أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ (1) وَوَضَعْنَا عَنْكَ وِزْرَكَ (2) الَّذِي أَنْقَضَ ظَهْرَكَ (3) وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ (4) فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (5) إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (6) فَإِذَا فَرَغْتَ فَانْصَبْ (7) وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ (8)
১) আলাম নাশরাহলাকা সাদরাক। ২) ওয়া ওয়াদা‘না-‘আনকা বিঝরাক ৩) আল্লাযীআনকাদা জাহরাক। ৪) ওয়া রাফা‘না-লাকা যিকরাক। ৫) ফাইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-। ৬) ইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-। ৭) ফাইযা-ফারাগতা ফানসাব। ৮) ওয়া ইলা- রাব্বিকা ফারগাব।
১) আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি? ২) আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা, ৩) যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ। ৪) আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি। ৫) নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। ৬) নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। ৭) অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন। ৮) এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।
لَوۡ اَنۡزَلۡنَا هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ عَلٰى جَبَلٍ لَّرَاَيۡتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡيَةِ اللّٰهِؕ وَتِلۡكَ الۡاَمۡثَالُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُوۡنَ ﴿۲۱﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰىؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ ﴿۲۴﴾
(২১) লাও আনঝালনা-হা-যাল কুরআ-না ‘আলা-জাবালিল লারাআইতাহু খা-শি‘আম মুতাসাদ্দি‘ আম মিন খাশয়াতিল্লা-হি ওয়া তিলকাল আমছা-লুনাদরিবুহা-লিন্নাছি লা‘আল্লাহম ইয়াতাফাক্কারূন। (২২) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। (২৩) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। (২৪) হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।
(২১) যদি আমি এই কুরআন পর্বতের ওপর অবতীর্ণ করতাম তবে তুমি একে আল্লাহ্ র ভয়ে বিনীত এবং বিদীর্ণ দেখতে। আমি এই সমস্ত দৃষ্টান্ত বর্ণনা করি মানুষের জন্যে, যাতে তারা চিন্তা করে। (২২) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু। (২৩) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। এরা যাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তা হতে পবিত্র, মহান। (২৪) তিনিই আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁরই সকল উত্তম নাম। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
۞ قُلۡ اُوۡحِىَ اِلَىَّ اَنَّهُ اسۡتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الۡجِنِّ فَقَالُوۡۤا اِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡاٰنًا عَجَبًا ۙ ﴿۱﴾ يَّهۡدِىۡۤ اِلَى الرُّشۡدِ فَاٰمَنَّا بِهٖ ؕ وَلَنۡ نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ ﴿۲﴾ وَّاَنَّهٗ تَعٰلٰى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّلَا وَلَدًا ۙ ﴿۳﴾ وَّ اَنَّهٗ كَانَ يَقُوۡلُ سَفِيۡهُنَا عَلَى اللّٰهِ شَطَطًا ۙ ﴿۴﴾
(১)কুল ঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূ ইন্না-ছামি‘না কুরআ-নান ‘আজাবা- । (২)ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । (৩)ওয়া আন্নাহূ তা‘আ- জাদ্দু রাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । (৪)ওয়া আন্নাহূ কা-না ইয়াকূলু ছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- ।
(১) (হে রাসূল!) বলে দাও, আমার কাছে ওহী এসেছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে (কুরআন) শুনেছে অতঃপর (নিজ সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে) বলেছে, আমরা এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি। (২) যা সঠিক পথ প্রদর্শন করে। সুতরাং আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি। এখন আর আমরা আমাদের প্রতিপালকের সাথে (ইবাদতে) কখনও কাউকে শরীক করব না। (৩) এবং এই (বিশ্বাস করেছি) যে, আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা সমুচ্চ। তিনি কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি এবং কোন সন্তানও নয়। (৪) এবং এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবাস্তব কথা বলত।
۞ قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِۙ ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِۙ ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِۙ ﴿۳﴾ مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ ۙ الۡخَـنَّاسِ ۙ ﴿۴﴾ الَّذِىۡ يُوَسۡوِسُ فِىۡ صُدُوۡرِ النَّاسِۙ ﴿۵﴾ مِنَ الۡجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿۶﴾
(১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, (২) মালিকিন্না-ছ, (৩) ইলা-হিন্না-ছ। (৪) মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। (৫) আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
(১) বল, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি সমস্ত মানুষের প্রতিপালকের (২) সমস্ত মানুষের অধিপতির (৩) সমস্ত মানুষের মাবূদের (৪) সেই কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে, যে পেছনে আত্মগোপন করে (৫) যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়, (৬) সে জিনদের মধ্য হতে হোক বা মানুষের মধ্য হতে।
۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهَا অতঃপর- ۞ اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنَا جَنَاهَا وَحَبِّبْنَا اِلٰی اَهْلِهَا وَحَبِّبْ صَالِحِىْ اَهْلِهَا اِلَيْنَا
আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী হা। (এরপর পড়বে) - আল্লাহুম্মার যুক্বনা জানাহা ওয়া হাব্বিবনা ইলা আহলিহা ওয়া হাব্বিব সালিহী আহলিহা ইলাইনা।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এ এলাকার (কল্যাণ) দান করুন এবং তাদের অন্তরে আমাদের প্রতি মহব্বত সৃষ্টি করে দিন এবং এর নেককার অধিবাসীদের প্রতি আমাদের অন্তরে মহব্বত দান করুন।
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِيْ قَلْبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَصَرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ سَمْعِيْ نُوْرًا، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ نُوْرًا، وَعَنْ شِمَالِيْ نُوْرًا، وَمِنْ خَلْفِيْ نُوْرًا، وَمِنْ أَمَامِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ لِيْ نُوْرًا، وَفِيْ عَصَبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لَحْمِيْ نُوْرًا، وَفِيْ دَمِيْ نُوْرًا، وَفِيْ شَعْرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَشَرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لِسَانِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ فِيْ نَفْسِيْ نُوْرًا، وَأَعْظِمْ لِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْنِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ مِنْ فَوْقِيْ نُوْرًا، وَ مِنْ تَحْتِيْ نُوْرًا، اَللّٰهُمَّ اَعْطِنِيْ نُوْرًا.
ইয়া আল্লাহ! আলো দিন আমার অন্তরে, আলো দিন আমার দৃষ্টিতে, আলো দিন আমার শ্রবণশক্তিতে, আলো দিন আমার ডানে, আলো দিন আমার বামে, আলো দিন আমার পিছনে, আলো দিন আমার সামনে, আলো দিন আমাকে এক বিশেষ আলো, আলো দিন আমার ধমনীতে, আলো দিন আমার গোশতে, আলো দিন আমার রক্তে, আলো দিন আমার চুলে, আলো দিন আমার চামড়ায়, আলো দিন আমার জিহ্বায়, আলো দিন আমার প্রাণে, আলো দিন আমাকে - বড় আলো, পরিণত করুন আমাকে আলোতে, আলো দিন আমার উপরে, আলো দিন আমার নীচে, ইয়া আল্লাহ! আমাকে আলো দিন।১০২
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ يس (1) وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ (2) إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ (3) عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ (4) تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ (5) لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ (6) لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (7) إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ (8) وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ (9) وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (10) إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ (11) إِنَّا نَحْنُ نُحْيِ الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ (12) ﴿ وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ (13) إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ (14) قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ (15) قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ (16) وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ (17) قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ (18) قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ (19) وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَاقَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ (20) اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ (21) وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ (22) أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ (23) إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (24) إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ (25) قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَالَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ (26) بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ (27) ﴿ ✷ وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ (28) إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ (29) يَاحَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ (30) أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ (31) وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ (32) وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ (33) وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ (34) لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ (35) سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ (36) وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَ (37) وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ (38) وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ (39) لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ (40) ﴿ وَآيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ (41) وَخَلَقْنَا لَهُمْ مِنْ مِثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ (42) وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنْقَذُونَ (43) إِلَّا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ (44) وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ (45) وَمَا تَأْتِيهِمْ مِنْ آيَةٍ مِنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ (46) وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَنْ لَوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (47) وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ (48) مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ (49) فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ (50) وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُمْ مِنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنْسِلُونَ (51) قَالُوا يَاوَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ (52) إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ (53) فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ (54) ﴿ إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ (55) هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ (56) لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُمْ مَا يَدَّعُونَ (57) سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ (58) وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ (59) ✷ أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَابَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ (60) وَأَنِ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ (61) وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ (62) هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ (63) اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ (64) الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ (65) وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ (66) وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ (67) وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ (68) وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنْبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌ (69) لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ (70) ﴿ أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ (71) وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ (72) وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ (73) وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَ (74) لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُحْضَرُونَ (75) فَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ (76) أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌ (77) وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِ الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ (78) قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ (79) الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ مِنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنْتُمْ مِنْهُ تُوقِدُونَ (80) أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ (81) إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ (82) فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ (83)
১. ইয়া-ছীন। ২. ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম। ৩. ইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন। ৪. ‘আলা-সিরাতিম মুছতাকীম। ৫. তানঝীলাল ‘আঝীঝির রাহীম। ৬. লিতুনযিরা কাওমাম্মাউনযিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলূন। ৭. লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকছারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন। ৮. ইন্না- জা‘আলনা-ফী আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুকমাহূন। ৯. ওয়া জা‘আল না-মিম বাইনি আইদীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরূন। ১০. ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা-ইউ’মিনূন। ১১. ইন্নামা-তুনযিরু মানিত্তাবা‘আযযিকরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম। ১২. ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামূওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফীইমা-মিম মুবীন। ১৩. ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ । ইযজাআহাল মুরছালূন। ১৪. ইয আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাযযাবূহুমা-ফা‘আঝঝাঝনা-বিছা-লিছিন ফাকালূইন্নাইলাউকুম মুরছালূন। ১৫. কা-লূমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকযিবূন। ১৬. কা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন। ১৭. ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালা-গুল মুবীন। ১৮. কা-লূইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহূলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আযা-বুন আলীম। ১৯. কা-লূতাইরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফূন। ২০. ওয়াজাআ মিন আকসাল মাদীনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালীন। ২১. ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদূন। ২২. ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাযী ফাতারানী ওয়া ইলাইহি তুর জা‘উন। ২৩. আআত্তাখিযুমিন দুনিহীআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিযূন। ২৪. ইন্নী ইযাল্লাফী দালা-লিম্মুবীন। ২৫. ইন্নীআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন। ২৬. কীলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমী ইয়া‘লামূন। ২৭. বিমা-গাফারালী রাববী ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুকরামীন। ২৮. ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনঝিলীন। ২৯. ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন। ৩০. ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন। ৩১. আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন। ৩২. ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন। ৩৩. ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলূন। ৩৪. ওয়া জা‘আল না-ফীহা-জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফীহামিনাল ‘উইঊন। ৩৫. লিইয়া’কুলূমিন ছামারিহী ওয়ামা-‘আমিলাতহু আইদীহিম আফালা-ইয়াশকুরূন। ৩৬. ছুবহা-নাল্লাযী খালাকাল আঝাওয়া-জা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামূন। ৩৭. ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমূন। ৩৮. ওয়াশশামছুতাজরী লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদীরুল ‘আঝীঝিল ‘আলীম। ৩৯. ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদীম। ৪০. লাশশামছুইয়ামবাগী লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন। ৪১. ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন। ৪২. ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহী মা ইয়ারকাবূন। ৪৩. ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারীখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাযূন। ৪৪. ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হীন। ৪৫. ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত্তাকূ মা- বাইনা আইদীকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামূন। ৪৬. ওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন। ৪৭. ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আনফিকূমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আমানূ আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহূ ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা-লিম মুবীন। ৪৮. ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকীন। ৪৯. মা-ইয়ানজু রূনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুযুহুম ওয়া হুম ইয়াখিসসিমূন। ৫০. ফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন। ৫১. ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলূন। ৫২. কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালূন। ৫৩. ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন। ৫৪. ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন। ৫৫. ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহূন। ৫৬. হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফী জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন। ৫৭. লাহুম ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন। ৫৮. ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহীম। ৫৯. ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমূন। ৬০. আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানীআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন। ৬১. ওয়া আনি‘বুদূ নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম। ৬২. ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছীরা- আফালাম তাকূনূতা‘কিলূন। ৬৩. হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন। ৬৪. ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন। ৬৫. আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন। ৬৬. ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন। ৬৭. ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন। ৬৮. ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলূন। ৬৯. ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহূ ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কুরআ-নুম মুবীন। ৭০. লিইউনযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরীন। ৭১. আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদীনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকূন। ৭২. ওয়া যাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকূবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলূন। ৭৩. ওয়া লাহুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরূন। ৭৪. ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারূন। ৭৫. লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারূন। ৭৬. ফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম । ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন। ৭৭. আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন। ৭৮. ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহূ কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম। ৭৯. কুল ইউহয়ী হাল্লাযী আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলীমু। ৮০. আল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন। ৮১. আওয়া লাইছাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম। ৮২. ইন্নামাআমরুহূ ইযাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন। ৮৩. ফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
১. ইয়া-সীন। ২. হেকমতপূর্ণ কুরআনের শপথ! ৩. নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের একজন। ৪. সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। ৫. এ কুরআন অবতীর্ণ করা হচ্ছে সেই সত্তার পক্ষ হতে, যিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়াময়। ৬. যাতে তুমি সতর্ক কর এমন এক সম্প্রদায়কে, যাদের বাপ-দাদাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা উদাসীনতায় নিপতিত। ৭. বস্তুত তাদের অধিকাংশের ব্যাপারে কথা পূর্ণ হয়ে আছে। সুতরাং তারা ঈমান আনবে না। ৮. আমি তাদের গলায় চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি। ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। ৯. এবং আমি তাদের সামনে এক অন্তরাল দাঁড় করিয়ে দিয়েছি এবং পিছনেও এক অন্তরাল দাঁড় করিয়ে দিয়েছি আর এভাবে তাদেরকে সব দিক থেকে ঢেকে দিয়েছি, ফলে তারা কোন কিছু দেখতে পায় না। ১০. তুমি তাদেরকে সতর্ক কর অথবা সতর্ক নাই কর উভয়টাই তাদের জন্য সমান। তারা ঈমান আনবে না। ১১. তুমি তো কেবল এমন ব্যক্তিকেই সতর্ক করতে পার, যে উপদেশ অনুযায়ী চলে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। সুতরাং এরূপ ব্যক্তিকে সুসংবাদ শোনাও মাগফিরাত ও সম্মানজনক পুরস্কারের। ১২. নিশ্চয়ই আমিই মৃতদেরকে জীবিত করব এবং তারা যা কিছু সামনে পাঠায় তা লিখে রাখি আর তাদের কর্মের যে ফলাফল হয় তাও। এক সুস্পষ্ট কিতাবে প্রতিটি বিষয় সংরক্ষণ করে রেখেছি। ১৩. এবং (হে রাসূল!) তুমি তাদের সামনে দৃষ্টান্ত পেশ কর এক জনপদবাসীর, যখন তাদের কাছে এসেছিল রাসূলগণ। ১৪. যখন আমি তাদের কাছে (প্রথমে) পাঠিয়েছিলাম দু’জন রাসূল, তখন তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলল। তারপর তৃতীয়জনের মাধ্যমে আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম। তারপর তারা সকলে বলল, নিশ্চয়ই আমাদেরকে তোমাদের কাছে রাসূল বানিয়ে পাঠানো হয়েছে। ১৫. তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মত মানুষই। দয়াময় আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা সম্পূর্ণ মিথ্যাই বলছ। ১৬. রাসূলগণ বলল, আমাদের প্রতিপালক ভালোভাবেই জানেন যে, আমাদেরকে বাস্তবিকই তোমাদের কাছে রাসূল বানিয়ে পাঠানো হয়েছে। ১৭. আর আমাদের দায়িত্ব তো কেবল স্পষ্টভাবে বার্তা পৌঁছে দেওয়া। ১৮. জনপদবাসী বলল, আমরা তোমাদের মধ্যে অশুভতা লক্ষ করছি। তোমরা নিবৃত্ত না হলে আমরা অবশ্যই তোমাদের উপর পাথর নিক্ষেপ করব এবং অবশ্যই আমাদের হাতে তোমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি ভোগ করতে হবে। ১৯. রাসূলগণ বলল, তোমাদের অশুভতা খোদ তোমাদেরই সঙ্গে রয়েছে। তোমাদের কাছে উপদেশ-বাণী পৌঁছেছে বলেই কি (তোমরা একথা বলছ?) প্রকৃতপক্ষে তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। ২০. শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এক ব্যক্তি ছুটে আসল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলগণের অনুসরণ কর। ২১. অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চায় না এবং যারা সঠিক পথে আছে। ২২. আমার কী যুক্তি আছে যে, আমি সেই সত্তার ইবাদত করব না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? এবং তারই দিকে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ২৩. আমি কি তাকে ছেড়ে এমন সব মাবুদ গ্রহণ করব, দয়াময় আল্লাহ আমার কোন অনিষ্ট করতে চাইলে যাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং যারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না? ২৪. তা করলে নিঃসন্দেহে আমি সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পতিত হব। ২৫. আমি তোমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি। সুতরাং তোমরা আমার কথা শোন। ২৬. (শেষ পর্যন্ত জনপদবাসী তাকে হত্যা করে ফেলল এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তাকে) বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে (জান্নাতের নি‘আমত রাজি দেখে) বলল, আহা! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত ২৭. আল্লাহ কিভাবে আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন! ২৮. সেই ব্যক্তির পর আমি তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আসমান থেকে কোন বাহিনী পাঠাইনি এবং আমার তা পাঠানোর প্রয়োজনও ছিল না। ২৯. তা ছিল কেবল একটি মহানাদ, যাতে তারা সব নিভে নিথর হয়ে গেল। ৩০. আফসোস এসব বান্দার প্রতি! তাদের কাছে যে রাসূলই এসেছে তাকে নিয়ে তারা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। ৩১. তারা কি দেখেনি তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যারা তাদের কাছে ফিরে আসছে না? ৩২. এবং যত লোক আছে তাদের সকলকে অবশ্যই একত্র করে আমার সামনে হাজির করা হবে। ৩৩. আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হল মৃত ভূমি, যাকে আমি জীবন দান করেছি এবং তাতে শস্য উৎপন্ন করেছি অতঃপর তারা তা থেকে খেয়ে থাকে। ৩৪. আমি সে ভূমিতে সৃষ্টি করেছি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং তা থেকে উৎসারিত করেছি পানির প্রস্রবণ ৩৫. যাতে তারা তার ফল খেতে পারে। তাতো তাদের হাত তৈরি করেনি। তবুও কি তারা শোকর আদায় করবে না? ৩৬. পবিত্র সেই সত্তা, যিনি প্রতিটি জিনিস জোড়া-জোড়া সৃষ্টি করেছেন ভূমি যা উৎপন্ন করে তাও এবং তাদের নিজেদেরকেও আর তারা (এখনও) যা জানে না তাও। ৩৭. তাদের জন্য আরেকটি নিদর্শন হল রাত, যা থেকে আমি দিনের আবরণ সরিয়ে নেই, অমনি তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ৩৮. সূর্য আপন গন্তব্যের দিকে পরিভ্রমণ করছে। এসব পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ সত্তার স্থিরীকৃত (ব্যবস্থাপনা)। ৩৯. আর চাঁদের জন্য আমি নির্দিষ্ট করে দিয়েছি বিভিন্ন মনজিল। পরিশেষে তা (নিজ মনজিলসমূহ অতিক্রম করে) ফিরে আসে পুরানো খেজুর ডালার মত (সরু হয়ে)। ৪০. সূর্য পারে না চাঁদকে গিয়ে ধরতে আর রাতও পারে না দিনকে অতিক্রম করতে। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সাঁতার কাটে। ৪১. তাদের জন্য আরেকটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম। ৪২. আমি তাদের জন্য অনুরূপ আরও জিনিস সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা সওয়ার হয়ে থাকে। ৪৩. আমি চাইলে তাদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি, তখন তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না এবং তাদের প্রাণ রক্ষা সম্ভব হবে না ৪৪. তবে আমার পক্ষ হতে এক রহমত এবং এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত (জীবনের) আনন্দ ভোগের সুযোগ হিসেবে (আমিই তাদেরকে রক্ষা করে থাকি)। ৪৫. যখন তাদেরকে বলা হয়, বাঁচ তা হতে (সেই শাস্তি হতে) যা তোমাদের সামনে আছে এবং যা আছে তোমাদের পেছনে, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয় (তখন তারা তা গ্রাহ্য করে না)। ৪৬. এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদের কাছে এমন কোন নিদর্শন আসে না, যা থেকে তারা মুখ ফেরায় না। ৪৭. যখন তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছেন তা থেকে (গরীবদের জন্যও) ব্যয় কর, তখন কাফেরগণ মুসলিমদেরকে বলে, আমরা কি তাদেরকে খাবার খাওয়াব, যাদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা করলে নিজেই খাওয়াতেন? (হে মুসলিমগণ!) তোমাদের অবস্থা এ ছাড়া কিছুই নয় যে, তোমরা সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পড়ে রয়েছ। ৪৮. এবং তারা বলে, (কিয়ামতের) এ প্রতিশ্রুতি কবে পূর্ণ হবে? (হে মুসলিমগণ!) তোমরা সত্যবাদী হলে এটা বলে দাও। ৪৯. (প্রকৃতপক্ষে) তারা একটি মহানাদেরই অপেক্ষায় আছে, যা তাদেরকে পাকড়াও করবে তাদের বিতর্কে লিপ্ত থাকা অবস্থায়। ৫০. তখন আর তারা কোন অসিয়ত করতে পারবে না এবং পারবে না নিজ পরিবারবর্গের কাছে ফিরে যেতে। ৫১. এবং শিঙ্গায় (দ্বিতীয়) ফুঁ দেওয়া হবে। অমনি তারা আপন-আপন কবর থেকে বের হয়ে তাদের প্রতিপালকের দিকে ছুটে চলবে। ৫২. তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠাল? (উত্তর দেওয়া হবে,) এটা সেই জিনিস, যার প্রতিশ্রুতি দয়াময় আল্লাহ দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য কথা বলেছিল। ৫৩. আর কিছুই নয়, কেবল একটি মহানাদ হবে, অমনি তাদের সকলকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। ৫৪. সুতরাং সে দিন কোন ব্যক্তির উপর জুলুম করা হবে না এবং তোমাদেরকে কেবল তোমাদের কৃতকর্মেরই প্রতিফল দেওয়া হবে। ৫৫. নিশ্চয়ই সে দিন জান্নাতবাসীগণ আপন ব্যস্ততায় মগ্ন থাকবে। ৫৬. তারা ও তাদের স্ত্রীগণ নিবিড় ছায়ায় আরামদায়ক আসনে হেলান দিয়ে থাকবে। ৫৭. সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফলমূল এবং তারা যা কিছুর ফরমায়েশ করবে তাই তারা পাবে। ৫৮. দয়াময় প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদেরকে সালাম বলা হবে। ৫৯. আর (কাফেরদেরকে বলা হবে) হে অপরাধীগণ! আজ তোমরা (মুমিনদের থেকে) পৃথক হয়ে যাও। ৬০. হে আদম সন্তানগণ! আমি কি তোমাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে বলিনি যে, তোমরা শয়তানের ইবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? ৬১. এবং তোমরা আমার ইবাদত কর। এটাই সরল পথ? ৬২. বস্তুত শয়তান তোমাদের মধ্য হতে একটি বড় দলকে গোমরাহ করেছিল। তবুও কি তোমরা বোঝনি? ৬৩. এটিই সেই জাহান্নাম, যার ভয় তোমাদেরকে দেখানো হত। ৬৪. আজ এতে প্রবেশ কর। যেহেতু তোমরা কুফর করতে। ৬৫. আজ আমি তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেব। ফলে তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা সাক্ষ্য দেবে তাদের কৃতকর্মের। ৬৬. আমি চাইলে (ইহকালেই) তাদের চোখ লোপ করে দিতে পারতাম। তখন তারা পথের সন্ধানে ছোটাছুটি করত, কিন্তু তারা কোথায় কি দেখতে পেত? ৬৭. আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব-স্ব স্থানে বসিয়ে তাদেরকে বিকৃত (পঙ্গু) করে দিতে পারতাম ফলে তারা সামনে অগ্রসর হতে পারত না এবং পিছনেও ফিরে আসতে পারত না। ৬৮. আমি যাকে দীর্ঘায়ু দান করি সৃষ্টিগতভাবে তাকে উল্টিয়ে দেই। তথাপি কি তারা উপলব্ধি করবে না? ৬৯. আমি তাকে (অর্থাৎ রাসূলকে) কাব্য চর্চা করতে শিখাইনি এবং তা তার পক্ষে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশবাণী এবং এমন কুরআন যা (সত্যকে) সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে। ৭০. যাতে প্রত্যেক জীবিতজনকে সতর্ক করে দেয় এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রমাণ চূড়ান্ত হয়ে যায়। ৭১. তারা কি দেখেনি যে, আমি নিজ হাতে সৃষ্ট বস্তু রাজির মধ্যে তাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই তার মালিক হয়ে গেছে? ৭২. আমি সে জন্তুগুলিকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। সুতরাং সেগুলোর কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা আহার করে। ৭৩. এবং তাদের জন্যে এর মধ্যে আছে আরও বহু উপকারিতা এবং আছে পানীয় বস্তু। তথাপি কি তারা শোকর আদায় করবে না? ৭৪. তারা আল্লাহ ছাড়া বহু মাবুদ গ্রহণ করেছে এই আশায় যে, হয়ত তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। ৭৫. (অথচ) তারা তাদের সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না; বরং তারা তাদের জন্য এমন এক বিরোধী সৈন্য হয়ে যাবে, যাদেরকে (কিয়ামতের দিন তাদের সামনে) উপস্থিত করা হবে। ৭৬. সুতরাং (হে রাসূল!) তাদের কথা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়। আমি অবশ্যই জানি তারা কী গোপন রাখছে আর কী প্রকাশ করছে। ৭৭. মানুষ কি লক্ষ করেনি আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু দ্বারা? অতঃপর সহসাই সে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী হয়ে গেল। ৭৮. আমার সম্পর্কে সে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজ সৃজনের কথা ভুলে বসে আছে। সে বলে, কে এই অস্থিগুলিকে জীবিত করবে এগুলো পচে-গলে যাওয়া সত্ত্বেও? ৭৯. বলে দাও, সেগুলোকে জীবিত করবেন সেই সত্তা, যিনি তাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি প্রত্যেক সৃষ্টি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞাত। ৮০. তিনিই সবুজ-সতেজ বৃক্ষ হতে তোমাদের জন্য আগুন সৃষ্টি করেছেন। অনন্তর তোমরা তা হতে প্রজ্বলনের কাজ নাও। ৮১. তবে কি যে সত্তা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ (পুনরায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? কেন নয়? তিনি তো মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ! ৮২. তাঁর ব্যাপার তো এই যে, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন, তখন কেবল বলেন, ‘হয়ে যা’। অমনি তা হয়ে যায়। ৮৩. অতএব পবিত্র সেই সত্তা, যার হাতে প্রতিটি জিনিসের শাসন-ক্ষমতা এবং তাঁরই কাছে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস (৩বার)
সূরা ইখলাস: ১. قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ২. اللَّهُ الصَّمَدُ ৩. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ৪. وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ সূরা ফালাক্ব: ১. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ২. مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ৩. وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ৪. وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ৫. وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ সূরা নাস: ১. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ২. مَلِكِ النَّاسِ ৩. إِلَـٰهِ النَّاسِ ৪. مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ৫. الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ৬. مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
সূরা ইখলাস: ১. কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। ২. আল্লা-হুসসামাদ। ৩. লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। ৪. ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ। সূরা ফালাক্ব: ১. কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক ২. মিন শাররি মা-খালাক। ৩. ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ৪. ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ৫. ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ। সূরা নাস: ১. কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, ২.মালিকিন্না-ছ, ৩. ইলা-হিন্না-ছ। ৪. মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। ৫. আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। ৬. মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
{كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَنَبْلُوكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ (35)} [الأنبياء: 35]
কুল্লুনাফছিন যা-ইকাতুল মাওতি ওয়া নাবলূকুম বিশশাররি ওয়াল খাইরি ফিতনাতাও ওয়া ইলাইনা-তুর জা‘ঊন ।
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দিয়ে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা প্রত্যানীত হবে।
{فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا اقْتُلُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ فَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (24)} [العنكبوت: 24]
ফামা-কা-না জাওয়া-বা কাওমিহী-ইল্লা-আন ক্বালুকতুলুহু আও হাররিকুহু ফাআনজা-হুল্লাহু মিনান্না-রি ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।
উত্তরে ইব্রাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলল, ‘এটাকে হত্যা কর বা অগ্নিদগ্ধ কর।’ কিন্তু আল্লাহ্ তাকে অগ্নি হতে রক্ষা করলেন। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্যে।
{وَالَّذِينَ كَفَرُوا لَهُمْ نَارُ جَهَنَّمَ لَا يُقْضَى عَلَيْهِمْ فَيَمُوتُوا وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ مِنْ عَذَابِهَا كَذَلِكَ نَجْزِي كُلَّ كَفُورٍ (36) وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَا أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَاءَكُمُ النَّذِيرُ فَذُوقُوا فَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ نَصِيرٍ (37)} [فاطر: 36، 37]
ওয়াল্লাযীনা কাফারূ লাহুম না-রু জাহান্নামা লা-ইউকদা-‘আলাইহিম ফাইয়ামূতূ ওয়ালা-ইউখাফফাফু‘আনহুম মিন ‘আযা-বিহা- কাযা-লিকা নাজঝী কুল্লা কাফূর। ওয়া হুম ইয়াসতারিখূনা ফীহা- রাব্বানাআখরিজনা-না‘মাল সা-লিহান গাইরাল্লাযী কুন্না-না‘মালু আওয়ালাম নু‘আম্মির কুম মা-ইয়াতাযাক্কারু ফীহি মান তাযাক্কারা ওয়াজাআ কুমুন নাযীরু ফাযূকূফামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন নাসীর।
কিন্তু যারা কুফরী করে তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের আগুন। এদের মৃত্যুর আদেশ দেওয়া হবে না যে, এরা মরিবে এবং এদের হতে জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হবে না। এইভাবে আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে শাস্তি দিয়ে থাকি। সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করব, পূর্বে যা করতাম তা করব না।’ আল্লাহ্ বলবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’
{وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَارِدٍ (7) لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ (8) دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (9) إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10)} [الصافات: 7 - 10]
ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূ শিহা-বুন ছাকিব।
এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। ফলে এরা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শোনে করতে পারে না এবং এদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে- বিতাড়নের জন্যে এবং এদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি। তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেলিলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
সূরা তিনবার বা সাতবার অথবা সম্ভব হলে এর থেকে অধিকও পড়া। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۬ۙ وَ لَمْ یُوْلَدْ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۠﴿۴﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾ দূ‘আ তিনবার বা সাতবার অথবা সম্ভব হলে এর থেকে অধিকও পড়া। بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُّؤْذِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اَللّٰهُ يَشْفِيْكَ، بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ অর্থ: আমি আল্লাহর নামে আপনাকে রুকইয়াহ করছি, সেই সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দিক; আমি আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি। بِسْمِ اللّٰه ِالَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ অর্থ: আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। بِاسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَّشْفِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ অর্থ: আল্লাহর নামে (রুকইয়াহ করছি), তিনি আপনাকে মুক্ত করবেন এবং তিনিই প্রত্যেক রোগ থেকে আপনাকে আরোগ্য দিবেন। আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে এবং সকল বদনজরদাতার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুক। بِسْمِ اللّٰهِ ، أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللّٰهِ وَقُدْرَتِهٖ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ অর্থ: আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর সম্মান এবং তাঁর ক্ষমতার আশ্রয় নিচ্ছি, যা আমি অনুভব করি এবং যা আশঙ্কা করি, তার অকল্যাণ থেকে। اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে। أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ অর্থ: আমরা আল্লাহর পরিপূর্ণ কল্যাণময় বাক্যাবলীর দ্বারা প্রতিটি শয়তান, প্রাণনাশকারী বিষাক্ত জীব এবং অনিষ্টকারী বদনজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شرِّ مَا خَلَقَ অর্থ: আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। أَسْأَلُ اللّٰهَ الْعَظِيْمَ، رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، أَنْ يَّشْفِيَكَ অর্থ: আমি মহান আল্লাহ্র কাছে চাচ্ছি, যিনি মহান আরশের রব, তিনি যেন আপনাকে রোগমুক্তি প্রদান করেন।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاکَ ۚ فَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْنَ ﴿۱۱۷﴾ۚ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ۚ فَغُلِبُوْا هُنَالِکَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ۚ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ۚۖ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ۙ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ فَلَمَّاۤ اَلْقَوْا قَالَ مُوْسٰی مَا جِئْتُمْ بِهِ ۙ السِّحْرُ ؕ اِنَّ اللهَ سَیُبْطِلُهٗ ؕ اِنَّ اللهَ لَا یُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۸۱﴾ وَیُحِقُّ اللهُ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِهٖ وَلَوْ کَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۠۸۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِکَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۬ۚ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚ وَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا یَـُٔوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ وَ اِنْ تُبْدُوْا مَا فِیْۤ اَنْفُسِكُمْ اَوْ تُخْفُوْهُ یُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللهُ ؕ فَیَغْفِرُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَیُعَذِّبُ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَاللهُ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۲۸۴﴾ اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلٰٓئِکَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ۟ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ٭۫ غُفْرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیْکَ الْمَصِیْرُ ﴿۲۸۵﴾ لَا یُکَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا کَسَبَتْ وَعَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا کَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا ٝ وَاغْفِرْ لَنَا ٝ وَارْحَمْنَا ٝ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۲۸۶﴾۠ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاکَ ۚ فَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْنَ ﴿۱۱۷﴾ۚ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ۚ فَغُلِبُوْا هُنَالِکَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ۚ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ۚۖ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ۙ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَقَالَ فِرْعَوْنُ ائْتُوْنِیْ بِكُلِّ سٰحِرٍ عَلِیْمٍ ﴿۷۹﴾ فَلَمَّا جَآءَ السَّحَرَۃُ قَالَ لَهُمْ مُّوْسٰۤی اَلْقُوْا مَاۤ اَنْتُمْ مُّلْقُوْنَ ﴿۸۰﴾ فَلَمَّاۤ اَلْقَوْا قَالَ مُوْسٰی مَا جِئْتُمْ بِهِ ۙ السِّحْرُ ؕ اِنَّ اللهَ سَیُبْطِلُهٗ ؕ اِنَّ اللهَ لَا یُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۸۱﴾ وَیُحِقُّ اللهُ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِهٖ وَلَوْ کَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۠۸۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِکَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾ সূরা সফফাত সম্পূর্ণটা পড়বে বা শুনবে সূরা মারইয়াম সম্পূর্ণটা পড়বে বা শুনবে بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ সহবাসের সময় এই দু‘আ পড়বে بِسْمِ اللهِ ، اللهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি। তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখো। আমাদের যে সন্তান দান করবে (এ মিলনের ফলে) তা থেকেও শয়তানকে দূরে রাখো।’
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۬ۚ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚ وَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا یَـُٔوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ وَ اِنْ تُبْدُوْا مَا فِیْۤ اَنْفُسِكُمْ اَوْ تُخْفُوْهُ یُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللهُ ؕ فَیَغْفِرُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَیُعَذِّبُ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَاللهُ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۲۸۴﴾ اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلٰٓئِکَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ۟ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ٭۫ غُفْرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیْکَ الْمَصِیْرُ ﴿۲۸۵﴾ لَا یُکَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا کَسَبَتْ وَعَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا کَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا ٝ وَاغْفِرْ لَنَا ٝ وَارْحَمْنَا ٝ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۲۸۶﴾۠ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاکَ ۚ فَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْنَ ﴿۱۱۷﴾ۚ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ۚ فَغُلِبُوْا هُنَالِکَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ۚ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ۚۖ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ۙ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَقَالَ فِرْعَوْنُ ائْتُوْنِیْ بِكُلِّ سٰحِرٍ عَلِیْمٍ ﴿۷۹﴾ فَلَمَّا جَآءَ السَّحَرَۃُ قَالَ لَهُمْ مُّوْسٰۤی اَلْقُوْا مَاۤ اَنْتُمْ مُّلْقُوْنَ ﴿۸۰﴾ فَلَمَّاۤ اَلْقَوْا قَالَ مُوْسٰی مَا جِئْتُمْ بِهِ ۙ السِّحْرُ ؕ اِنَّ اللهَ سَیُبْطِلُهٗ ؕ اِنَّ اللهَ لَا یُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۸۱﴾ وَیُحِقُّ اللهُ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِهٖ وَلَوْ کَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۠۸۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِکَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّالْعٰلَمِیْنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِ ؕ﴿۳﴾اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُ ؕ﴿۴﴾اِهْدِنَاالصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ۙ﴿۵﴾صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْوَلَا الضَّآ لِّیْنَ۠﴿۷﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾ ذٰلِکَ الْکِتٰبُ لَا رَیْبَ ۚۖۛ فِیْهِ ۚۛ هُدًی لِّلْمُتَّقِیْنَ ۙ﴿۲﴾ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْغَیْبِ وَیُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ۙ﴿۳﴾ وَالَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْکَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِکَ ۚ وَ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ ؕ﴿۴﴾ اُوْلٰٓئِکَ عَلٰی هُدًی مِّنْ رَّبِّهِمْ ٭ وَ اُوْلٰٓئِکَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴿۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّیٰطِیْنُ عَلٰی مُلْکِ سُلَیْمٰنَ ۚ وَمَا کَفَرَ سُلَیْمٰنُ وَلٰکِنَّ الشَّیٰطِیْنَ کَفَرُوْا یُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ٭ وَمَاۤ اُنْزِلَ عَلَی الْمَلَکَیْنِ بِبَابِلَ هَارُوْتَ وَمَارُوْتَ ؕ وَمَا یُعَلِّمٰنِ مِنْ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوْلَاۤ اِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَۃٌ فَلَا تَكْفُرْ ؕ فَیَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا یُفَرِّقُوْنَ بِهٖ بَیْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهٖ ؕ وَمَا هُمْ بِضَآرِّیْنَ بِهٖ مِنْ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللهِ ؕ وَیَتَعَلَّمُوْنَ مَا یَضُرُّهُمْ وَلَا یَنْفَعُهُمْ ؕ وَلَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرٰىهُ مَا لَهٗ فِی الْاٰخِرَۃِ مِنْ خَلَاقٍ ۟ؕ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهٖۤ اَنْفُسَهُمْ ؕ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۰۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اِلٰـهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۶۳﴾۠ اِنَّ فِیْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّیْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْکِ الَّتِیْ تَجْرِیْ فِی الْبَحْرِ بِمَا یَنْفَعُ النَّاسَ وَمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ مَّآءٍ فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِیْهَا مِنْ كُلِّ دَآبَّۃٍ ۪ وَّتَصْرِیْفِ الرِّیٰحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَیْنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۱۶۴﴾ وَمِنَ النَّاسِ مَنْ یَّتَّخِذُ مِنْ دُوْنِ اللهِ اَنْدَادًا یُّحِبُّوْنَهُمْ کَحُبِّ اللهِ ؕ وَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَشَدُّ حُبًّا لِلّٰهِ ؕوَلَوْ یَرَی الَّذِیْنَ ظَلَمُوْۤا اِذْ یَرَوْنَ الْعَذَابَ ۙ اَنَّ الْقُوَّۃَ لِلّٰهِ جَمِیْعًا ۙ وَّاَنَّ اللهَ شَدِیْدُ الْعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۬ۚ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚ وَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا یَـُٔوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ شَهِدَ اللهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙ وَالْمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الْعِلْمِ قَآئِمًۢا بِالْقِسْطِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿ؕ۱۸﴾ اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللهِ الْاِسْلَامُ ۟ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ ؕ وَمَنْ یَّكْفُرْ بِاٰیٰتِ اللهِ فَاِنَّ اللهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ ﴿۱۹﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِیْ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ۟ یُغْشِی الَّیْلَ النَّهَارَ یَطْلُبُهٗ حَثِیْثًا ۙ وَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمْرِهٖ ؕ اَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَ الْاَمْرُ ؕ تَبٰرَکَ اللهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۵۴﴾ اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْیَۃً ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الْمُعْتَدِیْنَ ﴿ۚ۵۵﴾ وَ لَا تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًا ؕ اِنَّ رَحْمَتَ اللهِ قَرِیْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۵۶﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ وَ اِذْ صَرَفْنَاۤ اِلَیْکَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ یَسْتَمِعُوْنَ الْقُرْاٰنَ ۚ فَلَمَّا حَضَرُوْهُ قَالُوْۤا اَنْصِتُوْا ۚ فَلَمَّا قُضِیَ وَلَّوْا اِلٰی قَوْمِهِمْ مُّنْذِرِیْنَ ﴿۲۹﴾ قَالُوْا یٰقَوْمَنَاۤ اِنَّا سَمِعْنَا کِتٰبًا اُنْزِلَ مِنْۢ بَعْدِ مُوْسٰی مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ یَهْدِیْۤ اِلَی الْحَقِّ وَ اِلٰی طَرِیْقٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۳۰﴾ یٰقَوْمَنَاۤ اَجِیْبُوْا دَاعِیَ اللهِ وَ اٰمِنُوْا بِهٖ یَغْفِرْ لَكُمْ مِّنْ ذُنُوْبِكُمْ وَ یُجِرْكُمْ مِّنْ عَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۳۱﴾ وَ مَنْ لَّا یُجِبْ دَاعِیَ اللهِ فَلَیْسَ بِمُعْجِزٍ فِی الْاَرْضِ وَلَیْسَ لَهٗ مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِیَآءُ ؕ اُولٰٓئِکَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۲﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ سَنَفْرُغُ لَكُمْ اَیُّهَ الثَّقَلٰنِ ﴿ۚ۳۱﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۲﴾ یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ فَانْفُذُوْا ؕ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطٰنٍ ﴿ۚ۳۳﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۴﴾ یُرْسَلُ عَلَیْكُمَا شُوَاظٌ مِّنْ نَّارٍ ۬ۙ وَّ نُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرٰنِ ﴿ۚ۳۵﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۶﴾ فَاِذَا انْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَکَانَتْ وَرْدَۃً کَالدِّهَانِ ﴿ۚ۳۷﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۸﴾ فَیَوْمَئِذٍ لَّا یُسْـَٔلُ عَنْ ذَنْۢبِهٖۤ اِنْسٌ وَّ لَا جَآنٌّ ﴿ۚ۳۹﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۴۰﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ لَوْ اَنْزَلْنَا هٰذَا الْقُرْاٰنَ عَلٰی جَبَلٍ لَّرَاَیْتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْیَۃِ اللهِ ؕ وَ تِلْکَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ یَتَفَکَّرُوْنَ ﴿۲۱﴾ هُوَ اللهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ عٰلِمُ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَۃِ ۚ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ اَلْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلٰمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَیْمِنُ الْعَزِیْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَکَبِّرُ ؕ سُبْحٰنَ اللهِ عَمَّا یُشْرِكُوْنَ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۚ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَکِیْمُ ﴿۠۲۴﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ۙ﴿۱﴾ یَّهْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِهٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِکَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ﴿۲﴾ وَّ اَنَّهٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَۃً وَّ لَا وَلَدًا ۙ﴿۳﴾ وَّ اَنَّهٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللهِ شَطَطًا ۙ﴿۴﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اِذَا زُلْزِلَتِ الْاَرْضُ زِلْزَالَهَا ۙ﴿۱﴾ وَ اَخْرَجَتِ الْاَرْضُ اَثْقَالَهَا ۙ﴿۲﴾ وَ قَالَ الْاِنْسَانُ مَا لَهَا ۚ﴿۳﴾ یَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخْبَارَهَا ۙ﴿۴﴾ بِاَنَّ رَبَّکَ اَوْحٰی لَهَا ؕ﴿۵﴾ یَوْمَئِذٍ یَّصْدُرُ النَّاسُ اَشْتَاتًا ۬ۙ لِّیُرَوْا اَعْمَالَهُمْ ؕ﴿۶﴾ فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ خَیْرًا یَّرَهٗ ؕ﴿۷﴾ وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَهٗ ۠﴿۸﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ اَلَمْ تَرَ کَیْفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِاَصْحٰبِ الْفِیْلِ ؕ﴿۱﴾ اَلَمْ یَجْعَلْ کَیْدَهُمْ فِیْ تَضْلِیْلٍ ۙ﴿۲﴾ وَّ اَرْسَلَ عَلَیْهِمْ طَیْرًا اَبَابِیْلَ ۙ﴿۳﴾ تَرْمِیْهِمْ بِحِجَارَۃٍ مِّنْ سِجِّیْلٍ ۪ۙ﴿۴﴾ فَجَعَلَهُمْ کَعَصْفٍ مَّاْكُوْلٍ ۠﴿۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ یٰۤاَیُّهَا الْکٰفِرُوْنَ ۙ﴿۱﴾ لَاۤ اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ ۙ﴿۲﴾ وَ لَاۤ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ ۚ﴿۳﴾ وَ لَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ ۙ﴿۴﴾ وَ لَاۤ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ ؕ﴿۵﴾ لَكُمْ دِیْنُكُمْ وَلِیَ دِیْنِ ۠﴿۶﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللهُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۬ۙ وَ لَمْ یُوْلَدْ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۠﴿۴﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۠﴿۵﴾ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّۃِ وَ النَّاسِ ۠﴿۶﴾
সমস্যা পাত্র-পাত্রীর সব কিছুই ঠিক আছে, বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স, পরিবার, পড়াশোনা, ইনকাম সবই ঠিক, এমনকি প্রস্তাবও আসে, বিয়ের কথাও আগায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বিয়েটা হচ্ছে না। এবং এমনটা অনেকবারই হচ্ছে। অথবা একেবারেই প্রস্তাব আসছে না। লক্ষণ পাত্র-পাত্রীর মেজাজ খিটখিটে, মাথাব্যথা, ঠিকমত ঘুম না হওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা, বিয়ের কথা হলেই মাথাব্যথাসহ অন্য অসুস্থতা বেড়ে যাওয়া, পাত্র বা পাত্রী সম্পর্কে মনে খারাপ ধারণা আসা, বিয়ের ব্যাপারে অনীহা জাগা ইত্যাদি। সমস্যা স্বামী স্ত্রীর মাঝে সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া ঝগড়া হচ্ছে। একে অপরকে অচেনা লাগছে, সংসার থেকে মন উঠে যাচ্ছে। এমনকি তালাকের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। লক্ষণ একসাথে থাকতে ভাল না লাগা, সহবাস করতে মন না চাওয়া। ঘরের বাইরে বা একে অপর থেকে দূরে থাকলে শান্তি লাগা, অহেতুক সন্দেহ কাজ করা, জ্বর,মাথা ব্যথা ইত্যাদি অসুস্থতা। রুকইয়াহ উপরের সমস্যা দুটো দুই কারণে হতে পারে। বদনজর ও জাদু। যদি তাবিজ বা জাদু করা না হয় তবে বদনজরের রুকইয়াহ করাবেন। আর যদি জাদু হয় তবে তাবিজ বা জাদুর জিনিস নষ্ট করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সব নষ্ট করে এরপর জাদুগ্রস্থের রুকইয়াহ করাবেন। নজর হলে নিজে নিজে রুকইয়াহ করতে পারবেন। আর জাদু হলে রাক্বীর দ্বারা রুকইয়াহ করানো উত্তম।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে