মা'আরিফুল হাদীস

সালাত অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৮
সালাত অধ্যায়
আযানের উত্তর এবং তার পরবর্তী দুআ
৪৮. হযরত উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মু'আযযিন যখন আল্লাহু আকবার বলে, তখন তোমাদের কেউ যদি (তার জবাবে) আল্লাহু আকবার বলে, তারপর মুআযযিন যখন আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলে তখন সেও যদি বলে আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্: তারপর মু'আযযিন যখন আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ বলে, তখন যদি সেও বলে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, পরে মু'আযযিন যখন 'হায়্যা আলাস সালাহ' বলে, তখন সেও যদি 'লা হাওলা ওয়ালা কুয়‍্যাতা ইল্লা বিল্লাহ' বলে; এরপর মু'আযযিন যখন 'হায়‍্যা আলাল ফালাহ্' বলে, তখন সেও যদি 'লা হাওলা ওয়ালা কুয়‍্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্' বলে, এরপর মু'আযযিন যখন আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলে, তখন সেও যদি (জবাবে) আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলে, তারপর মু'আযযিন যখন 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলে, তখন সেও যদি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলে- এসবই যদি সে আন্তরিকতার সাথে বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، فَقَالَ أَحَدُكُمْ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، ثُمَّ قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، ثُمَّ قَالَ : أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ قَالَ : أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ ، ثُمَّ قَالَ : حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، قَالَ : لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ، ثُمَّ قَالَ : حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، قَالَ : لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ، ثُمَّ قَالَ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، قَالَ : اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ، ثُمَّ قَالَ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، قَالَ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ " (رواه مسلم)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইতোপূর্বে পাঠকগণ জানতে পেরেছেন যে, আযানের দু'টি বিশিষ্ট দিক রয়েছে ১, জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের ঘোষণা দেওয়া এবং ২. ঈমান ও দীনের দাওয়াত। প্রথমটি তথা আযান শুনার পর প্রত্যেক মুসলমানের জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের লক্ষ্যে মসজিদের উদ্দেশ্য রওনা করা একান্ত প্রয়োজন। দ্বিতীয়টি অর্থাৎ আযানের ধ্বনি শুনার সাথে সাথে এর প্রতিশব্দের ঈমানী দাওয়াতে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য এবং মুখে ও অন্তরে তার প্রত্যয় ঘোষণা করা চাই। অনুরূপভাবে প্রত্যেক আযানের সময় ঈমানের বলে বলীয়ান হওয়া চাই। নবী কারীম ﷺ আযানের জবাবে দানের এবং দু'আয় কালিমা শাহাদাত পাঠের যে নির্দেশ দিয়েছেন ও অনুপ্রাণিত করেছেন এটাই তার রহস্য। এর দ্বারা একথাও পরিষ্কার বুঝা যায় যে, আযানের মৌখিক জবাব আপাতদৃষ্টিতে একটি সাধারণ আমল মনে হলেও এর উপর ভিত্তি করে জান্নাতবাসী হওয়ার সুসংবাদ দানের রহস্য কী?
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান