দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

শ্বেত ও কুষ্ঠরোগ এবং মহামারী থেকে পানাহ চাওয়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ

উচ্চারণঃ

আল্লহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্বম।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেতকুষ্ঠ উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং সমস্ত খারাপ রোগ থেকে।

.

মনের ব্যতিক্রম কিছু হলে পড়বে

۞ اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰی كُلِّ حَالٍ

উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হাল।

অর্থঃ

সর্বাবস্থায়ই আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা ও শোকর আদায় করছি।

.

দুর্ভাগ্য এবং দুশমনের হাসি থেকে রক্ষা পাওয়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِالْبَلَاءِ وَدَرْكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ و شَمَاتَةِ الْاَعْدَاءِ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন জাহদিল বালা-ই ওয়া দারকিশ শাক্বা-ই ওয়া সূ-ইল ক্বদা-ই ওয়া শামাতাতিল আ’দা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরাবস্থা, দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দভাগ্য এবং দুশমনের হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি।

.

অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا، اَللّٰهُمَّ عَلَى الْاۤكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُوْنِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা-‘আলাইনা। আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়ায্যিরাবি ওয়া বুতূনিল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! এ বৃষ্টি আমাদের আশপাশে (যেখানে প্রয়োজন) বর্ষণ করুন এবং আমাদের উপর (যেখানে প্রয়োজন নেই) বর্ষণ করবেন না। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকায় কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)

.

নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ اَهِلَّهٗ عَلَيْنَا بِالْاَمْنِ وَالْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْاِسْلَامِ رَبِّيْ وَرَبُّكَ اللّٰهُ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি, রাব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাহ।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, এই চাঁদকে আমাদের উপর বরকত, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সহিত উদিত করুন, হে চাঁদ, আমার ও তোমার রব আল্লাহ তা’আলা।

.

রজব ও শা‘বান মাসের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْ رَجَبَ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজাবা ওয়া শা‘বানা ওয়া বাল্লিগনা রমাযানা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে রজব ও শা’বান মাসের বরকত দান করুন ও আমাদেরকে রামাযান মাসে পৌঁছে দিন।

.

রমযান মাসে পড়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া না‘ঊযুবিকা মিনান নারি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে জান্নাত দান করেন এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেন।

.

ইফতারের সময় পড়বে-২

۞ اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফত্বারতু।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রোযা রেখেছি এবং আপনার রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।

.

ইফতারের পর এ দু‘আ পড়বে খেজুর দিয়ে ইফতার করা নবীজী (ﷺ) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাই খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে। নবীজী (ﷺ) বলেন, তোমাদের কেউ ইফতার করলে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর না থাকলে পানি দিয়ে। কেননা তা পবিত্র বস্তু। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৬৯৫

۞ ذَهَبَ الظَّمَأُ. وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ. وَثَبَتَ الْاَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণঃ

জাহাবায যমাউ ওয়াব তাল্লাতিল ‘উরূক্বু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।

অর্থঃ

পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনী সমূহ সতেজ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ (রোযার সওয়াব) নিশ্চিত হয়েছে।

১০.

অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে পড়বে

۞ لَا بَأْسَ طَهُوْ رٌ إِنْ شَاءَ اللّٰهُ – أَسْأَلُ اللّٰهَ الْعَظِيْمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَشْفِيَكَ

উচ্চারণঃ

লা বা’সা তাহুরুন ইনশাআল্লাহ, আস আলুল্লাহাল ‘আযীম রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম আইঁ ইয়াশ ফিয়াক।

অর্থঃ

বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। (আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন) ইনশাআল্লাহ্‌ এই রোগ (বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা থেকে) পবিত্রতা সাধনকারী। এরপরে সাতবার এই দু‘আ পড়বে : আমি আরশে আযীমের মালিক, মহান আল্লাহ্‌ তা‘আলার নিকট আপনার সুস্থতার জন্যে দু‘আ করছি।

১১.

কষ্ট দূর করার দু‘আ

۞ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ وَلَا مَنْجَاَ مِنَ اللّٰهِ إِلَّا إِلَيْهِ

উচ্চারণঃ

লা হাওলা ওয়ালা-ক্বুওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ওয়ালা মানজা মিনাল্লহি ইল্লা ইলাইহি।

অর্থঃ

আল্লাহর তাওফীক ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা বা কোনো নেক কাজ করা সম্ভব নয়। এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া মুক্তি পাওয়ার কোন পথ নেই।

১২.

বদনজর থেকে বাঁচার দু‘আ

۞ اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

উচ্চারণঃ

আ‘ঊযু বিকালিমা তিল্লা হিত তা ম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বা নিউ ওয়া হা ম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনীন লাম্মাতিন।

অর্থঃ

সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদ নযর থেকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি।

১৩.

সাহরী খাওয়া

সাহরীর গুরুত্ব: রোযার নিয়তে সুবহে সাদিকের পূর্বে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তা হল সাহরী। সাহরী খাওয়া সুন্নত। সাহরীতে পেট ভরে খাওয়া আবশ্যক নয়; এক দুই ঢোক পানি পান করেও এ সুন্নত আদায় করা যায়। শেষ ওয়াক্তে সাহরী গ্রহণ করা উত্তম: সাহরী করা যেমন মুস্তাহাব তেমনি তা ওয়াক্তের শেষ দিকে করাও উত্তম। অর্থাৎ সতর্কতামূলক সময় হাতে রেখে সুবহে সাদিকের পূর্ব-নিকটবর্তী সময়ে সাহরী করা ভালো। নবীজী (ﷺ) বলেন, আমরা নবীগণ এ মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে, সময় হওয়ার সাথে সাথেই ইফতার করব এবং শেষ ওয়াক্তে সাহরী গ্রহণ করব। (আল-মুজামুল আওসাত, তবারানী, হাদীস নং: ১৮৮৪; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং: ৪৮৮০) সাহাবায়ে কেরামের আমলও এরকম ছিল। হযরত আমর ইবনে মাইমুন আলআউদী রাহ. বলেন সাহাবায়ে কেরাম সময় হওয়ার সাথে সাথেই দ্রুত ইফতার করতেন আর শেষ ওয়াক্তে সাহরী করতেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭৫৯১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৮৯৩২) সাহরীতে রয়েছে বরকত কিন্তু তা গ্রহণ করা ওয়াজিব নয়। কেননা নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ একটানা রোযা পালন করেছেন অথচ সেখানে সাহরির কোন উল্লেখ নেই।

১৪.

অন্যের বাড়ীতে ইফতার করলে এ দু‘আ পাঠ করবে

۞ اَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ وَاَكَلَ طَعَامَكُمُ الْاَ بْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ

উচ্চারণঃ

আফত্বরা ‘ইনদাকুমুস সা-ইমূন ওয়া আকালা ত্ব‘আমাকুমুল আবরার, ওয়া সল্লাত ‘আলাইকুমুল মালাইকাতু।

অর্থঃ

রোযাদারগণ যেন তোমাদের বাড়ীতে ইফতার করে এবং নেক লোকেরা যেন তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের উপর রহমতের দু‘আ করে।

১৫.

ইলম চাওয়া এবং প্রশান্ত দেহ ও মন লাভের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ وَمِنْ دُعَاءٍ لَا يُسْمَعُ وَ مِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعُ ‏

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ইলমিন লা-ইয়ান ফা’ ওয়ামিন দু‘আ ইন লা-ইয়ুস মা’ ওয়ামিন ক্বলবিন লা-ইয়াখশা’ ওয়ামিন নফসীন লা-তাশবা’

অর্থঃ

হে আল্লাহ্! আমি সেই জ্ঞান থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই যা কোন উপকারে আসে না, এমন দু‘আ থেকে যা শোনা হয় না, সেই অন্তর থেকে যা ভীত হয় না এবং সেই দেহ থেকে যা তৃপ্ত হয় না।

১৬.

দু‘আ-৯৯

لَاۤ إِلٰهَ إِلَّاۤ أَنْتَ لَا شَرِيْكَ لَكَ سُبْحَانَكَ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْۢبِيْ وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ .

অর্থঃ

আপনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, আপনি পবিত্র মহান।৯৯ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে ক্ষমা চাই আমার সকল গুনাহ থেকে, আর আপনার কাছে চাই আপনার করুণা।

১৭.

প্রচণ্ড ঝড়-বাতাস বইতে শুরু করলে পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْاٴَ لُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا وَخَيْرَ مَا اُرْسِلَتْ بِهٖ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا اُرْسِلَتْ بِهٖ

উচ্চারণঃ

আল্লহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খইরাহা- ওয়া খইরা মা- ফী-হা- ওয়া খইরামা- উরসিলতা বিহি- ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফী-হা- ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি-।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে।

১৮.

মেঘের গর্জন শুনলে পড়বে-১

۞ اَللّٰهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذٰلِكَ

উচ্চারণঃ

আল্লহুম্মা লা তাক্বতুলনা বি গদ্বাবিকা ওয়ালা তুহলিকনা বি ‘আযাবিকা ওয়া ‘আাফিনা ক্ববলা যালিকা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! দয়া করে আপনি আমাদেরকে আপনার গযবের দ্বারা মৃত্যু দেবেন না এবং আপনার আযাব দ্বারা ধ্বংস করবেন না। বরং এর পূর্বেই আমাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন।

১৯.

বজ্রপাতের সময়/মেঘের গর্জন শুনলে পড়বে-২

۞ سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِ هٖ وَالْمَلاَئِكةُ مِنْ خِيفَتِهٖ

উচ্চারণঃ

সুবহা-নাল্লাযী ইউসাব্বিহুর রা‘দু বিহামদিহি ওয়ালমালাইকাতু মিন খী-ফাতিহি

অর্থঃ

পবিত্র-মহান সেই সত্তা, যার ভয়ে রা‘দ ফেরেশতাসহ সকল ফেরেশতা মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে।

২০.

বেশি বৃষ্টি হলে এই দু‘আ পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا

উচ্চারণঃ

আল্লহুম্মা হাওয়া লাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! এ বৃষ্টি আমাদের আশপাশে (যেখানে প্রয়োজন) বর্ষণ করুন এবং আমাদের উপর (যেখানে প্রয়োজন নেই) বর্ষণ করবেন না।