দু'আ

সূরা ইয়াসীন

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

সূরা ইয়াসীন

share dua

https://muslimbangla.com/quran/sura/36

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ null

উৎসঃ null

উপকারিতাঃ

১. নবীজী বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। ২. নবীজী বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। ৩. হযরত মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাযি)-এর বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ বলেন, সূরা ইয়াসীন কুরআনের হৃৎপিণ্ড। হাদীসে আরও আছে, যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন আল্লাহ্ পরকালের কল্যাণ লাভের নিয়তে পাঠ করে, তার মাগফিরাত হয়ে যায়। তোমরা তোমাদের মৃতদের উপর সূরা পাঠ কর। ৪. সূরার নাম যেমন সূরা ইয়াসীন প্রসিদ্ধ, তেমন এক হাদীসে এর নাম ’আযীমা’ বর্ণিত আছে। অপর এক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, তাওরাতে সূরার নাম ’মুয়িম্মাহ্’ বলে উল্লিখিত আছে। অর্থাৎ সূরা তার পাঠকের জন্য ইহকাল পরকালের কল্যাণ বরকত ব্যাপক করে দেয়। সূরার পাঠকের নাম ’শরীফ’ বর্ণিত আছে। আরও বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন এর সুপারিশ ‘রবীয়া’ গোত্র অপেক্ষা অধিকসংখ্যক লোকের জন্য কবুল হবে। কতক বর্ণনায় এর নাম ‘মুদাফিয়াও’ বর্ণিত আছে। অর্থাৎ সূরা তার পাঠকদের থেকে বালা-মুসিবত দূর করে। কতক বর্ণনায় এর নাম ’কাযিয়া’-ও উল্লিখিত হয়েছে অর্থাৎ সূরা পাঠকের প্রয়োজন মিটায়। ৫. হযরত আবু যর (রাযি) বর্ণনা করেন, মরণোন্মুখ ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসীন পাঠ করা হলে তার মৃত্যু সহজ হয়। ৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাযি) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন অভাব-অনটনের বেলায় পাঠ করে তবে তার অভাব পূরণ হয়ে যায়। ৭. ইয়াহ্ইয়া ইবনে কাসীর বলেন, যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে স্বস্তিতে থাকবে এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, আমাকে বিষয়টি এমন এক ব্যক্তি বলেছেন, যিনি এর বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন।

উৎসঃ সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং: ২৫৭৪ আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, হাদীস নং: ৬৭৪ রূহুল মা’আনী, মাযহারী, মা‘আরেফুল কুরআন রূহুল মা’আনী, মা‘আরেফুল কুরআন মাযহারী, মা‘আরেফুল কুরআন মাযহারী, মা‘আরেফুল কুরআন মাযহারী, মা‘আরেফুল কুরআন