মা'আরিফুল হাদীস

معارف الحديث

সালাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩৭৪ টি

হাদীস নং: ৩১৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃতের জন্য কান্নাকাটি, উচ্চস্বরে বিলাপ ও মাতম করা
৩১৮. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি (মৃত্যু শোকে) আপন মুখমণ্ডল আঘাত করে, জামা ছিড়ে এবং জাহিলিয়্যা যুগের ন্যায় হা-হুতাশ করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ ، وَشَقَّ الْجُيُوبَ ، وَدَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ. (رواه البخارى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩১৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ চোখের পানি বের হওয়া এবং অন্তরে ব্যথা অনুভব করা
৩১৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে আবু সাঈফ কর্মকারের কাছে গেলাম। তিনি নবী নন্দন হযরত ইব্রাহীম (রা)-এর ধাত্রী (মাওলা বিনত মুনযির)-এর স্বামী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইব্রাহীমকে (কোলে) নিলেন এবং চুম্বন করলেন ও ঘ্রাণ নিলেন। এরপর আরেকবার আমরা তাঁর নিকট গেলাম আর তখন ইব্রাহীম (রা)-এর ইন্তিকাল আসন্ন ছিল। এ সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দু'চোখ বেয়ে পানি ঝরছিল। তা দেখে আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা) (না বুঝে আশ্চর্য হয়ে) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনিও (কাঁদছেন)? তখন তিনি বললেন হে ইবনে আওফ! (এটা তো দোষের কিছু নয়) এটাতো দয়া। এরপর আবার তাঁর চোখ বেয়ে পানি ঝরছিল। এ সময় তিনি বললেন: চোখ পানি ঝরাচ্ছে এবং অন্তর দুঃখিত হচ্ছে। তথাপি আমি তাই প্রকাশ করছি যাতে আমরা প্রতিপালক সন্তুষ্ট থাকেন। তারপর তিনি বললেনঃ হে ইব্রাহীম! তোমার বিয়োগে আমরা শোকাভিভূত। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسِ قَالَ : دَخَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَبِي سَيْفٍ القَيْنِ ، وَكَانَ ظِئْرًا لِإِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِبْرَاهِيمَ ، فَقَبَّلَهُ ، وَشَمَّهُ ، ثُمَّ دَخَلْنَا عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ وَإِبْرَاهِيمُ يَجُودُ بِنَفْسِهِ ، فَجَعَلَتْ عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَذْرِفَانِ ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ : « يَا ابْنَ عَوْفٍ إِنَّهَا رَحْمَةٌ » ، ثُمَّ أَتْبَعَهَا بِأُخْرَى ، فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِنَّ العَيْنَ تَدْمَعُ ، وَالقَلْبَ يَحْزَنُ ، وَلاَ نَقُولُ إِلَّا مَا يَرْضَى رَبُّنَا ، وَإِنَّا بِفِرَاقِكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونُونَ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ৩২০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ চোখের পানি বের হওয়া এবং অন্তরে ব্যথা অনুভব করা
৩২০. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে লোক বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ করবে বিপদগ্রস্তের অনুরূপ সাওয়াব তাকেও দান করা হবে। (তিরমিযী ও ইবনে মাজা)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ عَزَّى مُصَابًا فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ » (رواه الترمذى وابن ماجه)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃতের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের লোকদের যেহেতু খানা পাকাবার মত অবস্থা থাকে না, তাই তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের অনিবার্য দাবি হচ্ছে, তাদের নিজেদের ও অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের আহারের সুবন্দোবস্ত করা।
৩২১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে জাফর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন (আমরা পিতা) জাফর (রা)-এর শাহাদাতের সংবাদ এলো, তখন নবী কারীম ﷺ বললেন: তোমরা জাফরের পরিবারের লোকদের জন্য খানা পাকাও। কারণ তাঁদের কাছে তাঁর (শাহাদাতের) সংবাদ আসায় খানা পাকানোর মত অবস্থা তাদের নেই। (তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজা)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ ، قَالَ : لَمَّا جَاءَ نَعْيُ جَعْفَرٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « اصْنَعُوا لِآلِ جَعْفَرٍ طَعَامًا ، فَقَدْ أَتَاهُمْ مَا يَشْغَلُهُمْ ، أَوْ أَمْرٌ يَشْغَلُهُمْ » (رواه الترمذى وابوداؤد وابن ماجه)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কারো মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ এবং তার প্রতিদান
৩২২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন: আমি যখন আমার মু'মিন বান্দার প্রিয় ব্যক্তিকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেই এবং এতে সে সাওয়াবের আশা করে, আমার কাছে তার প্রতিদান জান্নাত। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى : مَا لِعَبْدِي المُؤْمِنِ عِنْدِي جَزَاءٌ ، إِذَا قَبَضْتُ صَفِيَّهُ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا ثُمَّ احْتَسَبَهُ ، إِلَّا الجَنَّةُ " (رواه البخارى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কারো মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ এবং তার প্রতিদান
৩২৩. হযরত আবূ মূসা আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন কারো সন্তান মারা যায় আল্লাহ্ তা'আলা তখন ফিরিস্তাদের বলেন: তোমরা কি আমার বান্দার সন্তানের আত্মা উঠিয়ে আনলে? তারা বলেন, জ্বী হ্যাঁ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কি তার অন্তরের ধন কেড়ে আনলে? তারা বলেন, জ্বী-হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তখন আমার বান্দা কি বলল? তারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং 'ইন্নালিল্লাহ্' বলেছে। তখন আল্লাহ্ বলেন (এর প্রতিদানে) আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি কর এবং তার নাম রাখ 'বায়তুল হাম্দ'। (আহমাদ ও তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا مَاتَ وَلَدُ العَبْدِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِمَلاَئِكَتِهِ : قَبَضْتُمْ وَلَدَ عَبْدِي ، فَيَقُولُونَ : نَعَمْ ، فَيَقُولُ : قَبَضْتُمْ ثَمَرَةَ فُؤَادِهِ ، فَيَقُولُونَ : نَعَمْ ، فَيَقُولُ : مَاذَا قَالَ عَبْدِي؟ فَيَقُولُونَ : حَمِدَكَ وَاسْتَرْجَعَ ، فَيَقُولُ اللَّهُ : ابْنُوا لِعَبْدِي بَيْتًا فِي الجَنَّةِ ، وَسَمُّوهُ بَيْتَ الحَمْدِ. (رواه احمد والترمذى)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নবী কারীম ﷺ এর একটি শোকগাঁথা এবং ধৈর্যের উপদেশ
৩২৪. হযরত মু'আয (রা) থেকে বণির্ত, তাঁর একটি পুত্র সন্তান মারা যাওয়ায় নবী করীম ﷺ তাঁকে লক্ষ্য করে একটি শোকবাণী লিখে পাঠান।

"দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে"

আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ ﷺ-এর পক্ষ থেকে মু'আয ইবনে জাবালের প্রতি। তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি প্রথমে তোমার পক্ষ থেকে ঐ আল্লাহর প্রশংসা করছি যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আমি দু'আ করি আল্লাহ তোমাকে বিপুল পুরস্কারে ভূষিত করুন এবং ধৈর্যধারণের তাওফীক দিন। আমাদেরকে এবং তোমাকে তাঁর নি'আমতের শুকরিয়া আদায়ের সামর্থ্য দিন। মূলকথা হল এই, আমাদের জীবন, আমাদের ধনসম্পদ ও পরিবারের-পরিজন এ সবই আল্লাহর বিশেষ দান এবং তাঁর দেওয়া আমানত। তিনি যখন চাইবেন এ সমুদয় থেকে উপকৃত করবেন এবং অন্তরে শান্তি যোগাবেন। আর যখন চাইবেন তিনি তাঁর আমানত তোমার থেকে ফিরিয়ে নিবেন। তবে এর বিপরীতে তিনি তোমাকে বিপুল পুরস্কারে ধন্য করবেন। আল্লাহর কাছে তোমার জন্য রয়েছে বিশেষ অনুগ্রহ, দয়া এবং হিদায়াতের পথ নির্দেশক। কাজেই তুমি সাওয়াব চাইলে ধৈর্যধারণ কর। হে মু'আয! তুমি ধৈর্য ধর! তোমার বিলাপও শোক প্রকাশ যেন এমন পর্যায়ে না পড়ে যাতে মূল্যবান প্রতিদান প্রাপ্তির আশা ব্যাহত হয়। ফলে তুমি লজ্জিত হয়ে পড়বে। তুমি জেনে রেখ, গভীর শোক প্রকাশ ও বিলাপ করা হলেও মৃত কখনো (জীবিত হয়ে ফিরে) আসে না এবং শোক ও দুঃখও লাঘব হয় না। আল্লাহর পক্ষ থেকে যে নির্দেশ অবধারিত তা কার্যকর হবেই বরং বলা যায় তা কার্যকর হয়ে গিয়েছে। তোমার প্রতি সালাম"। (তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، أَنَّهُ مَاتَ ابْنٌ لَهُ فَكَتَبَ إِلَيْهِ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّعْزِيَةَ..... " بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللهِ إِلَى مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، سَلَامٌ عَلَيْكَ ، فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكَ اللهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ. أَمَّا بَعْدُ ، فَأَعْظَمَ اللهُ لَكَ الْأَجْرَ ، وأَلْهَمَكَ الصَّبْرَ ، وَرَزَقَنَا وَإِيَّاكَ الشُّكْرَ ، فَإِنَّ أَنْفُسَنَا وَأَمْوَالَنَا وَأَهْلِينا مِنْ مَوَاهِبِ اللهِ الْهَنِيئةِ وَعَوَارِيهِ الْمُسْتَوْدَعَةِ ، مَتَّعكَ اللهُ بِهِ فِي غِبْطَةٍ وَسُرُورٍ ، وَقَبَضَهُ مِنْكَ بِأَجْرٍ كَبِيْرٍ ، الصَّلَاةِ وَالرَّحْمَةِ وَالْهُدَى إِنِ احْتَسَبَتْهُ ، فَاصْبِرْ ، وَلَا يُحْبِطْ جَزَعُكَ أَجْرَكَ فَتَنْدمَ ، وَاعْلَمْ أَنَّ الْجَزَعَ لَا يَرُدُّ مَيِّتًا ، وَلَا يَدْفَعَ حُزْنًا ، وَمَا هُوَ نَازِلٌ فَكَأَنْ قَدْ وَالسَّلَامُ " (رواه الطبرانى فى الكبير والاوسط)
হাদীস নং: ৩২৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃতের গোসল ও কাফন

আল্লাহর যে বান্দা মৃত্যুবরণ করে দুনিয়া থেকে আখিরাতের পথে পাড়ি জমায়—ইসলামী শরীআত তাকে সম্মানজনকভাবে বিদায় জানানোর একটি বিশেষ পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে পবিত্র, ইবাদাতসমৃদ্ধ, সমবেদনা-পরিপূর্ণ সম্মানজনক একটি পদ্ধতি। প্রথমত মৃতকে এমনভাবে গোসল দিতে হবে যেমন জীবিত অপবিত্র মানুষ ভালভাবে গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করে থাকে। এ গোসলে পবিত্রতা অর্জন ছাড়াও গোসলের বিশেষ নিয়ম-কানুনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গোসলের সময় পানিতে এমন বস্তু মিশানো উচিত জীবদ্দশায় মানুষ যা ব্যবহার করে, তাছাড়া কর্পূর জাতীয় সুগন্ধি পানিতে মিশানো যেতে পারে। এতে মৃতের শরীর পবিত্র হওয়ার পাশাপাশি সুগন্ধিময় হয়ে উঠবে। তারপর অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় দিয়ে কাপন পরাতে হবে। কিন্তু কোন অবস্থায় অপচয় করা যাবে না। এরপর জামা'আতের সাথে তার জানাযার সালাতের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তার জন্য দু'আ ও মাগফিরাত কামনা করতে হবে। এরপর শেষ বিদায় জানানোর উদ্দেশ্যে গোরস্থান যাওয়া উচিত। এরপর অত্যন্ত সম্মানের সাথে তাকে কবরে রেখে আল্লাহর রহমতের হাতে ন্যস্ত করে আসতে হবে। এ পর্যায়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর বাণী ও হিদায়াত সমৃদ্ধ নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ পাঠ করা যেতে পারে।
৩২৫. হযরত উম্মু আতিয়‍্যা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমরা রাসূল তনয়াকে গোসল দানকালে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের নিকট এলেন। তিনি বললেন: তাকে তিনবার অথবা পাঁচবার কিংবা প্রয়োজন মনে করলে আরো অধিক বার বরই কচিপাতা দিয়ে পানি গরম করে গোসল দাও। সবশেষে কর্পূর মিশিয়ে দেবে। তোমাদের গোসল দেওয়া শেষ হলে আমাকে জানাবে। আমরা গোসল কার্য শেষ করে তাঁকে জানালাম। তিনি তাঁর তহবন্দ দিয়ে বললেন: এটা তাঁর শরীরের সাথে লাগিয়ে পরিয়ে দাও। অন্য বর্ণনায় আছে, তোমরা তাকে তিনবার, পাঁচবার কিংবা সাতবার-বেজোড় গোসল দাও এবং তোমরা ডানদিক থেকে এবং উযূর অঙ্গসমূহ থেকে ধোয়া শুরু করো। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ ، فَقَالَ : « اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا ، أَوْ خَمْسًا ، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ، إِنْ رَأَيْتُنَّ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ ، وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا ، أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا فَرَغْتُنَّ ، فَآذِنَّنِي » قَالَتْ : فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ ، فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ ، فَقَالَ : « أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ » وَفىْ رِوَايَةٍ اغْسِلْنَهَا وِتْرًا ثَلَاثًا ، أَوْ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا وَابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا ، وَمَوَاضِعِ الوُضُوءِ مِنْهَا. (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ৩২৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কাফনে কয়টি কাপড় হবে এবং তা কিরূপ হওয়া বাঞ্ছনীয়?
৩২৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ কে তিনটি সাদা সাহুলী সূতি কাপড় দিয়ে কাফন দেওয়া হয়েছিল। তবে কাপড়সমূহের মধ্যে কামিস ও পাগড়ী ছিল না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : « أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُفِّنَ فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ يَمَانِيَةٍ بِيضٍ ، سَحُولِيَّةٍ لَيْسَ فِيهِنَّ قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ৩২৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কাফনে কয়টি কাপড় হবে এবং তা কিরূপ হওয়া বাঞ্ছনীয়?
৩২৭. হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন তার ভাইকে (কোন মুসলমানকে) কাফন পরায় সে যেন তাকে উত্তমরূপে কাফন পরায়। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا كَفَّنَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُحْسِنْ كَفَنَهُ » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ৩২৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কাফনে কয়টি কাপড় হবে এবং তা কিরূপ হওয়া বাঞ্ছনীয়?
৩২৮. হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করবে, কেননা কাপড়সমূহের মধ্যে সাদা কাপড় উত্তম এবং সাদা কাপড় দ্বারাই তোমাদের মৃতদের কাফন দিবে। (আবূ দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজা)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : البَسُوا مِنْ ثِيَابِكُمُ البَيَاضَ ، فَإِنَّهَا مِنْ خَيْرِ ثِيَابِكُمْ ، وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ. (رواه ابوداؤد والترمذى وابن ماجه)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কাফনে কয়টি কাপড় হবে এবং তা কিরূপ হওয়া বাঞ্ছনীয়?
৩২৯. হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা বেশী দামী কাপড় কাফনরূপে ব্যবহার করো না, কেননা তা অচিরেই নষ্ট হযে যাবে। (আবু দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَلِىٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَا تَغَالَوْا فِي الْكَفَنِ ، فَإِنَّهُ يُسْلَبُهُ سَرِيعًا. (رواه ابوداؤد)
হাদীস নং: ৩৩০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার (লাশের) পেছনে পেছনে যাওয়া এবং জানাযার সালাত আদায়ের সাওয়াব
৩৩০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় কোন মুসলমানের লাশের অনুসরণ করে এবং জানাযা ও দাফনে অংশগ্রহণ করে সে দুই 'কীরাত' সাওয়াব নিয়ে প্রত্যাবর্তন করে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنِ اتَّبَعَ جَنَازَةَ مُسْلِمٍ ، إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا ، وَكَانَ مَعَهُ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا وَيَفْرُغَ مِنْ دَفْنِهَا ، فَإِنَّهُ يَرْجِعُ مِنَ الأَجْرِ بِقِيرَاطَيْنِ ، كُلُّ قِيرَاطٍ مِثْلُ أُحُدٍ ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ رَجَعَ قَبْلَ أَنْ تُدْفَنَ ، فَإِنَّهُ يَرْجِعُ بِقِيرَاطٍ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ৩৩১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার পেছনে দ্রুত চলা এবং তাড়াতাড়ি করার নির্দেশ
৩৩১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মৃতকে তাড়াতাড়ি দাফন করে দাও। যদি সে সৎকর্মশীল হয়, তবে তাকে কল্যাণের দিকে অগ্রসর করে দিলে। পক্ষান্তরে যদি অন্য কিছু হয়, তবে মন্দকে তোমার কাঁধ থেকে সরিয়ে দিলে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « أَسْرِعُوا بِالْجِنَازَةِ ، فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ تُقَدِّمُونَهَا ، وَإِنْ يَكُ سِوَى ذَلِكَ ، فَشَرٌّ تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীস নং: ৩৩২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার সালাত এবং মৃতের জন্য দু'আ
৩৩২. হযরত আবূ হুরায়ারা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা যখন কোন মৃতের জানাযার সালাত আদায় করবে, তখন তার জন্য নিষ্ঠার সাথে দু'আ করবে। (আবূ দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا صَلَّيْتُمْ عَلَى الْمَيِّتِ ، فَأَخْلِصُوا لَهُ الدُّعَاءَ » (رواه ابوداؤد وابن ماجه)
হাদীস নং: ৩৩৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার সালাত এবং মৃতের জন্য দু'আ
৩৩৩. হযরত আওফ ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ জানাযার সালাত আদায় কালে যে দু'আ পাঠ করতেন আমি তা মুখস্থ করে নিয়েছি। তিনি বলেছেন:

«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَس، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ»

"হে আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা কর, তাকে দয়া কর, তাকে শান্তিতে রাখ, তাকে সম্মানজনকভাবে আপ্যায়ন কর, তার কবরকে প্রশস্ত করে দাও, তাকে ধুয়ে মুছে নাও পানি দ্বারা, বরফ দ্বারা ও শিলা বৃষ্টির পানি দ্বারা। তাকে এমনভাবে পাপমুক্ত করে দাও, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। তাকে তার (দুনিয়ার) ঘর থেকে উত্তম ঘর দান কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার ও তার স্ত্রী হতে উত্তম স্ত্রী দান কর। তাকে কবরের ও জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।" বর্ণনাকারী বলেন, (নবী কারীম ﷺ এই দু'আ করায়) আমি আকাঙক্ষা করেছিলাম আমি যদি এই মৃত ব্যক্তি হতাম। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَنَازَةٍ ، فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ وَهُوَ يَقُولُ : « اللهُمَّ ، اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ قَالَ : « حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ أَكُونَ أَنَا ذَلِكَ الْمَيِّتَ » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ৩৩৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার সালাত এবং মৃতের জন্য দু'আ
৩৩৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন জানাযার সালাত আদায় করতেন তখন এই বলে দু'আ করতেন:

«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا. اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ. اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ»

"হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের জীবিত, মৃত, উপস্থিত অনুপস্থিত, ছোট বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখবে তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখ এবং যাকে মৃত্যু দিবে তাকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দিও। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে সাওয়াব থেকে বঞ্চিত করো না এবং (মৃত্যুর পরে) ফিতনা বা পরীক্ষায় ফেলে দিওনা। "(আবূ দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজা)"
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَنَازَةٍ ، قَالَ : « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا ، وَمَيِّتِنَا ، وَصَغِيرِنَا ، وَكَبِيرِنَا ، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا ، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا ، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِسْلَامِ ، اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ ، وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ » (رواه احمد وابوداؤد والترمذى وابن ماجه)
হাদীস নং: ৩৩৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার সালাত এবং মৃতের জন্য দু'আ
৩৩৫. হযরত ওয়াসিলা ইবনে আসকা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের নিয়ে এক মুসলিম ব্যক্তির জানাযার সালাত আদায় করেন। আমি তখন তাঁকে এই দু'আ পাঠ করতে শুনলাম:

«اللَّهُمَّ إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ فِي ذِمَّتِكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ»

"হে আল্লাহ্! আমুকের পুত্র অমুক তোমার দায়িত্বে এবং তোমার প্রতিবেশিত্বের আশ্রয়ে রইল। অতএব তুমি তাকে কবরের বিপদ ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে পানাহ দিও। তুমি তো প্রতিশ্রুতি পূরণকারী ও সত্যের উৎস। হে আল্লাহ্! তুমি তাকে ক্ষমা কর এবং তার প্রতি দয়া কর। কেননা নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।" (আবু দাউদ ও ইবনে মাজা)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ ، قَالَ : صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ : " اللَّهُمَّ إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ فِي ذِمَّتِكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ ، فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ ، وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ اللَّهُمَّ فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ " (رواه ابوداؤد وابن ماجه)
হাদীস নং: ৩৩৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার সালাতে অধিক সংখ্যক লোক সমাবেশের বরকত এবং গুরুত্ব
৩৩৬. হযরত আয়েশা (রা.) সূত্রে নবী কারীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: যে কোন মুসলিম ব্যক্তির জানাযায় যদি একশ' লোক অংশ গ্রহণ করে এবং প্রত্যেকে তার জন্য সুপারিশ করে, তবে তাদের সুপরিশ কবুল করা হবে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : « مَا مِنْ مَيِّتٍ تُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ مِائَةً ، كُلُّهُمْ يَشْفَعُونَ لَهُ ، إِلَّا شُفِّعُوا فِيهِ » (رواه مسلم)
হাদীস নং: ৩৩৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জানাযার সালাতে অধিক সংখ্যক লোক সমাবেশের বরকত এবং গুরুত্ব
৩৩৭. হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর মুক্তদাস কুরাইব সূত্রে আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত যে, কুদাইদ অথবা উসফান নামক স্থানে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর এক পুত্র ইন্তিকাল করেন। এমতাবস্থায় তিনি বললেনঃ হে কুরাইব দেখে এস, কি পরিমাণ লোক জানাযার জন্য জড়ো হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বেরিয়ে গেলাম এবং লোকদের জমায়েত সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাদের সংখ্যা চল্লিশ হবে কি? কুরাইব বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাকে বের করে নিয়ে এসো। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে কোন মুসলমানের মৃত্যুর পর তার জানাযায় যদি অংশীবাদী নয় এমন চল্লিশজন লোক অংশগ্রহণ করে, নিশ্চয়ই 'আল্লাহ্ তার সম্পর্কে তাদের সুপারিশ কবুল করেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ كُرَيْبٍ ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّهُ مَاتَ لَهُ ابْنٌ بِقُدَيْدٍ أَوْ بِعُسْفَانَ فَقَالَ : يَا كُرَيْبُ ، انْظُرْ مَا اجْتَمَعَ لَهُ مِنَ النَّاسِ ، قَالَ : خَرَجْتُ ، فَإِذَا نَاسٌ قَدِ اجْتَمَعُوا لَهُ ، فَأَخْبَرْتُهُ ، فَقَالَ : تَقُولُ هُمْ أَرْبَعُونَ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قَالَ : أَخْرِجُوهُ ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : « مَا مِنْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَمُوتُ ، فَيَقُومُ عَلَى جَنَازَتِهِ أَرْبَعُونَ رَجُلًا ، لَا يُشْرِكُونَ بِاللهِ شَيْئًا ، إِلَّا شَفَّعَهُمُ اللهُ فِيهِ » (رواه مسلم)