দু‘আ-১৯১

share dua

يَا رَبِّ! يَا رَبِّ! يَا رَبِّ! اَللّٰهُمَّ يَا كَبِيْرُ! يَا سَمِيْعُ! يَا بَصِيْرُ! يَا مَنْ لَّا شَرِيْكَ لَهٗ وَلَا وَزِيْرَ لَهٗ! وَيَا خَالِقَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ الْمُنِيْرِ! وَيَا عِصْمَةَ الْبَآئِسِ الْخَآئِفِ الْمُسْتَجِيْرِ! وَيَا رَازِقَ الطِّفْلِ الصَّغِيْرِ! وَيَا جَابِرَ الْعَظْمِ الْكَسِيْرِ! أَدْعُوْكَ دُعَآءَ الْبَائِسِ الْفَقِيْرِ كَدُعَآءِ الْمُضْطَرِّ الضَّرِيْرِ، أَسْأَلُكَ بِمَعَاقِدِ الْعِزِّ مِنْ عَرْشِكَ وَبِمَفَاتِيْحِ الرَّحْمَةِ مِنْ كِتَابِكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَجِلَآءَ حُزْنِيْ.

অর্থঃ ইয়া রব! ইয়া রব! ইয়া রব!২১৩ ইয়া আল্লাহ! ইয়া কাবীর (বড়)! ইয়া সামী (সর্বশ্রোতা)! ইয়া বাসীর (সর্বদ্রষ্টা)! হে ঐ সত্তা, যাঁর কোনো শরীক নেই, কোনো পরামর্শদাতা নেই! হে আলোকিত সূর্য ও চন্দ্রের স্রষ্টা! হে ভীত-বিপদগ্রস্ত আশ্রয়প্রার্থীর আশ্রয়! হে ছোট শিশুর রিযিকদাতা।২১৪ হে বিচূর্ণ হাড়ে জোড়াদানকারী! আমি আপনার কাছে আবেদন করছি বিপদগ্রস্ত মুখাপেক্ষীর আবেদন, অস্থির বিপদগ্রস্তের নিবেদন! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার আরশের উচ্চমর্যাদার গ্রন্থিসমূহের অসিলায় এবং আপনার কিতাবের রহমতের চাবিসমূহের অসিলায় প্রার্থনা করছি, কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত ও বেদনাহারক বানিয়ে দিন।২১৫

উৎসঃ -আল-হিযবুল আ’যম

উপকারিতাঃ

২১৩. সকল দু‘আর শিরোনামই নিজ-নিজ জায়গায় আবেদনপূর্ণ। কিন্তু দু‘আর শিরোনাম অন্যান্য দু‘আ থেকে অগ্রগামী। দু‘আকারী যেন পুরোপুরি অস্থির-মজবুর এবং বিহ্বলতার কারণে মুখে কোনো কথাই আসছে না, শুধু এক ডাক- ইয়া রব! হে মালিক! হে পরওয়ারদেগার! ছাড়া! ২১৪. অর্থাৎ যে শিশু এখনো জীবিকা উপার্জনের বিন্দুমাত্রও যোগ্য হয়নি, এরপরও শুধু তোমার ‘রাযযাক’ গুণের সূত্রে সব ধরনের রুযী লাভ করছে। ২১৫. কুরআনের সাথে প্রত্যেক মুমিনের কী গভীর সম্পর্ক হওয়া উচিৎ এবং কুরআনের মহব্বত কীভাবে তার শিরায় শিরায় প্রবাহিত হওয়া উচিৎ তা দু‘আর শব্দে শব্দে প্রকাশিত।


এ সম্পর্কিত আরও দু’আ...