দু'আ (জ্বীনের আছর, বান ইত্যাদি ক্ষেত্রে উপকারী আয়াত)

মোট বিষয় - ২৫ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

কারো থেকে অত্যাচারের আশঙ্কা হলে পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَجْعَلُكَ فِيْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ‘আলুকা ফী নুহূরিহিম, ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরূরিহিম।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনাকে এদের মুকাবেলায় (নিজের) ঢাল বানিয়েছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি।

.

শত্রু বা যালিমের সম্মুখীন হলে পড়বে–২

۞ حَسْبُنَا اللّٰهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ
উচ্চারণঃ

হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল

অর্থঃ

আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক।

.

সূরা আল মায়িদাহ ( আয়াত নং - ৩৭ )

یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنَ النَّارِ وَمَا ہُمۡ بِخٰرِجِیۡنَ مِنۡہَا ۫ وَلَہُمۡ عَذَابٌ مُّقِیۡمٌ
উচ্চারণঃ

ইউরীদূ না আইঁ ইয়াখরুজুমিনান্না-রি ওয়ামা-হুম বিখা-রিজীনা মিনহা- ওয়া লাহুম ‘আযা-বুম মুকীম।

অর্থঃ

তারা দোযখের আগুন থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে কিন্তু তা থেকে বের হতে পারবে না। তারা চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করবে।

.

সূরা আল আনআম ( আয়াত নং - ১২৮ )

وَیَوۡمَ یَحۡشُرُہُمۡ جَمِیۡعًا ۚ یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ قَدِ اسۡتَکۡثَرۡتُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ ۚ وَقَالَ اَوۡلِیٰٓؤُہُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ رَبَّنَا اسۡتَمۡتَعَ بَعۡضُنَا بِبَعۡضٍ وَّبَلَغۡنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِیۡۤ اَجَّلۡتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثۡوٰىکُمۡ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰہُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ حَکِیۡمٌ عَلِیۡمٌ
উচ্চারণঃ

ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম জামী‘আন- ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি কাদিছতাকছারতুম মিনাল ইনছি ওয়া কা-লা আওলিয়াউহুম মিনাল ইনছি রাব্বানাছ তামতা‘আ বা‘দুনা ব্বিা‘দিওঁ ওয়া বালাগনাআজালানাল্লাযীআজ্জালতা লানা- কা-লান না-রু মাছওয়াকুম খা-লিদীনা ফীহা-ইল্লা-মা-শাআল্লা-হু ইন্না রাব্বাকা হাকীমুন ‘আলীম।

অর্থঃ

যেদিন তিনি তাদের সকলকে একত্র করবেন আর বলবেন, ‘হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক লোককে তোমাদের অনুগামী করেছিলে’ এবং মানব সমাজের মধ্যে তাদের বন্ধুগণ বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মধ্যে কতক অপরকে দিয়ে লাভবান হয়েছে আর তুমি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলে এখন আমরা তাতে উপনীত হয়েছি।’ সেদিন আল্লাহ্ বলবেন, ‘জাহান্নামই তোমাদের বাসস্থান, তোমরা সেখানে স্থায়ী হবে,’ যদি না আল্লাহ্ অন্য রকম ইচ্ছা করেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত।

.

সূরা আল আনফাল ( আয়াত নং - ৫০ )

وَلَوۡ تَرٰۤی اِذۡ یَتَوَفَّی الَّذِیۡنَ کَفَرُوا ۙ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَضۡرِبُوۡنَ وُجُوۡہَہُمۡ وَاَدۡبَارَہُمۡ ۚ وَذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ
উচ্চারণঃ

ওয়া লাও তারা ইয ইয়াতাওয়াফফাল্লাযীনা কাফারুল মালাইকাতু ইয়াদরিবূনা উজূহাহুম ওয়া আদবা-রাহুম ওয়া যূকূ‘আযা-বাল হারীক।

অর্থঃ

আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।

.

সূরা ইব্রাহীম ( আয়াত নং ১৫-১৭ )

{وَاسْتَفْتَحُوا وَخَابَ كُلُّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ (15) مِنْ وَرَائِهِ جَهَنَّمُ وَيُسْقَى مِنْ مَاءٍ صَدِيدٍ (16) يَتَجَرَّعُهُ وَلَا يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَمِنْ وَرَائِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ (17)} [إبراهيم: 15 - 17]
উচ্চারণঃ

ওয়াছতাফতাহূওয়াখা-বা কুল্লুজাব্বা-রিন ‘আনীদ। মিওঁ ওয়ারাইহী জাহান্নামু ওয়া ইউছকা-মিম মাইন সাদীদ । ইয়াতাজাররা‘উহূ ওয়ালা-ইয়া-কা-দূ ইউছীগুহূ ওয়া ইয়া’তীহিল মাওতু মিন কুল্লি মাকা-নিওঁ ওয়ামা-হুওয়া বিমাইয়িতিওঁ ওয়ামিওঁ ওয়ারাইহী ‘আযা-বুন গালীজ।

অর্থঃ

এরা বিজয় কামনা করল এবং প্রত্যেক উদ্ধত স্বৈরাচারী ব্যর্থমনোরথ হল। এদের প্রত্যেকের জন্যে পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং পান করানো হবে গলিত পুঁজ; যা সে অতি কষ্টে একেক ঢোক করে গলাধঃকরণ করবে এবং তা গলাধঃকরণ করা প্রায় সহজ হবে না। সর্বদিক হতে তার নিকট আসবে মৃত্যুযন্ত্রণা, কিন্তু তার মৃত্যু ঘটবে না এবং এটার পর কঠোর শাস্তি ভোগ করতেই থাকবে।

.

সূরা মারইয়াম ( আয়াত নং - ৪ )

قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ وَہَنَ الۡعَظۡمُ مِنِّیۡ وَاشۡتَعَلَ الرَّاۡسُ شَیۡبًا وَّلَمۡ اَکُنۡۢ بِدُعَآئِکَ رَبِّ شَقِیًّا
উচ্চারণঃ

কা-লা রাব্বি ইন্নী ওয়াহানাল ‘আজমু মিন্নী ওয়াশতা‘আলার রা’ছু শাইবাওঁ ওয়ালাম আকুম বিদু‘আইকা রাব্বি শাকিইইয়া-।

অর্থঃ

সে বলেছিল, ‘হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে; হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে আহ্বান করে আমি কখনও ব্যর্থকাম হই নাই।

.

সূরা হাজ্জ্ব ( আয়াত নং ১৯ - ২২ )

ہٰذٰنِ خَصْمٰنِ اخْتَصَمُوۡا فِیۡ رَبِّہِمْ ۫ فَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا قُطِّعَتْ لَہُمْ ثِیَابٌ مِّنۡ نَّارٍ ؕ یُصَبُّ مِنۡ فَوْقِ رُءُوۡسِہِمُ الْحَمِیۡمُ (19) يُصْهَرُ بِهِ مَا فِي بُطُونِهِمْ وَالْجُلُودُ (20) وَلَهُمْ مَقَامِعُ مِنْ حَدِيدٍ (21) كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا مِنْ غَمٍّ أُعِيدُوا فِيهَا وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ (22)} [الحج: 19 - 22]
উচ্চারণঃ

হা-যা-নি খাছমা-নিখ তাছামূ ফী রাব্বিহিম ফাল্লাযীনা কাফারূ কুত্তি‘আত লাহুম ছিয়া-বুম মিন্না-রিইঁ ইউসাব্বু মিন ফাওকি রুঊছিহিমুল হামীম। ইউসহারু বিহী মা-ফী বুতূনিহিম ওয়াল জুলূদ। ওয়া লাহুম মাকা-মি‘উ মিন হাদীদ। কুল্লামা আরা-দূ আইঁ ইয়াখরুজুমিনহা-মিন গাম্বিন উ‘ঈদূফীহা- ওয়া যূকূ‘আযাবাল হারীক।

অর্থঃ

এরা দুইটি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে ; যারা কুফরী করে তাদের জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে আগুনের পোশাক, তাদের মাথার ওপর ঢালিয়া দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে এদের উদরে যা আছে তা এবং এদের চর্ম বিগলিত করা হবে। এবং এদের জন্যে থাকবে লৌহমুদগর। যখনই এরা যন্ত্রণাকাতর হয়ে জাহান্নাম হতে বের হতে চাইবে তখনই তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এতে; এদেরকে বলা হবে, ‘আস্বাদন কর দহন-যন্ত্রণা।’

.

সূরা আল আনকাবুত ( আয়াত নং - ২৪ )

{فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا اقْتُلُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ فَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (24)} [العنكبوت: 24]
উচ্চারণঃ

ফামা-কা-না জাওয়া-বা কাওমিহী-ইল্লা-আন ক্বালুকতুলুহু আও হাররিকুহু ফাআনজা-হুল্লাহু মিনান্না-রি ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।

অর্থঃ

উত্তরে ইব্রাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলল, ‘এটাকে হত্যা কর বা অগ্নিদগ্ধ কর।’ কিন্তু আল্লাহ্ তাকে অগ্নি হতে রক্ষা করলেন। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্যে।

১০.

সূরা ফাত্বির ( আয়াত নং ৩৬-৩৭ )

{وَالَّذِينَ كَفَرُوا لَهُمْ نَارُ جَهَنَّمَ لَا يُقْضَى عَلَيْهِمْ فَيَمُوتُوا وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ مِنْ عَذَابِهَا كَذَلِكَ نَجْزِي كُلَّ كَفُورٍ (36) وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَا أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَاءَكُمُ النَّذِيرُ فَذُوقُوا فَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ نَصِيرٍ (37)} [فاطر: 36، 37]
উচ্চারণঃ

ওয়াল্লাযীনা কাফারূ লাহুম না-রু জাহান্নামা লা-ইউকদা-‘আলাইহিম ফাইয়ামূতূ ওয়ালা-ইউখাফফাফু‘আনহুম মিন ‘আযা-বিহা- কাযা-লিকা নাজঝী কুল্লা কাফূর। ওয়া হুম ইয়াসতারিখূনা ফীহা- রাব্বানাআখরিজনা-না‘মাল সা-লিহান গাইরাল্লাযী কুন্না-না‘মালু আওয়ালাম নু‘আম্মির কুম মা-ইয়াতাযাক্কারু ফীহি মান তাযাক্কারা ওয়াজাআ কুমুন নাযীরু ফাযূকূফামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন নাসীর।

অর্থঃ

কিন্তু যারা কুফরী করে তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের আগুন। এদের মৃত্যুর আদেশ দেওয়া হবে না যে, এরা মরিবে এবং এদের হতে জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হবে না। এইভাবে আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে শাস্তি দিয়ে থাকি। সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করব, পূর্বে যা করতাম তা করব না।’ আল্লাহ্ বলবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’

১১.

সূরা আছ ছাফ্‌ফাত - আয়াত নংঃ ৭-১০

{وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَارِدٍ (7) لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ (8) دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (9) إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10)} [الصافات: 7 - 10]
উচ্চারণঃ

ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূ শিহা-বুন ছাকিব।

অর্থঃ

এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। ফলে এরা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শোনে করতে পারে না এবং এদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে- বিতাড়নের জন্যে এবং এদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি। তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেলিলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

১২.

সূরা আদ-দুখান ( আয়াত নং ৪৩-৫০ )

{إِنَّ شَجَرَتَ الزَّقُّومِ (43) طَعَامُ الْأَثِيمِ (44) كَالْمُهْلِ يَغْلِي فِي الْبُطُونِ (45) كَغَلْيِ الْحَمِيمِ (46) خُذُوهُ فَاعْتِلُوهُ إِلَى سَوَاءِ الْجَحِيمِ (47) ثُمَّ صُبُّوا فَوْقَ رَأْسِهِ مِنْ عَذَابِ الْحَمِيمِ (48) ذُقْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ (49) إِنَّ هَذَا مَا كُنْتُمْ بِهِ تَمْتَرُونَ (50)} [الدخان: 43 - 50]
উচ্চারণঃ

ইন্না শাজারাতাঝঝাক্কূম। তা‘আ-মুল আছীম। কালমুহলি ইয়াগলী ফিলবুতূন। কাগালইল হামীম। খুযূহু ফা‘তিলূহু ইলা-ছাওয়াইল জাহীম। ছু ম্মা সুববূফাওকা রা’ছিহী মিন ‘আযা-বিল হামীম। যুক ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল কারীম। ইন্না হা-যা-মা-কুনতুম বিহী তামতারূন।

অর্থঃ

নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ (সূরা ছাফফাতে এসম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে) বড় পাপীর (অর্থাৎ কাফিরের) খাদ্য হবে, যা ( দৃষ্টিকটু হওয়ার ব্যাপারে) তেলের তলানির মত হবে এবং ফুটন্ত পানির মত ফুটতে থাকবে। ফেরেশতাগণকে ( আদেশ করা হবে) একে ধর এবং টেনে জাহান্নামের মধ্যস্থলে নিয়ে যাও, অতপর এর মস্তকের উপরে যন্ত্রণাদায়ক ফুটন্ত পানি ঢল। (তাকে ঠাট্টাচ্ছলে বলা হবে এবার) স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো বড় সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত। (এটা তোমার সম্মান, যেমন তুমি দুনিয়াতে নিজেকে সম্মানিত ও সম্ভ্রান্ত মনে করে আমার আদেশ পালনে লজ্জা বোধ করতে। জাহান্নামীদেরকে বলা হবে.) এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ পোষণ (ও অস্বীকার করতে।

১৩.

সূরা আল ওয়াক্বিয়াহ্‌ ( আয়াত নং ৫১-৫৫ )

ثُمَّ اِنَّكُمْ اَیُّہَا الضَّآلُّوۡنَ الْمُکَذِّبُوۡنَ ﴿ۙ۵۱﴾ لَاٰکِلُوۡنَ مِنۡ شَجَرٍ مِّنۡ زَقُّوۡمٍ ﴿ۙ۵۲﴾ فَمَالِـُٔوۡنَ مِنْہَا الْبُطُوۡنَ ﴿ۚ۵۳﴾ فَشٰرِبُوۡنَ عَلَیۡہِ مِنَ الْحَمِیۡمِ ﴿ۚ۵۴﴾ فَشٰرِبُوۡنَ شُرْبَ الْہِیۡمِ ﴿ؕ۵۵﴾
উচ্চারণঃ

ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন। লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম। ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন। ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম। ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম।

অর্থঃ

অতঃপর (অর্থাৎ একত্রিত হওয়ার পর ) হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যা রোপকারিগণ! তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। এর উপর পান করবে ফুটন্ত পানি। তোমরা পান করবে পিপাসার্ত উটের ন্যায়। (মোটকথা) কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।

১৪.

সূরা মুল্‌ক ( আয়াত নং ৫-৯ )

وَ لَقَدْ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیۡحَ وَ جَعَلْنٰہَا رُجُوۡمًا لِّلشَّیٰطِیۡنِ وَ اَعْتَدْنَا لَہُمْ عَذَابَ السَّعِیۡرِ ﴿۵﴾ وَ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِرَبِّہِمْ عَذَابُ جَہَنَّمَ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیۡرُ ﴿۶﴾ اِذَاۤ اُلْقُوۡا فِیۡہَا سَمِعُوۡا لَہَا شَہِیۡقًا وَّ ہِیَ تَفُوۡرُ ۙ﴿۷﴾ تَکَادُ تَمَیَّزُ مِنَ الْغَیۡظِ ؕ كُلَّمَاۤ اُلْقِیَ فِیۡہَا فَوْجٌ سَاَلَہُمْ خَزَنَتُہَاۤ اَلَمْ یَاۡتِكُمْ نَذِیۡرٌ ﴿۸﴾ قَالُوۡا بَلٰی قَدْ جَآءَنَا نَذِیۡرٌ ۬ۙ فَکَذَّبْنَا وَ قُلْنَا مَا نَزَّلَ اللہُ مِنۡ شَیۡءٍ ۚۖ اِنْ اَنۡتُمْ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ کَبِیۡرٍ ﴿۹﴾
উচ্চারণঃ

ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা‘আলনা- হা- রুজূমাল লিশশায়া-তীনি ওয়া আ‘তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা‘ঈর। ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসীর। ইযাউলকূফীহা- ছামি‘উ লাহা- শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া তাফূর। তাকা- দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাযীর। কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন ফাকাযযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাঝঝালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফী দালা- লিন কাবীর।

অর্থঃ

আমার শক্তি-সামর্থ্যের প্রমাণ এই যে) আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজি) দ্বারা সুশোভিত করেছি, এগুলোকে (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজিকে ) শয়তানের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র করেছি (সূরা হাজরে এর স্বরূপ বর্ণিত হয়েছে) এবং আমি তাঁদের (অর্থাৎ শয়তানদের) জন্য (দুনিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া পরকালে কুফরের কারণে ) জাহান্নামের শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। যারা তাদের পালনকর্তাকে (অর্থাৎ তাঁর তওহীদ) অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কত নিকৃষ্ট স্থান। যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। ক্লোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। (হয় আল্লাহ্ তার মধ্যে উপলব্ধি ও ক্রোধ সৃষ্টি করে দেবেন, ফলে সে-ও কাফিরদের প্রতি ক্রোধান্বিত হবে, না হয় দৃষ্টান্তস্বরূপ এ কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেমন কেউ ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে যায়, তেমনি জাহান্নাম তীব্র উত্তেজনাবশত জোশ মারতে থাকবে)। যখনই তাতে কোন (কাফির) সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তাদেরকে তার রক্ষীরা জিজ্ঞাসা করবে : তোমাদের কাছে কি কোন সন্তর্ককারী (পয়গম্বর) আগমন করেনি? (যে তোমাদেরকে এই শান্তি সম্পর্কে সতর্ক করত এবং ফলে তোমরাও থেকে আত্মরক্ষার উপকরণ সংগ্রহ করতে? এই প্রশ্ন শাসানোর উদ্দেশ্যে করা হবে। অর্থাৎ পয়গম্বর তো অবশ্যই আগমন করেছিল। প্রত্যেক নবাগত সম্প্রদায়কে এই প্রশ্ন করা হবে। কেননা,কুফরভেদে কাফিরদের সব সম্প্রদায় একের পর এক জাহান্নামে যাবে)। তারা (অপরাধ স্বীকার করে ) বলবে : হ্যাঁ, আমাদের কাছে সতর্ককারী (পয়গম্বর) আগমন করেছিল। অতঃপর (দুর্ভাগ্য ক্রমে ) আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম আল্লাহ্ (বিধি-বিধান ও কিতাব ধরনের) কোন কিছু নাযিল করেন নি। তোমরা বিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ।

১৫.

সূরা আল জ্বিন ( আয়াত নং ৮-৯ )

وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰہَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیۡدًا وَّ شُہُبًا ۙ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْہَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنۡ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِہَابًا رَّصَدًا ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণঃ

ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-। ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।

অর্থঃ

‘এবং আমরা চেয়েছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করতে কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দিয়ে আকাশ পরিপূর্ণ ; ‘আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনবার জন্যে বসতাম কিন্তু এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে তার ওপর নিক্ষেপের জন্যে প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডের সম্মুখীন হয়।

১৬.

সূরা আল বুরুজ ( আয়াত নং - ১০ )

اِنَّ الَّذِیۡنَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِیۡنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ثُمَّ لَمْ یَتُوۡبُوۡا فَلَہُمْ عَذَابُ جَہنَّمَ وَ لَہُمْ عَذَابُ الْحَرِیۡقِ ﴿ؕ۱۰﴾
উচ্চারণঃ

ইন্নাল্লাযীনা ফাতানুলমু’মিনীন ওয়াল মু’মিনা-তি ছু ম্মা লাম ইয়াতূবূফালাহুম ‘আযা-বু জাহান্নামা ওয়া লাহুম ‘আযা-বুল হারীক।

অর্থঃ

যারা বিশ্বাসী নরনারীকে বিপদাপন্ন করেছে এবং পরে তওবা করে নাই তাদের জন্যে তো আছে জাহান্নামের শাস্তি, আছে দহন যন্ত্রণা।

১৭.

সূরা আল লাইল ( আয়াত নং ১৪-১৬ )

{فَأَنْذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى (14) لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى (15) الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى (16)} [الليل: 14 - 16]
উচ্চারণঃ

ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজ্জা-। লা-ইয়াসলা-হাইল্লাল আশকা- আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।

অর্থঃ

আমি তোমাদেরকে লেলিহান অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি। এতে প্রবেশ করবে সে-ই, যে নিতান্ত হতভাগ্য, যে অস্বীকার করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।

১৮.

সূরা আল ক্বারিয়াহ্‌ ( আয়াত নং ৮ - ১১ )

{وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ (8) فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ (9) وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ (10) نَارٌ حَامِيَةٌ (11)} [القارعة: 8 - 11]
উচ্চারণঃ

ওয়া আম্মা-মান খাফফাত মাওয়াঝীনুহূ ফাউম্মুহূহা-বিইয়াহ। ওয়ামাআদরা-কা মা-হিয়াহ। না-রুন হা-মিয়াহ।

অর্থঃ

এবং যার (ঈমানের) পাল্লা হালকা হবে (অর্থাৎ কাফির হবে) তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। আপনি জানেন তা (অর্থাৎ হাবিয়া) কি? (সেটা) এক প্রজ্বলিত অগ্নি।

১৯.

সূরা আল হুমাযাহ ( আয়াত নং ৪ - ৯ )

کَلَّا لَیُنۡۢبَذَنَّ فِی الْحُطَمَۃِ ۫﴿ۖ۴﴾ وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا الْحُطَمَۃُ ؕ﴿۵﴾ نَارُ اللہِ الْمُوۡقَدَۃُ ۙ﴿۶﴾ الَّتِیۡ تَطَّلِعُ عَلَی الْاَفْـِٕدَۃِ ؕ﴿۷﴾ اِنَّہَا عَلَیۡہِمۡ مُّؤْصَدَۃٌ ۙ﴿۸﴾ فِیۡ عَمَدٍ مُّمَدَّدَۃٍ ٪﴿۹﴾
উচ্চারণঃ

কাল্লা-লাইউমবাযান্না ফিল হুতামাহ। ওয়ামাআদরা-কা মাল হুতামাহ। না-রুল্লা-হিল মূকাদাহ আল্লাতী তাত্তালি‘উ আলাল আফইদাহ। ইন্নাহা-‘আলাইহিম মু’সাদাহ ফী ‘আমাদিম মুমাদ্দাদাহ ।

অর্থঃ

সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে এমন অগ্নিতে যা সবকিছুকে পিষ্ট করে দেয়, সেটা আল্লাহর অগ্নি, যা (আল্লাহর আদেশে ) প্রজ্বলিত, (আল্লাহর অগ্নি, বলার মধ্যে ইঙ্গিত আছে যে, সেই অগ্নি অত্যন্ত কঠোর ও ভয়াবহ হবে) যা ( শরীরে লাগা মাত্রই ) হাড় পর্যন্ত পৌঁছবে। সেই অগ্নি- তাদের উপর আবদ্ধ করে দেওয়া হবে (এভাবে যে, তারা অগ্নির বড় লম্বা লম্বি স্তস্তে( পরিবেষ্টিত থাকৰে যেমন কাউকে অগ্নির সিন্দুকে পুরে দেওইয়া হয়।

২০.

শত্রুর ভয় পেলে পড়বে

اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাকফিনীহিম বিমা শি’তা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।