সূরা আল-ফাতিহা

اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِيۡنَۙ ﴿۱﴾ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِۙ ﴿۲﴾ مٰلِكِ يَوۡمِ الدِّيۡنِؕ ﴿۳﴾ اِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَاِيَّاكَ نَسۡتَعِيۡنُؕ ﴿۴﴾ اِهۡدِنَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِيۡمَۙ ﴿۵﴾ صِرَاطَ الَّذِيۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ ۙ ﴿۶﴾ غَيۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا الضَّآلِّيۡنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।
অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
উৎসঃ null
উপকারিতাঃ
اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ
১. আবু সাঈদ ইবনে মুআল্লা (রাযি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে নববীতে নামায আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ আমাকে ডাকেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বেই তোমাকে আমি কুরআনের এক মহান সূরা শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি না আমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতম সূরা শিক্ষা দিবেন বলে বলেছিলেন? তিনি বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত বিশিষ্ট সূরা এবং মহান কুরআন যা আমাকেই প্রদান করা হয়েছে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ৪৪৭৪) ২. হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জিবরাঈল (আ.) নবী এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন, ইত্যবসরে উপরের দিকে তিনি একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে নিজের মাথা তুললেন এবং বললেন, এটি আসমানের একটি দরজা যা আজই খুলে দেয়া হল; আজকের দিন ব্যতীত কখনও তা খোলা হয়নি। তখন সে দরজা দিয়ে একজন ফিরিশতা অবতরণ করলেন। তিনি বললেন, ইনি একজন ফিরিশতা যিনি পৃথিবীতে অবতরণ করলেন, আজ ছাড়া অন্য কখনো তিনি অবতরণ করেননি। এরপর উক্ত ফিরিশতা সালাম করে বললেন, দুটি নূর এর সুসংবাদ গ্রহণ করুন যা আপনাকে দেয়া হয়েছে এবং যা আপনার আগে আর কোন নবীকে দেয়া হয়নি। তা হল সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারা’র শেষাংশ। এ দু’ টির যে কোন হরফ আপনি পাঠ করবেন তা আপনাকে দিয়েই দেয়া হবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৮০৬) ৩. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ একদিন উবাই ইবনে কাব (রাযি)–এর কাছে গেলেন। রাসুল বললেন, নামাযে কি পাঠ কর? উবাই (রাযি) উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা পাঠ করে শুনালেন। রাসূলুল্লাহ্ বললেন, যে সত্তার হাতে আমার জান সেই সত্তার কসম! তওরাত, ইনজিল, যাবূর এবং ফুরকানেও এর মত কোন সূরা নাযিল হয়নি। এই সূরাটি হল বারবার পঠিত সাত আয়াত বিশিষ্ট সূরা এবং মহান কুরআন যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ২৮৭৫) ৪. হযরত আনাস (রাযি) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ এক সফরে ছিলেন। পথিমধ্যে এক স্থানে তিনি অবতরণ করলেন। তাঁর পাশেই আর একজন লোক অবতরণ করল। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ তার দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমি কি তোমাকে কুরআনের উত্তম সুরার কথা বলব না? সে বলল, জ্বী হ্যাঁ। তিনি তখন তিলাওয়াত করলেন, (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব, হাদীস নং: ২২৪৮)
উৎসঃ null