মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
সালাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩৭৪ টি
হাদীস নং: ৪১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
৪১. হযরত মালিক ইবনে হুওয়াইরিস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি এবং আমার এক চাচাত ভাই নবী কারীম ﷺ-এর কাছে উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন: যখন তোমরা উভয়ে সফর করবে তখন আযান দিবে ও ইকামত বলবে। তারপর তোমাদের মধ্যে যে বয়োজ্যেষ্ঠ সে তোমাদের সালাতের ইমামতি করবে। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مَالِكِ بْنِ الحُوَيْرِثِ ، قَالَ : اَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي ، فَقَالَ لَنَا : إِذَا سَافَرْتُمَا فَأَذِّنَا وَأَقِيمَا ، وَلْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا. (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান এবং মু'আযযিনের মর্যাদা
৪২. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে কোন জিন, কিংবা অন্য কোন বস্তু মু'আযযিনের কণ্ঠস্বর শুনতে পাবে সে কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِىْ سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لاَ يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ المُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلاَ إِنْسٌ وَلاَ شَيْءٌ إِلَّا شَهِدَ لَهُ يَوْمَ القِيَامَةِ. (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান এবং মু'আযযিনের মর্যাদা
৪৩. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী কারীম ﷺ কে বলতে শুনেছি: শয়তান যখন সালাতের আযান শুনে তখন (মদীনা থেকে) রাওহা নামক স্থানে চলে যায়। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : « إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلَاةِ ذَهَبَ حَتَّى يَكُونَ مَكَانَ الرَّوْحَاءِ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান এবং মু'আযযিনের মর্যাদা
৪৪. হযরত মু'আবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি: কিয়ামতের দিন মু'আযযিনদের ঘাড় সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ হবে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مُعَاوِيَةُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : « الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান এবং মু'আযযিনের মর্যাদা
৪৫. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তি মিশকের স্তূপের উপর অবস্থান করবে। তারা হল: ১. ক্রীতদাস যে আল্লাহ্ এবং তার মনিবের হক আদায় করে। ২. যে ব্যক্তি কোন কাওমের ইমামতি করে আর তারা (তার নেকআমল ও সদাচারের জন্য) তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং ৩. যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আযান দেয়। (তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدُاللهِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ثَلاَثَةٌ عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ ، أُرَاهُ قَالَ ، يَوْمَ القِيَامَةِ : عَبْدٌ أَدَّى حَقَّ اللهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ ، وَرَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ بِهِ رَاضُونَ ، وَرَجُلٌ يُنَادِي بِالصَّلَوَاتِ الخَمْسِ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ. (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান এবং মু'আযযিনের মর্যাদা
৪৬. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি সাওয়াবের আশায় একাধারে সাত বছর আযান দেবে তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি আল্লাহর তরফ থেকে নির্ধারিত রয়েছে যে জাহান্নাম তাকে স্পর্শও করতে পারবে না। (তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ أَذَّنَ سَبْعَ سِنِينَ مُحْتَسِبًا كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ. (رواه الترمذى وابوداؤد وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান এবং মু'আযযিনের মর্যাদা
৪৭. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মু'আযযিনগণ এবং তালবিয়া পাঠকগণ তাদের কবর থেকে যথাক্রমে মু'আযযিন আযানদানরত অবস্থায় এবং তালাবীয়া১ পাঠক তালবীয়া পাঠরত অবস্থায় করব থেকে (কিয়ামতের মাঠের দিকে) বেরিয়ে আসবে। (তাবারাণী মু'জাম আওসাত গ্রন্থ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ الْمُؤَذِّنِيْنَ وَالْمُلَبِّيْنَ يَخْرُجُوْنَ مِنْ قُبُوْرِهِمْ ، يُؤَذِّنُ الْمُؤَذِّنُ ، وَيُلَبِّي الْمُلَبِّيُ. (رواه الطبرانى فى الاوسط)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযানের উত্তর এবং তার পরবর্তী দুআ
৪৮. হযরত উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মু'আযযিন যখন আল্লাহু আকবার বলে, তখন তোমাদের কেউ যদি (তার জবাবে) আল্লাহু আকবার বলে, তারপর মুআযযিন যখন আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলে তখন সেও যদি বলে আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্: তারপর মু'আযযিন যখন আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ বলে, তখন যদি সেও বলে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, পরে মু'আযযিন যখন 'হায়্যা আলাস সালাহ' বলে, তখন সেও যদি 'লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ' বলে; এরপর মু'আযযিন যখন 'হায়্যা আলাল ফালাহ্' বলে, তখন সেও যদি 'লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্' বলে, এরপর মু'আযযিন যখন আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলে, তখন সেও যদি (জবাবে) আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলে, তারপর মু'আযযিন যখন 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলে, তখন সেও যদি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলে- এসবই যদি সে আন্তরিকতার সাথে বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، فَقَالَ أَحَدُكُمْ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، ثُمَّ قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، ثُمَّ قَالَ : أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ قَالَ : أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ ، ثُمَّ قَالَ : حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، قَالَ : لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ، ثُمَّ قَالَ : حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، قَالَ : لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ، ثُمَّ قَالَ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، قَالَ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، ثُمَّ قَالَ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، قَالَ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ " (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযানের উত্তর এবং তার পরবর্তী দুআ
৪৯. হযরত সা'দ ইবন্ আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি মু'আযযিনের আযান শুনে "আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু রাদিতু বিল্লাহি রাববাওঁ ওয়া বি মুহাম্মাদিন রাসূলাও ওয়া বিল ইসলামি দিনা" (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং মুহাম্মদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে প্রতিপালকরূপে, মুহাম্মদ ﷺ কে রাসূলরূপে এবং ইসলামকে দীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট"-এই দু'আ পাঠ করবে তার পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ : « مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا ، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا ، غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযানের উত্তর এবং তার পরবর্তী দুআ
৫০. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি আযান শুনে বলে, হে আল্লাহ্! এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠত সালাতের তুমিই প্রভু। হযরত মুহাম্মদ ﷺ কে দান কর সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানিত স্থান এবং তাঁকে তোমার প্রতিশ্রুত প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত কর"- কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফা'আত অবধারিত হবে। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ : اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ ، وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الوَسِيلَةَ وَالفَضِيلَةَ ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ ، حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ القِيَامَةِ " (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের মাহাত্ম্য, গুরুত্ব, আদব ও হক
সালাতের সাথে যে সব বাক্য উদ্দেশ্য জড়িত সে বিষয়ে ইতোপূর্বে হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ (র)-এর বরাত আমি কিন্তু ইঙ্গিত করেছি। এগুলো পূর্ণভাবে অর্জনের জন্য একত্রে সালাত আদায়ের ব্যবস্থা করা জরুরী। ইসলামী শরী'আতে এ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য মসজিদ নির্মাণ ও জামা'আতের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। চিন্তাশীল মানুষ একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, এই উম্মাতের ধর্মীয় জীবনের এবং শৃঙ্খলা ও সুবিন্যস্ত জীবন বিনির্মাণে মসজিদ এবং জামা'আতের গুরুত্ব কতখানি। এজন্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন এবং জামা'আত বর্জনের ব্যাপারে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। (আলোচনা একটু আসছে) অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদের ব্যাপারে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এবং কা'বা ঘরের পরেই এমনকি কা'বার সাথে সম্পর্কিত করে মসজিদকে আল্লাহর ঘর এবং উম্মাতের দীনী মিলনকেন্দ্র ঘোষণা করেছেন। তারপর তিনি এর বরকত, মাহাত্ম্য ও পসন্দনীয় দিক ঘোষণা করে উম্মাতকে সবিশেষ অনুপ্রাণিত করেছেন। যাতে সর্বক্ষণ তাদের অন্তর মসজিদের সাথে সম্পর্কিত থাকে। এবং মসজিদের সাথে তাদের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সাথে তিনি মসজিদের হকসমূহ ও পালনীয় রীতিনীতির ব্যাপারে দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক:
সালাতের সাথে যে সব বাক্য উদ্দেশ্য জড়িত সে বিষয়ে ইতোপূর্বে হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ (র)-এর বরাত আমি কিন্তু ইঙ্গিত করেছি। এগুলো পূর্ণভাবে অর্জনের জন্য একত্রে সালাত আদায়ের ব্যবস্থা করা জরুরী। ইসলামী শরী'আতে এ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য মসজিদ নির্মাণ ও জামা'আতের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। চিন্তাশীল মানুষ একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, এই উম্মাতের ধর্মীয় জীবনের এবং শৃঙ্খলা ও সুবিন্যস্ত জীবন বিনির্মাণে মসজিদ এবং জামা'আতের গুরুত্ব কতখানি। এজন্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন এবং জামা'আত বর্জনের ব্যাপারে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। (আলোচনা একটু আসছে) অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদের ব্যাপারে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এবং কা'বা ঘরের পরেই এমনকি কা'বার সাথে সম্পর্কিত করে মসজিদকে আল্লাহর ঘর এবং উম্মাতের দীনী মিলনকেন্দ্র ঘোষণা করেছেন। তারপর তিনি এর বরকত, মাহাত্ম্য ও পসন্দনীয় দিক ঘোষণা করে উম্মাতকে সবিশেষ অনুপ্রাণিত করেছেন। যাতে সর্বক্ষণ তাদের অন্তর মসজিদের সাথে সম্পর্কিত থাকে। এবং মসজিদের সাথে তাদের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সাথে তিনি মসজিদের হকসমূহ ও পালনীয় রীতিনীতির ব্যাপারে দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক:
৫১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পসন্দনীয় স্থান হলো মসজিদ এবং সর্বাপেক্ষা অপসন্দনীয় স্থান হলো বাজার। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « أَحَبُّ الْبِلَادِ إِلَى اللهِ مَسَاجِدُهَا ، وَأَبْغَضُ الْبِلَادِ إِلَى اللهِ أَسْوَاقُهَا » (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের মাহাত্ম্য, গুরুত্ব, আদব ও হক
৫২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যেদিন আল্লাহ্ প্রদত্ত ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাঁর নিজের রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন-
১. ন্যায়পরায়ণ শাসক,
২. সেই যুবক যার জীবন শিশুকাল থেকে গড়ে ওঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদাতের মাঝে এবং যৌবনেও বিপথগামী হয়নি,
৩. সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে লটকে আছে,
৪. সেই দুই ব্যক্তি যারা পরস্পরকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসে, একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহর জন্য,
৫. সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিকর করে, ফলে তার দুই চোখ বেয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়,
৬. সেই ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দরী অভিজাত রমনী অবৈধ কাজের প্রতি আহ্বান জানায়, কিন্তু সে তা একথা বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, আমি আল্লাহকে ভয় করি,
৭. সেই ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে, যে তার ডান হাত খরচ করে অথচ বাম হাত জানে না। (বুখারী ও মুসলিম)
১. ন্যায়পরায়ণ শাসক,
২. সেই যুবক যার জীবন শিশুকাল থেকে গড়ে ওঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদাতের মাঝে এবং যৌবনেও বিপথগামী হয়নি,
৩. সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে লটকে আছে,
৪. সেই দুই ব্যক্তি যারা পরস্পরকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসে, একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহর জন্য,
৫. সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিকর করে, ফলে তার দুই চোখ বেয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়,
৬. সেই ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দরী অভিজাত রমনী অবৈধ কাজের প্রতি আহ্বান জানায়, কিন্তু সে তা একথা বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, আমি আল্লাহকে ভয় করি,
৭. সেই ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে, যে তার ডান হাত খরচ করে অথচ বাম হাত জানে না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ ، يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ : الإِمَامُ العَادِلُ ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ رَبِّهِ ، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي المَسَاجِدِ ، وَرَجُلاَنِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ : إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ ، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ" (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের মাহাত্ম্য, গুরুত্ব, আদব ও হক
৫৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কোন ব্যক্তি সকালে কিংবা সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যায়, আল্লাহ্ তা'আলা জান্নাতে তার জন্য ততবার মেহমানদারীর আয়োজন করে থাকেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ غَدَا إِلَى المَسْجِدِ وَرَاحَ ، أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ نُزُلَهُ مِنَ الجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের মাহাত্ম্য, গুরুত্ব, আদব ও হক
৫৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কোন ব্যক্তির জামা'আতে সালাত আদায়ের সাওয়াব তার নিজের ঘরে কিংবা বাজারে আদায়কৃত সালাতের সাওয়াব থেকে পঁচিশ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর কারণ এই যে, সে যখন উত্তমরূপে উযূ করেন, তারপর একমাত্র সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওয়ানা হয়, তখন তার প্রতি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি করে মর্তবা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি পাপ ক্ষমা করা হয়। সালাত আদায়ের পর সে যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে থাকে, ফিরিশতাগণ তার জন্য এই বলে দু'আ করেন-"হে আল্লাহ্! তুমি তার উপর রহমত বর্ষণ কর এবং তার প্রতি দয়া কর।" তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতরত বলে গণ্য হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي الجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ ، وَفِي سُوقِهِ ، خَمْسًا وَعِشْرِينَ ضِعْفًا ، وَذَلِكَ أَنَّهُ : إِذَا تَوَضَّأَ ، فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى المَسْجِدِ ، لاَ يُخْرِجُهُ إِلَّا الصَّلاَةُ ، لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً ، إِلَّا رُفِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ ، وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ ، فَإِذَا صَلَّى ، لَمْ تَزَلِ المَلاَئِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ ، مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ : اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ، وَلاَ يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرَ الصَّلاَةَ " (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের মাহাত্ম্য, গুরুত্ব, আদব ও হক
৫৫. হযরত উসমান ইবনে মাযউন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে বৈরাগ্য অবলম্বনের অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: আমার উম্মাতের বৈরাগ্য হচ্ছে সালাতের অপেক্ষায় মসজিদে বসে থাকা। (শারহুস্ সুন্নাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ قَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، ائْذَنْ لَنَا فِي التَّرَهُّبِ ، فَقَالَ : « إِنَّ تَرَهُّبَ أُمَّتِي الْجُلُوسُ فِي الْمَسَاجِدِ انْتِظَارَ الصَّلاةِ » (رواه فى شرح السنة)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের মাহাত্ম্য, গুরুত্ব, আদব ও হক
৫৬. হযরত বুরায়দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যারা অন্ধকারে মসজিদে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে গমন করে, তাদেরকে কিয়ামতের দিন পূর্ণজ্যোতি প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও। (তিরমিযী ও আবূ দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « بَشِّرِ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ » (رواه الترمذى وابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে প্রবশের ও বের হওয়ার দু'আ
৫৭. হযরত আবূ উসায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন বলে- اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ "হে আল্লাহ্! তুমি তোমার করুণার দ্বার আমার জন্য উন্মুক্ত করে দাও।"
আর যখন বের হয় তখন যেন বলে- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ হে আল্লাহ্! আমি তোমার ফযল ও অনুগ্রহ কামনা করি।” (মুসলিম)
আর যখন বের হয় তখন যেন বলে- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ হে আল্লাহ্! আমি তোমার ফযল ও অনুগ্রহ কামনা করি।” (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ ، فَلْيَقُلْ : اللهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ ، وَإِذَا خَرَجَ ، فَلْيَقُلْ : اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ ". (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ তাহিয়্যাতুল মাসজিদ
৫৮. হযরত আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে, তখন সে যেন মসজিদে বসার পূর্বে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নেয়। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : « إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ المَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ তাহিয়্যাতুল মাসজিদ
৫৯. হযরত কা'ব ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী কারীম ﷺ সফর শেষে কেবলমাত্র দিনের বেলা চাশতের সময় বাড়ী ফিরতেন। তবে যখনই আসতেন প্রথমে মসজিদে প্রবেশ করতেন এবং দুই রাক'আত সালাত আদায় করে সেখানে কিছুক্ষণ বসতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ « كَانَ لَا يَقْدَمُ مِنْ سَفَرٍ إِلَّا نَهَارًا فِي الضُّحَى ، فَإِذَا قَدِمَ بَدَأَ بِالْمَسْجِدِ ، فَصَلَّى فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ، ثُمَّ جَلَسَ فِيهِ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন ঈমানের লক্ষণ
৬০. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা যখন কাউকে নিয়মিত মসজিদে যাতায়াত করতে দেখবে, তখন তার ঈমানের সাক্ষ্য দিবে। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন: إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ "তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে যারা ঈমান আনে আল্লাহ্ ও পরকালে।" (৯, সূরা তাওবা: ১৮) (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারিমী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ يَتَعَاهَدُ الْمَسْجِدَ فَاشْهَدُوا لَهُ بِالإِيمَانِ ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ : {إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ. (رواه الترمذى وابن ماجه والدارمى)
তাহকীক: