মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
সালাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩৭৪ টি
হাদীস নং: ৬১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদ পরিষ্কার করা এবং সুগন্ধময় করে রাখা
৬১. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুগন্ধিময় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। (আবূ দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبِنَاءِ المَسْجِدِ فِى الدُّوْرِ وَاَنْ يُّنَظَّفَ وَيُطَيَّبَ. (رواه ابوداؤد والترمذى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদ নির্মাণের সাওয়াব
৬২. হযরত উসমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُثْمَانَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا بَنَى اللَّهُ لَهُ بِهِ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ. (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের বাহ্যিক আড়ম্বর ও শান-শওকত অপছন্দনীয়
৬৩. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমি মসজিদকে (অতিরিক্ত) উঁচু ও চাকচিক্যময় করতে আদিষ্ট হই নি। এ হাদীস বর্ণনা করার পর বর্ণনাকারী ইবনে আব্বাস (রা) ভবিষ্যতবাণী করেন এমন সময় আসবে যখন তোমরা ইয়াহুদী- নাসারাদের ন্যায় তা চাকচিক্যময় করে তুলবে। (আবু দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَا أُمِرْتُ بِتَشْيِيدِ الْمَسَاجِدِ » ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : لَتُزَخْرِفُنَّهَا كَمَا زَخْرَفَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى. (رواه ابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদের বাহ্যিক আড়ম্বর ও শান-শওকত অপছন্দনীয়
৬৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মসজিদ নিয়ে গর্ববোধ কিয়ামতের নিদর্শন সমূহের অন্যতম (নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য প্রতিদ্বন্ধিতামূলক মসজিদ নির্মাণ করবে)। (আবূ দাউদ, নাসায়ী, দারিমী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ : أَنْ يَتَبَاهَى النَّاسُ فِي الْمَسَاجِدِ " (رواه ابوداؤد والنسائى والدارمى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু আহার করে মসজিদে আসা নিষেধ
৬৫. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি এই দুর্গন্ধযুক্ত উদ্ভিদ আহার করবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কারণ মানুষ যাতে কষ্ট অনুভব করে, ফিরিশতাগণও তাতে কষ্ট পায়। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الْمُنْتِنَةِ ، فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا ، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَأَذَّى ، مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الْإِنْسُ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে কবিতাবাজি এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ
৬৬. আমর ইবনে শুআয়ব (র) পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদে কবিতাবাজি করতে, ক্রয়-বিক্রয় করতে এবং জুমু'আর দিন জুমু'আর সালাতের পূর্বে মসজিদে বৃত্তাকারে গোল হয়ে বসতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাউদ ও তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، قَالَ : « نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ تَنَاشُدِ الأَشْعَارِ فِي الْمَسْجِدِ ، وَعَنِ البَيْعِ وَالاِشْتِرَاءِ فِيهِ ، وَأَنْ يَتَحَلَّقَ النَّاسُ فِيهِ يَوْمَ الجُمُعَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ فِي الْمَسْجِدِ. (رواه ابوداؤد والترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অবোধ শিশু ও হট্টগোল ইত্যাদি থেকে মসজিদ মুক্ত রাখা
৬৭. হযরত ওয়াসিলা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা অবোধ শিশু, উন্মাদ (কে মসজিদে আসা থেকে) দূরে রাখ, তেমনিভাবে ক্রয়-বিক্রয়, ঝগড়া-বিবাদ, উচ্চঃস্বর-হট্টগোল, শাস্তি কার্যকর করা এবং তরবারি কোষমুক্ত করা থেকে তোমাদের মসজিদকে মুক্ত রাখো (এসব মসজিদের আদব পরিপন্থী কাজ যেন না হয়। (ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ وَاثِلَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « جَنِّبُوا مَسَاجِدَكُمْ صِبْيَانَكُمْ ، وَمَجَانِينَكُمْ ، وَشِرَاءَكُمْ ، وَبَيْعَكُمْ ، وَخُصُومَاتِكُمْ ، وَرَفْعَ أَصْوَاتِكُمْ ، وَإِقَامَةَ حُدُودِكُمْ ، وَسَلَّ سُيُوفِكُمْ. (رواه ابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে দুনিয়ার কথা বলা নিষেধ
৬৮. হযরত হাসান বসরী (র) থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মানব সমাজে এমন সময় আসবে যে, মানুষ মসজিদে দুনিয়া সম্পর্কিত কথায় মত্ত হয়ে পড়বে। সুতরাং তোমরা তাদের সাথে বসো না এবং আল্লাহরও তাদের কোন প্রয়োজন নেই। (বায়হাকীর শু'আবুল ঈমান)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ الْحَسَنِ ، مُرْسَلاً قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَكُونُ حَدِيثُهُمْ فِي مَسَاجِدِهِمْ فِي أَمْرِ دُنْيَاهُمْ ، فَلَا تُجالِسُوهُمْ ، فَلَيْسَ لِلَّهِ فِيهِمْ حَاجَةٌ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে মহিলাদের সালাত আদায়ের অনুমতি
৬৯. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ বলেছেন: তোমাদের স্ত্রীগণ রাতে মসজিদে সালাত আদায়ের অনুমতি চাইলে তোমরা তাদের অনুমতি দিবে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « إِذَا اسْتَأْذَنَكُمْ نِسَاؤُكُمْ بِاللَّيْلِ إِلَى المَسْجِدِ ، فَأْذَنُوا لَهُنَّ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে মহিলাদের সালাত আদায়ের অনুমতি
৭০. হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে ঘরে সালাত আদায় করাই তাদের জন্য উত্তম। (আবু দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا تَمْنَعُوا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ ، وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ » (رواه ابوداؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে মহিলাদের সালাত আদায়ের অনুমতি
৭১. হযরত উম্মু হুমায়দ সাঈদিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার সাথে সালাত আদায় করতে আগ্রহী। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি আমার সাথে (জামা'আতে) সালাত আদায়ে আগ্রহী। তবে (শরী'আতের বিধান হল) তোমার ঘরের বাইরের অংশে সালাত আদায়ের চাইতে তোমার ঘরের ভিতরের অংশে সালাত আদায় করা উত্তম। নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় সালাত আদায়ের চাইতে তোমার ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম। নিজ মহল্লার মসজিদে সালাত আদায়ের চাইতে তোমার নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় সালাত আদায় করা উত্তম। আমার মসজিদের (মসজিদে নববী) চাইতে তোমার মহল্লার মসজিদে সালাত আদায় করা তোমার জন্য উত্তম। (কানযুল উম্মাল, ইমাম আহমাদ (র) এর বরাতে)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أُمِّ حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّةِ ، أَنَّهَا جَاءَتِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللهِ ، إِنِّي أُحِبُّ الصَّلَاةَ مَعَكَ ، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكِ تُحِبِّينَ الصَّلَاةَ مَعِي ، وَصَلَاتُكِ فِي بَيْتِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ ، وَصَلَاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِكِ فِي دَارِكِ ، وَصَلَاتُكِ فِي دَارِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ ، وَصَلَاتُكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِي مَسْجِدِي " (رواه احمد ، كنزالعمال)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে মহিলাদের সালাত আদায়ের অনুমতি
৭২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি বর্তমানকালের মহিলাদের দেখতেন, তবে তিনি স্বয়ং তাদের মসজিদে আসতে নিষেধ করতেন, যেমনিভাবে-বনী ইসরাঈলের মহিলাদের (এসব কারণে) মসজিদে আসতে বারণ করা হয়েছিল। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : « لَوْ أَدْرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَحْدَثَ النِّسَاءُ لَمَنَعَهُنَّ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জামা'আতের গুরুত্ব
সালাত অধ্যায়ের শুরুতে একথা পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, সালাত কেবল ফরয ইবাদতই নয় বরং ঈমান ও ইসলামের অন্যতম প্রতীক। যথাযথভাবে সালাত আদায় করা মুসলিম হওয়ার প্রমাণ এবং তা বর্জন দীনের প্রতি উদাসীনতার নামান্তর ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সম্পর্কহীনতার লক্ষণ। সালাত আদায়ের অনিবার্য দাবি হচ্ছে, বান্দা যেন লোকচক্ষুর সামনে তা আদায় করে। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর এই নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের সুব্যবস্থা করেন এবং অসুস্থতা কিংবা অন্য কোন উযর না থাকা পর্যন্ত জামা'আতে সালাত আদায় অপরিহার্য ঘোষণা করেন। আমার মতে, জামা'আতে সালাত আদায়ের বিশেষ রহস্য হচ্ছে এই যে, এর দ্বারা বান্দার পাঁচবার হিসাব গ্রহণ করা হয়। অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যেতে পারে যে, যারা নিজ ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা কাটিয়ে নিয়মিত সালাত আদায় করতে পারে না তারাও জামা'আতবদ্ধভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার মধ্য দিয়ে নিয়মিত মুসল্লী হয়ে যায়। তাছাড়া জামা'আতের সালাত আদায়ের পদ্ধতি মুসলিম উম্মাহর দীনী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের একটি বিশেষ দিকও বটে। অনুরূপভাবে এটা পারস্পরিক খোঁজ নেয়ার এক অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতি যার বিকল্প অচিন্তনীয়।
জামা'আতের সালাত আদায়ের মধ্য দিয়ে মানুষ আল্লাহর ইবাদতে অধিক মশগুল হয়। এতে সে আল্লাহ্ অভিমুখী হয় এবং তার অন্তরে এর বিশেষ প্রভাব পড়ে। ফলে আসমানী রহমত প্রাপ্ত হয়ে আল্লাহর সাথে তার আন্তরিক বন্ধন স্থাপিত হয় এবং (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বিভিন্ন হাদীসের বর্ননা অনুযায়ী) সালাতে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণের ফলে মানুষ ও ফিরিশতাদের সহাবস্থান ও সান্নিধ্য লাভ ঘটে। এও হচ্ছে জামা'আতে সালাত আদায়ের অন্যতম বরকত। এতদ্ব্যতীত জামা'আতের সালাত আদায়ের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি হয়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত' সালাত, সপ্তাহান্তে জুমু'আর সালাত এবং বছরে দুই বার ঈদের সালাত জামা'আতের সাথে আদায়ের মধ্য দিয়ে যে আরো বৃহত্তর ধর্মীয় ঐক্য ও সংহতির ব্যাপক উপকার লাভ করা যায়, তা অনুধাবন করা বর্তমান কালের প্রত্যেকটি মানুষের পক্ষেই অত্যন্ত সহজ। মোটকথা জামা'আতে সালাত আদায়ে এহেন বরকত ও উপকারিত নিহিত থাকায় প্রত্যেকের উপর জামা'আতে সালাত আদায়ের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, যতক্ষণ না এমন কোন উযর পরিদৃষ্ট হয় যা জামা'আতে সালাত আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। জামা'আতে সালাত আদায়ের যে শিক্ষা রাসূলুল্লাহ ﷺ দিয়েছেন মানুষ যত দিন যথাযথভাবে কার্যকারী ছিল ততদিন পর্যন্ত মুনাফিক অথবা অপারগ ব্যক্তি ছাড়া প্রত্যেকেই জামা'আতে সালাত আদায়ে করতেন এবং এতে অসতর্কতাকে মুনাফিকের লক্ষণ বলে মনে করতেন। এই ভূমিকার পর জামা'আতে সম্পর্কিত কতিপয় হাদীস পাঠ করে নেয়া যেতে পারে।
সালাত অধ্যায়ের শুরুতে একথা পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, সালাত কেবল ফরয ইবাদতই নয় বরং ঈমান ও ইসলামের অন্যতম প্রতীক। যথাযথভাবে সালাত আদায় করা মুসলিম হওয়ার প্রমাণ এবং তা বর্জন দীনের প্রতি উদাসীনতার নামান্তর ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সম্পর্কহীনতার লক্ষণ। সালাত আদায়ের অনিবার্য দাবি হচ্ছে, বান্দা যেন লোকচক্ষুর সামনে তা আদায় করে। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর এই নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের সুব্যবস্থা করেন এবং অসুস্থতা কিংবা অন্য কোন উযর না থাকা পর্যন্ত জামা'আতে সালাত আদায় অপরিহার্য ঘোষণা করেন। আমার মতে, জামা'আতে সালাত আদায়ের বিশেষ রহস্য হচ্ছে এই যে, এর দ্বারা বান্দার পাঁচবার হিসাব গ্রহণ করা হয়। অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যেতে পারে যে, যারা নিজ ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা কাটিয়ে নিয়মিত সালাত আদায় করতে পারে না তারাও জামা'আতবদ্ধভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার মধ্য দিয়ে নিয়মিত মুসল্লী হয়ে যায়। তাছাড়া জামা'আতের সালাত আদায়ের পদ্ধতি মুসলিম উম্মাহর দীনী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের একটি বিশেষ দিকও বটে। অনুরূপভাবে এটা পারস্পরিক খোঁজ নেয়ার এক অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতি যার বিকল্প অচিন্তনীয়।
জামা'আতের সালাত আদায়ের মধ্য দিয়ে মানুষ আল্লাহর ইবাদতে অধিক মশগুল হয়। এতে সে আল্লাহ্ অভিমুখী হয় এবং তার অন্তরে এর বিশেষ প্রভাব পড়ে। ফলে আসমানী রহমত প্রাপ্ত হয়ে আল্লাহর সাথে তার আন্তরিক বন্ধন স্থাপিত হয় এবং (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বিভিন্ন হাদীসের বর্ননা অনুযায়ী) সালাতে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণের ফলে মানুষ ও ফিরিশতাদের সহাবস্থান ও সান্নিধ্য লাভ ঘটে। এও হচ্ছে জামা'আতে সালাত আদায়ের অন্যতম বরকত। এতদ্ব্যতীত জামা'আতের সালাত আদায়ের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি হয়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত' সালাত, সপ্তাহান্তে জুমু'আর সালাত এবং বছরে দুই বার ঈদের সালাত জামা'আতের সাথে আদায়ের মধ্য দিয়ে যে আরো বৃহত্তর ধর্মীয় ঐক্য ও সংহতির ব্যাপক উপকার লাভ করা যায়, তা অনুধাবন করা বর্তমান কালের প্রত্যেকটি মানুষের পক্ষেই অত্যন্ত সহজ। মোটকথা জামা'আতে সালাত আদায়ে এহেন বরকত ও উপকারিত নিহিত থাকায় প্রত্যেকের উপর জামা'আতে সালাত আদায়ের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, যতক্ষণ না এমন কোন উযর পরিদৃষ্ট হয় যা জামা'আতে সালাত আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। জামা'আতে সালাত আদায়ের যে শিক্ষা রাসূলুল্লাহ ﷺ দিয়েছেন মানুষ যত দিন যথাযথভাবে কার্যকারী ছিল ততদিন পর্যন্ত মুনাফিক অথবা অপারগ ব্যক্তি ছাড়া প্রত্যেকেই জামা'আতে সালাত আদায়ে করতেন এবং এতে অসতর্কতাকে মুনাফিকের লক্ষণ বলে মনে করতেন। এই ভূমিকার পর জামা'আতে সম্পর্কিত কতিপয় হাদীস পাঠ করে নেয়া যেতে পারে।
৭৩. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমরা দেখছি যে, সেই সকল মুনাফিক যাদের মুনাফিকী জানাজানি হয়ে গিয়েছিল এবং রোগী ব্যক্তিরা ব্যতীত (মুসলমানদের) অন্য কেউ জামা'আতে অনুপস্থিত থাকে না, এমন কি যেসব রোগী দুই জনের কাঁধে ভর করে চলতে সক্ষম, তারাও জামা'আতে শরীক হত। তারপর তিনি (আবদুল্লাহ্) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ ﷺ আমাদেরকে (দীন ও শরী'আতের) সত্যপথ প্রদর্শন করেছেন। এ সকল পথের একটি হলো, সেই মসজিদে সালাত আদায় করা যেখানে আযান দেওয়া হয়। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের নবীকে হিদায়াতের সকল পথ বাতলে দিয়েছেন আর পাঁচ ওয়াক্তের সালাত মসজিদে আদায় করা এ সব হিদায়াতের পথসমূহের অন্যতম। তোমরা যদি এই সকল
সালাত (ঐ ব্যক্তির মত জামা'আত থেকে পৃথক) কর তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাতকেই ছেড়ে দিলে। তোমরা যদি নবীর সুন্নাত ছেড়ে দাও, তাহলে তোমরা অবশ্যই পথভ্রষ্ট হবে। (মুসলিম)
সালাত (ঐ ব্যক্তির মত জামা'আত থেকে পৃথক) কর তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাতকেই ছেড়ে দিলে। তোমরা যদি নবীর সুন্নাত ছেড়ে দাও, তাহলে তোমরা অবশ্যই পথভ্রষ্ট হবে। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ : « لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ ، أَوْ مَرِيضٌ ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ » ، وَقَالَ : « إِنْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَنَا سُنَنَ الْهُدَى ، وَإِنَّ مِنْ سُنَنَ الْهُدَى الصَّلَاةَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُؤَذَّنُ فِيهِ » .....وَفِىْ رِوَايَةٍ ..... إِنَّ اللهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ سُنَنَ الْهُدَى ، وَإِنَّهُنَّ (اَىِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ) مَنْ سُنَنَ الْهُدَى ، وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ ، لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ ، وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ. (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জামা'আতের গুরুত্ব
৭৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ বলেছেন: মুনাফিকদের উপর ফজর ও ইশার সালাতের চাইতে অধিক কষ্টকর সালাত নেই। অথচ এই দুই সালাতে কী ফযীলত রয়েছে তা যদি তারা জানত, তাহলে (অসুস্থতার কারণে হেঁটে আসতে না পারলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত। নবী কারীম ﷺ বলেন, আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, কোন একদিন) মু'আযযিনকে ইকামত দিতে বলি এবং কাউকে (আমার স্থলে) লোকদের ইমামতি করতে বলে আমি নিজে আগুনের একটি মশাল নিয়ে যারা সালাতে আসেনি (ভিতরে রেখে তাদের ঘরে) আগুন জ্বালিয়ে দেই, যারা (আযান শুনেও) সালাতের জন্য ঘর থেকে বেরোয় না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَيْسَ صَلاَةٌ أَثْقَلَ عَلَى المُنَافِقِينَ مِنَ الفَجْرِ وَالعِشَاءِ ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ، لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ المُؤَذِّنَ ، فَيُقِيمَ ، ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا يَؤُمُّ النَّاسَ ، ثُمَّ آخُذَ شُعَلًا مِنْ نَارٍ ، فَأُحَرِّقَ عَلَى مَنْ لاَ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ بَعْدُ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জামা'আতের গুরুত্ব
৭৫. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি মু'আযযিনের আযানে শুনতে পায়, আর কোন উযর তাকে (জামা'আতে অংশগ্রহণ) থেকে বিরত না রাখে, (তা সত্ত্বেও যদি সে জামা'আতে শরীক না হয়, তবে তার সালাত কবুল হবে না। সাহাবা কিরাম (রা) বললেনঃ উযর কি? তিনি বললেন জানমালের ক্ষতির আশংকা কিংবা রোগ ব্যাধি। (আবূ দাউদ ও দারু কুতনী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ ، عُذْرٌ » ، قَالُوا : وَمَا الْعُذْرُ؟ ، قَالَ : « خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ ، لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى » (رواه ابوداؤد والدار قطنى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জামা'আতের গুরুত্ব
৭৬. হযরত আবূ দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে গ্রামে বা প্রান্তরে তিন জন লোকও অবস্থান করে অথচ সালাতের জামা'আত কায়েম করেনা, তাদের শয়তান কাবু করে ফেলে। কাজেই জামা'আতের সাথে সালাত আদায় করা তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। কারণ দলচ্যুত একক বকরীকেই বাঘে ধরে খায়। (আহমাদ, আবূ দাউদ, নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَا مِنْ ثَلَاثَةٍ فِي قَرْيَةٍ وَلَا بَدْوٍ لَا تُقَامُ فِيهِمُ الصَّلَاةُ إِلَّا قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ ، فَعَلَيْكَ بِالْجَمَاعَةِ فَإِنَّمَا يَأْكُلُ الذِّئْبُ الْقَاصِيَةَ » (رواه احمد وابوداؤد والنسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জামা'আতে সালাত আদায়ের ফযীলত ও বরকত
৭৭. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: জামা'আতে সালাত আদায় করার ফযীলত একাকী সালাত আদায় করার চাইতে সাতাশ গুণ বেশি। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ بْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জামা'আতে সালাত আদায়ের ফযীলত ও বরকত
৭৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কোন ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য একাধারে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার (প্রথম তাকবীর) সাথে জামা'আতে সালাত আদায় করতে পারল তাকে দু'টি মুক্তির সনদ দেওয়া হয়- জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং মুনাফিকী থেকে নিষ্কৃতি। (তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَ لَهُ بَرَاءَتَانِ : بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ. (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ জামা'আতের নিয়্যাতের মধ্যে জামা'আতের পূর্ণ সাওয়াব নিহিত
৭৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে কেউ উত্তমরূপে (পূরো পাবন্দিসহ) উযূ করে, তারপর মসজিদে গিয়ে দেখে লোকেরা (জামা'আতের সাথে) সালাত আদায় করে নিয়েছে, আল্লাহ্ তা'আলা এ ব্যক্তিকে জামা'আতে অংশগ্রহণকারীদের অনুরূপ সাওয়াব দিবেন। কিন্তু এতে তাদের সাওয়াব বিন্দুমাত্র কম হবে না। (আবূ দাউদ ও নাসায়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ، ثُمَّ رَاحَ فَوَجَدَ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا اَعْطَاهُ اللَّهُ مِثْلَ أَجْرِ مَنْ صَلَّاهَا وَحَضَرَهَا ، لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا » (رواه ابوداؤد والنسائى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ কোন্ অবস্থায় জামা'আতে সালাত আদায় করা জরুরী নয়
৮০. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি একবার প্রচণ্ড শীত ও প্রবল বাতাসের রাতে সালাতের আযান দিলেন। তারপর ঘোষণা দিলেন, প্রত্যেকেই নিজ নিজ আবাসে সালাত আদায় করে নাও। এরপর তিনি বললেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রচণ্ড শীত ও বৃষ্টির রাত হলে মু'আযযিনকে একথা বলার নির্দেশ দিতেন যে, প্রত্যেকে নিজ নিজ আবাসে সালাত আদায় করে নাও। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ ابْنَ عُمَرَ أَنَّهُ أَذَّنَ بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ ، ثُمَّ قَالَ : أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ، ثُمَّ قَالَ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ المُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ ذَاتُ بَرْدٍ وَمَطَرٍ ، يَقُولُ : « أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ » (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক: