সূরা আল-কাওসার
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
ইন্নাআ‘তাইনা-কাল কাওছার। ফাসাললি লিরাব্বিকা ওয়ানহার। ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।
১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কাউসার হল জান্নাতের একটা নহর। এর দুই তীর হল স্বর্ণের, মতি ও ইয়াকুতের উপর দিয়ে তা প্রবাহিত হয়। এর মাটি মিশক–আম্বার থেকে সুগন্ধ ময়। এর পানি মধু থেকে মিষ্টি এবং তুষার থেকে শুভ্র। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৩৬১) ২. হযরত আনাস (রাযি) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি জান্নাতে পায়চারি করছিলাম। এমন সময় হঠাং একটি নহর আমার সামনে পড়ল এর উভয় তীরে মতির গম্বুজ। ফিরিশতাকে বললাম, এটি কি? তিনি বললেন, এটি কাউসার। আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে যা দান করেছেন। নবী (ﷺ) বলেন, এরপর তিনি এর মাটিতে হাত মেরে মিশক আম্বর বের করে নিয়ে এলেন। তারপর আমার সামনে সিদরাতুল–মুন্তাহা উপস্থাপিত হল। সেখানে আমি মহাজ্যোতি প্রত্যক্ষ করেছি। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৩৬০) ৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রাযি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাযে “সূরা কাফিরুন” ও “সূরা কুল হুআল্লাহু আহাদ” তিলাওয়াত করতেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ১২৫৬) ৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সূরা কাউসার তিলাওয়াত করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতের সকল নহর (প্রসবন) থেকে পানি পান করাবেন। তার জন্য দশটি নেকি লিখা হবে দশ তারিখে বান্দার পক্ষ থেকে দেয়া কুরবানীর পশুর সমান। (তাফসীরে কাশশাফ, সূরা কাউসার দ্রষ্টব্য)
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে