দু‘আ-১

share dua

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ۝۲۰۱

উচ্চারণঃ রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।

অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে।২

উৎসঃ -সূরাতুল বাকারা : ২০১

উপকারিতাঃ

না। رَبَّنَاۤ اٰتِنَا বিরল। حَسَنَةً فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ শামিল। وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

২. কুরআন মজীদের যে কোনো দু‘আর এক বৈশিষ্ট্য অর্থের ব্যাপকতা। তবে এর মধ্যেও দু‘আটি বোধহয় সর্বশ্রেষ্ঠ। সংক্ষেপ প্রার্থনায় তো দু‘আর পর আর কোনো দু‘আর প্রয়োজনই থাকে না। رَبَّنَاۤ (পরওয়ারদেগার! আমাদের দান করুন) এক বচনের পরিবর্তে বহুবচনের ব্যবহার লক্ষণীয়। বান্দা শুধু নিজের জন্য দু‘আ করছে না, শুধু পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজনের জন্যও না; বরং আমাদের সকলকে, সকল মুসলিমকে শামিল করছে। এই যে প্রশস্ততা সর্বজনীনতা, ইসলামের বাইরে এটা খুবই বিরল। حَسَنَةً (কল্যাণ) কল্যাণ ছাড়া আর কী হতে পারে বান্দার কাম্য? সেটিই কুরআন ব্যক্ত করেছে বান্দার নিজের ভাষায়। সে নিজের সকলের জন্য কল্যাণ প্রার্থনা করছে- উপস্থিত তাৎক্ষণিক কল্যাণ দুনিয়ায়, আর প্রকৃত চিরস্থায়ী কল্যাণ আখেরাতে। কোনো কোনো বাঁকা চিন্তার লোক আয়াত থেকে দুনিয়ার চাওয়ার বিধান বুঝতে চেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ মূর্খতা। ফিদ্দুনিয়া ফিল আখিরাহ (দুনিয়াতেও এবং আখিরাতেও) -এ তো শুধু স্থানের কথা। প্রার্থিত বস্তু তো ‘হাসানা’ কল্যাণ, এখানেও-ওখানেও, আজও-আগামীকালও। হাসানা’ শব্দটি এত প্রশস্ত সারগর্ভ যে, দুনিয়া-আখিরাতের সকল কাম্য বস্তু এতে শামিল। وَقِنَا (আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে)। জাহান্নামের আযাবই তো পানাহ চাওয়ার চূড়ান্ত বিষয়। থেকে পানাহ চাওয়া পাওয়ার পর তো আর কোনো কিছুরই শঙ্কা থাকে না। এখানে বহুবচন ব্যবহারও লক্ষণীয়। বান্দা শুধু নিজের জন্য নয়, সবার জন্য পানাহ চাচ্ছে।


এ সম্পর্কিত আরও দু’আ...