দু'আ (কুরআনে বর্ণিত (রাব্বানা) দু‘আ অধ্যায়)

মোট বিষয় - ২৭ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

চিন্তামুক্ত সফরের দু‘আ

۞ رَبِّ اَدْخِـلْـنِـىْ مُـدْخَـلَ صِـدْقٍ وَّاَخْـرِجْـنِـىْ مُـخْـرَجَ صِـدْقٍ وَّاجْـعَـلْ لِّـىْ مِـنْ لَّدُنْـكَ سُلْطَانًا نَصِيْرًا

উচ্চারণঃ

রাব্বি আদ্‌খিল্‌নি মুদ্‌খালা সিদক্বিও ওয়া আখ্‌রিযনি মুখ্‌রাজা সিদ্‌কিও ওয়াজা’আল্লি মিল্লাদুন্‌কা সুল্‌তা-নান্ন নাসি-রা।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্ত বাহির করাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান করো সাহায্যকারী শক্তি।

.

পিতা-মাতার জন্য দু‘আ

۞ رَبِّ ارْحَـمْـهُـمَـا كَـمَـا رَبَّيَانِيْ صَـغِـيْـرًا

উচ্চারণঃ

রব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

.

সন্তানের সংশোধনের জন্য দু’আ

رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَ اَصْـلِـحْ لِـىْ فِـي ذُرِّيَّـتِـىْ ج اِنِّـىْ تُـبْـتُ اِلَـيْـكَ وَاِنِّـىْ مِـنَ الْـمُـسْـلِـمِـيْـنَ

উচ্চারণঃ

রাব্বি আওঝি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়া আন আ‘মালা সা-লিহান তারদা-হু ওয়া আছলিহ্ লী ফী যুররিয়্যাতি; ইন্নী তুব্‌তু ইলাইকা ওয়া ইন্নী মিনাল্ মুসলিমীন।

অর্থঃ

হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার জন্য আমার সন্তানদের সৎকর্মপরায়ণ করে দিন; আমি অবশ্যই আপনার নিকট তওবা করছি এবং নিশ্চয়ই আমি অনুগত বান্দাদের একজন।

.

মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা

۞ رَبَّـنَـا اغْـفِـرْلِـىْ وَلِـوَالِـدَىَّ وَلِـلْـمُـؤْمِـنِـيْـنَ يَـوْمَ يَـقُـوْمُ الْـحِـسَـابُ

উচ্চারণঃ

রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়ালিল্ মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল্ হিসাব্।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! যে দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করো।

.

জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের দু‘আ

۞ رَبَّـنَـا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا إنَّهَا سَآءَتْ مُسْتَقَرًّ وَّمُقَاماً

উচ্চারণঃ

রাব্বানাসরিফ ‘আন্না আযাবা জাহান্নামা, ইন্না আযাবাহা কানা গারামা, ইন্নাহা সাআত মুস্তাক্বার্‌রাও ওয়া মুকামা।

অর্থঃ

হে আমাদের রব! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ। বসবাস ও আবাসস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা

.

পরকালের আযাব থেকে মুক্তির দু‘আ

۞ رَبَّـنَـا اِنَّـنَـا اٰمَـنَّـا فَـاغْـفِـرْلَـنَـا ذُنُـوْبَـنَـا وَقِـنَـا عَـذَابَ الـنَّـارِ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা ইন্নানা আ-মান্না ফাগ্‌ফিরলানা যুনূবানা ওয়া ক্বিনা আযা-বান্ন না-র।

অর্থঃ

হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের আগুনের আযাব হতে রক্ষা কর।

.

রোকনে ইয়ামানী এবং হজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে পড়ার দু‘আ

۞ رَبَّـنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্কিনা আযাবান্নার।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দান কর দুনিয়ার কল্যাণ এবং আখিরাতেরও কল্যাণ এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।

.

অনুগত নেক সন্তান প্রার্থনা-১

۞ رَبِّ ه‍ََبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡكَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً اِنَّكَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ

অর্থঃ

হে রব! আমাকে তুমি তোমার নিকট হতে নেক বংশধর দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।

.

স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের জন্য দু‘আ

۞ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّا تِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ إِمَاماً

উচ্চারণঃ

রাব্বানা হাব্ লানা মিন্ আয্ওয়াজ্বিনা ওয়া যুররিইয়্যাতিনা ক্বুরওয়াতা আ’ইউনিওঁ ওয়াজ্ব’আলঅনা লিল্ মুত্তাক্বিনা ইমামা।

অর্থঃ

হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে এমন স্ত্রী-সন্তান দান কর যাদের দর্শনে আমাদের চক্ষুশীতল হয়ে যাবে। তুমি আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের ইমাম (অভিভাবক) বানিয়ে দাও।

১০.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-১

۞ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আংতাস্ সামী‘ঊল ‘আলীম। ওয়াতুব্ ‘আলাইনা, ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়্যা-বুর রাহিম।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ হতে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি এবং কেবল আপনিই সব কিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।

১১.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-২

۞ رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা-ওয়াজা‘আলনা-মুছলিমাইনি লাকা ওয়ামিন যুররিইইয়াতিনা-উম্মাতাম মুছলিমাতাল্লাকা ওয়া আরিনা-মানা-ছিকানা-ওয়াতুব ‘আলাইনা-ইন্নাকা আনতাত্তাওওয়া-বুর রাহীম।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আপনার একান্ত অনুগত বানিয়ে নিন এবং আমাদের বংশধরদের মধ্যেও এমন উম্মত সৃষ্টি করুন, যারা আপনার একান্ত অনুগত হবে এবং আমাদেরকে আমাদের ইবাদতের পদ্ধতি শিক্ষা দিন এবং আমাদের তওবা কবুল করে নিন। নিশ্চয়ই আপনি এবং কেবল আপনিই ক্ষমাপ্রবণ (এবং) অতিশয় দয়ার মালিক।

১২.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৩

۞ رَبَّنَا اٰ تِنَا مِن لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا

উচ্চারণঃ

রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি আপনার নিকট থেকে বিশেষ রহমত নাযিল করুন এবং আমাদের এ পরিস্থিতিতে আমাদের জন্য কল্যাণকর পথের ব্যবস্থা করে দিন।

১৩.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৪

۞ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর সবরের গুণ ঢেলে দাও এবং আমাদেরকে অবিচল-পদ রাখ, আর কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান কর।

১৪.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৫,৬,ও ৭

۞ رَبَّنَا لَاۤ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَّسِيْنَا أَوْ أَخْطَأْنَا، رَبَّنَا وَ لَاۤ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَى الَّذِيْنَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَاۤ تُحَمِّلْنَا مَا لَاۤ طَاقَةَ لَنَا بِه ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দ্বারা যদি কোনও ভুল-ত্রুটি হয়ে যায় তবে সেজন্য তুমি আমাদের পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি সেই রকমের দায়িত্বভার অর্পণ করো না, যেমন তা অর্পণ করেছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর এমন ভার চাপিয়ো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের (ত্রুটিসমূহ) মার্জনা কর, আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর।

১৫.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৯

۞ رَبَّنَا اٰ مَنَّا بِمَا أَنزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُوْلَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِيْنَ

উচ্চারণঃ

রাব্বানাআ-মান্নাবিমাআনঝালতা ওয়াত্তবা‘নার রাছূলা ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যা-কিছু নাযিল করেছেন আমরা তাতে ঈমান এনেছি এবং আমরা রাসূলের অনুসরণ করেছি। সুতরাং আমাদেরকে সেই সকল লোকের মধ্যে লিখে নিন, যারা (সত্যের) সাক্ষ্যদাতা।

১৬.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-১১-১৫

۞ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ۝ رَبَّنَا اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَيْتَهٗ ۭ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ ۝ رَبَّنَا اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰ مَنَّا------‐ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاٰتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ ۝ رَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰي رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۭاِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ

উচ্চারণঃ

রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি এসব উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করেননি। আপনি (এমন ফজুল কাজ থেকে) পবিত্র। সুতরাং আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যাকেই জাহান্নামে দাখিল করবেন, তাকে নিশ্চিতভাবেই লাঞ্ছিত করলেন। আর জালিমগণ তো কোনও সাহায্যকারী পাবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এক ঘোষককে ঈমানের দিকে ডাক দিতে শুনেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আন।’ সুতরাং আমরা ঈমান এনেছি। কাজেই হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন, আমাদের মন্দসমূহ আমাদের থেকে মিটিয়ে দিন এবং আমাদেরকে পুণ্যবানদের মধ্যে শামিল করে নিজের কাছে তুলে নিন। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সেই সবকিছু দান করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি নিজ রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে দিয়েছেন। আমাদেরকে কিয়ামতের দিন লাঞ্ছিত করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি কখনও প্রতিশ্রুতির বিপরীত করেন না।

১৭.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-১৭

۞ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَآءِ تَكُوْنُ لَنَا عِيْدًا لِّأَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰيَةً مِّنْكَ ۖ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ

উচ্চারণঃ

রাব্বানাআনঝিল ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই তাকূনুলানা-‘ঈদাল লিআওওয়ালিনা-ওয়া আ-খিরিনা-ওয়া আ-ইয়াতাম মিনকা ওয়ারঝুকনা-ওয়া আনতা খাইরুর রা-ঝিকীন।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমাদের পালনকর্তা আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবার জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রুযীদাতা।

১৮.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-১৮

۞ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِيْنَ

উচ্চারণঃ

রাব্বানা-লাতাজ‘আলনা-মা‘আল কাওমিজ্জা-লিমীন।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিমদের সঙ্গী করো না।

১৯.

কুরআনে বর্ণিত শান্তি ও সাফল্যের দু‘আ-১৯

۞ رَبِّ هَـبْ لِـىْ حُـكْـمًـا وَّاَلْحِـقْـنِـىْ بِـالـصّٰـلِـحِـيْـنَ وَاجْـعَـلْ لِّـىْ لِـسَـانَ صِـدْقٍ فِـى الاٰخِـرِيْـنَ وَاجۡعَلۡنِیۡ مِنۡ وَّرَثَۃِ جَنَّۃِ النَّعِیۡمِ

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান করুন। এবং সৎকর্মপরায়ণদের মধ্যে শামিল কর। এবং পরবর্তীকালীন লোকদের মধ্যে আমার পক্ষে এমন রসনা সৃষ্টি করুন, যা আমার সততার সাক্ষ্য দেবে। এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।

২০.

কুরআনে বর্ণিত জ্ঞাণ বৃদ্ধির দু‘আ-২০

۞ رَبِّ زِدْنِـىْ عِـلْـمًـا

উচ্চারণঃ

রাব্বি জিদনি ইলমা।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।