দু‘আ-১১২
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার কথা শুনছেন, আমার জায়গা (অবস্থান) দেখছেন, আমার গোপন ও প্রকাশ্য আপনার জানা, কোনো কিছুই আপনার অগোচর নয়। আমি তো দুর্দশাগ্রস্ত, মুখাপেক্ষী, ফরিয়াদী, আশ্রয়প্রার্থী, ভীত ও সন্ত্রস্ত, কৃতপাপ স্বীকারকারী। আপনার কাছে প্রার্থনা করছি নিঃস্ব ভিখারীর প্রার্থনা; আপনার সমীপে ক্রন্দন করছি তুচ্ছ পাপীর ক্রন্দন, আর আপনাকে ডাকছি ভীত ও বিপদগ্রস্তের ডাক এবং যেভাবে ঐ লোক ডাকে, যার গর্দান আপনার সমীপে অবনত, যার অশ্রু আপনার সম্মুখে প্রবাহিত, যার দেহ আপনার সম্মুখে লাঞ্ছিত আর যার নাক আপনার সামনে ধূলি-ধূসরিত। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা আমাকে দুর্ভাগা সাব্যস্ত কোরেন না, আমার প্রতি হোন পরম দয়ালু ও মেহেরবান। হে শ্রেষ্ঠ প্রার্থনাস্থল! সকল দাতার শ্রেষ্ঠ দাতা! ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অভিযোগ করছি নিজের দুর্বলতার, উপায়হীনতার ও লোকের চোখে মর্যাদাহীনতার। হে সকল দয়াময়ের বড় দয়াময়! কার হাতে আমাকে সমর্পণ করছেন? কোনো দুশমনের হাতে, যে আমার উপর নির্যাতন করবে? কিংবা কোনো দোস্তের ইখতিয়ারে আমার সব কিছু অর্পণ করছেন? আপনি যদি আমার প্রতি নারাজ না হয়ে থাকেন, তবে এসবের কোনো কিছুরই পরোয়া আমার নেই। তবে আপনার নিরাপত্তাই আমার জন্য অধিক প্রশস্ততাপূর্ণ।১০৯
-কানযুল উম্মাল
১০৯. খুব ভালোভাবে চিন্তা করা উচিৎ, এ হচ্ছে এক নবীর; বরং নবীকুল শিরোমণির প্রার্থনা। আর নবীর কালাম সকল অতিশয়তা থেকে মুক্ত হয়ে থাকে। এর চেয়ে বেশি কাকুতি-মিনতির উদাহরণ তো আর কারো প্রার্থনায় পাওয়া যাবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু অলী ও সিদ্দীকগণেরই আদর্শ নন; তিনি তো সামান্যতম উম্মতটিরও আদর্শ- এই এক দলীলই নবীর সত্যতার পক্ষে যথেষ্ট। প্রার্থনার সর্বশেষ পঙক্তিটির অর্থ, যতক্ষণ আপনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট ততক্ষণ আমার কোনো পরোয়া নেই যে, দুনিয়াতে আমি কোনো শত্রুর কবলে আছি কি বন্ধুর কব্জায়। আপনার সন্তুষ্টি যদি থাকে, তবে এসবের কোনো পরোয়া আমি করি না। কিন্তু এরই সাথে নিবেদন এই যে, শান্তি ও নিরাপত্তাই বান্দার অবস্থার অধিক উপযোগী।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে