মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
সালাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩৭৪ টি
হাদীস নং: ২৯৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগ ব্যাধি মু'মিনের জন্য রহমত এবং পাপের কাফ্ফারা (ক্ষতিপূরণ)
২৯৮. হযরত আমির আর-রামী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ রোগ ব্যাধি সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বলেন, মু'মিন ব্যক্তির যখন রোগ হয় তার পর আল্লাহ্ তাকে আরোগ্য দান করে এতে তার অতীত পাপের ক্ষতিপূরণ হয় এবং ভবিষতের জন্য শিক্ষণীয় ও সতর্কবাণী হয়ে থাকে। কিন্তু মুনাফিক আখিরাত থেকে গাফিল যখন রোগাক্রান্ত হয় এরপর তাকে আরোগ্য দান করা হয় সে এ থেকে উপকৃত হয় না। তার দৃষ্টান্ত ঐ উটের ন্যায় যাকে তার মালিক বেঁধেছিল তার পর ছেড়ে ছিল। অথচ সে বুঝল না যে, কেন তাকে বেঁধেছিল এবং কেন তাকে ছেড়ে দিল। (আবু দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَامِرٍ الرَّامِ قَالَ : ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَسْقَامَ ، فَقَالَ : « إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا أَصَابَهُ السَّقَمُ ، ثُمَّ أَعْفَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْهُ ، كَانَ كَفَّارَةً لِمَا مَضَى مِنْ ذُنُوبِهِ ، وَمَوْعِظَةً لَهُ فِيمَا يَسْتَقْبِلُ ، وَإِنَّ الْمُنَافِقَ إِذَا مَرِضَ ثُمَّ أُعْفِيَ كَانَ كَالْبَعِيرِ ، عَقَلَهُ أَهْلُهُ ، ثُمَّ أَرْسَلُوهُ فَلَمْ يَدْرِ لِمَ عَقَلُوهُ ، وَلَمْ يَدْرِ لِمَ أَرْسَلُوهُ » (رواه ابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগাক্রান্ত থাকাকালে সুস্থ থাকাকালীন আমলের সাওয়াব লাভ
২৯৯. হযরত আবূ মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন বান্দা রোগাক্রান্ত হয় অথবা সফর করে যার ফলে নিয়মিত আমল করতে পারে না তার জন্য তাই লেখা হয় যা সে সুস্থ থাকা অবস্থায় অথবা বাড়ী থাকা অবস্থায় আমল করত। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِىْ مُوسَى قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا مَرِضَ العَبْدُ ، أَوْ سَافَرَ ، كُتِبَ لَهُ بِمِثْلِ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا » (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর সেবা করা, সান্ত্বনা দেওয়া ও সমবেদনা প্রকাশ করা
রোগীর সেব করা, সান্ত্বনা দেওয়া এবং তার সেবাযত্ন করাকে রাসূলুল্লাহ ﷺ সার্বোচ্চ সৎকাজ এবং গ্রহণযোগ্য ইবাদাত হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং বিভিন্নভাবে এ'সরের প্রতি অনুপ্রাণিতও করেছেন। তিনি স্বয়ং রোগীদের সেবা করতে যেতেন এবং তাদের সাথে এমন কথা বলতেন যাতে তাদের মনে প্রশান্তি আসত এবং দুশ্চিন্তা হালকা হয়ে যেত। আল্লাহর নাম ও কুরআন পাঠ করে তার উপর ফুঁক দিতেন এবং অন্যান্যদেরকে এ বিষয়ে শিক্ষা দিতেন।
রোগীর সেব করা, সান্ত্বনা দেওয়া এবং তার সেবাযত্ন করাকে রাসূলুল্লাহ ﷺ সার্বোচ্চ সৎকাজ এবং গ্রহণযোগ্য ইবাদাত হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং বিভিন্নভাবে এ'সরের প্রতি অনুপ্রাণিতও করেছেন। তিনি স্বয়ং রোগীদের সেবা করতে যেতেন এবং তাদের সাথে এমন কথা বলতেন যাতে তাদের মনে প্রশান্তি আসত এবং দুশ্চিন্তা হালকা হয়ে যেত। আল্লাহর নাম ও কুরআন পাঠ করে তার উপর ফুঁক দিতেন এবং অন্যান্যদেরকে এ বিষয়ে শিক্ষা দিতেন।
৩০০. হযরত আবূ মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা ক্ষুধার্তদের অন্ন দাও, রুগীদের সেবা কর এবং বন্দীদের মুক্তি দাও। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِىْ مُوسَى قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : اَطْعِمُو الْجَائِعَ وَعُوْدُو الْمَرِيْضَ وَكُفُّوْ الْعَانِىْ. (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর সেবা করা, সান্ত্বনা দেওয়া ও সমবেদনা প্রকাশ করা
৩০১. হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কোন মুসলমান যখন তার কোন রোগী মুসলমান ভাইয়ের সেবা করতে যায়, প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সে জান্নাতের বাগানের ফল চয়ন করতে থাকে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا عَادَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর সেবা করা, সান্ত্বনা দেওয়া ও সমবেদনা প্রকাশ করা
৩০২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন রোগীকে সেবা করতে যায়, আকাশ থেকে একজন আহবায়ক তাকে লক্ষ্য করে বলেন, তুমি মুবারক হও এবং মুবারক হোক তোমার এই পদচারণা। তুমি জান্নাতে নিজ আবাস তৈরি করে নিলে। (ইবনে মাজা)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ عَادَ مَرِيضًا نَادَى مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ : طِبْتَ ، وَطَابَ مَمْشَاكَ ، وَتَبَوَّأْتَ مِنَ الْجَنَّةِ مَنْزِلًا. (رواه ابن ماجة)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর সেবা করা, সান্ত্বনা দেওয়া ও সমবেদনা প্রকাশ করা
৩০৩. হযরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা যখন কোন রোগীর কাছে যাবে তার জীবন সম্পর্কে আনন্দদায়ক কথা বলে তাকে সান্ত্বনা দেবে। (এ সান্ত্বনার বাণী) ভাগ্যের পবির্তন ঘটাবে না যা ঘটার তাই ঘটবে কিন্তু তার মন সান্ত্বনা লাভ করবে। যা রোগীকে দেখতে যাওয়ার আসল উদ্দেশ্য। (তিরমিযী ও ইবনে মাজা)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا دَخَلْتُمْ عَلَى الْمَرِيضِ ، فَنَفِّسُوا لَهُ فِي أَجَلِهِ ، فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَرُدُّ شَيْئًا ، وَهُوَ يُطَيِّبُ بِنَفْسِ الْمَرِيضِ » (رواه الترمذى وابن ماجة)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর সেবা করা, সান্ত্বনা দেওয়া ও সমবেদনা প্রকাশ করা
৩০৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: এক ইয়াহুদী যুবক নবী কারীম ﷺ এর খিদমত করত। একবার সে অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী কারীম ﷺ তাকে দেখতে যান এবং তার শিয়রে বসে বললেন: তুমি মুসলমান হয়ে যাও। সে তার পিতার দিকে তাকাচ্ছিল। উল্লেখ্য, তার পিতাও তখন তার কাছে ছিল। সে (তার পিতা) বলল, তুমি আবুল কাসিম-এর কথা মেনে নাও। সুতরাং সে মুসলমান হয়ে গেল। নবী কারীম ﷺ তার নিকট থেকে বের হয়ে বললেন: ঐ আল্লাহরই প্রশংসা যিনি তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিলেন। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ : كَانَ غُلاَمٌ يَهُودِيٌّ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَمَرِضَ ، فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ ، فَقَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ ، فَقَالَ لَهُ : « أَسْلِمْ » ، فَنَظَرَ إِلَى أَبِيهِ وَهُوَ عِنْدَهُ فَقَالَ لَهُ : أَطِعْ أَبَا القَاسِمِ ، فَأَسْلَمَ ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ : « الحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَهُ مِنَ النَّارِ » (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর উপর ফুঁক দেওয়া এবং তার আরোগ্য লাভের জন্য দু'আ করা
৩০৫. হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর ডান হাত তার দেহে বুলাতেন এবং أَذْهِبِ الْبَاسَ، رَبَّ النَّاسِ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
হে মানুষের প্রতিপালক! এই রোগ নিরাময় কর এবং তাকে সুস্থ কর। কেননা তুমিই রোগ নিরাময়কারী। তোমার আরোগ্য ব্যতীত এমন কোন আরোগ্য নেই যা কোন রোগ অবশিষ্ট রাখে না। (বুখারী ও মুসলিম)
হে মানুষের প্রতিপালক! এই রোগ নিরাময় কর এবং তাকে সুস্থ কর। কেননা তুমিই রোগ নিরাময়কারী। তোমার আরোগ্য ব্যতীত এমন কোন আরোগ্য নেই যা কোন রোগ অবশিষ্ট রাখে না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، إِذَا اشْتَكَى مِنَّا إِنْسَانٌ ، مَسَحَهُ بِيَمِينِهِ ، ثُمَّ قَالَ : « أَذْهِبِ الْبَاسَ ، رَبَّ النَّاسِ ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي ، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর উপর ফুঁক দেওয়া এবং তার আরোগ্য লাভের জন্য দু'আ করা
৩০৬. হযরত উসমান ইবনে আবুল আ'স (রা.) থেকে বর্ণিত। একবার তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এমন রোগের কথা জানান যা তিনি নিজ দেহে অনুভব করছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে বললেনঃ তোমার দেহের বেদনাযুক্ত স্থানে নিজ হাত রাখ এবং তিনবার বিসমিল্লাহ পাঠ কর, আর সাতবার হল: أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ আমি যা অনুভব করছি এবং আশংকা করছি তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর মাহাত্ম্য ও কুদরতের পানাহ চাচ্ছি।" তিনি বলেন, আমি কার্যত তাই করলাম। ফলে আমার শরীরের কষ্ট আল্লাহ্ দূর করে দিলেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ ، أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعًا يَجِدُهُ فِي جَسَدِهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « ضَعْ يَدَكَ عَلَى الَّذِي يَأْلَمُ مِنْ جَسَدِكَ ، وَقُلْ بِاسْمِ اللهِ ثَلَاثًا ، وَقُلْ سَبْعَ مَرَّاتٍ أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ قَالَ فَفَعَلْتُ فَاذْهَبَ اللهُ مَا كَانَ بِىْ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর উপর ফুঁক দেওয়া এবং তার আরোগ্য লাভের জন্য দু'আ করা
৩০৭. হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ হাসান ও হুসাইন (রা.) এর জন্য আল্লাহর আশ্রয় চাইতেন এবং বলতেন-
«أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لامَّةٍ» وَيَقُولُ إِنَّ أَبَا كُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهَا اسْمَاعِيلَ وَاسْحَقَ
আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের দ্বারা পানাহ চাচ্ছি প্রত্যেক শয়তান থেকে, প্রত্যেক বিষধর কীট থেকে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চোখ থেকে। তিনি আরো বলতেন, তোমাদের উর্দ্ধতন পিতা (ইব্রাহীম আ.) এই শব্দমালার দ্বারা তাঁর দুই সন্তান যথাক্রমে হয়রত ইসমাঈল ও ইসহাক (আ.) এর জন্য পানাহ চাইতেন। (বুখারী)
«أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لامَّةٍ» وَيَقُولُ إِنَّ أَبَا كُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهَا اسْمَاعِيلَ وَاسْحَقَ
আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের দ্বারা পানাহ চাচ্ছি প্রত্যেক শয়তান থেকে, প্রত্যেক বিষধর কীট থেকে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চোখ থেকে। তিনি আরো বলতেন, তোমাদের উর্দ্ধতন পিতা (ইব্রাহীম আ.) এই শব্দমালার দ্বারা তাঁর দুই সন্তান যথাক্রমে হয়রত ইসমাঈল ও ইসহাক (আ.) এর জন্য পানাহ চাইতেন। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يُعَوِّذُ الحَسَنَ وَالحُسَيْنَ " أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ وَيَقُولُ إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهَا إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ " (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ রোগীর উপর ফুঁক দেওয়া এবং তার আরোগ্য লাভের জন্য দু'আ করা
৩০৮. হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ পীড়িত হলে মু'আব্বিযাত (সূরা নাস ও ফালাক) দ্বারা নিজ দেহের উপর ফুঁক দিতেন এবং নিজ হাত শরীরে বুলাতেন। যখন তিনি ঐ রোগে আক্রান্ত হন যাতে তাঁর ইন্তিকাল হয়, তখন আমি মু'আব্বিযাত পাঠ করে তাঁর শরীর ফুঁক দিতাম, যে মু'আব্বিযাত পাঠ করে তিনি নিজে ফুঁক দিতেন। তবে আমি তাঁর পবিত্র হাত দ্বারাই তাঁর শরীর মুছে দিতাম। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ ، وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ ، فَلَمَّا اشْتَكَى وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ ، كُنْتُ أَنْفِثُ عَلَيْهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ الَّتِي كَانَ يَنْفِثُ ، وَأَمْسَحُ بِيَدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর লক্ষণ স্পষ্ট হলে করণীয় কী?
৩০৯. হযরত আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা মুমূর্ষু ব্যক্তিদেরকে একথা বলার উপদেশ দেবে যে لا اله الا الله "আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই" (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي سَعِيْدٍ وأَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَا : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর লক্ষণ স্পষ্ট হলে করণীয় কী?
৩১০. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যার (জীবনের) শেষ বাক্য হবে لا اله الا الله সে জান্নাতী। (আবূ দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ كَانَ آخِرُ كَلَامِهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ » (رواه ابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর লক্ষণ স্পষ্ট হলে করণীয় কী?
৩১১. হযরত মালিক ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা তোমাদের মুমূর্ষদের উপর সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে। (আহমাদ, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : اِقْرَؤُا سُوْرَةَ يسن عَلَى مَوْتَاكُمْ. (رواه احمد وابوداؤد وابن ماجة)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর লক্ষণ স্পষ্ট হলে করণীয় কী?
৩১২. হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে তাঁর ইন্তিকালের তিনদিন পূর্বে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করা ব্যতীত মৃত্যুবরণ না করে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَبْلَ مَوْتِهِ بِثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ، يَقُولُ : « لَا يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلَّا وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللهِ عَزَّ وَجَلَّ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর পর করণীয় কী?
৩১৩. হযরত উম্মু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ আবূ সালামার কাছে যান। তখন তাঁর চোখ দু'টি বিস্ফারিত ছিল। তিনি তা বন্ধ করে দেন এবং বলেন, আত্মা যখন নিয়ে যাওয়া হয়, তখন চোখ সাথে সাথে চলে যায় (তাই মৃত্যুর পর চোখ বন্ধ করে দেওয়া উচিত)। একথা শুনে তাঁর পরিবারের সদস্যরা উচ্চঃস্বরে কেঁদে ওঠলো এবং নানা অভিশাপমূলক বাক্য উচ্চারণ করতে লাগল। তিনি বললেন: তোমরা নিজেদের জন্য ভাল ব্যতীত দু'আ করো না। কারণ তোমাদের কথার সাথে মিল রেখে ফিরিস্তারা আমীন আমীন বলতে থাকে। তারপর তিনি বলেন: "হে আল্লাহ্! আবূ সালামাকে ক্ষমা করে দাও, হিদায়াত প্রাপ্তদের মধ্যে তাঁর মর্যাদা বুলন্দ করে দাও এবং তাঁর উত্তরসূরীদের জন্য তুমিই অভিভাবক হয়ে যাও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক! আমাদেরকে ও তাঁকে ক্ষমা করে দাও। তাঁর জন্য কবর প্রশস্ত করে দাও এবং তাঁর কবরকে জ্যোতির্ময় করে দাও।" (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، قَالَتْ : دَخَلَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَبِي سَلَمَةَ وَقَدْ شَقَّ بَصَرُهُ ، فَأَغْمَضَهُ ، ثُمَّ قَالَ : « إِنَّ الرُّوحَ إِذَا قُبِضَ تَبِعَهُ الْبَصَرُ » ، فَضَجَّ نَاسٌ مِنْ أَهْلِهِ ، فَقَالَ : « لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِلَّا بِخَيْرٍ ، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ » ، ثُمَّ قَالَ : « اللهُمَّ اغْفِرْ لِأَبِي سَلَمَةَ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ ، وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ ، وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ ، وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ » . (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর লক্ষণ স্পষ্ট হলে করণীয় কী?
৩১৪. হযরত উম্মু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কোন মুসলমান যখন বিপদে পড়ে, তখন সে যদি আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী "ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন" বলে নিম্নের দু'আ اللَّهُمَّ أَجِرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلُفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا হে আল্লাহ! আমাকে বিপদে ধৈর্য ধারণের সাওয়াব দাও এবং এর চেয়ে উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য কর" পাঠ করে, আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য করবেন। যখন আবূ সালামা (রা.) ইন্তিকাল করলেন, তখন আমি বললাম, আবূ সালামা (রা.) থেকে কে উত্তম হতে পারে? কারণ তাঁর পরিবার প্রথম রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সঙ্গে হিজরত করেছিল। তারপর আমি এই দু'আ পাঠ করলাম। ফলে আল্লাহ্ তা'আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আমার জন্য দান করলেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، أَنَّهَا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَا مِنْ مُسْلِمٍ تُصِيبُهُ مُصِيبَةٌ ، فَيَقُولُ مَا أَمَرَهُ اللهُ : {إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ} ، اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي ، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا ، إِلَّا أَخْلَفَ اللهُ لَهُ خَيْرًا مِنْهَا " ، قَالَتْ : فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ ، قُلْتُ : أَيُّ الْمُسْلِمِينَ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ؟ أَوَّلُ بَيْتٍ هَاجَرَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، ثُمَّ إِنِّي قُلْتُهَا ، فَأَخْلَفَ اللهُ لِي رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর লক্ষণ স্পষ্ট হলে করণীয় কী?
৩১৫. হাসীন ইবনে ওয়াহওয়াহ্ থেকে বর্ণিত। তালহা ইবনে বারা (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী কারীম ﷺ তাঁকে দেখতে যান। তিনি তাঁর নাযুক অবস্থা দেখে বললেন: আমার মনে হচ্ছে তাঁর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। যদি তা-ই হয় তবে আমাকে সংবাদ দেবে এবং তাঁর দাফন-কাফনের কাজ দ্রুত সেরে নিবে। কারণ মৃতকে তার দীর্ঘক্ষণ পরিবারের মধ্যে আটকে রাখা কোন মুসলমানর জন্য সমীচীন নয়। (আবূ দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ حُصَيْنِ بْنِ وَحْوَحٍ ، أَنَّ طَلْحَةَ بْنَ الْبَرَاءِ ، مَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ ، فَقَالَ : « إِنِّي لَا أَرَى طَلْحَةَ إِلَّا قَدْ حَدَثَ بِهِ الْمَوْتُ فَآذِنُونِي بِهِ وَعَجِّلُوا فَإِنَّهُ ، لَا يَنْبَغِي لِجِيفَةِ مُسْلِمٍ أَنْ تُحْبَسَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ أَهْلِهِ » (رواه ابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কারো মৃত্যুজনিত কারণে তার নিকট আত্মীয় স্বজনের দুঃখিত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া এবং তার ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখ বেয়ে পানি ঝরা কিংবা অন্য কোন-ভাবে দুঃখ-কষ্ট প্রকাশ পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এমন অবস্থার বহিঃপ্রকাশ মৃতের জন্য তার আপন জনদের আন্তরিক ভালবাসা ও সমবেদনারই প্রতিফলন যা মানবতার এক মূল্যবান ও পসন্দনীয় উপাদান। একারণে শরী'আতে এটা নিষিদ্ধ নাই বরং কিছুটা প্রশংসনীয়ও বটে। তবে কান্নাকাঠি ও মাতম করাকে শরী'আত কখনো অনুমোদন করে না। যদিও একদিক থেকে এর মূল্যায়ন করা হয়েছে কিন্তু অপর দিকে উচ্চস্বরে কান্না ও মাতম এবং স্বেচ্ছায় বিলাপ করাকে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। প্রথমত, এ কাজ দাসত্বের অবস্থান এবং আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। দ্বিতীয়ত, আল্লাহ্ তা'আলা মানুষকে জ্ঞান বুদ্ধি রূপ যে নি'আমত দান করেছেন এবং বিপদাপদ উত্তরণের যে বিশেষ যোগ্যতা দান করেছেন উচ্চস্বরে চিৎকার, মাতম, বিলাপ ইত্যাদি করা মূলতঃ আল্লাহ্ প্রদত্ত সে নি'আমতের অস্বীকৃতি বৈকি! কারণ এর ফলে অন্যের দুঃখ বেদনা আরো বেড়ে যায় এবং চিন্তাও কার্যশক্তি দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া উচ্চস্বরে কাঁদা ও মাতম করা মৃতের জন্য (কবরে) শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩১৬. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা'দ ইবনে উবাদা (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়েন। নবী কারীম ﷺ তাঁকে দেখতে যান আর তখন আবদুর রহমান ইবনে আওফ, সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস ও আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর সাথে ছিলেন। যখন তিনি তাঁর কাছে গেলেন তখন তিনি বেহুঁশ ছিলেন। তিনি জানতে চাইলেন তাঁর কি ইন্তিকাল হয়েছে? উপস্থিত লোকজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি ইন্তিকাল করেন নি। তখন তিনি কেঁদে উঠলেন, নবী কারীম ﷺ কে কাঁদতে দেখে সাহাবা কিরামও কাঁদতে লাগলেন। তিনি বললেন: তোমরা মনে রাখ যে, আল্লাহ্ অন্তরের ব্যথা ও চোখের পানির জন্য কাউকে শাস্তি দেন না। তিনি তাঁর জিহবার দিকে লক্ষ্য করে বললেন: আল্লাহ্ শাস্তি দেন (মাতমের কারণে) কিংবা দয়া করেন (দু'আ ইস্তিগফারের কারণে) তবে মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারের লোকদের (উচুস্বরে বিলাপ ও) কান্নার কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، قَالَ : اشْتَكَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ شَكْوَى لَهُ ، فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ، وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ فَوَجَدَهُ فِي غَاشِيَةِ ، فَقَالَ : « قَدْ قَضَى » قَالُوا : لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَبَكَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَلَمَّا رَأَى القَوْمُ بُكَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَوْا ، فَقَالَ : « أَلاَ تَسْمَعُونَ إِنَّ اللَّهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ العَيْنِ ، وَلاَ بِحُزْنِ القَلْبِ ، وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ أَوْ يَرْحَمُ ، وَإِنَّ المَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মৃতের জন্য কান্নাকাটি, উচ্চস্বরে বিলাপ ও মাতম করা
৩১৭. হযরত আবু বুরদা ইবনে আবূ মূসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার (আমার পিতা) আবূ মূসা (রা) অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এতে তাঁর স্ত্রী উম্মু আবদুল্লাহ্ (রা) সুর করে বিলাপ করতে থাকেন। তারপর তিনি হুঁশ ফিরে পেয়ে উম্মু আবদুল্লাহকে বললেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর এই বাণীর বিষয় অবহিত নও যে, তিনি বলেছেন: যে (মৃতু শোকে) মাথার চুল মুড়িয়ে ফেলে, উচ্চস্বরে বিলাপ করে এবং জামা ছিঁড়ে আমি তার সাথে সম্পর্ক মুক্ত। (বুখারী ও মুসলিম)। তবে শব্দমালা মুসলিমের)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ : أُغْمِيَ عَلَى أَبِي مُوسَى فَأَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ أُمُّ عَبْدِ اللهِ تَصِيحُ بِرَنَّةٍ ، ثُمَّ أَفَاقَ ، فَقَالَ : أَلَمْ تَعْلَمِي وَكَانَ يُحَدِّثُهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : « أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ حَلَقَ وَصَلَقَ وَخَرَقَ » (رواه البخارى ومسلم واللفظ المسلم)
তাহকীক: