দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

দু‘আ-১

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ۝۲۰۱
উচ্চারণঃ

রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।

অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে।২

.

দু‘আ-৮

رَبَّنَاۤ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِیًا یُّنَادِیْ لِلْاِیْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا ۖۗ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ كَفِّرْ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا وَ تَوَفَّنَا مَعَ الْاَ بْرَارِۚ۝۱۹۳
উচ্চারণঃ

রাব্বানা-ইন্নানা-ছামি‘না-মুনা-দিআইঁ ইউনা-দী লিল ঈমা-নি আন আ-মিনূবিরাব্বিকুম ফাআমান্না-রাব্বানা-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকাফফির‘আন্না-ছাইয়িআ-তিনাওয়াতাওয়াফফানা-মা‘আল আব রা-র।

অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা এক আহ্বানকারীকে ঈমানের দিকে আহ্বান করে বলতে শুনেছি, ‘ঈমান আন তোমাদের পালনকর্তার উপর’ তখন আমরা ঈমান এনেছি (এ ঈমানের প্রতিদান আমাদের দান করুন)। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এরপর (আবেদন এই যে) আমাদের (বড় বড়) গুনাহ মাফ করুন এবং আমাদের (ছোট ছোট) ভুল-ত্রুটিও মার্জনা করুন। আর নেককারদের সাথে আমাদের মৃত্যু নসীব করুন। (নেককারদের মতো শুভ পরিণামও একটি নেয়ামত)।১০

.

ঘর থেকে বের হওয়ার দু‘আ-১

۞ بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ. لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহি, লা হাউলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামে (বের হলাম), আমি আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর তাওফিক ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা বা কোনো নেক কাজ করা সম্ভব নয়।

.

হতাশ থেকে মুক্তির দু‘আ

۞ قَدَّرَ ‌اللّٰهُ ‌وَمَا ‌شَاءَ ‌فَعَلَ
উচ্চারণঃ

কাদ্দারাল্লাহু ওয়া মা-শা’আ ফাআলা

অর্থঃ

আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন এবং তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন।

.

ইকামাত ও ইকামাতের উত্তর

اَللهُ اَكْبَرْ الرد: اَللهُ اَكْبَرْ (৪ বার ) اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله الرد: اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله ( ২ বার ) اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ الرد: اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ ( ২ বার ) حَيَّ عَلَي الصَّلوةِ الرد: لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ (২ বার) حَيَّ عَلَي الفَلَاحِ الرد: لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ (২ বার ) (শুধুমাত্র ঈকামাতের সময়) قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ الرد: أَقَامَهَا اللهُ وَأَدَامَهَا (২ বার) اَللهُ اَكْبَرْ الرد: اَللهُ اَكْبَرْ (২ বার ) لَا اِلَهَ اِلَّا الله الرد: لَا اِلَهَ اِلَّا الله (১ বার )
উচ্চারণঃ

আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবর (৪ বার) আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২ বার) আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ (২ বার) হাইয়া আলাস সালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) হাইয়া আলাল ফালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) (শুধুমাত্র ঈকামাতের জন্য) কাদ কামাতিস সালাহ্ উত্তরঃ আকামাহাল্লাহু ওয়া আদমাহা। (২ বার) আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবর (২ বার) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (১ বার)

অর্থঃ

আল্লাহ সর্বশক্তিমান উত্তরঃ আল্লাহ সর্বশক্তিমান (৪ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই (২ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত (২ বার) নামাজের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (২ বার) সাফল্যের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (২বার) (শুধুমাত্র ঈকামাতের জন্য) নামায দাঁড়িয়ে যাচ্ছে উত্তরঃ আল্লাহ নামাযকে কায়েম করার তাওফিক দিন ও সর্বদা জারি রাখেন। (২ বার) আল্লাহ্ মহান উত্তরঃ আল্লাহ্ মহান (২ বার) আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই উত্তরঃ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই (১ বার)

.

ইস্তিখারা

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَاۤ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَاۤ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ، اَللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِيْ بِهٖ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখিরুকা বি‘ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিক্বুদ্‌রাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাদ্‌লিকাল আযীম। ফা ইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু, ওয়া আনতা ’আল্লামূল গুয়ূব। আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আম্‌রা (বলে, মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) খাইরুন লী ফী দ্বীনি ওয়া মা‘আশী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাকদিরহু লী, ওয়া ইয়াস্‌সিরহু লী, ছুম্মা বারিক লী ফীহি। ওয়া ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা (বলে, মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) শাররুন লী ফী দীনী ওয়া মা’আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফনী ‘আনহু, ওয়াকদুর লিয়াল-খাইর। হাইসু কা-না, সুম্মা আরদ্বিনী বিহ্।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার ইলমের উসিলায় আপনার নিকট মঙ্গল কামনা করছি এবং আপনার কুদরতের উসিলায় আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার নিকট আপনার মহান অনুগ্রহ কামনা করছি। কেননা, আপনি ক্ষমতাবান, আর আমি অক্ষম এবং আপনি সর্বজ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ, এবং আপনি সমস্ত গোপন সম্পর্কে জ্ঞাত। হে আল্লাহ! যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার জন্য আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে মঙ্গলজনক হয়, তবে তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন এবং একে সহজ করে দিন। অতঃপর এর মধ্যে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে আমার জন্য মঙ্গলজনক না হয়, তবে আপনি এ কাজটিকে আমার থেকে দূরে রাখুন এবং যেখানেই আমার জন্য মঙ্গল রয়েছে তা আমার জন্য নির্ধারিত করুন এবং তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট করে দিন।

.

সালাতুল তাসবীহের ফযীলত

۞ سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ

সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

অর্থঃ

আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করতেছি, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নাই, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।

.

সর্বপ্রকার সাহায্যের জন্য দু‘আ

۞ رَبِّ أَعِنِّيْ وَلَا تُعِنْ عَلَيَّ وَانْصُرْنِيْ وَلَا تَنْصُرْ عَلَيَّ وَامْكُرْ لِيْ وَلَا تَمْكُرْ عَلَيَّ وَاهْدِنِيْ وَيَسِّرِ الْهُدَى لِيْ وَانْصُرْنِيْ عَلٰى مَنْ بَغٰى عَلَيَّ ربِّ اجْعَلْنِيْ لَكَ شَاكِرًا لَكَ ذَاكِرًا لَكَ رَاهِبًا لَكَ مِطْوَاعًا لَكَ مُخْبِتًا إِلَيْكَ أَوَّاهًا مُنِيْبًا رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِيْ وَاغْسِلْ حَوْبَتِيْ وَأَجِبْ دَعْوَتِيْ وَثَبِّتْ حُجَّتِيْ وَسَدِّدْ لِسَانِيْ وَاهْدِ قَلْبِيْ وَاسْلُلْ سَخِيْمَةَ صَدْرِيْ
উচ্চারণঃ

রব্বি আ’ইন্নী ওয়ালা- তু’ইন্ ’আলাইয়্যা ওয়ানসুরনী ওয়ালা- তানসুর ’আলাইয়্যা ওয়াম্‌কুরলী ওয়ালা- তাম্‌কুর ’আলাইয়্যা ওয়াহদিনী ওয়া ইয়াস্‌সিরিল হুদা- লী ওয়ানসুরনী ’আলা- মান্ বাগা- ’আলাইয়্যা রব্বিজ্’আলনী লাকা শা-কিরান লাকা যা-কিরান লাকা র-হিবান লাকা মিত্বওয়া-’আন লাকা মুখবিতান ইলায়কা আও্ওয়া-হান মুনীবান রব্বি তাকব্বাল তাওবাতী ওয়াগসিল হাওবাতী ওয়াআজিব্ দা’ওয়াতী ওয়া সাব্বিত্ হুজ্জাতী ওয়া সাদ্দিদ্ লিসা-নী ওয়াহদি কলবী ওয়াসলুল সাখীমাতা সদরী।

অর্থঃ

হে আমার রব! তুমি আমাকে সহযোগিতা কর, আমার বিরুদ্ধে সহযোগিতা করো না, আমাকে সাহায্য কর, আমার বিরুদ্ধে সাহায্য করো না, আমার পক্ষে কৌশল অবলম্বন কর, আমার বিরুদ্ধে কৌশল করো না, আমাকে হিদায়াত দান কর, আমার জন্য হিদায়াত সহজ করে দাও। যারা আমার উপর যুলুম করে তাদের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর। হে পরওয়ারদিগার! আমাকে বানাও তোমার প্রতি শুকুরগুযার, তোমার যিক্‌রকারি, তোমার প্রতি ভয় পোষণকারী, তোমার প্রতি আনুগত্যশীল, তোমার প্রতি বিনয়াবনত, তোমার প্রতি মিনতিপূর্ণ ও পত্যাবর্তনশীল। হে আমার রব! আমার তওবা কবুল কর, ধুয়ে দাও আমার সব গুনাহ, জবাব দাও আমার দু‘আর, প্রতিষ্ঠিত কর আমার দলীলাদি, সঠিক রাখ আমার যবান, হিদায়াত কর আমার অন্তরকে, আর বের করে দাও আমার অন্তর থেকে সব হিংসা ও বিদ্বেষ।

.

সর্বপ্রকার নিরাপত্তার জন্য দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُوْلُ بِهٖ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيْكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهٖ جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِيْنِ مَا تُهَوِّنُ بِهٖ عَلَيْنَا مُصِيْبَاتِ الدُّنْيَا وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلٰى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلٰى مَنْ عَادَانَا وَلَا تَجْعَلْ مُصِيْبَتَنَا فِيْ دِيْنِنَا وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا
উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মাকসিম লানা- মিন্ খশ্ইয়াতিকা মা- তাহূলু বিহী বায়নানা- ওয়া বায়না মা’আ-সীকা ওয়ামিন্ ত্ব-’আতিকা মা- তুবাল্লিগুনা- বিহী জান্নাতাকা ওয়ামিনাল ইয়াক্বীনি মা- তুহাওবিনু বিহী ’আলায়না- মুসীবা-তিদ্ দুন্ইয়া- ওয়া মাত্তি’না- বিআসমা-’ইনা- ওয়া আবসারিনা- ওয়া ক্যুওয়াতিনা- মা- আহ্ইয়াইতানা- ওয়াজ্’আলহুল ওয়া-রিসা মিন্না- ওয়াজ্’আল সা’রানা- ’আলা- মান্ যলামানা- ওয়ানসুরনা- ’আলা- মান ’আ-দা-না ওয়ালা- তাজ্’আল মুসীবাতানা- ফী দীনিনা- ওয়ালা- তাজ্’আলিদ্ দুন্ইয়া- আকবারা হাম্মিনা- ওয়ালা- মাব্‌লাগা ’ইলমিনা- ওয়ালা- তুসাল্লিত্ব ’আলায়না- মান্ লা- ইয়ার্‌হামুনা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি আমাদের জন্য বণ্টন কর তোমার ততটুকু ভয় যতটুকু আমাদের মাঝে এবং তোমার নফরমানীর মাঝে যেন আমাদের জন্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়, তোমার ততটুকু ফরমাবরদারী দাও যতটুকু আমাদের পৌছে দেবে তোমার জান্নাতে। ততটুকু ইয়াকীন দাও যতটুকু দ্বারা সহজ হয়ে যায় আমাদের জন্য দুনিয়ার বিপদাপদ। উপভোগর অবকাশ দাও আমাদের শ্রবন শক্তির, আমাদের দৃষ্টির, আমাদের শক্তির। যতদিন তুমি আমাদের জীবিত রাখবে ততদিন এগুলো তুমি বজায় রেখো। যারা আমাদের উপর যুলুম করেছে তাদের উপর বদলা তুমিই নিও, যারা আমাদের শত্রুতা করে তাদের মুকাবিলায় তুমিই আমাদের সাহায্য করো। আমাদের দ্বীনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিপদাপন্ন করো না। দুনিয়ার চিন্তাই তুমি আমাদের বড় চিন্তায় পরিণত করো না। এটিকেই তুমি আমাদের জ্ঞানের চূড়ান্ত বানিও না, আর যারা আমাদের দয়া করবে না তাদেরকে তুমি আমাদের উপর আধিপত্য দিও না।

১০.

সচ্চরিত্র লাভের দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ وَالْعِفَّةَ وَالْأَمَانَةَ وَحُسْنَ الْخُلُقِ، وَالرِّضَا بِالْقَدَرِ
উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাস্ সিহহাতা ওয়াল ’ইফফাতা ওয়াল আমা-নাতা ওয়া হুস্‌নাল খুলুকি ওয়ার্ রিযা- বিল কদার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সু–স্বাস্থ্য, নিষ্কলুষ চরিত্র, আমানতদারী, সুন্দর স্বভাব এবং তাকদীরে সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছি।

১১.

সচ্চরিত্র লাভের দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ طَهِّرْ قَلْبِيْ مِنَ النِّفَاقِ وَعَمَلِيْ مِنَ الرِّيَاءِ وَلِسَانِيْ مِنَ الْكَذِبِ وَعَيْنِيْ مِنَ الْخِيَانَةِ فَإِنَّكَ تَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُوْرُ
উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মা ত্বহ্‌হির কলবী মিনান্ নিফা-কি ওয়া ’আমালী মিনার্ রিয়া-য়ি ওয়া লিসা-নী মিনাল কাযিবি ওয়া ’আয়নী মিনাল খিয়া-নাতি ফাইন্নাকা তা’লামু খ-য়িনাতাল আ’ইউনি ওয়ামা- তুখফিস্ সুদূর।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরকে নেফাক থেকে, আমার আমলকে লোক দেখানো থেকে, আমার যবানকে মিথ্যা থেকে এবং আমার চক্ষুকে খেয়ানত করা থেকে পবিত্র কর। আপনি অবশ্যই অবগত আছেন চোখ যা খিয়ানাত করে এবং অন্তরসমূহ যা গোপন করে।

১২.

সচ্চরিত্র লাভের দু‘আ-৩

۞ اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ سَرِيْرَتِيْ خَيْرًا مِنْ عَلَانِيَتِيْ وَاجْعَلْ عَلَانِيَتِيْ صَالِحَةً اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ صَالِحِ مَا تُؤْتِي النَّاسَ مِنَ الْأَهْلِ وَالْمَالِ وَالْوَلَدِ غَيْرِ الضَّالِّ وَلَا الْمُضِلِّ
উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মাজ্’আল সারীরতী খয়রান মিন্ ’আলা-নিয়াতী ওয়াজ্’আল ’আলা-নিয়াতী স-লিহাতান, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন্ স-লিহি মা- তু’তিন্না-সা মিনাল আহলি ওয়াল মা-লি ওয়াল ওয়ালাদি গয়রিয্ য-ল্লি ওয়ালা-ল মুযিল্লি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি আমার গোপনকে আমার প্রকাশ্য থেকে উত্তম বানিয়া দিন আর আমার বাহিরকেও সৎ করে দিন। হে আল্লাহ! তুমি মানুষকে যে ধন সম্পদ, পরিবার–পরিজন, সন্তান–সন্তুতি দিয়েছ এর ভাল ও সৎ বস্তু আমাকে দাও। নিজেও যেন গুমরাহ না হয় এবং অন্যকেও যেন গুমরাহ না করে।

১৩.

দু‘আ-৯

رَبَّنَا وَ اٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰی رُسُلِكَ وَ لَا تُخْزِنَا یَوْمَ الْقِیٰمَةِ ؕ اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِیْعَادَ۝۱۹۴
উচ্চারণঃ

রাব্বানা-ওয়া আ-তিনা-মা-ওয়া-‘আত্তানা-‘আলা-রুছুলিকা ওয়ালা-তুখঝিনা-ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আ-দ।

অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! নিজ রাসূলগণের মাধ্যমে আপনি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ করুন। আর কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্ছিত করেন না। আপনি তো কখনো প্রতিশ্রুতির অন্যথা করেন না। (সুতরাং তাঁর পক্ষ হতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কোনো আশংকা নেই। আমরা যে বারবার এই প্রার্থনা করছি এ আমাদের অস্থিরতা ও নিরুপায় অবস্থার ফল। তাছাড়া এ-ও তো জানা নেই যে, আমরা ঐ সকল প্রতিশ্রুতির উপযুক্ত সাব্যস্ত হব কিনা)।১১

১৪.

দু‘আ-৪

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ۝۸
উচ্চারণঃ

রাব্বানা-লা-তুঝিগ কুলূবানা-বা‘দা ইয হাদাইতানা -ওয়াহাবলানা-মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।

অর্থঃ

হে আমাদের রব! আপনি যে আমাদের (সত্যপথের) দিশা দিয়েছেন, এরপর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি কোরেন না। আর আমাদের দান করুন আপনার তরফ থেকে (বিশেষ) রহমত। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। (যে রহমত আপনি দান করবেন, তা আপনার শান মোতাবেকই হবে)।৬

১৫.

দু‘আ-৬

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ۝۱۹۱
উচ্চারণঃ

রাব্বানা-মা-খালাকতা হাযা-বা-তিলান ছুবহা-নাকা ফাকিনা-‘আযা-বান্না-র

অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এ (বিশ্বজগত) আপনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি। (অর্থহীন কাজ থেকে) আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। অতএব, জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।৮

১৬.

দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দু‘আ-৩

۞ اَللّٰهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُوْ ، فَلَا تَكِلْنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهٗ، لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা রহ্‌মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লা আনতা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নাই।

১৭.

দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দু‘আ-৪

۞ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায যালিমীন

অর্থঃ

আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নাই। আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।

১৮.

কঠিন কাজকে সহজ করার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ لَا سَهْلَ إِلَّا ‌مَا ‌جَعَلْتَهٗ ‌سَهْلًا، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ سَهْلًا إِذَا شِئْتَ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা, লা-সাহলা ইল্লা-মা জা‘আলতাহূ সাহলান। ওয়া আনতা তাজ্‘আলুল হাযনা সাহ্‌লান ইযা শি’তা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ আপনি যা সহজ করেন তা ছাড়া কিছুই সহজ নয়। আর আপনি ইচ্ছা করলে কঠিনকে সহজ করেন।

১৯.

শহীদী মৃত্যুর জন্য দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنِيْ شَهَادَةً فِيْ سَبِيْلِكَ وَاجْعَلْ مَوْتِيْ فِيْ بَلَدِ رَسُوْلِكَ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মারযুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক, ওয়ায’আল মাওতি ফি বালাদি রাসুলিকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

অর্থঃ

হে আল্লাহ, আমাকে শাহাদাতের মৃত্যু দিন এবং মৃত্যু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শহরে দিন।

২০.

সূরা ত্বা-হা ( আয়াত নং - ৬৯ )

وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
উচ্চারণঃ

ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।

অর্থঃ

তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেখানেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।”