দু’আ

মোট দু’আ - ৬১২ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

মনের চাহিদা মুতাবিক অবস্থা হলে পড়বে

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ بِنِعْمَتِهٖ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ

উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লা হিল্লাযী বিনিইমাতিহী তাতিম্মুস সালিহাত।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্য, যার নেয়ামতের বদৌলতে সর্বপ্রকার পূণ্যময় কাজ সমাধা ও সম্পন্ন হয়।

.

জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপের দু‘আ

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ

উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবর।

অর্থঃ

আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

.

রাসূল (ﷺ) এর রওজা পাকের সামনে দাঁড়িয়ে সালাম বলা

۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا حَبِيْبَ اللهِ ۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِىَّ اللهِ

উচ্চারণঃ

আসসালামু ‘আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ। আসসালামু ‘আলাইকা ইয়া হাবীবাল্লাহ। আসসালামু ‘আলাইকা ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ।

অর্থঃ

হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর হাবীব! আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর নবী! আপনার উপর সালাম। বি:দ্র: পারলে এ জাতীয় আরও বাক্য যোগ করা যায়। না পারলে বা বেশী সময় না পেলে যতটুকু সম্ভব বলবে, অন্তত প্রথম বাক্যটা বলবে।

.

ঈমান রক্ষার দু‘আ-২

۞ رَبَّنَا لَاۤ تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ هَدَيۡتَنَا وَهَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡكَ رَحۡمَةً اِنَّكَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা লা তুযিগ্ ক্বুলুবানা বা’দা ইয্ হাদাইতানা ওয়া হাব্‌লানা মিল্লা দুনকা রাহমাহ্ ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্‌হাব।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ-প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করো না এবং তোমার নিকট থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর। নিশ্চয়ই তুমি মহান দাতা।

.

তালবিয়া

ইহরাম অবস্থায় ‘তালবিয়া’ পাঠ করতে হয়। তালবিয়ার বাক্যগুলো এরূপ:- ۞ لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لاَ شَرِيْكَ لَكَ

উচ্চারণঃ

লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক, লাব্বায়কা লা শারীকা লাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারীকালাক।

অর্থঃ

আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ্! আমি উপস্থিত; আমি উপস্থিত, তোমার কোন শরীক নেই, আমি উপস্থিত; নিশ্চয় সব প্রশংসা এবং অশেষ অনুগ্রহ এবং আধিপত্যের তুমিই মালিক তোমার কোন অংশীদার নেই।

.

যমযমের পানি পান করার দু‘আ

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ ۞

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান নাফি‘আও, ওয়া রিযক্বন ওয়াসি‘আও, ওয়া শিফাআম মিন কুল্লি দাইন।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম এবং প্রশস্ত রিযিক এবং সর্বপ্রকার রোগের শিফা চাচ্ছি।

.

আরাফার দিনের দু‘আ

۞ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থঃ

আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি একক। তার কোন শরীক নাই। সকল ক্ষমতা তার এবং সকল প্রশংসার উপযুক্ত তিনিই। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

.

মুজদালিফার দু‘আ

۞ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ ، أَنْجَزَ وَعْدَهٗ ، وَنَصَرَ عَبْدَهٗ ، وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهٗ

উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ।

.

৯ই যিলহজ্ব এর দু‘আ (তাকবীরে তাশরীক)

۞ اَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ. لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ . وَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ. وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

অর্থঃ

আল্লাহ মহান! আল্লাহ মহান! আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এবং আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

১০.

হজরে আসওয়াদ এবং মাকামে ইবরাহীমের মাঝের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ قَنِّعْنِيْ بِمَا رَزَقْتَنِيْ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَاخْلُفْ عَلَيَّ كُلَّ غَائِبَةٍ لِّيْ بِخَيْرٍ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা কান্নি‘নী বিমা রাযাকতানী, ওয়াবারিকলী ফীহি, ওয়াখলুফ আলাইয়া কুল্লা গা-ইবাতিন লী বিখাইরিন।

অর্থঃ

হে প্রভু! তুমি যে রিযিক (জীবিকা) আমাকে দান করেছ, তাতেই আমাকে তুষ্ট রাখ। এবং উহাতে বরকত দান কর। এবং আমার প্রতিটি অনুপস্থিত বিষয়ক তুমি মঙ্গলের সহিত রক্ষণাবেক্ষণ কর।

১১.

বাইতুল্লাহ থেকে বিদায় নেয়ার সময় দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ هٰذَا اَۤخِرَ الْعَهْدِ بِبَيْتِكَ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লা তাজ‘আল হাযা আ-খিরাল আহদি বিবাইতিক।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, তোমার ঘরের এই (সফর) শেষ বিদায় যেন না হয়।

১২.

ঈমান নবায়নের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ جَدِّدِ الْإِيْمَانَ فِيْ قُلُوْبِنَا

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা জাদ্দিদিল ঈমানা ফি কুলুবিনা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হৃদয়ে ইমানকে নবায়ন করে দাও।

১৩.

ইফতারের সময় পড়বে-১

۞ يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণঃ

ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি ইগফির্‌লী।

অর্থঃ

হে মহান ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।

১৪.

তাকবীরে তাশরীক

۞ اَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ. لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ . وَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ. وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

অর্থঃ

আল্লাহ মহান! আল্লাহ মহান! আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এবং আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

১৫.

আয়াতুল কুরসী

۞ اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَـىُّ الۡقَيُّوۡمُ لَا تَأْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوۡمٌ‌ؕ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ‌ؕ مَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ‌ؕ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ‌ۚ وَلَا يُحِيۡطُوۡنَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ‌‌ۚ وَلَا يَـــُٔوۡدُهٗ حِفۡظُهُمَا ‌ۚ وَ هُوَ الۡعَلِىُّ الۡعَظِيۡمُ‏

উচ্চারণঃ

আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।

অর্থঃ

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

১৬.

সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ে আরোহণের দু‘আ

۞ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِه اَللّٰهُ أَكْبَرْ ، اَللّٰهُ أَكْبَرْ ، اَللّٰهُ أَكْبَرْ ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ ، أَنْجَزَ وَعْدَهٗ ، وَنَصَرَ عَبْدَهٗ ، وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهٗ

উচ্চারণঃ

ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আইরিল্লাহ। আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহী। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শরীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।

অর্থঃ

নিশ্চয়ই সাফা-মারওয়া পাহাড় আল্লাহর নিদর্শানাবলীর মধ্য থেকে অন্যতম নিদশর্ন। আল্লাহ যেভাবে শুরু করেছেন, আমিও সেভাবে শুরু করছি। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি একক। তার কোন শরীক নাই। সকল ক্ষমতা তার এবং সকল প্রশংসার উপযুক্ত তিনিই। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি একক, তিনি তার ওয়াদা পূরন করেন, তার বান্দাদের সাহায্য করেন এবং একাই সম্মিলিত দুশমন বাহিনীকে পরাজিত করেন।

১৭.

পশু জবাইয়ের দু‘আ সমূহ

কুরবানীর পশু জবাই করার পূর্বে-১ ۞ إِنِّيْ وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِيْ فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيْفًا وَّمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ إِنَّ صَلَاتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِيْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ لَا شَرِيْكَ لَهٗ وَبِذٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ اَللّٰهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ উচ্চারণ: ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাওঁ ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়া-ইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বি-যালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা। অর্থ: নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ—সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি মুসলিমদের একজন। হে আল্লাহ্! এটি তোমারই পক্ষ থেকে এবং তোমারই জন্য। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং: ২৭৯৫; সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ৩১২১) পশু জবাই করার সময় পড়ার দু‘আ-২ ۞ بِسْمِ اللهِ اَللهُ أَكْبَرْ উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অর্থ: শুরু করছি আল্লাহর নামে, (কুরবানী করছি) যিনি সবচেয়ে মহান। বি:দ্র: পুরো দু‘আ না পারলেও অন্তত বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে কুরবানী করতে হবে। আল্লাহর নাম ছাড়া কোনভাবেই কুরবানী জায়েজ হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যার উপর আল্লাহর নাম (বিসমিল্লাহ) উচ্চারণ করা হয়েছে তা থেকে তোমরা আহার করো। (সূরা আনআম, আয়াত: ১১৮) হাদিসে এসেছে- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুটি শিংওয়ালা ভেড়া জবাই করলেন, তখন ‘বিসমিল্লাহ’ ও আল্লাহু আকবার’ বললেন। (সুনানে দারিমী, হাদীস নং: ১৯৮৮) পশু জবাই করার পর -৩ ۞ اَللّٰهُمَّ تَقَبَّلْهُ مِنِّىْ كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ سَيِّدِنَا رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَلِيْلِكَ سَيِّدِنَا إِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلاَمِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা তাক্বাব্বালহু মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতা মিন হাবীবিকা সাইয়্যিদিনা রসূলিল্লাহি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া খলীলিকা সাইয়্যিদিনা ইবরাহীমা আলাইহিস সালাম। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি এটি আমার পক্ষ থেকে কবুল করুন, যেভাবে কবুল করেছিলেন আপনার প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং আপনার খলীল হযরত ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছ থেকে। (সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং: ৩১২১)

১৮.

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

۞ آمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلَائِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِه ۚ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَّسِيْنَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِيْنَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِه ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

উচ্চারণঃ

আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

(১) রাসূল (অর্থাৎ হযরত মুহাম্মাদ ﷺ) তাতে ঈমান এনেছে, যা তাঁর উপর তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে এবং (তাঁর সাথে) মুমিনগণও। তাঁরা সকলে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে। (তারা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোনও পার্থক্য করি না (যে, কারও প্রতি ঈমান আনব এবং কারও প্রতি আনব না)। এবং তাঁরা বলে, আমরা (আল্লাহ ও রাসূলের বিধানসমূহ মনোযোগ সহকারে) শুনেছি এবং তা (খুশীমনে) পালন করছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার মাগফিরাতের ভিখারী, আর আপনারই কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন। (২) আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব অর্পণ করেন না। তার কল্যাণ হবে সে কাজেই যা সে স্বেচ্ছায় করে এবং তার ক্ষতিও হবে সে কাজেই, যা সে স্বেচ্ছায় করে। (হে মুসলিমগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে এই দু‘আ কর যে,) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দ্বারা যদি কোনও ভুল-ত্রুটি হয়ে যায় তবে সেজন্য তুমি আমাদের পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি সেই রকমের দায়িত্বভার অর্পণ করো না, যেমন তা অর্পণ করেছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর এমন ভার চাপিয়ো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের (ত্রুটিসমূহ) মার্জনা কর, আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর।

১৯.

দারিদ্র্যতা ও অপরের কাছে হাতপাতা থেকে আশ্রয়

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُؤْسِ وَالتَّبَاؤُسِ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বু’সি ওয়াত তাবা- উস

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি দারিদ্র্য ও অপরের কাছে হাত-পাতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।

২০.

কবরের আজাব, ওয়াসওয়াসা ও কাজের বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্তির দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَوَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الأَمْرِ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আযাবিল কবরি ওয়া ওয়াসওয়াসাতিস সাদরি, ওয়া স্বাতাতিল আমরি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই কবরের আযাব থেকে, মনের ওয়াসওয়াসা থেকে, কাজের বিশৃঙ্খলা থেকে।