বদনজর: লক্ষণ, করণীয় ও রুকইয়াহ
বদনজর সত্য, এবং বদনজরের ফলে একজন সুস্থ ব্যক্তি মৃত্যু পর্যন্তও চলে যেতে পারেন। বদনজর যে কারো থেকে লাগতে পারে, সন্তানের উপর মা বাবার, স্ত্রীর উপর স্বামীর। বা বন্ধুবান্ধব, অপরিচিত ব্যক্তি থেকেও হতে পারে। অর্থাৎ অমুক আমাকে হিংসে করে না, আমাকে পছন্দ করে তাই আমার ভাল কোনো কিছুতে তার নজর লাগবে না, বদনজরের ক্ষেত্রে এমন কোনো শত নেই। যে কারো থেকে বদনজর লাগতে পারে। বদনজর শুধু মানুষের উপর নয়, বরং ব্যবসাবাণিজ্য, সম্পদ, ফসল বা যে কোনো বস্তুর উপর লাগতে পারে। সাধারণত ব্যক্তি বুঝতে পারে, তার ঠিক কোন বিষয়টার উপর নজর লেগেছে। কারণ নজর লাগার পর সেই নির্দিষ্ট বিষয়টি আর আগের মত থাকে না। যেমন কারো মজাদার রান্নার উপর নজর লাগলো, দেখা যাচ্ছে তার রান্না আর মজা হচ্ছে না। কিংবা কেউ পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল, এখন আর ভাল নেই। কেউ ব্যবসায় লাভবান ছিল অথচ এখন ব্যবসা দিনদিন লসের দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়াও আরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। লক্ষণ ব্যক্তির অলসতা কাজ করবে সব কিছুতে, ঘুমঘুম লাগবে, শরীরে জ্বর জ্বর ভাব থাকবে, মন মেজাজ খারাপ থাকবে, নানান অসুখবিসুখ লেগে থাকবে, কোনো কাজে মন বসবে না, নির্দিষ্ট কিছু কাজ বারবার নষ্ট হতে থাকবে ইত্যাদি। এই ক্ষেত্রে রুকইয়াহ দুই রকম হতে পারে। করণীয় ১. নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়। ২. নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় না। নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় যদি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় তবে নজর কাটাতে কষ্ট কম হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তির অজু করা পানি জমিয়ে রেখে তা রোগীর গায়ে ঢেলে দিতে হবে। কিংবা ব্যক্তির খেয়ে রাখা প্লেট, গ্লাস, চামচ ধুয়ে সেই পানি রোগীর গায়ে ঢেলে দিবে। এতে করে ইনশাআল্লাহ নজর কেটে যাবে। নজরকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় না যদি চিহ্নিত করা না যায় তবে নিচের সূরা ও দু‘আ পড়ে রোগীকে ফুঁ দিতে হবে। এক বোতল পানি রাখবেন, তাতেও ফুঁ দিবেন এবং রোগীকে পান করাবেন ও মাথায় মুখে শরীরে ছিটিয়ে দিবেন। আয়াতগুলোর অডিও রোগী নিয়মিত শুনবেন এবং নিজেও তিলাওয়াত করবেন।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে