দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

ঘুম থেকে উঠে এই দু‘আ পড়বে-৪

﴿اِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّيْلِ وَالنَّھَارِ لَاٰيٰتٍ لِّاُولِي الْاَلْبَابِ ١٩٠؁ڌالَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللّٰهَ قِيٰمًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰي جُنُوْبِھِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِيْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ١٩١؁رَبَّنَآ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَيْتَهٗ ۭ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ ١٩٢؁رَبَّنَآ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّاڰ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاٰتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ ١٩٣؁ۚرَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰي رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۭاِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ ١٩٤؁فَاسْتَجَابَ لَھُمْ رَبُّھُمْ اَنِّىْ لَآ اُضِيْعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِّنْكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى ۚ بَعْضُكُمْ مِّنْۢ بَعْضٍ ۚ فَالَّذِيْنَ ھَاجَرُوْا وَاُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِھِمْ وَاُوْذُوْا فِيْ سَبِيْلِيْ وَقٰتَلُوْا وَقُتِلُوْا لَاُكَفِّرَنَّ عَنْھُمْ سَيِّاٰتِھِمْ وَلَاُدْخِلَنَّھُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِھَا الْاَنْھٰرُ ۚ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ ۭوَاللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الثَّوَابِ ١٩٥؁لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِي الْبِلَادِ ١٩٦؁ۭ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ۣ ثُمَّ مَاْوٰىھُمْ جَهَنَّمُ ۭوَبِئْسَ الْمِھَادُ ١٩٧؁لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّھُمْ لَھُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِھَا الْاَنْھٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْھَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ ۭ وَمَا عِنْدَ اللّٰهِ خَيْرٌ لِّلْاَبْرَارِ ١٩٨؁وَاِنَّ مِنْ اَھْلِ الْكِتٰبِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَمَآ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ وَمَآ اُنْزِلَ اِلَيْھِمْ خٰشِعِيْنَ لِلّٰهِ ۙ لَا يَشْتَرُوْنَ بِاٰيٰتِ اللّٰهِ ثَـمَنًا قَلِيْلًا ۭ اُولٰۗىِٕكَ لَھُمْ اَجْرُھُمْ عِنْدَ رَبِّھِمْ ۭ اِنَّ اللّٰهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ١٩٩؁يٰٓاَيُّھَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا ۣوَاتَّقُوا اللّٰهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ٢٠٠؁ۧ﴾

উচ্চারণঃ

(ইন্না ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি লাআয়া-তিল্ লিউলিল্ আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লাহা কিয়া-মাও ওয়াকু‘উদাঁও ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়াইয়াতাফাক্কারূনা ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ। ফাস্তাজাবা লাহুম রববুহুম আন্নী লা উদী‘উ আমালা ‘আমিলিম মিনকুম মিন যাকারিন ওয়া উনসা বা‘দুকুম মিন বা‘দ, ফাল্লাযীনা হা-জারূ ওয়া উখরিজূ মিন দিয়ারিহিম ওয়া ঊ-যূ ফী সাবীলী ওয়া কা-তালু ওয়া কু-তিলু লাউকাফফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালাউদখিলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ-তিহাল আনহারু, ছাওয়া-বাম্ মিন ‘ইনদিল্লাহি, ওয়াল্লা-হু ইনদাহু হুসনুছ ছাওয়া-ব। লা ইয়াগুররান্নাকা তাকল্লুবুল্লাযীনা কাফারূ ফিল্ বিলা-দ। মাতা‘উন কালীলুন ছুম্মা মা’ওয়াহুম জাহান্নামু ওয়া বি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খা-লিদ্বীনা ফীহা নুযুলাম্ মিন ইনদিল্লাহি ওয়ামা ইনদাল্লাহি খাইরুল লিল্ আবরার। ওয়াইন্না মিন আহলিল কিতাবি লামইয়ূ’মিনু বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শিঈনা লিল্লা-হি লা ইয়াশতারূনা বিআ-য়া-তিল্লাহি ছামানান্ কালীলা। উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রববিহিম। ইন্নাল্লাহা সারী‘উল হিসাব। ইয়া আয়্যুহাল্লাযীনা আমানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়া রা-বিতু ওয়াত্তাকুল্লাহা লা‘আল্লাকুম তুফলিহুন)।

অর্থঃ

নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহ্‌র স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে, ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।’ ‘হে আমাদের রব! আপনি কাউকেও আগুনে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন এবং যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ ‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন। ‘হে আমাদের রব! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদেরকে দান করুন এবং কেয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করবেন না। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’ তারপর তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে আমলকারী কোনো নর বা নারীর আমল বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্‌রই কাছে রয়েছে। যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই আপনাকে বিভ্রান্ত না করে। এ তো স্বল্পকালীন ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর ওটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এ হচ্ছে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আতিথেয়তা; আর আল্লাহ্‌র কাছে যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য উত্তম। আর নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা আল্লাহ্‌র প্রতি বিনয়াবনত হয়ে তাঁর প্রতি এবং তিনি যা তোমাদের ও তাদের প্রতি নাযিল করেছেন তাতে ঈমান আনে। তারা আল্লাহ্‌র আয়াত তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে না। তারাই, যাদের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার”

.

কুনুত-ই-নাযেলা

"اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قَضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ"

উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব‌্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্‌দ্বা ‘আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা। তাবা-রক্‌তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)

অর্থঃ

“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।

.

বিষাক্ত প্রাণী থেকে বাঁচার দু‘আ

۞ أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

উচ্চারণঃ

আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন সাররি-মা-খলাক।

অর্থঃ

আমি আল্লাহ্‌ তা‘আলার সমস্ত (উপকারী ও শেফাদানকারী) কালিমা দ্বারা তার সমস্ত মাখলূকের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।

.

সায়্যিদুল ইস্তিগফার

۞ اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوْءُ لَكَ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْ لِي ْ فَإِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা- আ’হ্‌দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত্ব’তু আ’উযুবিকা মিন শার্‌রি মা ছা’নাতু আবূ-উলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূ-উলাকা বিযানবী ফাগ্‌ফির্‌লী ফাইন্নাহু- লা-ইয়াগফিরুয্‌যুনূবা ইল্লা- আনতা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বূদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের উপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার উপর তোমার যে নিয়ামত আছে তার স্বীকৃতি দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

.

শিশুদের হেফাযতের দু‘আ

۞ أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

উচ্চারণঃ

আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্‌।

অর্থঃ

আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

.

বাড়ি থেকে বের হওয়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إنيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ ، أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ ، أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ

উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই; আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি, অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের উপর যুলম না করি অথবা আমার প্রতি যুলম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।

.

আল-মাশআর আল-হারামের সন্নিকটে দোয়া করা

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ.

উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ।

অর্থঃ

নেই কোন উপাস্য এক আল্লাহ ব্যতীত। তাঁর শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য। প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। নেই কোন উপাস্য এক আল্লাহ ব্যতীত। তিনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সকল দলকে পরাজিত করেছেন।

.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-২

۞ رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা-ওয়াজা‘আলনা-মুছলিমাইনি লাকা ওয়ামিন যুররিইইয়াতিনা-উম্মাতাম মুছলিমাতাল্লাকা ওয়া আরিনা-মানা-ছিকানা-ওয়াতুব ‘আলাইনা-ইন্নাকা আনতাত্তাওওয়া-বুর রাহীম।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আপনার একান্ত অনুগত বানিয়ে নিন এবং আমাদের বংশধরদের মধ্যেও এমন উম্মত সৃষ্টি করুন, যারা আপনার একান্ত অনুগত হবে এবং আমাদেরকে আমাদের ইবাদতের পদ্ধতি শিক্ষা দিন এবং আমাদের তওবা কবুল করে নিন। নিশ্চয়ই আপনি এবং কেবল আপনিই ক্ষমাপ্রবণ (এবং) অতিশয় দয়ার মালিক।

.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৫,৬,ও ৭

۞ رَبَّنَا لَاۤ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَّسِيْنَا أَوْ أَخْطَأْنَا، رَبَّنَا وَ لَاۤ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَى الَّذِيْنَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَاۤ تُحَمِّلْنَا مَا لَاۤ طَاقَةَ لَنَا بِه ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দ্বারা যদি কোনও ভুল-ত্রুটি হয়ে যায় তবে সেজন্য তুমি আমাদের পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি সেই রকমের দায়িত্বভার অর্পণ করো না, যেমন তা অর্পণ করেছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর এমন ভার চাপিয়ো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের (ত্রুটিসমূহ) মার্জনা কর, আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর।

১০.

পরকালের আযাব থেকে মুক্তির দু‘আ

۞ رَبَّـنَـا اِنَّـنَـا اٰمَـنَّـا فَـاغْـفِـرْلَـنَـا ذُنُـوْبَـنَـا وَقِـنَـا عَـذَابَ الـنَّـارِ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা ইন্নানা আ-মান্না ফাগ্‌ফিরলানা যুনূবানা ওয়া ক্বিনা আযা-বান্ন না-র।

অর্থঃ

হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের আগুনের আযাব হতে রক্ষা কর।

১১.

রোকনে ইয়ামানী এবং হজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে পড়ার দু‘আ

۞ رَبَّـنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্কিনা আযাবান্নার।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দান কর দুনিয়ার কল্যাণ এবং আখিরাতেরও কল্যাণ এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।

১২.

যানবাহনে আরোহণের দু‘আ-১

۞ بِسْمِ اللهِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَ ، وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، اَللهُ أَكْبَرُ ، اَللهُ أَكْبَرُ ، اَللهُ أَكْبَرُ ، سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ ، فَإِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহি, সুবহানাল্লাযি সাখখারা লানা হাযা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বলিবুন। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। সুবহানাকাল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থঃ

আল্লাহর নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, পবিত্রতা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি এসব কিছুকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে এনে দিয়েছেন। নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তন করব। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান।

১৩.

শহরে প্রবেশের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ ، وَرَبَّ الأَرَاضِيْنَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ ، وَرَبّْ الشَّيَاطِيْنِ وَمَا أَضْلَلْنَ ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ ، أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ أَهْلِهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ أَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওমা আদলালনা, ওরব্বাল আরাদিনা-স-সাবয়ী ওয়ামা আকলালনা, ওরব্বাশ-শায়াতিনি ওয়ামা আদলালনা ও রব্বার-রিয়াহি ওয়ামা যারাইনা। আসআলুকা খাইরা হা-যিহিল-করয়াতি ও-খাইরা আহলিহা ও-খাইরা মা ফিহা ও আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া-শাররি আহলিহা ওয়া-শাররি মা ফিহা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি সাত আসমানের এবং তার নীচে যা কিছু আছে তার রব। সাত জমিন এবং সেগুলো যা ধারন করে তার রব। সমস্ত শয়তানগুলো এবং তারা যাদের পথভ্রষ্ট করেছে তাদের রব। বাতাসের এবং বাতাস যা উড়িয়ে নিয়ে যায় তার রব। আমি আপনার নিকট এই গ্রাম এবং এর অধিবাসীদের অকল্যান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

১৪.

আয়না দেখার দু‘আ

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ اَللّٰهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِيْ فَحَسِّنْ خُلُقِيْ

উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লাহি, আল্লাহুম্মা কামা হাসসানতা খলক্বী ফাহাসসিন খুলুক্বী।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহর, হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাকে যেরূপ সুন্দর চেহারা দান করেছেন তদ্রূপ আমার স্বভাব-চরিত্রকেও সুন্দর করে দিন।

১৫.

রুকাইয়ার দু‘আ-৬

۞ أَعُوْذُ بِوَجْهِ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ الَّذِيْ لَا شَيْءَ أَعْظَمُ مِنْهُ ، وَبِكَلِمَاتِهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، وَأَسْمَاءِ اللّٰهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ لَا أُطِيْقُ شَرَّهٗ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِه، إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ،

উচ্চারণঃ

আ‘ঊযু বি-ওয়াজহিল্লা-হিল আযীমিল্লাযী লা- শাইয়া আ‘যামু মিনহু, ওয়া বি-কালিমা-তিহিত তা-ম্মা-তিল্লাতী লা- ইউজা-উযুহুন্না বাররুন ওয়ালা- ফা-জির, ওয়া আসমা-ইল্লা-হিল হুসনা- কুল্লিহা মা- আ’লিম্তু মিনহা- ওয়া মা- লাম আ’লাম, মিন শার্রি মা- খালা-কা ওয়া যারা-আ ওয়া বারা-আ, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিল লা- উতীকু শাররাহু, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিন আনতা আ-খিযুন বি-না-সিয়্যাতিহি, ইন্না রব্বী আ’লা- সিরাতিম মুস্তা-কিীম।

অর্থঃ

আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সুমহান স্বত্বার আশ্রয় প্রার্থনা করি যার চেয়ে বড় আর কিছু নেই এবং আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালেমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই যাকে কোন কল্যাণ ও অনিষ্ট অতিক্রম করে না। আর আল্লাহ তায়ালা সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে যা আমি জানি ও যা জানিনা। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি সৃষ্টি জগতের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে যা তোমার আয়ত্বাধীন। নিশ্চয় আমার প্রভু সরল সোজা পথেই।

১৬.

শরীরে কোথাও ব্যথা পেলে পড়ার দু‘আ

প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়বে, এরপর সাতবার বলবে, ۞ أَعُوْذُ بِاللّٰهِ وَقُدْرَتِه مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ

উচ্চারণঃ

আউযুবিল্লাহি ওয়া ক্বুদরতিহী মিন শাররি মা-আজিদু ওয়া উহা-যিরু।

অর্থঃ

আমি আল্লাহ ও তাঁর কুদরতের কাছে আশ্রয় নিচ্ছি আমি যা অনুভব করছি এবং ভয় করছি তার অকল্যাণ থেকে।

১৭.

নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ، اَللّٰهُمَّ أَهِلَّهٗ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضٰى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللّٰهُ

উচ্চারণঃ

আল্লা-হু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।

১৮.

দু‘আ-৪৬

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ ذُنُوْبِيْ : خَطَئِـيْ وَعَمَدِيْ.

অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমার ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত সকল গুনাহ মাফ করুন।৪৭

১৯.

চিন্তা, পেরেশানী, ঋণ, অলসতা ও কাপুরুষতা দূরীকরণের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَ الْكَسَلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَ الْبُخْلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَ قَهْرِ الرِّجَالِ

উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিত দাইনি ওয়া কাহরির রিজালি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা ও পেরেশানী থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের ক্ষোভ থেকে।

২০.

আমলকারীকে আল্লাহ সন্তুষ্ট করবেন

رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ [صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] نَبِيًّا

উচ্চারণঃ

র দ্বী-তু বিল্লাহি রব্বান অবিল ইসলামি দ্বীনান ও বি মুহাম্মাদীন নাবিয়্যা

অর্থঃ

আমি সন্তুষ্ট আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে।