মা'আরিফুল হাদীস

معارف الحديث

সলাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩৫১ টি

হাদীস নং: ১৬১
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বৈঠক, তাশাহহুদ ও সালাম

বৈঠক ও সালামের মধ্য দিয়ে সালাতের পরিসমাপ্তি ঘটে। এগুলো সালাতের সর্বশেষ অঙ্গ। তবে সালাত যদি তিন অথবা চার রাক'আত বিশিষ্ট হয়, তবে দুই রাক'আত আদায়ের পর একবার বৈঠক জরুরী। আর এ বৈঠককে 'প্রথম বৈঠক' বলা হয়। কিন্তু এতে কেবল তাশাহহুদ পাঠ শেষে দাঁড়িয়ে যেতে হবে এবং তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাক'আত আদায়ের পর দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে হবে এবং এতে তাশাহহুদের পর দরূদ শরীফ পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করতে হবে। নিম্নবর্ণিত হাদীসমূহ থেকে জানা যাবে যে, বৈঠকের বিশুদ্ধ পদ্ধতি কী, রাসূলুল্লাহ ﷺ কীভাবে বৈঠক করতেন, তাতে কী পাঠের শিক্ষা দিতেন এবং সালাম ফিরিয়ে কী ভাবে সালাত শেষ করতেন।

বৈঠকের সঠিক ও সুন্নাত নিয়ম
১৬১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম ﷺ যখন সালাতের মধ্যে বসতেন, তখন দুই হাত দুই হাঁটুর উপর রাখতেন এবং বৃদ্ধাগুলোর পাশে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে দু'আ করতেন। তখন তাঁর বাম হাত 'বাম হাঁটুর উপর বিছানো থাকত (তা দিয়ে ইশারা করতেন না, (মুসলিম)।
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدُاللهِ بْنِ عُمَرَ « أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلَاةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ، وَرَفَعَ إِصْبَعَهُ الْيُمْنَى الَّتِي تَلِي الْإِبْهَامَ ، فَدَعَا بِهَا وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ بَاسِطَهَا عَلَيْهَا »
(رواه مسلم)
হাদীস নং: ১৬২
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বৈঠকের সঠিক ও সুন্নাত নিয়ম
১৬২. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) কে সালাতে আসন পিড়ি করে বসতে দেখেছেন। আবদুল্লাহ্ ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা) বলেন, আমি সে সময় অল্প বয়স্ক ছিলাম। আমিও সেরূপ করলাম। আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) আমাকে নিষেধ করে বললেন: সালাতে বসার সুন্নাত তরীকা হল ডান পা খাড়া করে রাখা এবং বাম পা বিছিয়ে রাখা। তখন আমি বললাম, আপনি যে এরূপ করেন? তিনি বললেনঃ আমার দুই পা আমার ভার বহন করতে পারে না। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بن عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَرَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، يَتَرَبَّعُ فِي الصَّلاَةِ إِذَا جَلَسَ ، فَفَعَلْتُهُ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ ، فَنَهَانِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ، وَقَالَ : « إِنَّمَا سُنَّةُ الصَّلاَةِ أَنْ تَنْصِبَ رِجْلَكَ اليُمْنَى وَتَثْنِيَ اليُسْرَى » ، فَقُلْتُ : إِنَّكَ تَفْعَلُ ذَلِكَ ، فَقَالَ : إِنَّ رِجْلَاىَ لاَ تَحْمِلاَنِي. (رواه البخارى)
হাদীস নং: ১৬৩
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ প্রথম বৈঠক হবে সংক্ষিপ্ত এবং দ্রুত
১৬৩. আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রথম দুই রাক'আতের বৈঠক হতে এত তাড়াতাড়ি তৃতীয় রাক'আতের জন্য উঠে যেতেন যেন তিনি উত্তপ্ত পাথরের উপরে বসেছেন। (তিরমিযী ও নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : « كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ كَأَنَّهُ عَلَى الرَّضْفِ حَتَّى يَقُومَ.
(رواه الترمذى والنسائى)
হাদীস নং: ১৬৪
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ তাশাহহুদ
১৬৪. হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার হাত তাঁর হাতের মধ্যে রেখে আমাকে তাশাহ্হুদ শিক্ষা দিয়েছেন, যেমনিভাবে তিনি আমাকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। (তিনি আমার উদ্দেশ্যে বললেন: পড়)

"‌التَّحِيَّاتُ ‌لِلَّهِ ‌وَالصَّلَوَاتُ ‌وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ "

"যাবতীয় মৌখিক প্রার্থনা ও সম্মান আল্লাহর জন্য, সকল সালাত ও ইবাদত তাঁরই জন্য, সব দান খায়রাত ও পবিত্রতা তাঁরই জন্য। হে নবী! আপনার উপর সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকত আপনার উপর অবতীর্ণ হোক। আমাদের এবং আল্লাহর সকল নেকবান্দাদের উপরও সালাম বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল।" (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ : عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّشَهُّدَ - كَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ كَمَا يُعَلِّمُنِي السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ ، قَالَ : « التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ ، وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১৬৫
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুরূদ পাঠের হিকমত

বিশ্ব মানবতা বিশেষত যারা কোন নবী-রাসূল প্রদর্শিত পথ লাভ করে ঈমান গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেছে। আল্লাহর পর তাদের উপর সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ নবী-রাসূলগণের। উম্মাতে মুহাম্মাদী ঈমান নামক অমূল্য সম্পদ লাভ করেছে, আল্লাহর সর্বশেষে নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ-এর মাধ্যমে। এজন্যই এই উম্মাত আল্লাহর পর সবচেয়ে বেশি ঋণী হযরত মুহাম্মদ ﷺ-এর কাছে। আল্লাহ্ তা'আলা যেহেতু বিশ্বের মালিক ও পালনকর্তা, তাই তিনি গোটা সৃষ্টি লোকের ইবাদত ও তাসবীহ্-তাহলীল পাওয়ার অধিকারী। একইভাবে নবী-রাসূলগণও তাঁদের উম্মাতের পক্ষ থেকে দুরূদ ও সালাম পাওয়ার অধিকারী। অর্থাৎ তাঁর জন্য আল্লাহর দরবারে তাঁর মর্যাদা সমুন্নত করার দু'আ করা উচিত। দুরূদ ও সালাম প্রেরণের এটাই মূলকথা। প্রকৃতপক্ষে এর দ্বারা আল্লাহর মহান দরবারে এসব মহান অনুগ্রহণকারীর প্রতি মহব্বতের হাদিয়া, শুক্রিয়া আদায় ও নযরানা নামের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। নতুবা আমাদের দু'আ তাঁদের কী প্রয়োজন? বাদশাহের জন্য ফকীরের হাদীয়া-তোহফার কী দরকার?
তথাপিও নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, আল্লাহ্ আমাদের হাদীয়া তাঁর কাছে পৌঁছে দেন এবং আমাদের দু'আও প্রার্থনা অনুযায়ী তাঁর সুউচ্চ মর্যাদা আরো সমুন্নত করেন। আমাদের সবচেয়ে বড় উপকার হল। এর ফলে তাঁর সাথে আমাদের ঈমানী বন্ধন সুদৃঢ় ও সুসংহত হয়। এতদ্ব্যতীত একবার দুরূদ পাঠ করা হলে কমপক্ষে আল্লাহর দশটি রহমত লাভ করা যায়। এ-ই হল মূলতঃ দুরূদ ও সালামের অন্তর্নিহিত রহস্য ও এর উপকারিতা।

দুরূদ ও সালামের ফলে শিরক সমূলে উৎপাটিত হয়ে যায়
দুরূদ ও সালামের একটি বিশেষ হিম্মত এও রয়েছে যে, এর দ্বারা শিরক সমূলে উৎপাটিত হয়ে যায়। আল্লাহ্ তা'আলার পর সবচেয়ে মর্যাদাবান ও সম্মানিত হচ্ছেন আম্বিয়া কিরাম (আ)। তাঁদের উপরই যখন দুরূদ ও সালাম পাঠের নির্দেশ রয়েছে তাই এথেকে জানা যায় যে, তিনিও নিরাপত্তা ও রহমত প্রাপ্তির মহান মর্যাদার অধিকারী যে, তাঁদের জন্য শান্তি-নিরাপত্তা ও রহমতের দু'আ করা হয়। রহমত ও নিরাপত্তার চাবিকাঠি যেহেতু তাঁদের হাতের মুঠোয় নিবদ্ধ নয়, তাই একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, তা অন্য কোন সৃষ্টির হাতে থাকতে পারে না। কেননা বিশ্বে তাঁদের মর্যাদা সর্বাপেক্ষা বেশি ভাল-মন্দ ব্যতীত অন্য কারো মুঠোয় নিবদ্ধ বলে মনে করাই হল শিরকের ভিত্তি। এই হুকুমের মাধ্যম আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে নবী ও রাসূলগণের প্রতি দুরূদ ও সালাম প্রেরণকারী করে দিয়েছেন। আর যে ব্যক্তি নবী-রাসূলগণের জন্য দু'আ করে, সে কেমন করে সৃষ্টি লোকের মধ্যে কারো ইবাদত করতে পারে?

আল-কুরআনে দুরূদ ও সালামের নির্দেশ
আল্লাহ তা'আলা সূরা আহযাবে অত্যন্ত চমৎকারভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দুরূদ ও সালাম প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
﴿إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا﴾
আল্লাহ্ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফিরিশতাগণও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন, হে মুসলিমগণ! তোমারাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা কর এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।" (৩৩, সূরা আহযাব: ৫৬)
এ আয়াতে নবী কারীম ﷺ-এর প্রতি যে দুরূদ ও সালামের নির্দেশ এসেছে। তাতে কিন্তু সালাত কিংবা সালাতবিহীন অবস্থার উল্লেখ নেই, যেমনিভাবে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহর সপ্রশংস গুণগানের বিষয় নির্দেশ এসেছে। এতে সালাতরত অবস্থায় কিংবা সালাতবিহীন অবস্থা কোনটারই উল্লেখ নেই। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর নবুওয়্যাতের জ্যোতি দ্বারা যেমন আল্লাহর উদ্দেশ্য তাসবীহ্-তাহলীলের স্থান সালাত বুঝেছেন (যেমন পূর্বে উল্লিখিত এক হাদীসের এক স্থানে বলা হয়েছে فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمُ ও سَبِِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى আয়াত দু'টি অবতীর্ণ হল, তখন থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ রুকৃতে سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمُ এবং সেজদায় سُبْحَانَ رَبِِّيَ الْأَعْلَى পাঠের নির্দেশ দেন)
অধমের মতে, যখন সূরা আহযাবের صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيمًا আয়াত অবতীর্ণ হল তখন সম্ভবতঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সাহাবীদেরকে সালাতের শেষ বৈঠকে দুরূদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে কোন রিওয়ায়াত অধমের চোখে পড়েনি। যার ভিত্তিতে আমার এ ধারণা, পরবর্তী হাদীস প্রসঙ্গে তা আলোচনা করব। এবার হাদীস পাঠ করা যাক।
১৬৫. হযরত কা'ব ইবনে উজরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কিভাবে আপনার প্রতি দুরূদ পাঠ করব? আপনার প্রতি কিভাবে সালাম দেব তা আপনি ইতোপূর্বে (আল্লাহর তরফ থেকে আত্তাহিয়্যাতু শিক্ষা দিয়েছেন) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বললেন: তোমরা বলবে-

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ ‌وَعَلَى ‌آلِ ‌مُحَمَّدٍ، ‌كَمَا ‌صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

"হে আল্লাহ্! তুমি মুহাম্মদ ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেভাবে ইব্রাহীম (আ) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত। (হে আল্লাহ্) তুমি বরকত নাযিল কর মুহাম্মদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর, যেভাবে তুমি বরকত নাযিল করেছ ইব্রাহীম (আ) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত।" (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ سَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ الصَّلاَةُ عَلَيْكُمْ اَهْلَ الْبَيْتِ فَاِن اللهَ قَدْ عَلَّمْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ؟ فَقَالَ : " قُولُوا : اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ".
(رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১৬৬
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুরূদ পাঠের হিকমত
১৬৬. হযরত আবু হুমায়দ সাঈদী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবা কিরাম (রা) বলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার প্রতি কিভাবে দুরূদ পাঠ করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তোমরা বল-

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى ‌أَزْوَاجِهِ ‌وَذُرِّيَّتِهِ، ‌كَمَا ‌صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

অর্থাৎ হে আল্লাহ্! তুমি মুহাম্মদ ﷺ তাঁর সহধর্মিনীগণ ও বংশধরগণের প্রতি রহমত বর্ষণ কর যেভাবে তুমি রহমত বর্ষণ করেছ ইব্রাহীম (আ) এর পরিবার-পরিজনের প্রতি। তুমি বরকত নাযিল কর মুহাম্মদ ﷺ ও তাঁর সহধর্মিনীগণ ও বংশধরগণের প্রতি যেভাবে তুমি বরকত নাযিল করেছ ইব্রাহীম (আ) এর পরিবার-পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মর্যাদাবান।" (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِىْ حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ قَالَ : قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " قُولُوا : اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ".
(رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১৬৭
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুরূদের পর এবং সালাতের পূর্বে পঠিতব্য দু'আ

ইতোপূর্বে মুস্তাদরাকে হাকিমের রবাতে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) এর বাণী বিধৃত হয়েছে। তা হল, মুসল্লী তাশাহ্হুদ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করার পর যেন দু'আ করে। হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) বর্ণিত অপর এক হাদীস থেকে জানা যায় যে, শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর সালামের পূর্বে দু'আ করার হুকুম সম্ভবতঃ ঐ সময়েও কার্যকর ছিল যখন তাশাহহুদের পর দুরূদ শরীফ পাঠের নির্দেশ জারী হয়নি।
সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম এ অপরাপর হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) এর এক বর্ণনায় তাশাহ্হুদ শিক্ষা দান সম্বলিত হাদীসের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত আছে যে, ثُمَّ ... فَيَدْعُوابه "মুসল্লী যখন তাশাহ্হুদ পাঠ করে তখন তার কাছে যে দু'আ উত্তম বলে মনে হয় তা যেন সে নির্বাচন করে নেয় এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করে।" একই কথা সম্বলিত হাদীস হয়রত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রেও জানা যায়। মোটকথা সালামের পূর্বে দু'আ করার বিষয় সম্বলিত হাদীস নবী কারীম ﷺ থেকে শিক্ষা ও আমল উভয় ক্ষেত্রে প্রামাণ্যরূপে বর্ণিত, তিনি অন্যান্য আছে বিশেষ দু'আও শিক্ষা দিতেছেন। এ পর্যায় কেবল তিনটি হাদীস বর্ণিত হচ্ছে।
১৬৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কেউ যেখন শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ শেষ করে, তখন সে যেন আল্লাহর নিকট চারটি বস্তু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। তা হল, জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا فَرَغَ أَحَدُكُمْ مِنَ التَّشَهُّدِ الْآخِرِ ، فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ أَرْبَعٍ : مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ، وَمِنْ شَرِّ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ".(رواه مسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৮
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুরূদের পর এবং সালাতের পূর্বে পঠিতব্য দু'আ
১৬৮. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম ﷺ যেমন তাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন, ঠিক তেমনি এ দু'আও শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন: তোমরা বল- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُبِكَ مِنْ عَذَابٍ جَهَنَّمَ…..وَالْمَمَاةِ
হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট পানাই চাই জাহান্নামের আযাব থেকে, আমি তোমার নিকট পানাহ চাই কবরের আযাব থেকে, আমি তোমার নিকট পানাহ চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আমি তোমার নিকট পানাহ চাই মরণের ফিতনা থেকে" (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ هَذَا الدُّعَاءَ كَمَا يُعَلِّمُهُمُ السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ يَقُولُ قُولُوا : « اللهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ »
(رواه مسلم)
হাদীস নং: ১৬৯
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুরূদের পর এবং সালাতের পূর্বে পঠিতব্য দু'আ
১৬৯. হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন একটি দু'আ শিক্ষা দিন যা আমি সালাতের মধ্যে পাঠ করতে পারি। তিনি বললেন: তুমি বল اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ " হে আল্লাহ্! আমি নিজের উপর অনেক যুলম করেছি আর তুমি ব্যতীত পাপ মোচনের কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমার পাপ মোচন এবং আমার প্রতি দয়া কর। কেননা তুমি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।"
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ ، قَالَ قُلْتُ يَارَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاتِي. قَالَ : " قُلِ : اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا ، وَلا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ ، وَارْحَمْنِي ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ".
(رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ১৭০
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালাতের সমাপনী সালাম

রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শুরু করার পূর্বে যেমন উত্তম শব্দগুচ্ছ 'আল্লাহু আব্বার' বলতে শিখিয়েছেন তেমনি সালাত শেষ করার জন্য 'আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্' শিক্ষা দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, সালাতের সমাপনীর ক্ষেত্রে এর চেয়ে উত্তম শব্দগুচ্ছ আর হতে পারেনা। একথা সর্বজনবিদিত যে, একজন যখন অপর জন থেকে পৃথক থাকার পর আবার যখন একত্র হয় তখনই সালাম বিনিময় হয়। সুতরাং সালাম সমাপনীর মাধ্যমে টেনে দিক নির্দেশনা দেওয়া হল যে, যখন আল্লাহ্ একবার বলে সালাত শুরু করে এবং আল্লাহর মহান দরবারে হাযিরা পেশ করে, কখন মানুষ তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে, এমনকি ডান বাম থেকে পৃথক হয়ে পড়ে এবং তখন তার মানসাটে আল্লাহ্ ব্যতীত কিছুই বিদ্যমান থাকেনা। পুরো সালাত এভাবেই অতিবাহিত হয়। এর পর শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ, দুরূদ এবং সবশেষে আল্লাহর দরবারে দু'আ করে নিজ সালাত পুরো করে নেয়। এমতাবস্থায় সে যেন দ্বিতীয় কোন পৃথিবী থেকে এই দুনিয়ার পারিপার্শ্বিকতায় ফিরে এসেছে এবং তার ডান বামের মানুষ অথবা ফিরিশতার সঙ্গে নতুন করে সাক্ষ্যাৎ করেছে; তাই সে তার দিকে মুখ করে তাকে 'আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুলালাহ বলে সালাম দিচ্ছে। অধমের নিকট সমাপনী সালামের হিম্মত এটাই। আল্লাহ্ তা'আলা সর্বজ্ঞ। এবার সালাম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কতিপয় হাদীস পাঠ করে নেয়া যাক।
১৭০. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তাহারাত (উযূ হল সালাতের চাবি, তাকবীর হল এর যাবতীয় হালাল কাজ) হারামকারী এবং সালাম হল এর বাইরের যাবতীয় হালাল কাজ হালালাকারী। (আবূ দাউদ, তিরমিযী, দারিমী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ »
(رواه ابوداؤد والترمذى والدارمى وابن ماجه)
হাদীস নং: ১৭১
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালাতের সমাপনী সালাম
১৭১. হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ডানদিকে এবং বামদিকে সালাম ফিরাতে দেখেছি। এমনকি আমি তাঁর গণ্ডদেশের সাদা অংশও দেখেছি। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ سَعْدٍ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ : « كُنْتُ أَرَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ ، وَعَنْ يَسَارِهِ ، حَتَّى أَرَى بَيَاضَ خَدِّهِ »
(رواه مسلم)
হাদীস নং: ১৭২
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ

সালাতের সমাপণী পূর্বে রাসূলুল্লাহ ﷺ যে সব দু'আ পাঠ করতেন অথবা এ সময়ে যে সব দু'আ পাঠ করার জন্য তিনি উৎসাহ দান করেছেন, তা আলোচিত হয়েছে। সালামের পর যিকর ও দু'আ সম্পর্কে কতিপয় হাদীস পাঠ করা যাক যে সম্পর্কে নবী কারীম ﷺ তাঁর উম্মাতকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং স্বয়ং কাজে পরিণত করে দেখিয়েছেন।
১৭২. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! কোন প্রকার দু'আ অধিক শুনা (কবুল করা) হয়? তিনি বললেন: শেষ রাতে (তাহাজ্জুদ সালাতের পর যে দু'আ করা হয়) এবং ফরয সালাত সমূহের পরের দু'আ। (তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ، قَالَ : قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ : أَيُّ الدُّعَاءِ أَسْمَعُ؟ قَالَ : جَوْفَ اللَّيْلِ الآخِرِ ، وَدُبُرَ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ.
(رواه الترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭৩
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ
১৭৩. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার উভয় হাত ধরে বললেনঃ হে মু'আয! আমি তোমাকে ভালবাসি, আমি (মু'আয) বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আমিও আপনাকে ভালবাসি! তিনি বললেন: তুমি প্রত্যেক সালাতের পর এই দু'আ পড়া ছেড়ে দিবে না ‌رَبِّ ‌أَعِنِّي ‌عَلَى ‌ذِكْرِكَ، ‌وَشُكْرِكَ، ‌وَحَسَنِ ‌عِبَادَتِكَ হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে তোমার স্মরণ, কৃতজ্ঞতা ও তোমার ইবাদাত উত্তমরূপে সম্পাদন করতে সাহায্য কর" (আহমাদ, আবু দাউদ ও নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ : أَخَذَ بِيَدِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : « إِنِّي لَأُحِبُّكَ يَا مُعَاذُ » ، فَقُلْتُ : وَأَنَا أُحِبُّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " فَلَا تَدَعْ أَنْ تَقُولَ فِي كُلِّ صَلَاةٍ : رَبِّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ "
(رواه احمد وابوداؤد والنسائى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭৪
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ
১৭৪. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাত শেষ করতেন তখন তিনবার ইস্তিগফার পাঠ করতেন (ক্ষমা চাইতেন) এবং বলতেন- اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، ‌وَمِنْكَ ‌السَّلَامُ، ‌تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ "হে আল্লাহ্! তুমি শান্তির আধার এবং তুমিই শান্তির উৎস। হে মহিমান্বিত ও সম্মানিত! তুমিই বরকতময়।" (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ ثَوْبَانَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلَاتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلَاثًا وَقَالَ : « اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ »
(رواه مسلم)
হাদীস নং: ১৭৫
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ
১৭৫. হযরত মুগীরা ইবনে শু'বা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যেক ফরয সালাত আদায় শেষে বলতেন

"لَا إِلَهَ إلا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الملك، وَلَهُ الحْمَدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَديرٌ، اللَّهُمَّ لَا مَانعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِي لِمَا مَنَعْتَ، ‌وَلَا ‌يَنْفَعُ ‌ذَا ‌الجْدِّ ‌مِنْكِ ‌الجَدّ"

"আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি সর্ববিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ্! তুমি যা দিতে চাও, তা কেউই রোধ করতে পারে না। কোন চেষ্টা সাধনাকারীই তার চেষ্টার মাধ্যমে তোমার কাছ থেকে কল্যাণ ছিনিয়ে নিতে সক্ষম নয়।” (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ : « لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ المُلْكُ ، وَلَهُ الحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ » (رواه البخارى ومسلم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭৬
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ
১৭৬. হযরত আবু যুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবনে যুবায়র (রা) কে এই মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে খুতবা দিতে শুনেছি তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষে সালাম ফিরিয়ে বলতেন:

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْ قَدِيرُ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ

"আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি সর্ববিষয়ের উপর ক্ষমতাবন। আল্লাহ্ ছাড়া কারো শক্তি সামর্থ্য নেই। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। আমরা তাঁর দাসত্ব ব্যতীত কারো দাসত্ব করি না। তাঁরই সমস্ত নিয়ামত সমস্ত অনুগ্রহ ও সমস্ত উত্তম প্রশংসা। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আনুগত্য একমাত্র তাঁরই উদ্দেশ্যে, যদিও তা কাফিররা অপসন্দ করে।" (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِىْ الزُّبَيْرِ ، قَالَ : سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ ، يَخْطُبُ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَقُولُ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ إِذَا سَلَّمَ فِي دُبُرِ الصَّلَاةِ أَوِ الصَّلَوَاتِ « لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ ، وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ১৭৭
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ
১৭৭. হযরত সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নিজ সন্তান-সন্ততিদের তা'আউয (আল্লাহর পানাহ চাওয়া সম্পর্কীয়) দু'আ শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত আদায়ের পর এই দু'আ পাঠ করতেন:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأَعُوذُبِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَرْزَلِ الْعُمْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ

"হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি ভীরুতা থেকে, পানাহ চাচ্ছি কৃপণতা থেকে, পানাহ চাচ্ছি অতি বৃদ্ধাবস্থা থেকে এবং পানাহ চাচ্ছি দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে।” (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ سَعْدٍ أَنَّهُ كَانَ يُعَلِّمُ بَنِيهِ هَؤُلاَءِ الكَلِمَاتِ وَيَقُولُ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَعَوَّذُ مِنْهُنَّ دُبُرَ الصَّلاَةِ : « اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ العُمُرِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ »
(رواه البخارى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭৮
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ
১৭৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ্, তেত্রিশবার আল-হামদুলিল্লাহ্ ও তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার এই নিরানববই আর

لا إِلهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

একবার পাঠ করে একশ' পূর্ণ করবে, তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে যদিও তা সমূদ্রের ফেনারাশি তুল্য হয় (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ سَبَّحَ اللهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، وَحَمِدَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، وَكَبَّرَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، فَتْلِكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ ، وَقَالَ : تَمَامَ الْمِائَةِ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ ".
(رواه مسلم)
হাদীস নং: ১৭৯
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সালামের পর যিকর ও দু'আ
১৭৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে সালাম ফিরিয়ে এই দু'আ: اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلامُ وَمِنْكَ السَّلَامَ تَبَارَكْتَ يَا ذَالْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ পাঠ করতে যে টুকু সময় লাগত তার চাইতে বেশি সময় বসতেন না। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا سَلَّمَ لَمْ يَقْعُدْ إِلَّا مِقْدَارَ مَا يَقُولُ : « اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ১৮০
সলাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ সুন্নাত ও নফল সালাতসমূহ
দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরয করা হয়েছে এবং বলা চলে তা ইসলামের অন্যতম রুকন এবং ঈমানের অন্যতম দাবি। এই ফরয সালাতের আগে কিংবা পরে অথবা অন্য কোন সময়ে কিছু সালাত আদায়ের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ লোকদের উৎসাহিত করেছেন। এসবের মধ্যে যেগুলোর জন্য তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন অথবা অন্যকে তাগিদ দানের সাথে সাথে নিজে আমল করে দেখিয়েছেন সাধারণ পরিভাষায় এগুলো সুন্নাত নামে অভিহিত এবং এ ছাড়া অপরাপর সালাতসমূহ নফল রূপে পরিচিত। যে সব সুন্নাত কিংবা নফল সালাত ফরয সালাতের পূর্বে আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তার বিশেষ হিকমত হল এই যে, ফরয সালাতের মাধ্যমে বান্দা যেহেতু আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে বিশেষ হাযিরী পেশ করে, তাই একাজ শুরু করার পূর্বে একাকী দুই-চার রাক'আত সালাত আদায় করে তাঁর প্রতি পূর্ণ মনোনিবেশ সহ নিজকে তাঁর নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া জরুরী। পক্ষান্তরে যে সব সুন্নাত কিংবা নফল সালাত ফরয সালাতের পর আদায়ের প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে তার হিকমত হল এই যে, ফরয সালাতে যে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি সংঘটিত হয়ে গেছে তা প্রতিবিধান কল্পে কয়েক রাক'আত সুন্নাত কিংবা নফল সালাত আদায় করা হয়। তবে যে সকল সালাতের আগে কিংবা পরে কোন সুন্নাত কিংবা নফল সালাত নেই অথবা সরাসরি এরূপ সালাত আদায় নিষেধ করা হয়েছে তাতেও কিছু হিকমত আছে বৈকি! ইনশাআল্লাহ্ যথাস্থানে এবিষয় বর্ণনা করা হবে।

ফরয সালাতের আগে পরে ব্যতীত যে সকল স্বতন্ত্র নফল সালাত রয়েছে যেমন চাশত এবং রাতে তাহাজ্জুদের সালাত, তা মূলত কেবল আল্লাহর সর্বাধিক নৈকট্য প্রাপ্ত বান্দাদেরই নসীব হয়। এই সংক্ষিপ্ত ভূমিকার পর সুন্নাত ও নফল সালাত সম্পর্কীয় কতিপয় হাদীস পাঠ করা যেতে পারে।

দিন রাতের সুন্নাতে মু'আক্কাদা সালাতসমূহ
১৮০. হযরত উম্মু হাবীবা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি দিন রাতে বার রাক'আত, (ফরয ছাড়াও সুন্নাত) সালাত আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হবে। সেসব সুন্নাত হল- যুহরের সালাতের পূর্বে চার রাক'আত ও পরে দুই রাক'আত, মাগরিবের সালাতের পরে দুই রাক'আত, এশার সালাতের পরে দুই রাক'আত, এবং ফজরের সালাতের পূর্বে দুই রাক'আত। (তিরমিযী)
(উম্মু হাবীবা (রা) এই রিওয়ায়াতটি সহীহ্ মুসলিমেও রয়েছে কিন্তু সেখানে রাক'আত সমূহের বিস্তারিত পৃথক পৃথক বিবরণ নেই।)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ ، قَالَتْ : ‏‏‏‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ‏‏‏‏ " مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ ، ‏‏‏‏‏‏أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا ، ‏‏‏‏‏‏وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ ، ‏‏‏‏‏‏وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ ، ‏‏‏‏‏‏وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلَاةِ الْفَجْرِ" (رواه الترمذى)