আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা আ’লাইকা তাওয়াক্কালতু ও আনতা রাব্বুল আ’রশিল আজিম, মা-শা-আল্লাহু কা’না, ওয়ামা লাম ইয়াশা’ লাম ইয়াকুন ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুও’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিঈল আজিম, আলামু আন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদির ও আন্নাল্লাহা ক্বাদ আহাতা বিকুল্লি শাই ইন ই’লমা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আ‘উজুবিকা মিন শাররি নাফসি ওয়ামিন শাররি কুল্লি দাব্বাতিন; আনতা আখিজুম বিনাসিয়াতিহা ইন্না রাব্বি’আলা সিরাতিম মুস্তাকিম।
হে আল্লাহ্ ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ্ নাই, আপনার উপর ভরসা করলাম, আপনি সম্মানিত আরশের মালিক। আল্লাহ্ তাআ’লা যা ইচ্ছা করেন, তাই হয়; আর তিনি যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না, আল্লাহ্ তা’আলার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীত অন্য কোনো শক্তি বা সামর্থ নাই, জেনে রেখো যে আল্লাহ্ তাআ’লা সমস্ত জিনিসের উপর শক্তিশালী, ক্ষমতাবান এবং তার জ্ঞান সমস্ত জিনিসব্যাপ্ত। হে আল্লাহ্! আমার নফ্সের মন্দ হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং প্রত্যেক প্রাণীর মন্দ হতে যার ঝুঁটি আপনি ধরে রেখেছেন; নিশ্চয়ই আমার প্রভু সরল পথে অধিষ্ঠিত আছেন।
আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা- আ’হ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত্ব’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূ-উলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূ-উলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু- লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা- আনতা
হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বূদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের উপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার উপর তোমার যে নিয়ামত আছে তার স্বীকৃতি দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।
আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্।
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।
ইযা-ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ। লাইছা লিওয়াক‘আতিহা-কা-যিবাহ। খা-ফিদাতুর রাফি‘আহ। ইযা-রুজ্জাতিল আরদুরাজ্জা-। ওয়া বুছছাতিল জিবা-লুবাছছা-। ফাকা-নাত হাবাআম মুমবাছছা-। ওয়া কুনতুম আঝওয়া-জান ছালা-ছাহ। ফাআসহা-বুল মাইমানাতি মাআসহা-বুল মাইমানাহ। ওয়া আসহা-বুল মাশআমাতি মাআসহা-বুল মাশআমাহ । ওয়াছছা-বিকূনাছছা-বিকূন। উলাইকাল মুকাররাবূন। ফী জান্না-তিন না‘ঈম। ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন। ওয়া কালীলুম মিনাল আ-খিরীন। ‘আলা-ছুরুরিমমাওদূ নাহ। মুত্তাকিঈনা ‘আলাইহা-মুতাকা-বিলীন। ইয়াতূ ফূ‘আলাইহিম বিলদা-নুমমুখাল্লাদূন। বিআকওয়া-বিওঁ ওয়া আবা-রীকা ওয়াকা’ছিম মিম্মা‘ঈন। লা-ইউসাদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-ওয়ালা ইউনঝিফূন। ওয়া ফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়ারূন। ওয়া লাহমি তাইরিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন। ওয়া হূরুন ‘ঈন। কাআমছা-লিল লু’লুয়িল মাকনূন। জাঝাআম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন। লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়াওঁ ওয়ালা-তা’ছীমা-। ইল্লা-কীলান ছালা-মান ছালা-মা-। ওয়া আসহা-বুল ইয়ামীনি মাআসহা-বুল ইয়ামীন। ফী ছিদরিম মাখদূদ। ওয়া তালহিমমানদূ দ। ওয়া জিলিলমমামদুদ। ওয়া মাইমমাছকূব। ওয়া ফা-কিহাতিন কাছীরাহ। লা-মাকতূ‘আতিওঁ ওয়ালা-মামনূ‘আহ। ওয়া ফুরুশিমমারফূ‘আহ। ইন্নাআনশা’না-হুন্না ইনশাআ। ফাজা‘আলনা-হুন্না আবকা-রা। ‘উরুবান আতরা-বা-। লিআসহা-বিল ইয়ামীন। ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন। ওয়া ছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন। ওয়া আসহা-বুশশিমা-লি মাআসহা-বুশ শিমা-ল। ফী ছামূমিওঁ ওয়া হামীম। ওয়া জিলিলম মিইঁ ইয়াহমূম। লা-বা-রিদিওঁ ওয়ালা-কারীম। ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুতরাফীন। ওয়াকা-নূইউসিররূনা ‘আলাল হিনছিল ‘আজীম। ওয়া কা-নূইয়াকূলূনা আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্নালামাব‘ঊছূন। আওয়া আ-বাউনাল আওওয়ালূন। কুল ইন্নাল আওওয়ালীনা ওয়াল আ-খিরীন। লামাজমূ‘ঊনা ইলা-মীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম। ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন। লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম। ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন। ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম। ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম। হা-যা-নুঝুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন। নাহনুখালাকনা-কুম ফালাওলা-তুসাদ্দিকূন। আফারাআইতুমমা-তুমনূন। আ আনতুম তাখলুকূনাহূআম নাহনুল খা-লিকূন। নাহনুকাদ্দারনা-বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন। ‘আলাআননুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম ওয়া নুনশিআকুম ফী মা-লা-তা‘লামূন। ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুন্নাশআতাল ঊলা-ফালাওলা-তাযাক্কারূন। আফারাআইতুম মা-তাহরুছূন। আআনতুম তাঝরা‘ঊনাহূআম নাহনুঝঝা-রি‘ঊন। লাও নাশা-উ লাজা‘আলনা-হু হুতা-মান ফাজালতুম তাফাক্কাহূন। ইন্না-লামুগরামূন। বাল নাহনুমাহরূমূন। আফারাআইতুমুল মাআল্লাযী তাশরাবূন। আ আনতুম আনঝালতুমূহু মিনাল মুঝনি আম নাহনুল মুনঝিলূন। লাও নাশাউ জা‘আলনা-হু উজা-জান ফালাওলা-তাশকুরূন। আফারাআইতুমুন্না-রাল্লাতী তূরূন। আ আনতুম আনশা’তুম শাজারাতাহাআম নাহনুল মুনশিঊন। নাহনুজা‘আলনা-হা-তাযকিরাতাওঁওয়া মাতা-‘আল লিলমুকবিন। ফাছাববিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম। ফালাউকছিমুবিমাওয়া-কি‘ইননুজূম। ওয়া ইন্নাহূলাকাছামুল লাও তা‘লামূনা ‘আজীম। ইন্নাহূলাকুরআ-নুন কারীম। ফী কিতা-বিম মাকনূন। লা-ইয়ামাছছুহূইল্লাল মুতাহহারূন। তানঝীলুম মির রাব্বিল ‘আ-লামীন। আফা বিহা-যাল হাদীছিআনতুম মুদহিনূন। ওয়া তাজ‘আলূনা রিঝকাকুম আন্নাকুম তুকাযযি বূন। ফালাও লাইযা-বালাগাতিল হুলকূম। ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানজু রূন। ওয়া নাহনুআকরাবুইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা-তুবসিরূন। ফালাওলাইন কুনতুম গাইরা মাদীনিন। তার জি‘ঊনাহাইন কুনতুম সা-দিকীন। ফাআম্মাইন কা-না মিনাল মুকাররাবীন। ফারাওহুওঁ ওয়া রাই হা-নুওঁ ওয়া জান্নাতুনা‘ঈম। ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আসহা-বিল ইয়ামীন। ফাছালা-মুল্লাকা মিন আসহা-বিল ইয়ামীন। ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকাযযি বীনাদ্দাল্লীন। ফানুঝুলুম মিন হামীম। ওয়া তাসলিয়াতুজাহীম। ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াকীন। ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।
যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না। তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত। যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে। আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে। অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে। আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে। সুতরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান! আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য! আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী। তারাই সান্নিধপ্রাপ্ত। তারা থাকবে নিআমতপুর্ণ জান্নাতসমূহে । বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে, আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে। স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে! তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়। তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা, পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপুর্ণ পেয়ালা নিয়ে, তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে। আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে। আর পাখির গোশ্ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে। আর থাকবে ডাগরচোখা হূর, যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা, তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ। তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা; শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’ আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল! তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে, আর কাঁদিপণূর্ কলাগাছের নিচে, আর বিস্তৃত ছায়ায়, আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে, আর প্রচুর ফলমূলে, যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না। (তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে; নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব। অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী সোহাগিনী ও সমবয়সী। ডানদিকের লোকদের জন্য। তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে। আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে। আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে, আর প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়, যা শীতলও নয়, সখু করও নয়। নিশ্চয় তারা ইতঃপূবের্ বিলাসিতায় মগ্ন ছিল, আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত। আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?’ ‘আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?’ বল, ‘নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা, এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে’। তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা, তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে, অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে। তদুপরি পান করবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি। অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায় প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী, আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না? তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীযর্পাত করছ সে সম্পর্কে? তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা? আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না, তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না। আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না? তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে, তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি? আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে- (এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’। ‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’। তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বষর্ণ কর, না আমি বৃষ্টি বষর্ণ কারী? ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না? তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল, তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি? একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর। সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের, আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে, নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া। তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত। তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ? আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে। সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়? আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক। আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না। তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়, তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত। আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন, তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’। আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট, তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে, আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে। নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য। অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।
কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, মালিকিন্না-ছ, ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
১. ইয়া-ছীন। ২. ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম। ৩. ইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন। ৪. ‘আলা-সিরাতিম মুছতাকীম। ৫. তানঝীলাল ‘আঝীঝির রাহীম। ৬. লিতুনযিরা কাওমাম্মাউনযিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলূন। ৭. লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকছারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন। ৮. ইন্না- জা‘আলনা-ফী আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুকমাহূন। ৯. ওয়া জা‘আল না-মিম বাইনি আইদীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরূন। ১০. ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা-ইউ’মিনূন। ১১. ইন্নামা-তুনযিরু মানিত্তাবা‘আযযিকরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম। ১২. ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামূওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফীইমা-মিম মুবীন। ১৩. ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ । ইযজাআহাল মুরছালূন। ১৪. ইয আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাযযাবূহুমা-ফা‘আঝঝাঝনা-বিছা-লিছিন ফাকালূইন্নাইলাউকুম মুরছালূন। ১৫. কা-লূমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকযিবূন। ১৬. কা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন। ১৭. ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালা-গুল মুবীন। ১৮. কা-লূইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহূলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আযা-বুন আলীম। ১৯. কা-লূতাইরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফূন। ২০. ওয়াজাআ মিন আকসাল মাদীনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালীন। ২১. ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদূন। ২২. ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাযী ফাতারানী ওয়া ইলাইহি তুর জা‘উন। ২৩. আআত্তাখিযুমিন দুনিহীআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিযূন। ২৪. ইন্নী ইযাল্লাফী দালা-লিম্মুবীন। ২৫. ইন্নীআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন। ২৬. কীলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমী ইয়া‘লামূন। ২৭. বিমা-গাফারালী রাববী ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুকরামীন। ২৮. ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনঝিলীন। ২৯. ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন। ৩০. ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন। ৩১. আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন। ৩২. ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন। ৩৩. ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলূন। ৩৪. ওয়া জা‘আল না-ফীহা-জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফীহামিনাল ‘উইঊন। ৩৫. লিইয়া’কুলূমিন ছামারিহী ওয়ামা-‘আমিলাতহু আইদীহিম আফালা-ইয়াশকুরূন। ৩৬. ছুবহা-নাল্লাযী খালাকাল আঝাওয়া-জা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামূন। ৩৭. ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমূন। ৩৮. ওয়াশশামছুতাজরী লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদীরুল ‘আঝীঝিল ‘আলীম। ৩৯. ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদীম। ৪০. লাশশামছুইয়ামবাগী লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন। ৪১. ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন। ৪২. ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহী মা ইয়ারকাবূন। ৪৩. ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারীখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাযূন। ৪৪. ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হীন। ৪৫. ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত্তাকূ মা- বাইনা আইদীকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামূন। ৪৬. ওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন। ৪৭. ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আনফিকূমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আমানূ আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহূ ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা-লিম মুবীন। ৪৮. ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকীন। ৪৯. মা-ইয়ানজু রূনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুযুহুম ওয়া হুম ইয়াখিসসিমূন। ৫০. ফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন। ৫১. ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলূন। ৫২. কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালূন। ৫৩. ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন। ৫৪. ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন। ৫৫. ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহূন। ৫৬. হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফী জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন। ৫৭. লাহুম ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন। ৫৮. ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহীম। ৫৯. ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমূন। ৬০. আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানীআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন। ৬১. ওয়া আনি‘বুদূ নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম। ৬২. ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছীরা- আফালাম তাকূনূতা‘কিলূন। ৬৩. হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন। ৬৪. ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন। ৬৫. আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন। ৬৬. ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন। ৬৭. ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন। ৬৮. ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলূন। ৬৯. ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহূ ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কুরআ-নুম মুবীন। ৭০. লিইউনযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরীন। ৭১. আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদীনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকূন। ৭২. ওয়া যাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকূবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলূন। ৭৩. ওয়া লাহুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরূন। ৭৪. ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারূন। ৭৫. লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারূন। ৭৬. ফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম । ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন। ৭৭. আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন। ৭৮. ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহূ কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম। ৭৯. কুল ইউহয়ী হাল্লাযী আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলীমু। ৮০. আল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন। ৮১. আওয়া লাইছাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম। ৮২. ইন্নামাআমরুহূ ইযাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন। ৮৩. ফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
১. ইয়া-সীন। ২. হেকমতপূর্ণ কুরআনের শপথ! ৩. নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের একজন। ৪. সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। ৫. এ কুরআন অবতীর্ণ করা হচ্ছে সেই সত্তার পক্ষ হতে, যিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়াময়। ৬. যাতে তুমি সতর্ক কর এমন এক সম্প্রদায়কে, যাদের বাপ-দাদাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা উদাসীনতায় নিপতিত। ৭. বস্তুত তাদের অধিকাংশের ব্যাপারে কথা পূর্ণ হয়ে আছে। সুতরাং তারা ঈমান আনবে না। ৮. আমি তাদের গলায় চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি। ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। ৯. এবং আমি তাদের সামনে এক অন্তরাল দাঁড় করিয়ে দিয়েছি এবং পিছনেও এক অন্তরাল দাঁড় করিয়ে দিয়েছি আর এভাবে তাদেরকে সব দিক থেকে ঢেকে দিয়েছি, ফলে তারা কোন কিছু দেখতে পায় না। ১০. তুমি তাদেরকে সতর্ক কর অথবা সতর্ক নাই কর উভয়টাই তাদের জন্য সমান। তারা ঈমান আনবে না। ১১. তুমি তো কেবল এমন ব্যক্তিকেই সতর্ক করতে পার, যে উপদেশ অনুযায়ী চলে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। সুতরাং এরূপ ব্যক্তিকে সুসংবাদ শোনাও মাগফিরাত ও সম্মানজনক পুরস্কারের। ১২. নিশ্চয়ই আমিই মৃতদেরকে জীবিত করব এবং তারা যা কিছু সামনে পাঠায় তা লিখে রাখি আর তাদের কর্মের যে ফলাফল হয় তাও। এক সুস্পষ্ট কিতাবে প্রতিটি বিষয় সংরক্ষণ করে রেখেছি। ১৩. এবং (হে রাসূল!) তুমি তাদের সামনে দৃষ্টান্ত পেশ কর এক জনপদবাসীর, যখন তাদের কাছে এসেছিল রাসূলগণ। ১৪. যখন আমি তাদের কাছে (প্রথমে) পাঠিয়েছিলাম দু’জন রাসূল, তখন তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলল। তারপর তৃতীয়জনের মাধ্যমে আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম। তারপর তারা সকলে বলল, নিশ্চয়ই আমাদেরকে তোমাদের কাছে রাসূল বানিয়ে পাঠানো হয়েছে। ১৫. তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মত মানুষই। দয়াময় আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা সম্পূর্ণ মিথ্যাই বলছ। ১৬. রাসূলগণ বলল, আমাদের প্রতিপালক ভালোভাবেই জানেন যে, আমাদেরকে বাস্তবিকই তোমাদের কাছে রাসূল বানিয়ে পাঠানো হয়েছে। ১৭. আর আমাদের দায়িত্ব তো কেবল স্পষ্টভাবে বার্তা পৌঁছে দেওয়া। ১৮. জনপদবাসী বলল, আমরা তোমাদের মধ্যে অশুভতা লক্ষ করছি। তোমরা নিবৃত্ত না হলে আমরা অবশ্যই তোমাদের উপর পাথর নিক্ষেপ করব এবং অবশ্যই আমাদের হাতে তোমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি ভোগ করতে হবে। ১৯. রাসূলগণ বলল, তোমাদের অশুভতা খোদ তোমাদেরই সঙ্গে রয়েছে। তোমাদের কাছে উপদেশ-বাণী পৌঁছেছে বলেই কি (তোমরা একথা বলছ?) প্রকৃতপক্ষে তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। ২০. শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এক ব্যক্তি ছুটে আসল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলগণের অনুসরণ কর। ২১. অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চায় না এবং যারা সঠিক পথে আছে। ২২. আমার কী যুক্তি আছে যে, আমি সেই সত্তার ইবাদত করব না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? এবং তারই দিকে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ২৩. আমি কি তাকে ছেড়ে এমন সব মাবুদ গ্রহণ করব, দয়াময় আল্লাহ আমার কোন অনিষ্ট করতে চাইলে যাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং যারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না? ২৪. তা করলে নিঃসন্দেহে আমি সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পতিত হব। ২৫. আমি তোমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি। সুতরাং তোমরা আমার কথা শোন। ২৬. (শেষ পর্যন্ত জনপদবাসী তাকে হত্যা করে ফেলল এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তাকে) বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে (জান্নাতের নি‘আমত রাজি দেখে) বলল, আহা! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত ২৭. আল্লাহ কিভাবে আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন! ২৮. সেই ব্যক্তির পর আমি তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আসমান থেকে কোন বাহিনী পাঠাইনি এবং আমার তা পাঠানোর প্রয়োজনও ছিল না। ২৯. তা ছিল কেবল একটি মহানাদ, যাতে তারা সব নিভে নিথর হয়ে গেল। ৩০. আফসোস এসব বান্দার প্রতি! তাদের কাছে যে রাসূলই এসেছে তাকে নিয়ে তারা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। ৩১. তারা কি দেখেনি তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যারা তাদের কাছে ফিরে আসছে না? ৩২. এবং যত লোক আছে তাদের সকলকে অবশ্যই একত্র করে আমার সামনে হাজির করা হবে। ৩৩. আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হল মৃত ভূমি, যাকে আমি জীবন দান করেছি এবং তাতে শস্য উৎপন্ন করেছি অতঃপর তারা তা থেকে খেয়ে থাকে। ৩৪. আমি সে ভূমিতে সৃষ্টি করেছি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং তা থেকে উৎসারিত করেছি পানির প্রস্রবণ ৩৫. যাতে তারা তার ফল খেতে পারে। তাতো তাদের হাত তৈরি করেনি। তবুও কি তারা শোকর আদায় করবে না? ৩৬. পবিত্র সেই সত্তা, যিনি প্রতিটি জিনিস জোড়া-জোড়া সৃষ্টি করেছেন ভূমি যা উৎপন্ন করে তাও এবং তাদের নিজেদেরকেও আর তারা (এখনও) যা জানে না তাও। ৩৭. তাদের জন্য আরেকটি নিদর্শন হল রাত, যা থেকে আমি দিনের আবরণ সরিয়ে নেই, অমনি তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ৩৮. সূর্য আপন গন্তব্যের দিকে পরিভ্রমণ করছে। এসব পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ সত্তার স্থিরীকৃত (ব্যবস্থাপনা)। ৩৯. আর চাঁদের জন্য আমি নির্দিষ্ট করে দিয়েছি বিভিন্ন মনজিল। পরিশেষে তা (নিজ মনজিলসমূহ অতিক্রম করে) ফিরে আসে পুরানো খেজুর ডালার মত (সরু হয়ে)। ৪০. সূর্য পারে না চাঁদকে গিয়ে ধরতে আর রাতও পারে না দিনকে অতিক্রম করতে। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সাঁতার কাটে। ৪১. তাদের জন্য আরেকটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম। ৪২. আমি তাদের জন্য অনুরূপ আরও জিনিস সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা সওয়ার হয়ে থাকে। ৪৩. আমি চাইলে তাদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি, তখন তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না এবং তাদের প্রাণ রক্ষা সম্ভব হবে না ৪৪. তবে আমার পক্ষ হতে এক রহমত এবং এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত (জীবনের) আনন্দ ভোগের সুযোগ হিসেবে (আমিই তাদেরকে রক্ষা করে থাকি)। ৪৫. যখন তাদেরকে বলা হয়, বাঁচ তা হতে (সেই শাস্তি হতে) যা তোমাদের সামনে আছে এবং যা আছে তোমাদের পেছনে, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয় (তখন তারা তা গ্রাহ্য করে না)। ৪৬. এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদের কাছে এমন কোন নিদর্শন আসে না, যা থেকে তারা মুখ ফেরায় না। ৪৭. যখন তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছেন তা থেকে (গরীবদের জন্যও) ব্যয় কর, তখন কাফেরগণ মুসলিমদেরকে বলে, আমরা কি তাদেরকে খাবার খাওয়াব, যাদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা করলে নিজেই খাওয়াতেন? (হে মুসলিমগণ!) তোমাদের অবস্থা এ ছাড়া কিছুই নয় যে, তোমরা সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পড়ে রয়েছ। ৪৮. এবং তারা বলে, (কিয়ামতের) এ প্রতিশ্রুতি কবে পূর্ণ হবে? (হে মুসলিমগণ!) তোমরা সত্যবাদী হলে এটা বলে দাও। ৪৯. (প্রকৃতপক্ষে) তারা একটি মহানাদেরই অপেক্ষায় আছে, যা তাদেরকে পাকড়াও করবে তাদের বিতর্কে লিপ্ত থাকা অবস্থায়। ৫০. তখন আর তারা কোন অসিয়ত করতে পারবে না এবং পারবে না নিজ পরিবারবর্গের কাছে ফিরে যেতে। ৫১. এবং শিঙ্গায় (দ্বিতীয়) ফুঁ দেওয়া হবে। অমনি তারা আপন-আপন কবর থেকে বের হয়ে তাদের প্রতিপালকের দিকে ছুটে চলবে। ৫২. তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠাল? (উত্তর দেওয়া হবে,) এটা সেই জিনিস, যার প্রতিশ্রুতি দয়াময় আল্লাহ দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য কথা বলেছিল। ৫৩. আর কিছুই নয়, কেবল একটি মহানাদ হবে, অমনি তাদের সকলকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। ৫৪. সুতরাং সে দিন কোন ব্যক্তির উপর জুলুম করা হবে না এবং তোমাদেরকে কেবল তোমাদের কৃতকর্মেরই প্রতিফল দেওয়া হবে। ৫৫. নিশ্চয়ই সে দিন জান্নাতবাসীগণ আপন ব্যস্ততায় মগ্ন থাকবে। ৫৬. তারা ও তাদের স্ত্রীগণ নিবিড় ছায়ায় আরামদায়ক আসনে হেলান দিয়ে থাকবে। ৫৭. সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফলমূল এবং তারা যা কিছুর ফরমায়েশ করবে তাই তারা পাবে। ৫৮. দয়াময় প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদেরকে সালাম বলা হবে। ৫৯. আর (কাফেরদেরকে বলা হবে) হে অপরাধীগণ! আজ তোমরা (মুমিনদের থেকে) পৃথক হয়ে যাও। ৬০. হে আদম সন্তানগণ! আমি কি তোমাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে বলিনি যে, তোমরা শয়তানের ইবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? ৬১. এবং তোমরা আমার ইবাদত কর। এটাই সরল পথ? ৬২. বস্তুত শয়তান তোমাদের মধ্য হতে একটি বড় দলকে গোমরাহ করেছিল। তবুও কি তোমরা বোঝনি? ৬৩. এটিই সেই জাহান্নাম, যার ভয় তোমাদেরকে দেখানো হত। ৬৪. আজ এতে প্রবেশ কর। যেহেতু তোমরা কুফর করতে। ৬৫. আজ আমি তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেব। ফলে তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা সাক্ষ্য দেবে তাদের কৃতকর্মের। ৬৬. আমি চাইলে (ইহকালেই) তাদের চোখ লোপ করে দিতে পারতাম। তখন তারা পথের সন্ধানে ছোটাছুটি করত, কিন্তু তারা কোথায় কি দেখতে পেত? ৬৭. আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব-স্ব স্থানে বসিয়ে তাদেরকে বিকৃত (পঙ্গু) করে দিতে পারতাম ফলে তারা সামনে অগ্রসর হতে পারত না এবং পিছনেও ফিরে আসতে পারত না। ৬৮. আমি যাকে দীর্ঘায়ু দান করি সৃষ্টিগতভাবে তাকে উল্টিয়ে দেই। তথাপি কি তারা উপলব্ধি করবে না? ৬৯. আমি তাকে (অর্থাৎ রাসূলকে) কাব্য চর্চা করতে শিখাইনি এবং তা তার পক্ষে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশবাণী এবং এমন কুরআন যা (সত্যকে) সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে। ৭০. যাতে প্রত্যেক জীবিতজনকে সতর্ক করে দেয় এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রমাণ চূড়ান্ত হয়ে যায়। ৭১. তারা কি দেখেনি যে, আমি নিজ হাতে সৃষ্ট বস্তু রাজির মধ্যে তাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই তার মালিক হয়ে গেছে? ৭২. আমি সে জন্তুগুলিকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। সুতরাং সেগুলোর কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা আহার করে। ৭৩. এবং তাদের জন্যে এর মধ্যে আছে আরও বহু উপকারিতা এবং আছে পানীয় বস্তু। তথাপি কি তারা শোকর আদায় করবে না? ৭৪. তারা আল্লাহ ছাড়া বহু মাবুদ গ্রহণ করেছে এই আশায় যে, হয়ত তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। ৭৫. (অথচ) তারা তাদের সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না; বরং তারা তাদের জন্য এমন এক বিরোধী সৈন্য হয়ে যাবে, যাদেরকে (কিয়ামতের দিন তাদের সামনে) উপস্থিত করা হবে। ৭৬. সুতরাং (হে রাসূল!) তাদের কথা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়। আমি অবশ্যই জানি তারা কী গোপন রাখছে আর কী প্রকাশ করছে। ৭৭. মানুষ কি লক্ষ করেনি আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু দ্বারা? অতঃপর সহসাই সে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী হয়ে গেল। ৭৮. আমার সম্পর্কে সে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজ সৃজনের কথা ভুলে বসে আছে। সে বলে, কে এই অস্থিগুলিকে জীবিত করবে এগুলো পচে-গলে যাওয়া সত্ত্বেও? ৭৯. বলে দাও, সেগুলোকে জীবিত করবেন সেই সত্তা, যিনি তাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি প্রত্যেক সৃষ্টি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞাত। ৮০. তিনিই সবুজ-সতেজ বৃক্ষ হতে তোমাদের জন্য আগুন সৃষ্টি করেছেন। অনন্তর তোমরা তা হতে প্রজ্বলনের কাজ নাও। ৮১. তবে কি যে সত্তা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ (পুনরায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? কেন নয়? তিনি তো মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ! ৮২. তাঁর ব্যাপার তো এই যে, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন, তখন কেবল বলেন, ‘হয়ে যা’। অমনি তা হয়ে যায়। ৮৩. অতএব পবিত্র সেই সত্তা, যার হাতে প্রতিটি জিনিসের শাসন-ক্ষমতা এবং তাঁরই কাছে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিত দাইনি ওয়া কাহরির রিজালি।
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা ও পেরেশানী থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের ক্ষোভ থেকে।
র দ্বী-তু বিল্লাহি রব্বান অবিল ইসলামি দ্বীনান ও বি মুহাম্মাদীন নাবিয়্যা
আমি সন্তুষ্ট আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে।
আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রাব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়ামিন শাররিশ শাইত্বা-নী ওয়াশিরকিহী, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফসী সূ’আন আউ আ-জুররাহু ইলা মুসলিম।
হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে ও তার শিরক বা তার ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহী ওয়া-রিজা নাফসিহী ওয়া যিনাতা আরশিহী ওয়া মিদাদা কালিমাতিহী।
আমি আল্লাহ তায়ালার প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তার সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ করার কালি পরিমাণ।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। (সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু‘আ ১০ বার পড়বে)
আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য। তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বি রহমাতিকা আস্তাগিস, আসলিহলি শা’নি- কুল্লাহু ওয়ালা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বর ফাতা আঈ-ন।
হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত মাখলূকের রক্ষাকারী, আমি আপনার রহমতের উসীলায় ফরিয়াদ করছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করে দিন এবং আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নফসের নিকট সোপর্দ করবেন না।
হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রাব্বুল আরশিল আযীম। (৭বার)
আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তাঁর উপরই আমি ভরসা করি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।
বিসমিল্লা হিল্লাযী লা ইয়া দুররু মা আসমিহী শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম। (সকাল ও সন্ধায় ৩বার পাঠ করবে)
আমি শুরু করছি সে আল্লাহর নাম নিয়ে, যার নাম নিলে যমীন ও আসমানের কিছুই কোন ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনি (সব কিছু) শুনেন ও জানেন।
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হু ওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।
ফাসুব হা-নাল্লা-হি হীনা তুম সু-না ওয়া হী-না তুছ্ব বিহূ-ন্। ওয়ালাহুল হামদু ফিস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি ওয়া‘আশিয়্যাও ওয়া হীনা তুজ-হিরুন। ইয়ুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল্ মাইয়্যিতি ওয়া ইয়ুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি ওয়া ইয়ুহইল আরদ্বা বা’দা মাওতিহা- ওয়া কাযা-লিকা তুখরজুন।
আল্লাহর তাসবীহতে লিপ্ত থাক যখন তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হও এবং যখন তোমরা ভোরের সম্মুখীন হও। এবং তারই প্রশংসা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে, এবং বিকাল বেলায় (তার তাসবীহতে লিপ্ত হও) এবং জুহরের সময়ও। তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণবানকে বের করে আনেন এবং প্রাণবান থেকে প্রাণহীনকে বের করে আনেন। আর তিনি ভূমিকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে (কবর থেকে) বের করা হবে।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে