দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

চিন্তামুক্ত সফরের দু‘আ

۞ رَبِّ اَدْخِـلْـنِـىْ مُـدْخَـلَ صِـدْقٍ وَّاَخْـرِجْـنِـىْ مُـخْـرَجَ صِـدْقٍ وَّاجْـعَـلْ لِّـىْ مِـنْ لَّدُنْـكَ سُلْطَانًا نَصِيْرًا
উচ্চারণঃ

রাব্বি আদ্‌খিল্‌নি মুদ্‌খালা সিদক্বিও ওয়া আখ্‌রিযনি মুখ্‌রাজা সিদ্‌কিও ওয়াজা’আল্লি মিল্লাদুন্‌কা সুল্‌তা-নান্ন নাসি-রা।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্ত বাহির করাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান করো সাহায্যকারী শক্তি।

.

দু‘আ-১২২

اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ شُكْرًا، وَلَكَ الْمَنُّ فَضْلًا. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ التَّوْفِيْقَ لِمَحَآبِّكَ مِنَ الْأَعْمَالِ، وَصِدْقَ التَّوَكُّلِ عَلَيْكَ، وَحُسْنَ الظَّنِّ بِكَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! কৃতজ্ঞতা প্রশংসা আপনারই প্রাপ্য। আর আপনারই দান খাঁটি দয়ার দান।১১৯ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে তাওফীক চাই ঐসব আমলের, যা আপনার প্রিয় এবং তাওফীক চাই আপনার উপর সত্য ভরসা করার ও আপনার প্রতি সুধারণা পোষণ করার।

.

সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের দু‘আ

۞ اٰئِـبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَا بِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ
উচ্চারণঃ

আাইবূনা তাইবূনা লিরব্বিনা হামিদূন।

অর্থঃ

আমরা এখন সফর হতে প্রত্যাবর্তন করছি। (নিজেদের গুনাহ হতে) তওবা করছি, (আল্লাহ পাকের) ইবাদতের ইরাদা করছি এবং আমাদের প্রতিপালকের প্রশংসা করছি।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-৩

۞ اَللّٰهُمَّ اطْوِ لَهُ الْبُعْدَ، وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাত্ববি লাহুল বু’দা ওয়াহাওবিন আলাইহিস সাফার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি তার পথের দূরত্ব গুটিয়ে দিয়ো এবং তার জন্য সফর আসান করে দিয়ো।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-২

۞ زَوَّدَكَ اللهُ التَّقْوَى ، وَغَفَرَ ذَنْبَكَ ، وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ
উচ্চারণঃ

যাউওয়াদাকাল্লা-হুত্ তাক্বওয়া, ওয়াগাফারা যামবাকা, ওয়া ইয়াসসারা লাকাল খাইরা হাইসুমা কুন্ত্।

অর্থঃ

আল্লাহ তোমাকে তাকওয়া (সংযমশীলতার-পাথেয়) প্রদান করুন, তোমার গোনাহ মাফ করে দিন, তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহ যেন তোমার জন্য কল্যাণ সহজ করে দেন।

.

নৌযান ও উড়োজাহাজে আরোহণের দু‘আ-২

۞ بِسْمِ اللهِ مَجْرٖهَا وَمُرْسَاهَا. اِنَّ رَبِّـيْ لَغَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ وَمَا قَدَرُوْا اللهَ حَقَّ قَدْرِهٖ وَالْاَرْضُ جَمِيْعًا قَبْضَتُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمٰوٰتُ مَطْوِيَّاتُٗ بِيَمِيْنِهٖ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসাহা ইন্না রব্বী লাগাফূরুর রহীম। ওয়ামা ক্বদারুল্লাহা হাক্কা ক্বদরিহী ওয়াল আরযু জামী-‘আন ক্ববযতুহূ ইয়াউমাল ক্বিয়ামাহ, ওয়াস সামাওয়াতু মাত্ববিয়্যাতুম বিইয়ামীনিহ, সুবহানাহু ওয়াতা ‘আালা ‘আম্মা ইয়ুশরিকূন।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামেই এর চলা ও অবস্থান করা। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে নাই। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে থাকবে এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি। তাদের শিরক থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।

.

সূরা কাফিরুন, নাসর, ইখলাস, ফালাক্ব, ও নাস এর আমল

.

নব দম্পত্তিকে এই বলে দু‘আ দিবে

۞ بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِىْ خَيْرٍ
উচ্চারণঃ

বারকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা ‘আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খইর।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে বরকতপূর্ণ করুন এবং তোমার উপর বরকত অবতীর্ণ করুন এবং তোমাদের উভয়কে মঙ্গলময় সম্পর্ক দান করুন।

.

স্ত্রীর সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময় তার কপালে হাত রেখে এ দু‘আ পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ . وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা মিন খইরিহা ওয়া খইরি মা জুবিলাত ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জুবিলাত ‘আলাইহি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ বিবির কল্যাণ এবং যে কল্যাণের উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি এবং বিবির অনিষ্টতা এবং যে অনিষ্টতার উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা থেকে পানাহ চাচ্ছি।

১০.

সহবাসের পূর্বে এই দু‘আ পড়বে

۞ بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বনা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বনা মা রযাক্বতানা।

অর্থঃ

আল্লাহর নামে (সহবাস) আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শয়তান হতে রক্ষা করুন এবং আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তাকে শয়তান হতে রক্ষা করুন।

১১.

বীর্যপাতের সময় (মনে মনে) এই দু‘আ পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ فِيْمَا رَزَقْتَنَا نَصِيْبًا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লা তাজ‘আল লিশ শাইত্বানি ফী মা রযাক্বতানা নাসীবা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তাতে শয়তানের কোনো অংশ রাখবেন না।

১২.

নতুন কাপড় পরিধানের দু‘আ-১

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ كَسَانِىْ مَا اُوَارِيْ بِهٖ عَوْرَتِـيْ وَاَتَجَمَّلُ بِهٖ فِيْ حَيَاتِيْ
উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী মা উওয়ারী বিহী ‘আউরতী ওয়া আতা জামমালু বিহী ফী হায়াতী।

অর্থঃ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আমাকে কাপড় পরিধান করিয়েছেন, এই কাপড় দিয়ে আমি আমার সতর ঢাকি এবং তা দিয়ে আমি আমার জিন্দেগিতে সাজসজ্জা হাসিল করি।

১৩.

নতুন কাপড় পরিধানের দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ ، أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهٖ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَهٗ ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هٖ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهٗ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কাসাওতানিহি আসআলুকা মিন খাইরিহি ওয়া খাইরি মা ছুনি‘আ লাহু, ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি-মা ছুনি‘আ লাহু।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনারই সকল প্রশংসা। আপনিই আমাকে এই পোশাকটি পরিধান করিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ প্রর্থনা করছি এবং যে উদ্দেশ্যে এ কাপড় প্রস্তুত করা হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি এর অকল্যাণ থেকে এবং যে উদ্দেশ্যে এ কাপড় প্রস্তুত করা হয়েছে তার অকল্যাণ থেকে।

১৪.

কাউকে নতুন পোশাক পরিধান করতে দেখলে-১

۞ تُبْلِيْ وَيُخْلِفُ اللهُ تَعَالٰى
উচ্চারণঃ

তুবলি ওয়া ইয়ুখলিফুল্লাহু তা‘আলা।

অর্থঃ

এই পোশাক তোমার দেহেই পুরাতন ও জীর্ণ হয়ে যাক এবং মহান আল্লাহ এর পরিবর্তে অন্য পোশাক তোমাকে দান করুন।

১৫.

৩১০ সূরা আল ফাত্‌হ (আয়াত নং: ৪)

۞ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ فِیۡ قُلُوۡبِ الْمُؤْمِنِیۡنَ لِیَزْدَادُوۡۤا اِیۡمَانًا مَّعَ اِیۡمَانِہِمْ ؕ وَ لِلّٰهِ جُنُوۡدُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ کَانَ اللہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণঃ

হুওয়াল্লাযীআনঝালাছ ছাকীনাতা ফী কুলূবিল মু’মিনীনা লিইয়াঝদা-দূ ঈমা-নাম মা‘আ ঈমা-নিহিম ওয়া লিল্লা-হি জনূদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান হাকীমা-।

অর্থঃ

তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান দৃঢ় করে নেয়, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

১৬.

হাই আসলে পড়বে

۞ لَاحَوْلَ وَلَاقُوَّةَ اِلَّابِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণঃ

লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়্যাতা ইল্লা-বিল্লা-হিল্ আলিয়্যিল্ আযীম।

অর্থঃ

কোন শক্তি নেই। কোন সামর্থ্য নেই একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া।

১৭.

হাঁচি দিলে পড়বে

۞ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ
উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লাহ

অর্থঃ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

১৮.

যে ব্যক্তি হাঁচি শুনবে সে বলবে

۞ يَرْحَمُكَ اللهُ
উচ্চারণঃ

ইয়ার হামুকাল্লাহ

অর্থঃ

আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন।

১৯.

এরপর হাঁচিদাতা বলবে

۞ يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ
উচ্চারণঃ

ইয়াহ্‌ দিকুমুল্লহু ওইয়ুছ লিহু বালাকুম

অর্থঃ

আল্লাহ আপনাকে হিদায়াত দান করুন। এবং আপনার অবস্থা ভালো করে দিন।

২০.

দু‘আ-১২৩

اَللّٰهُمَّ افْتَحْ مَسَامِـعَ قَلْبِيْ لِذِكْرِكَ، وَارْزُقْنِيْ طَاعَتَكَ وَطَاعَةَ رَسُوْلِكَ وَعَمَلًا بِۢـكِتَابِكَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরের কানসমূহ খুলে দিন আপনার যিকির (উপদেশ) শোনার জন্য আর আমাকে দান করুন আপনার ফরমাবরদারী, আপনার রাসূলের ফরমাবরদারী ও আপনার কিতাবের উপর আমলের তাওফীক।