رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ۲۰۱
রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে।২
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَآؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِه نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهٗ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْعَلَّمْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِه فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَنُوْرَ بَصَرِيْ، وَجِلَآءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّىْ.
ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার দাস, পুত্র আপনার দাসের, পুত্র আপনার দাসীর। আমার ঝুঁটি (পূর্ণ সত্তা) আপনার কব্জায়। আমার উপর আপনার বিধানই কার্যকর। আমার সম্পর্কে আপনার ফয়সালা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত। আমি আপনার সকল নামের তোফায়েলে যা দ্বারা নিজেকে আপনি গুণান্বিত করেছেন কিংবা আপন কিতাবে নাযিল করেছেন কিংবা নিজের কোনো সৃষ্টিকে শিক্ষা দিয়েছেন কিংবা আপনার কাছেই গোপন রেখেছেন, প্রার্থনা করছি, মহিমান্বিত কুরআনকে করুন আমার হৃদয়ের বসন্ত, আমার চোখের জ্যোতি, আমার বেদনার মলম ও আমার দুশ্চিন্তার উপশম।১০৬
رَبَّنَا اَفْرِغْ عَلَیْنَا صَبْرًا وَّ ثَبِّتْ اَقْدَامَنَا وَ انْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَؕ۲۵۰
রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফরীন
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের ধৈর্য ও দৃঢ়তা দান করুন। আমাদের কদম অবিচলিত রাখুন আর কাফির কওমের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী করুন।৩
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَ اعْفُ عَنَّا ۥ وَ اغْفِرْ لَنَا ۥ وَ ارْحَمْنَا ۥ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ۠۲۸۶
রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, তবে আপনি আমাদের পাকড়াও কোরেন না।৪ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের উপর এমন কঠিন কঠিন বিধান আরোপ কোরেন না, যেমন আরোপ করেছিলেন আমাদের আগের লোকদের উপর। (তারা ছিল আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, তাই সে কঠিন বিধান পালনে সক্ষম হয়েছিল। আমরা সবদিক থেকে দুর্বল, কঠিন বিধান পালনের সামর্থ্য আমাদের নেই। পরওয়ারদেগার! আমাদের উপর এমন (দুঃখ-কষ্টের) ভার চাপিয়ে দিয়েন না, যা আমরা সহজে বহন করতে পারব না। আমাদের ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করুন। আমাদের অপরাধ মার্জনা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির কওমের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী করুন।৫ (আমরা তো আপনারই দীনের সিপাহী। অতএব, আপনার বিদ্রোহী ও আপনার দ্বীনের বিরোধীদের মোকাবেলায় কেন আমাদের বিজয়ী করবেন না? সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে কীভাবে আপনি নিজ বান্দাদের সাহায্য করা থেকে বিরত থাকবেন?)
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ۸
রাব্বানা-লা-তুঝিগ কুলূবানা-বা‘দা ইয হাদাইতানা -ওয়াহাবলানা-মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।
হে আমাদের রব! আপনি যে আমাদের (সত্যপথের) দিশা দিয়েছেন, এরপর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি কোরেন না। আর আমাদের দান করুন আপনার তরফ থেকে (বিশেষ) রহমত। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। (যে রহমত আপনি দান করবেন, তা আপনার শান মোতাবেকই হবে)।৬
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ۱۹۱
রাব্বানা-মা-খালাকতা হাযা-বা-তিলান ছুবহা-নাকা ফাকিনা-‘আযা-বান্না-র
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এ (বিশ্বজগত) আপনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি। (অর্থহীন কাজ থেকে) আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। অতএব, জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।৮
رَبَّنَاۤ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَیْتَهٗ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ اَنْصَارٍ۱۹۲
রাব্বানাইন্নাকা মান তুদখিলিন্না-রা ফাকাদ আখঝাইতাহূ ওয়ামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসা-র।
হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনি যাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন, তাকে তো লাঞ্ছিতই করলেন। আর কেউ নেই এ জালিমদের মদদগার।৯
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ. اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وَاۤمِنْ رَوْعَاتِيْ. اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ .
ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করি ক্ষমা ও নিরাপত্তা আমার দ্বীনের জন্য, দুনিয়ার জন্য, পরিজন ও সম্পদের জন্য। ইয়া আল্লাহ! আমার দোষ আবৃত করুন এবং ভীতিকে নিরাপত্তার দ্বারা বদলে দিন। ইয়া আল্লাহ! আমাকে রক্ষা করুন আমার সামনে থেকে, পিছন থেকে, ডান থেকে, বাম থেকে এবং উপর থেকে (অর্থাৎ সম্ভাব্য সকল দিক থেকে)। আর আপনার বড়ত্বের দোহাই, আমি আশ্রয় চাই অতর্কিত নীচের দিক হতে আক্রান্ত হওয়া থেকে (অর্থাৎ দুনিয়া-আখিরাতের কোথাও যেন অতর্কিত শাস্তি ও বিপদের মুখোমুখি না হই)।৯৩
أَسْأَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الَّذِيْۤ أَشْرَقَتْ لَهُ السَّمٰوٰتُ وَالأَرْضُ، وَبِكُلِّ حَقٍّ هُوَ لَكَ، وَبِحَقِّ السَّآئِلِيْنَ عَلَيْكَ أَنْ تُقِيْلَنِيْ وَأَنْ تُجِيْرَنِيْ مِنَ النَّارِ بِقُدْرَتِكَ.
আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার ঐ নূরে ওয়াজহের (জ্যোতির) অসিলায়, যার দ্বারা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে এবং আপনার সকল অধিকারের অসিলায়, আর আপনার উপর ভিখারীদলের যে অধিকার তার অসিলায় আমাকে ক্ষমা করুন এবং নিজ কুদরতে জাহান্নামের আগুন থেকে আমাকে রক্ষা করুন।৯৫
يَا حَيُّ! يَا قَيُّوْمُ! بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ، أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُـلَّهٗ، ولَا تَكِلْـنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ.
ইয়া হাইউ! ইয়া কাইয়ূমু! আপনার রহম-করমের তোফায়েলে ফরিয়াদ, আমার জন্য দুরস্ত করে দিন আমার সকল কিছু আর আমাকে এক লমহার জন্যও ছেড়ে দিয়েন না আমার নিজের দায়িত্বে।৯৪
اَللّٰهُمَّ إِلٰهَ جِبْرَئِيْلَ وَمِيْكَآئِيْلَ وَإِسْرَافِيْلَ! وَإِلٰهَ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحٰقَ! عَافِنِيْ وَلَا تُسَلِّطَنَّ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ عَلَيَّ بِشَيْءٍ لَّا طَاقَةَ لِيْ بِه.
ইয়া আল্লাহ! জিবরাইল, মিকাইল ও ইসরাফীলের মাবুদ! ইবরাহীম, ইসমাইল ও ইসহাকের মাবুদ! আমাকে আফিয়াত (সুস্থতা ও নিরাপত্তা) দান করুন। আপনার কোনো সৃষ্টিকে আমার উপর এমন কিছুর সাথে আরোপ কোরেন না, যা বহন করার শক্তি আমার নেই।১০৭
{(80) فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ (81) وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ (82)} [يونس: 80 - 82]
ফালাম্মাআলকাও কা-লা মূছা- মা-জি’তুম বিহিছছিহরু ইন্নাল্লা-হা ছাইউবতিলুহূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউসলিহু‘আমালাল মুফছিদীন। ওয়া ইউহিক্কুল্লা-হুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ওয়ালাও কারিহাল মুজরিমূন।
(81) অতঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন মূসা বলল, “তোমরা যা এনেছো তা যাদু। অচিরেই আল্লাহ তা নস্যাৎ করে দেবেন। আল্লাহ তো অনর্থ সৃষ্টিকারীদের কর্ম ঠিক রাখেন না। (82) এবং অপরাধীরা পছন্দ না করলেও আল্লাহ তাঁর বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে থাকেন।”
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ﴿۱﴾ یَّہْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِہٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ﴿۲﴾ وَّ اَنَّہٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّ لَا وَلَدًا ﴿۳﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللّٰهِ شَطَطًا ﴿۴﴾ وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ تَقُوْلَ الْاِنْسُ وَ الْجِنُّ عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ﴿۵﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْاِنْسِ یَعُوْذُوْنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوْهُمْ رَهَقًا ﴿۶﴾ وَّ اَنَّهُمْ ظَنُّوْا کَمَا ظَنَنْتُمْ اَنْ لَّنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ اَحَدًا ﴿۷﴾ وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیْدًا وَّ شُهُبًا ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنْ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِهَابًا رَّصَدًا﴿۹﴾
(১)কুলঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূইন্না-ছামি‘নাকুরআ-নান ‘আজাবা- । (২)ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । (৩)ওয়া আন্নাহূতা‘আ- জাদ্দুরাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । (৪)ওয়া আন্নাহূকা-না ইয়াকূলুছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- । (৫) ওয়া আন্না- জানান্নাআল্লান তাকূলাল ইনছুওয়াল জিন্নু‘আলাল্লা-হি কাযিবা- । (৬) ওয়া আন্নাহূকা-না রিজা-লুম মিনাল ইনছি ইয়া‘ঊযূনা বিরিজা-লিম মিনাল জিন্নি ফাঝা-দূহুম রাহাকা- । (৭) ওয়া আন্নাহুম জান্নুকামা-জানানতুম আল্লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা- হু আহাদা- । (৮) ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-। (৯) ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।
(1) বল, “আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, একদল জ্বিন কান পেতে (কোরআন) শুনেছে আর বলেছে, “আমরা এক বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি, (2) যা (সকলকে) সৎপথ প্রদর্শন করে; তাই আমরা তা বিশ্বাস করেছি। আমরা আমাদের প্রভুর সাথে কাউকে শরীক করব না। (3) উচ্চ হোক আমাদের প্রভুর মর্যাদা! তিনি কোন সঙ্গিনী কিংবা কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি।” (4) “আমাদের নির্বোধেরা আল্লাহ সম্পর্কে অসংযত মিথ্যা বলত; (5) অথচ আমরা মনে করেছিলাম যে, মানুষ ও জ্বিন আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলবে না।” (6) “কতক মানুষ ছিল, যারা কতক জ্বিনের কাছে আশ্রয় নিত; ফলে এই জ্বিনেরা ঐ মানুষগুলোর পাপ ও অন্যায় আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। (7) তারা মনে করেছিল, যেমন তোমরাও মনে করো যে, আল্লাহ কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।” (8) “আমরা আসমানে গিয়ে তার (আসমানের) তথ্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাকে কঠোর প্রহরা ও উল্কায় পরিপূর্ণ দেখতে পেয়েছি। (9) আমরা আসমানের বিভিন্ন স্থানে (সেখানকার কথাবার্তা) শোনার জন্য বসতাম, কিন্তু এখন কেউ (তা) শুনতে চাইলে সে তার জন্য প্রস্তুত-রাখা উল্কা দেখতে পাবে।”
وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।
তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেখানেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।”
وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।
তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেখানেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।”
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে