۞ اَللّٰهُمَّ إنّيْ ضَعِيْفٌ فَقَوِّنِيْ وَإِنِّيْ شَدِيْدٌ فَلَيِّنِيْ وَإِنِّيْ بَخِيْلٌ فَسَخِّنِيْ
আল্লাহুম্মা ইন্নি দ্ব’য়িফুন ফা ক্বওওয়িনি, ওয়া ইন্নি শাদি-দুন ফা লায়্যিনি- ওয়া ইন্নি বাখি-লুন ফা সাখখিনি
হে আল্লাহ আমি দুর্বল, অতএব আমাকে শক্তিশালী করুন। আমি রূঢ়, আমাকে নম্রতা দান করুন। আমি কৃপণ, অতএব আমাকে বদাণ্যতা দান করুন।
۞ اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ أَوْسَعَ رِزْقِكَ عَلَيَّ عِنْدَ كِبَرِ سِنِّيْ , وَانْقِطَاعِ عُمُرِيْ
আল্লাহুম্মাজ’আল আওসা’আ রিজক্বিকা ’আলাইয়া ইনদা কিবারি সিন্নি, ওয়ানক্বিত্ব-ই ’উমুরি
হে আল্লাহ ! আপনার দেওয়া রিজককে আমার বৃদ্ধ বয়সে এবং জীবনের সমাপ্তি পর্যন্ত প্রশস্ত করে দিন।
۞ اَللّٰهُ أَكْبَرُ، اَللّٰهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِه جَمِيْعاً، اَللّٰهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوْذُ بِاللهِ الَّذِيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ، الْمُمْسِكِ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِه، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلاَنٍ، وَجُنُوْدِه وَأَتْبَاعِه وَأَشْيَاعِه، مِنَ الْجِنِّ وَالإِنْسِ، اَللّٰهُمَّ كُنْ لِيْ جَارًا مِّنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلَا إِلٰهَ غَيْرُكَ
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আ‘আয্যু মিন খালক্বিহী জামী‘আন। আল্লাহু আ‘আয্যু মিম্মা আখা-ফু ওয়া আহযারু। আউযু বিল্লা-হিল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল মুমসিকুস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, আন ইয়াকা‘না আলাল্ আরদ্বি ইল্লা বিইযনিহী, মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলা-নিন,(উক্ত ব্যক্তির নাম বলবে) ওয়া জুনূদিহী ওয়া আতবা‘ইহী ওয়া আশইয়া‘ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনসি। আল্লাহুম্মা কুন লী জা-রান মিন শাররিহিম, জাল্লা সানা-উকা ওয়া ‘আয্যা জা-রুকা ওয়াতাবা-রকাসমুকা ওয়া লা ইলা-হা গাইরুকা
আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে মহামর্যাদাবান। আমি যা থেকে ভীত ও শঙ্কিত তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। আমি আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, যিনি সাত আসমানের ধারণকারী, তার অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর পতিত হওয়া থেকে— (আশ্রয় চাই) তাঁর অমুক বান্দা, তার সৈন্য-সামন্ত, তার অনুসারী ও তার অনুগামী জ্বীন ও ইনসানের অনিষ্ট থেকে। হে আল্লাহ! তাদের ক্ষতি থেকে আপনি আমার জন্য আশ্রয়দানকারী হোন। আপনার গুণগান অতি মহান, আপনার প্রতিবেশী মহিমান্বিত, আপনার নাম অতি বরকতময়। আর আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
۞ يَا هَادِيَ الضَّلَالِ، وَرَادَّ الضَّالَّةِ اُرْدُدْ عَلَيَّ ضَالَّتِيْ بِعِزَّتِكَ وَسُلْطَانِكَ فَإِنَّهَا مِنْ عَطَائِكَ وَفَضْلِكَ
ইয়া হাদিয়াদ দ্বালা-লি, ওয়া রা-দ্দাদ দ্বাল্লাতি; উরদুদ আলাইয়া দ্বা-ল্লাতি, বিইজ্জাতিকা ওয়া সুলতা-নিকা; ফাইন্নাহা মিন আত্বা-য়িকা ওয়া ফাদ্বলিকা।
হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হারানো বস্তু প্রত্যাবর্তনকারী; আপনার সম্মান ও ক্ষমতার উসিলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে আমার হারানো জিনিসটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান এবং অনুগ্রহ।
اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ ، وَجِوَارٍ مِنَ الشَّيْطَانِ .
আল্লাহুম্মা আদখিলহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি, ওয়ারিদ ওয়ানিম মিনার রাহমানি ওয়া জিওয়ারিম মিনাশ শাইত্বনি।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এ বছরের আগমন ঘটান- শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহ্র সন্তুষ্টির সাথে।
৭.
দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যাণের জন্যে এই দু‘আ পড়বে জামে দু‘আ, নবীজী ﷺ এর শেখানো দু‘আগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দু‘আগুলোর নাম জামে দু‘আ। এই দু‘আগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো স্বল্প কথায় আল্লাহর নিকট অনেক বেশি চাওয়া হয়ে যায়। এজন্যে নবীজী ﷺ এই দু‘আগুলো বেশি পরিমাণে পাঠ করতেন। সালাফে সালেহীনও এই দু‘আগুলোর গুরুত্ব দিতেন। মুসলমানদের উচিত, এই দু‘আগুলো মুখস্থ করে রাখা এবং সময়ে সময়ে এই দু‘আগুলো পাঠ করা। বিশেষ করে মুনাজাতে এই দু‘আগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট চাওয়া।
দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যাণের জন্যে এই দু‘আ পড়বে জামে দু‘আ, নবীজী ﷺ এর শেখানো দু‘আগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দু‘আগুলোর নাম জামে দু‘আ। এই দু‘আগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো স্বল্প কথায় আল্লাহর নিকট অনেক বেশি চাওয়া হয়ে যায়। এজন্যে নবীজী ﷺ এই দু‘আগুলো বেশি পরিমাণে পাঠ করতেন। সালাফে সালেহীনও এই দু‘আগুলোর গুরুত্ব দিতেন। মুসলমানদের উচিত, এই দু‘আগুলো মুখস্থ করে রাখা এবং সময়ে সময়ে এই দু‘আগুলো পাঠ করা। বিশেষ করে মুনাজাতে এই দু‘আগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট চাওয়া।
۞ اَللّٰهُمَّ رَبَّـنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
হে আল্লাহ্! আমাদের প্রতিপালক! দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করুন। এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দান করুন।
۞ وَإِنْ يَّكَادُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَيُزْلِقُوْنَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوْا الذِّكْرَ وَيَقُوْلُوْنَ إِنَّهٗ لَمَجْنُوْنٌ ﴿ۙ۵۱﴾ وَمَا هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِيْنَ ﴿ۙ۵۲﴾
কাফিররা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন এরা যেন এদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়িয়ে ফেলিবে এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল!’ অথচ এটা তো বিশ্বজগতের জন্য কেবলই উপদেশ।
۞ اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ
আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ী, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারী, লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি, ওয়াল ফাকরি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
۞ بِسْمِ اللّٰهِ الْكَبِيْرِ اَعُوْذُ بِاللّٰهِ الْعَظِيْمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَّعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ
বিসমিল্লাহিল কাবীরি আ‘ঊযুবিল্লা হিল ‘আযীমি মিন শাররি কুল্লি ‘ইরক্বিন না‘আা রিন ওয়া মিন শাররি হার রিন্নার।
মহান আল্লাহর নামের সাথে আমি মহান আল্লাহ তা‘আলার আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রত্যেক উত্তেজিত ধমনীর অনিষ্ট থেকে এবং দোযখের উত্তাপের অনিষ্ট থেকে।
اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمٰوٰتِ السَّبْعِ وَمَاۤ أَظَلَّتْ! وَرَبَّ الْأَرَضِيْنَ وَمَاۤ أَقَلَّتْ! وَرَبَّ الشَّيَاطِيْنِ وَمَاۤ أَضَلَّتْ! كُنْ لِيْ جَارًا مِّنْ شَرِّ خَلْقِكَ أَجْمَعِيْنَ أَنْ يَّفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِّنْهُمْ أَوْ أَنْ يَّطْغٰى عَزَّ جَارُكَ وَتَـبَارَكَ اسْمُكَ .
ইয়া আল্লাহ! হে মালিক সপ্ত আকাশের আর তার ছায়ায় থাকা সবকিছুর! হে মালিক ভূমিসমূহের আর তার উপরে থাকা সবকিছুর! হে প্রভু শয়তানকুলের আর যাদের এরা বিপথগামী করেছে তাদের! আপনি আমার রক্ষাকারী থাকুন আপনার সকল সৃষ্টির অকল্যাণ থেকে, তাদের কারো অন্যায় বা অবিচারের শিকার হওয়া থেকে। সুরক্ষিত সে যে আপনার আশ্রিত আর প্রভূত বরকতময় আপনার নাম।৯৮
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ ذَنْۢبِيْ وَاخْسَأْ شَيْطَانِيْ وَفُكَّ رِهَانِيْ، وَثَقِّلْ مِيْزَانِيْ، وَاجْعَلْنِيْ فِيْ النَّدِيِّ الْأَعْلٰى.
ইয়া আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার শয়তানকে বিতাড়িত করুন, আমার বন্ধন খুলে দিন, (অর্থাৎ যা কিছু আমাকে গুনাহের সাথে আবদ্ধ রেখেছে তা থেকে আমাকে মুক্ত করুন। আমার (আমলের) পাল্লা ভারী করে দিন এবং আমাকে উচ্চ মহলে (আল্লাহর মকবুল বান্দাদের) অন্তর্ভুক্ত করুন।৯৭
۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَجْعَلُكَ فِيْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ‘আলুকা ফী নুহূরিহিম, ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরূরিহিম।
হে আল্লাহ! আমি আপনাকে এদের মুকাবেলায় (নিজের) ঢাল বানিয়েছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি।
۞ اَللّٰهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُوْ ، فَلَا تَكِلْنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهٗ، لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا أَنْتَ
আল্লাহুম্মা রহ্মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লা আনতা
হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নাই।
۞ اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنِيْ شَهَادَةً فِيْ سَبِيْلِكَ وَاجْعَلْ مَوْتِيْ فِيْ بَلَدِ رَسُوْلِكَ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আল্লাহুম্মারযুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক, ওয়ায’আল মাওতি ফি বালাদি রাসুলিকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
হে আল্লাহ, আমাকে শাহাদাতের মৃত্যু দিন এবং মৃত্যু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শহরে দিন।
۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি’মাতিকা, ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা, ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা।
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে। আশ্রয় চাই তোমার কাছ থেকে হঠাৎ আসা শাস্তি থেকে। তোমার সব ধরণের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে