কষ্টদায়ক জিনিস থেকে মুক্তির দু‘আ
সূরা ইখলাস: ১. قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ২. اللَّهُ الصَّمَدُ ৩. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ৪. وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ সূরা ফালাক্ব: ১. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ২. مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ৩. وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ৪. وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ৫. وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ সূরা নাস: ১. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ২. مَلِكِ النَّاسِ ৩. إِلَـٰهِ النَّاسِ ৪. مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ৫. الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ৬. مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
সূরা ইখলাস: ১. কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। ২. আল্লা-হুসসামাদ। ৩. লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। ৪. ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ। সূরা ফালাক্ব: ১. কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক ২. মিন শাররি মা-খালাক। ৩. ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ৪. ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ৫. ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ। সূরা নাস: ১. কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, ২.মালিকিন্না-ছ, ৩. ইলা-হিন্না-ছ। ৪. মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। ৫. আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। ৬. মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
সূরা ইখলাস: ১. বলে দাও, কথা হল আল্লাহ সব দিক থেকে এক। ২. আল্লাহই এমন যে, সকলে তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। ৩. তার কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন ৪. এবং তার সমকক্ষ নয় কেউ। সূরা ফালাক্ব: ১. বল, আমি ভোরের মালিকের আশ্রয় গ্রহণ করছি ২. তিনি যা-কিছু সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে ৩. এবং অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা ছেয়ে যায় ৪. এবং সেই সব ব্যক্তির অনিষ্ট হতে, যারা (তাগা বা সুতার) গিরায় ফুঁ দেয় ৫. এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসা করে। সূরা নাস: ১. বল, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি সমস্ত মানুষের প্রতিপালকের ২. সমস্ত মানুষের অধিপতির ৩. সমস্ত মানুষের মাবূদের ৪. সেই কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে, যে পেছনে আত্মগোপন করে ৫. যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়, ৬. সে জিনদের মধ্য হতে হোক বা মানুষের মধ্য হতে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রাযি) থেকে বর্ণিত, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বল! আমি চুপ রইলাম। পুনরায় বললেন, বল! আমি চুপ রইলাম। আবার বললেন, বল! আমি আরয করলাম, কি বলব! ইরশাদ করলেন, সকাল বিকাল তিনবার সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস পড়ে নিবে। এই সূরাগুলি প্রত্যেক কষ্টদায়ক জিনিস থেকে তোমার হিফাযত করবে। ফায়দা কোনো কোনো ওলামায়ে কেরামের মতে হাদীস শরীফের উদ্দেশ্য এই যে, যারা বেশি পড়তে না পারে তারা যদি কমপক্ষে সকাল বিকাল এই তিনটি সূরা পড়ে নেয় তবে ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট হবে। (শরহুত তীবী)
সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং: ৫০৮২; সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৫৭৫
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে