দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

ঘর বাড়ি হেফাজতের দু‘আ

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، ‌مَا ‌شَاءَ ‌اللهُ ‌كَانَ، ‌وَمَا ‌لَمْ ‌يَشَأْ ‌لَمْ ‌يَكُنْ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا، إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা আ’লাইকা তাওয়াক্কালতু ও আনতা রাব্বুল আ’রশিল আজিম, মা-শা-আল্লাহু কা’না, ওয়ামা লাম ইয়াশা’ লাম ইয়াকুন ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুও’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিঈল আজিম, আলামু আন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদির ও আন্নাল্লাহা ক্বাদ আহাতা বিকুল্লি শাই ইন ই’লমা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আ‘উজুবিকা মিন শাররি নাফসি ওয়ামিন শাররি কুল্লি দাব্বাতিন; আনতা আখিজুম বিনাসিয়াতিহা ইন্না রাব্বি’আলা সিরাতিম মুস্তাকিম।

অর্থঃ

হে আল্লাহ্‌ ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ্‌ নাই, আপনার উপর ভরসা করলাম, আপনি সম্মানিত আরশের মালিক। আল্লাহ্‌ তাআ’লা যা ইচ্ছা করেন, তাই হয়; আর তিনি যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না, আল্লাহ্‌ তা’আলার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীত অন্য কোনো শক্তি বা সামর্থ নাই, জেনে রেখো যে আল্লাহ্‌ তাআ’লা সমস্ত জিনিসের উপর শক্তিশালী, ক্ষমতাবান এবং তার জ্ঞান সমস্ত জিনিসব্যাপ্ত। হে আল্লাহ্‌! আমার নফ্‌সের মন্দ হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং প্রত্যেক প্রাণীর মন্দ হতে যার ঝুঁটি আপনি ধরে রেখেছেন; নিশ্চয়ই আমার প্রভু সরল পথে অধিষ্ঠিত আছেন।

.

ঈমান আনয়নের দু‘আ, কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ পাঠ করা

۞ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ

উচ্চারণঃ

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ্‌ ব্যতীত ইবাদত বন্দেগীর উপযুক্ত আর কেউ নেই। হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহ্‌র প্রেরিত রাসূল।

.

পিতা-মাতার জন্য দু‘আ

۞ رَبِّ ارْحَـمْـهُـمَـا كَـمَـا رَبَّيَانِيْ صَـغِـيْـرًا

উচ্চারণঃ

রব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

.

উযূর পর পড়ার দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي ْ ذَنْبِيْ وَوَسِّعْ لِـيْ فِيْ دَارِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِيْ

উচ্চারণঃ

আল্লহুম্মাগফিরলি- যাম্বি- ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দা-রি ওয়া বা-রিকলি ফি রিযকি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দিন। আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন। আমার রিযিক বৃদ্ধি করে দিন।

.

হকের উপর অবিচল থাকার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اَرِنَا الْحَقَّ حَقًّا وَّارْزُقْنَا اتِّبَاعَهٗ، وَاَرِنَا الْبَاطِلَ بَاطِلًا وَّارْزُقْنَا اجْتِنَابَهٗ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা আরিনাল হাক্কা হাক্কান ওয়ারজুকনাত্তিবায়াহ, ওয়া আরিনাল বাতিলা বাতিলান ওয়ারজুকনাজতিনাবাহু।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, আপনি হককে হক হিসেবে আমাদের দেখান এবং এর অনুসরণের তাওফীক দিন, আর বাতিলকে বাতিল হিসেবে দেখান এবং এটাকে পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন।

.

ঈমান সম্বলিত দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ زَيِّنَّا بِزِيْنَةِ الْإِيْمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُّهْتَدِيْنَ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা যাইয়িন্না বিযীনাতিল ঈমান, ওয়াজ‘আলনা হুদাতান মুহতাদীনা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা বিভূষিত কর আর আমাদেরকে বানাও পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের পথিক।

.

সচ্চরিত্র লাভের দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ وَالْعِفَّةَ وَالْأَمَانَةَ وَحُسْنَ الْخُلُقِ، وَالرِّضَا بِالْقَدَرِ

উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাস্ সিহহাতা ওয়াল ’ইফফাতা ওয়াল আমা-নাতা ওয়া হুস্‌নাল খুলুকি ওয়ার্ রিযা- বিল কদার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সু–স্বাস্থ্য, নিষ্কলুষ চরিত্র, আমানতদারী, সুন্দর স্বভাব এবং তাকদীরে সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছি।

.

রুকাইয়ার দু‘আ-৩

۞ رَبُّنَا اللّٰهُ الَّذِيْ فِي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اِسْمُكَ، أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، كَمَا رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحمَتَكَ فِي الْأَرْضِ، وَاغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا، أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِيْنَ أَنْزِلْ رَحْمَةً مِّنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِّنْ شِفَائِكَ عَلٰى كُلِّ وَجَعٍ،

উচ্চারণঃ

রাব্বুনাল্লাহুল্লাযি ফিস সামাই তাকাদ্দাসা ইসমুকা, আমরুকা ফিস সামাই ওয়াল আরদি, কামা রাহমাতুকা ফিস সামায়ি, ফাজআ'ল রাহমাতাকা ফিল আরদি, ইগফির লানা হুবানা ওয়া খাতায়ানা আনতা রাব্বুত–তায়্যিবীন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা ওয়া শিফায়ান মিন শিফায়িকা আলা হাজাল ওয়াজা’ই।

অর্থঃ

আমাদের রব্ব আল্লাহ্ যিনি আসমানে আছেন। হে রব্ব! তোমার নাম পবিত্র। তোমার নির্দেশ আসমান যমীন উভয়ে প্রযোজ্য – যেভাবে আসমানে তোমার অশেষ রহমত রহিয়াছে, সেভাবে তুমি যমীনেও অশেষ রহমত বিস্তার কর। হে রব! তুমি ক্ষমা কর আমাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও অনিচ্ছাকৃত অপরাধসমূহ। তুমি পবিত্র লোকদের রব্ব। প্রেরণ কর তুমি তোমার রহমতসমূহ থেকে বিশেষ রহমত এবং তোমার আরোগ্যসমূহ থেকে বিশেষ আরোগ্য এই বেদনার প্রতি।

.

অপমৃত্যু থেকে বাঁচা ও বিভিন্ন মুসীবত থেকে নিরাপত্তার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ. اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وَاۤمِنْ رَوْعَاتِيْ. اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ.

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আ’ফওয়া ওয়াল আ’ফিয়াতা ফি দিনি ওয়া দুনইয়ায়া, ওয়া আহলি ওয়া মালি, আল্লাহুম্মাসতুর আ’ওরাতি, ওয়া আমিন রাওআ’তি, আল্লাহুম্মাহ’ফাযনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আ’ই ইয়ামিনি ওয়া আ’ন শিমালি, ওয়া মিন ফাওক্বি, ওয়া আউ’যু বিআ’যমাতিকা আন উগতালা মিন তাহ’তি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নিজ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে।

১০.

মৃত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰى

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আলহিক্বনী বিররফী-ক্বিল আ‘লা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।

১১.

মৃত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ-২

۞ لٓاَ إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٌ

উচ্চারণঃ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ইন্না লিল মাওতি সাকারাত

অর্থঃ

আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, নিশ্চয় মৃত্যুর রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভয়াবহ কষ্ট।

১২.

মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালকীন (পড়ে শোনানো) করবে

۞ لٓاَ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ

উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।

অর্থঃ

একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কোনো মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহ তা’আলার রাসূল।

১৩.

মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর সময় এ দু‘আ পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهٖ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهٗ فِي الْمَهْدِيِّيْنَ، وَاخْلُفْهٗ فِي عَقِبِهٖ فِي الْغَابِرِيْنَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ، وَافْسَحْ لَهٗ فِي قَبْرِ هٖ، وَنَوِّرْ لَهٗ فِيْهِ

উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাগফির লিফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী ‘আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্‌ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউওয়ীর লাহু ফী-হি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।

১৪.

কবরে মাটি দেওয়ার সময়ে পড়ার দু‘আ

কোনো মুসলমানের লাশ দাফনের সময় কবরে তিনবার মাটি দেওয়া মুস্তাহাব। উচ্চারণ ও অর্থ: প্রথমবার মাটি দেওয়ার সময় বলবে- مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ (মিনহা খলাক্বনাকুম) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। দ্বিতীয়বার বলবে- وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ (ওয়া ফী হা নু‘ঈ দুকুম) এ মাটির মধ্যেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব। তৃতীয়বার বলবে- وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى (ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তা-রতান উখরা) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে পুনরায় উঠাবো।

১৫.

জানাযা নামাযের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গা ইবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসানা, আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহূ মিন্না ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাম, ওয়া মানতাওয়াফ ফাইতাহূ মিন্না ফাতা ওয়াফফাহূ ‘আলাল ঈমান।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।

১৬.

মৃত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ-৩

۞ لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ

উচ্চারণঃ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ

অর্থঃ

আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, যাবতীয় রাজত্ব তাঁরই, তার জন্যই সকল প্রশংসা, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই।

১৭.

কবরে লাশকে ডান কাত করে রাখার সময় এ দু‘আ পড়বে

۞ بِاسْمِ اللهِ وَعَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ

উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রসূলিল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামের সাথে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকার উপর আমরা তাকে দাফন করছি।

১৮.

শোকার্তদের সান্ত্বনায় বলবে

۞ أَعْظَمَ اللّٰهُ أَجْرَكَ، وَأَحْسَنَ عَزَاءَكَ، وَغَفَرَ لِمَيِّتِكَ

উচ্চারণঃ

আ‘যামাল্লাহু আজরাকা, ওয়া আহসানা ‘আযা-’আকা, ওয়াগাফারা লিমাইয়্যিতিকা।

অর্থঃ

আল্লাহ আপনার সওয়াব বর্ধিত করুন, আপনার (শোকার্ত মনে) সুন্দর ধৈর্য ধরার তাওফীক দিন, আর আপনার মৃতকে ক্ষমা করে দিন।

১৯.

হজরে আসওয়াদকে চুমু দিয়ে বা ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করার দু‘আ

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ

উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ

আল্লাহ সবার চেয়ে বড়।

২০.

ঈমানের প্রতি ভালোবাসা ও এর প্রতিকার থেকে মুক্তি চাওয়া

اَللّٰهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْإِيمَانَ وَزَيِّنْهُ فِي قُلُوبِنَا، وَكَرِّهْ إِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ، وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِيْنَ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা হাব্বিব ইলাইনাল ঈমান, ওয়া ঝাইয়িনহূ ফী কুলূবিনা, ওয়া কাররিহ ইলাইনাল কুফরা ওয়ালফুছূকা ওয়াল ‘ইসইয়া-ন, ওয়া জা‘আলনা মিনার রাশিদীন।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমাদের অন্তরে ঈমানের ভালোবাসা সঞ্চার করুন এবং আমাদের অন্তরে তা (ঈমান) আকর্ষণীয় করুন। আর কুফর, গুনাহ ও অবাধ্যতাকে আমাদের অন্তরে ঘৃণ্য বানিয়ে দিন এবং আমাদেরকে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তরভুক্ত করুন।