সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইযযাতি আম্মা ইয়াসিফুন, ওয়া সালামুন আ‘লাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
আপনার প্রতিপালক যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী তিনি পবিত্র ঐ সকল কথা থেকে যা কাফিররা বলে থাকে এবং নবীদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক এবং সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য।
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আ‘আয্যু মিন খালক্বিহী জামী‘আন। আল্লাহু আ‘আয্যু মিম্মা আখা-ফু ওয়া আহযারু। আউযু বিল্লা-হিল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল মুমসিকুস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, আন ইয়াকা‘না আলাল্ আরদ্বি ইল্লা বিইযনিহী, মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলা-নিন, ওয়া জুনূদিহী ওয়া আতবা‘ইহী ওয়া আশইয়া‘ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনসি। আল্লা-হুম্মা কুন লী জা-রান মিন শাররিহিম, জাল্লা সানা-উকা ওয়া ‘আয্যা জা-রুকা ওয়াতাবা-রকাসমুকা ওয়া লা ইলা-হা গাইরুকা
“আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে মহামর্যাদাবান। আমি যা থেকে ভীত ও শঙ্কিত তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। আমি আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, যিনি সাত আসমানের ধারণকারী, তার অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর পতিত হওয়া থেকে— (আশ্রয় চাই) তাঁর অমুক বান্দা, তার সৈন্য-সামন্ত, তার অনুসারী ও তার অনুগামী জিন ও ইনসানের অনিষ্ট থেকে। হে আল্লাহ! তাদের ক্ষতি থেকে আপনি আমার জন্য আশ্রয়দানকারী হোন। আপনার গুণগান অতি মহান, আপনার আশ্রিত প্রবল শক্তিশালী, আপনার নাম অতি বরকতময়। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”
ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে সাফল্য চাই ভাগ্যের ফায়সালায়, আপ্যায়ন চাই শহীদগণের। (অর্থাৎ এমন উন্নত আপ্যায়ন, যা বেহেশতে শহীদগণকে করা হবে।) জীবন চাই সৌভাগ্যবানদের। সাহচর্য চাই নবীগণের। আর চাই বিজয় শত্রুকুলের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।১৩৪
ইন্না নাসআলুকা বি‘আহদি নূহিন ওয়া বি‘আহদি সুলাই মানাবনি দাউদা আন লা তু’যীনা।
ওহে সাপ! আমরা নূহ্ আলাইহিস সালাম এবং সুলাইমান আলাইহিস সালামের অঙ্গীকারের কথা তোদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তোরা আমাদের কষ্ট দিস না।
আল্লাহুম্মা ইন কুনতু আমানতু বিকা, ওয়া বিরাসূলিকা, ফালা তুসাল্লিত্ব আলাইয়্যাল কাফির।
হে আল্লাহ, আমি যদি আপনার উপর ও আপনার রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে থাকি, তাহলে এই কাফিরকে আমার উপর চাপিয়ে দিবেন না।
ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বি রহমাতিকা আসতাগিস, আসলিহলি শা’নি কুল্লাহু ওলা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বরফাতা আঈন।
হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত মাখলূকের রক্ষাকারী। আমি আপনার রহমতের উসীলায় ফরিয়াদ করছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করেদিন এবং আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নফসের কাছে সোপর্দ করবেন না।
হাসবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।
আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।
হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহমত নাযিল কর। তুমি আমাদের অভিভাবক। কাফিরদের বিপরীতে তুমি আমাদের সাহায্য কর।
আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী ‘আাফানী মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়া ফাযযালানী ‘আলা কাসীরিম মিম্মান খলাক্বা তাফযীলা।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা থেকে রক্ষা করেছেন যাতে তোমাকে আক্রান্ত করেছেন এবং তিনি আমাকে তার অনেক মাখলূকের উপর সম্মান দান করেছেন।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ‘আলুকা ফী নুহূরিহিম, ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরূরিহিম।
হে আল্লাহ! আমি আপনাকে এদের মুকাবেলায় (নিজের) ঢাল বানিয়েছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি।
আল্লাহুম্মা হাযা ইক্ববালু লাইলিকা, ওয়া ইদবারু নাহারিকা, ওয়া আসওয়াতু দু‘আতিকা ফাগফিরলী।
হে আল্লাহ! এখন আপনার রাত্রির আগমন ও দিনের গমন এবং আপনার প্রতি আহ্বানকারী মুআযযিনের ধ্বনির (আযানের) সময়। সুতরাং আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে