্ষিপ্ত দু‘আ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। দু‘আটি এই- ۞ اَللّٰهُمَّ خِرْ لِيْ وَاخْتَرْلِيْ অর্থ: হে আল্লাহআপনিই ঠিক করে দিন যে, আমাকে কোনটি অবলম্বন করতে হবে।’(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৫১৬; মুসনাদুল বাযযার, হাদীস নং: ৫৯; মুসনাদে আবু ইয়া'লা, হাদীস নং: ৪৪) এছাড়া আরেকটি দু‘আ হাদীস শরীফে রয়েছে- ۞ اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ، وَسَدِّدْنِيْ অর্থ: হে আল্লাহ! পথ দেখান সোজা এবং দেখান। পথ আমাকে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৭২৫) অনুরূপভাবে এ দু‘আটিও হাদীস শরীফে এসেছে- ۞ اَللّٰهُمَّ أَلْهِمْنِيْ رُشْدِيْ অর্থ: হে আল্লাহ! যে পথটি সঠিক তা আমার অন্তরে ঢেলে দিন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৪৮৩) যদি আরবীতে সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে নিজের ভাষায় এ দু‘আগুলো করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে যদি মুখে উচ্চারণ সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে মনে মনে হলেও এ দু‘আগুলো করা।

.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-১

۞ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ وَتُبۡ عَلَیۡنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ
উচ্চারণঃ

রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আংতাস্ সামী‘ঊল ‘আলীম। ওয়াতুব্ ‘আলাইনা, ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়্যা-বুর রাহিম।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ হতে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি এবং কেবল আপনিই সব কিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।

.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৩

۞ رَبَّنَا اٰ تِنَا مِن لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
উচ্চারণঃ

রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি আপনার নিকট থেকে বিশেষ রহমত নাযিল করুন এবং আমাদের এ পরিস্থিতিতে আমাদের জন্য কল্যাণকর পথের ব্যবস্থা করে দিন।

১০.

দরূদ

۞ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اۤلِ مُحَمَّدٍ ،كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اۤلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اۤلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اۤلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা ‘আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইব্‌রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাক্‌তা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপর, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম (আ.) ও ইবরাহিমের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপর, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহিম (আ.) ও ইবরাহিমের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

১১.

দু‘আ-ই কুনুত

۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ، اَللّٰهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ,ওয়া নাসতাগ্‌ফিরুকা,ওয়া নু’মিনুবিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইক, ওয়ানুসনি আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা , ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু, মাই ইয়াফ জুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু, ওয়ালাকানুছল্লি, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাসআ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিলকুফ্‌ফারি মুলহিক।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামায পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, এবং আমরা আপনার আযাবকে ভয় করি। নিশ্চাই আপনার প্রকৃত আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।

১২.

সালাতুল হাজত

বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে আল্লাহ’র জন্য দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে সালাতুল হাজত বলা হয়।(সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ১৩৮৪) সংগত কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর নিকটে ছবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে। (সূরা বাকারাহ, আয়াত নং: ১৫৩) আল্লাহর নিকট বান্দার বিশেষ কোন প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক মানসিক যে কোন পেরেশানি দেখা দিলে উত্তমভাবে উযূ করে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও ছানা (প্রশংসা) এবং দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহর নিকট দু‘আ করবে। ۞ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ، سُبْحَانَ اللّٰهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، لَاۤ تَدَعْ لِي ْذَنْبًا إِلَّا غَفَرْتَهٗ ، وَ لَاۤ هَمًّا إِلَّا فَرَّجْتَهٗ، وَلَاۤ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلَّا قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম। সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছআলুকা মু’জিবাতি রহমাতিকা ওয়া আযা-ইমা মাগফিরাতিকা ওয়াল গ’নিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন, লা তাদা’লি- যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা কদাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন।

অর্থঃ

পরম সহনশীল ও দয়ালু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ অতীব পবিত্র। সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ্‌র জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট অবধারিত রহমত, তোমার অফুরন্ত ক্ষমা, সকল সদাচারের ভান্ডার এবং প্রতিটি পাপাচার থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট আরো প্রার্থনা করি যে, তুমি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দাও, আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দাও, তোমার সন্তুষ্টিমূলক প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করে দাও।

১৩.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৪

۞ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
উচ্চারণঃ

রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর সবরের গুণ ঢেলে দাও এবং আমাদেরকে অবিচল-পদ রাখ, আর কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান কর।

১৪.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-১৭

۞ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَآءِ تَكُوْنُ لَنَا عِيْدًا لِّأَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰيَةً مِّنْكَ ۖ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ
উচ্চারণঃ

রাব্বানাআনঝিল ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই তাকূনুলানা-‘ঈদাল লিআওওয়ালিনা-ওয়া আ-খিরিনা-ওয়া আ-ইয়াতাম মিনকা ওয়ারঝুকনা-ওয়া আনতা খাইরুর রা-ঝিকীন।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমাদের পালনকর্তা আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবার জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রুযীদাতা।

১৫.

বদনজরের আয়াত-৩

۞ وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللّٰهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ إِنْ تَرَنِ أَنَا أَقَلَّ مِنْكَ مَالًا وَوَلَدًا ﴿۳۹﴾
উচ্চারণঃ

ওয়ালাওলাইযদাখালতা জান্নাতাকা কুলতা মা-শাআল্লা-হু লা-কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ইন তারানি আনা আকাল্লা মিনকা মা-লাওঁ ওয়া ওয়ালাদা-।

অর্থঃ

যদি তুমি আমাকে ধনে ও সন্তানে তোমার চাইতে কম দেখ, তবে যখন তুমি তোমার বাগানে প্রবেশ করলে, তখন একথা কেন বললে না; আল্লাহ যা চান, তাই হয়। আল্লাহর দেয়া ব্যতীত কোন শক্তি নেই।

১৬.

কারো থেকে বিদায় নেয়ার সময় এ দু‘আ পড়বে

۞ اَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ
উচ্চারণঃ

আস্তাউদি‘উ কুমুল্লা হাললাযী লা তাযী‘উ ওয়াদা ই ‘উহূ।

অর্থঃ

আমি তোমাকে এমন সত্তার কাছে আমানত রেখে যাচ্ছি, যিনি তার আমানত কখনও নষ্ট করেন না।

১৭.

নিজের প্রশংসা শুনলে বলা

۞ اَللّٰهُمَّ لاَ تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا يَقُولُوْنَ ، وَاغْفِرْ لِيْ مَا لاَ يَعْلَمُوْنَ وَاجْعَلْنِيْ خَيْرًا مِّمَّا يَظُنُّوْنَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লা তুআখিযনি বিমা ইয়াক্বুলুনা ওয়াগফিরলি মা লা ইয়া’লামুনা ওয়াজ’আলনি খইরাম মিম্মা ইয়াযুন্নুন।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তাদের কথার জন্য আমাকে পাকড়াও করো না; তারা যা জানে না, সেসব বিষয়ে আমাকে মাফ করো; আর আমাকে তাদের ধারণার চেয়ে উত্তম বানিয়ে দাও।

১৮.

একান্ত প্রিয় বস্তু হারিয়ে গেলে যে দু‘আ পড়বে

۞ اِنَّا لِلّٰهِ وَاِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ. اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِيْ فِـيْ مُصِيْبَتِيْ. وَاَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِّنْهَا
উচ্চারণঃ

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘ঊন, আল্লাহুম্মা’ জুরনী ফী মুসী বাতী ওয়া আখলিফলী খইরম মিনহা।

অর্থঃ

নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহ তা‘আলারই জন্য এবং আল্লাহ তা‘আলারই দিকে ফিরে যাব। হে আল্লাহ ! আমাকে আমার মুসিবতের উপর সওয়াব দান করুন, আর যে জিনিস আপনি আমার নিকট থেকে নিয়ে গিয়াছেন তা থেকে উত্তম জিনিস আমাকে দান করুন।

১৯.

দু‘আ-১১২

اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ تَسْمَعُ كَـلَامِيْ، وَتَرٰى مَكَانِيْ، وَتَعْلَمُ سِرِّيْ وَعَلَانِيَتِىْ، لَا يَخْفٰى عَلَيْكَ شَيْءٌ مِّنْ أَمْرِيْ، وَأَنَا الْبَآئِسُ الْفَقِيْرُ الْمُسْتَغِيْثُ الْمُسْتَجِيْرُ الْوَجِلُ الْمُشْفِقُ الْمُقِرُّ الْمُعْتَرِفُ بِذَنْبِىْ، أَسْأَلُكَ مَسْأَلَةَ الْمِسْكِيْنِ، وَأَبْتَهِلُ إِلَيْكَ ابْتِهَالَ الْمُذْنِبِ الذَّلِيْلِ، وَأَدْعُوْكَ دُعَآءَ الْخَآئِفِ الضَّرِيْرِ، وَدُعَآءَ مَنْ خَضَعَتْ لَكَ رَقَبَتُهٗ، وَفَاضَتْ لَكَ عَبْرَتُهٗ، وَذَلَّ لَكَ جِسْمُهٗ، وَرَغِمَ لَكَ أَنْفُهٗ. اَللّٰهُمَ لَا تَجْعَلْنِيْ بِدُعَآئِكَ شَقِيًّا، وَكُنْۢ بِيْ رَؤُوْفًا رَّحِيْمًا، يَا خَيْرَ الْمَسْؤُوْلِيْنَ! وَيَا خَيْرَ الْمُعْطِيْنَ! اَللّٰهُمَّ إِلَيْكَ أَشْكُوْ ضُعْفَ قُوَّتِيْ وَقِلَّةَ حِيْلَتِيْ وَهَوَانِيْ عَلَى النَّاسِ، يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ، إِلٰى مَنْ تَكِلُنِيْ؟ إِلٰى عَدُوٍّ يَـتَجَهَّمُنِيْ؟ أَمْ إِلٰى قَرِيْبٍ مَّلَّكْتَهٗ أَمْرِيْ؟ إِنْ لَّمْ تَكُنْ سَاخِطًا عَلَيَّ فَلَاۤ أُبَالِيْ غَيْرَ أَنَّ عَافِيَتَكَ أَوْسَعُ لِىْ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার কথা শুনছেন, আমার জায়গা (অবস্থান) দেখছেন, আমার গোপন ও প্রকাশ্য আপনার জানা, কোনো কিছুই আপনার অগোচর নয়। আমি তো দুর্দশাগ্রস্ত, মুখাপেক্ষী, ফরিয়াদী, আশ্রয়প্রার্থী, ভীত ও সন্ত্রস্ত, কৃতপাপ স্বীকারকারী। আপনার কাছে প্রার্থনা করছি নিঃস্ব ভিখারীর প্রার্থনা; আপনার সমীপে ক্রন্দন করছি তুচ্ছ পাপীর ক্রন্দন, আর আপনাকে ডাকছি ভীত ও বিপদগ্রস্তের ডাক এবং যেভাবে ঐ লোক ডাকে, যার গর্দান আপনার সমীপে অবনত, যার অশ্রু আপনার সম্মুখে প্রবাহিত, যার দেহ আপনার সম্মুখে লাঞ্ছিত আর যার নাক আপনার সামনে ধূলি-ধূসরিত। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা আমাকে দুর্ভাগা সাব্যস্ত কোরেন না, আমার প্রতি হোন পরম দয়ালু ও মেহেরবান। হে শ্রেষ্ঠ প্রার্থনাস্থল! সকল দাতার শ্রেষ্ঠ দাতা! ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অভিযোগ করছি নিজের দুর্বলতার, উপায়হীনতার ও লোকের চোখে মর্যাদাহীনতার। হে সকল দয়াময়ের বড় দয়াময়! কার হাতে আমাকে সমর্পণ করছেন? কোনো দুশমনের হাতে, যে আমার উপর নির্যাতন করবে? কিংবা কোনো দোস্তের ইখতিয়ারে আমার সব কিছু অর্পণ করছেন? আপনি যদি আমার প্রতি নারাজ না হয়ে থাকেন, তবে এসবের কোনো কিছুরই পরোয়া আমার নেই। তবে আপনার নিরাপত্তাই আমার জন্য অধিক প্রশস্ততাপূর্ণ।১০৯

২০.

ভীত অবস্থায় বলবে

۞ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ
উচ্চারণঃ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু

অর্থঃ

আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই।