অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا، اَللّٰهُمَّ عَلَى الْاۤكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُوْنِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা-‘আলাইনা। আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়ায্যিরাবি ওয়া বুতূনিল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! এ বৃষ্টি আমাদের আশপাশে (যেখানে প্রয়োজন) বর্ষণ করুন এবং আমাদের উপর (যেখানে প্রয়োজন নেই) বর্ষণ করবেন না। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকায় কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)
উপকারিতাঃ
اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا، اَللّٰهُمَّ عَلَى الْاۤكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُوْنِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ এরপর
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাযি) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি জুমুআর দিন মসজিদে নববীতে দারুল কাযার দিকে স্থাপিত দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। এ সময় রাসূলুল্লাহ দাঁড়িয়ে খুতবাহ দিচ্ছিলেন। সে রাসূলুল্লাহ এর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (অনাবৃষ্টির ফলে) মাল সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন যেন তিনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করেন। রাসূলুল্লাহ দু হাত উঠিয়ে দু‘আ করলেন, “আল্লাহুম্মা আগিসনা, আল্লহুম্মা আগিসনা, আল্লহুম্মা আগিসনা” (অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন।)। [৩ বার] আনাস (রাযি) বলেন, আল্লাহর শপথ! এ সময় আসমানে কোন মেঘ বা মেঘের চিহ্নও ছিল না। আর আমাদের ও সালই পাহাড়ের মাঝে কোন ঘর-বাড়ী কিছুই ছিল না। (ক্ষণিকের মধ্যে) তার পেছন থেকে ঢালের ন্যায় অখণ্ড মেঘ উদিত হ’ল। একটু পর তা মাঝ আকাশে এলে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল এবং বৃষ্টি শুরু হ’ল। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আল্লাহর শপথ আমরা সপ্তাহকাল যাবৎ আর সূর্যের মুখ দেখিনি। অতঃপর পরবর্তী জুমু’আয় আবার এক ব্যক্তি ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। রাসূলুল্লাহ দাঁড়িয়ে খুতবাহ দিচ্ছিলেন। সে রাসূলুল্লাহ এর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মাল সম্পদ সব বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব, আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন যেন বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ আবার হাত উঠিয়ে দু‘আ করলেন, الشَّجَرِ এরপর বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গেল। আমরা বের হয়ে সূর্য তাপের মধ্যে চলাচল করতে লাগলাম। শারীক বলেন, আমি হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাযি) কে জিজ্ঞেস করলাম, এ ব্যক্তি কি প্রথম ব্যক্তি? আনাস বললেন, আমার জানা নেই।
উৎসঃ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৮৯৭