মা'আরিফুল হাদীস
معارف الحديث
সালাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩৭৪ টি
হাদীস নং: ২১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইশার সময় প্রসঙ্গে
২১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমি আমার উম্মাতকে কষ্টে ফেলব একথা যদি মনে না করতাম, তবে আমি তাদেরকে ইশার সালাত রাতের এক তৃতীয়াংশ কিংবা অর্ধ রাত পর্যন্ত দেরী করে আদায়ের নির্দেশ দিতাম। (আহমাদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُؤَخِّرُوا العِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ. (رواه احمد والترمذى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইশার সময় প্রসঙ্গে
২২. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একরাতে আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে ইশার সালাত আদায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। রাতের এক তৃতীয়াংশে অথবা আরো কিছু বেশী সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আমাদের কাছে বেরিয়ে আসেন। আমরা জানতাম না যে, জরুরী কোন কাজ তাঁকে তাঁর ঘরে ব্যস্ত রেখেছিলেন, না অন্য কোন কাজে তিনি মশগুল ছিলেন। তারপর তিনি বেরিয়ে এসে (আমাদের সান্ত্বনা দিয়ে) বললেনঃ তোমরা এমন এক সালাতের জন্য অপেক্ষা করছ, যার জন্য তোমরা ব্যতীত অন্য কোন ধর্মাবলম্বীগণ অপেক্ষা করে নি। আমার উম্মাতের উপর যদি তা কষ্টকর না হতো, তাহলে তাদের নিয়ে (সব সময়) এই সময়ই সালাত আদায় করতাম। তারপর তিনি মুআ'যযিনকে আদেশ দিলেন। সে সালাতের ইকামত দিল এবং তিনি সালাত আদায় করলেন। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ، قَالَ : مَكَثْنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ نَنْتَظِرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ ، فَخَرَجَ إِلَيْنَا ، حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ بَعْدَهُ ، فَلَا نَدْرِي أَشَيْءٌ شَغَلَهُ فِي أَهْلِهِ ، أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ ، فَقَالَ حِينَ خَرَجَ : " إِنَّكُمْ تَنْتَظِرُونَ صَلَاةً ، مَا يَنْتَظِرُهَا أَهْلُ دِينٍ غَيْرُكُمْ ، وَلَوْلَا أَنْ يَثْقُلَ عَلَى أُمَّتِي ، لَصَلَّيْتُ بِهِمْ هَذِهِ السَّاعَةَ " ، ثُمَّ أَمَرَ الْمُؤَذِّنَ ، فَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَصَلَّى" (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইশার সময় প্রসঙ্গে
২৩. হযরত নু'মান ইবনে বাশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের এই শেষ ইশার সালাত সম্পর্কে আমি সর্বাধিক জ্ঞাত আছি। তৃতীয় রাতের চাঁদ অস্তমিত হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এই সালাত আদায় করতেন। (আবূ দাউদ ও দারিমী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، قَالَ : أَنَا أَعْلَمُ بِوَقْتِ هَذِهِ الصَّلَاةِ صَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ ، "كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ". (رواه ابو داؤد والدارمى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় প্রসঙ্গ
২৪. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন সময় ফজরের সালাত আদায় করতেন যে, মহিলারা গায়ে চাদর জড়িয়ে চলে যেত, কিন্তু অন্ধকারে তাদের চেনা যেত না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصَلِّي الصُّبْحَ ، فَتَنْصَرِفُ النِّسَاءُ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنَ الْغَلَسِ". (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় প্রসঙ্গ
২৫. কাতাদা সূত্রে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। একরাতে নবী কারীম ﷺ ও যায়িদ ইবনে সাবিত (রা) এক সাথে সাহরী খান। তাঁরা সাহরী খাওয়া শেষ করার পর নবী কারীম ﷺ সালাতের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং সালাত আদায় করেন। আমরা আনাসের কাছে জিজ্ঞেস করলাম, তাঁদের সাহরী খাওয়া শেষ করার এবং সালাতে দাঁড়ানোর মধ্যে কি পরিমাণ সময় ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, কেউ পঞ্চাশ আয়াত পাঠ করতে পারে এই পরিমাণ সময়। (বুখারী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، "أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ تَسَحَّرَا ، فَلَمَّا فَرَغَا مِنْ سَحُورِهِمَا قَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصَّلَاةِ فَصَلَّى ، فَقُلْنَا لِأَنَسٍ : كَمْ كَانَ بَيْنَ فَرَاغِهِمَا مِنْ سَحُورِهِمَا وَدُخُولِهِمَا فِي الصَّلَاةِ؟ ، قَالَ : قَدْرِ مَا يَقْرَأُ الرَّجُلُ خَمْسِينَ آيَةً". (رواه البخارى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় প্রসঙ্গ
২৬. হযরত রাফি ইবনে খাদীজ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ (সা) বলেছেন: তোমরা ফর্সার সময় (সুবহে সাদিকের ছড়িয়ে পড়লে) ফজরের সালাত আদায় করবে। কেননা এতে অধিক সাওয়াব রয়েছে (আবূ দাউদ, তিরমিযী ও দারিমী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَسْفِرُوا بِالْفَجْرِ ، فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلْأَجْر". (رواه ابو داؤد والترمذى والدارمى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ শেষ ওয়াক্তে সালাত আদায় প্রসঙ্গ
২৭. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ পর পর দু'বার কোন সালাত শেষ ওয়াক্তে আদায় করেন নি। এমনকি এ অবস্থায় আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেন। (তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا ، قَالَتْ : " مَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةً لِوَقْتِهَا الْآخِرِ مَرَّتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ". (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ শেষ ওয়াক্তে সালাত আদায় প্রসঙ্গ
২৮. হযরত আলী (রা) সূত্রে বর্ণিত যে, নবী কারীম ﷺ বলেছেন: হে আলী! তিনটি বিষয় বিলম্ব করো না। সালাত যখন তার সময় হয়, জানাযা যখন তা উপস্থিত করা হয় এবং স্বামীবিহীন নারী যখন তুমি উপযুক্ত পাত্র (কুফু) পাও। (তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " يَا عَلِيُّ ثَلَاثٌ لَا تُؤَخِّرْهَا : الصَّلَاةُ إِذَا اَتَتْ ، وَالْجَنَازَةُ إِذَا حَضَرَتْ ، وَالْأَيِّمُ إِذَا وَجَدْتَ لَهَا كُفْوًا " (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ শেষ ওয়াক্তে সালাত আদায় প্রসঙ্গ
২৯. হযরত আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন তোমার উপর এমন ভ্রান্ত শাসক হবে যারা সালাতকে মিশ্রণ করে (বিনয়ভাব ও নিষ্ঠা ছাড়াই) সালাত আদায় করবে, অথবা বলেছেন, যারা নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে সালাত আদায় করবে তখন তুমি কি করবে? (আবু যার (রা) বলেন) আমি বললাম, এমন অবস্থায় আপনি আমাকে কি করতে বলেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: তুমি যথাসময় সালাত আদায় করে নিবে। তারপর তাদের সাথেও যদি সালাত পাও, তবে তুমি আবার সালাত আদায় করে নেবে এবং এ সালাত হবে তোমার জন্য নফল। (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي ذَرٍّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " كَيْفَ أَنْتَ ، إِذَا كَانَتْ عَلَيْكَ أُمَرَاءُ يُمِيتُونَ الصَّلَاةَ ، أَوْ يُؤَخِّرُونَ عَنْ وَقْتِهَا؟ قَالَ : صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا ، فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ ، فَصَلِّ ، فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ ". (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ নিদ্রা কিংবা ভুলের কারণে সালাত কাযা হলে করণীয়
৩০. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের কথা ভুলে যায় অথবা সালাত আদায় না করেই ঘুমিয়ে যায় সে যেন স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা আদায় করে নেয়, কেননা এই হচ্ছে তার কাফ্ফারা (ক্ষতিপূরণ)। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً ، أَوْ نَامَ عَنْهَا ، فَكَفَّارَتُهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا". (رواه البخارى ومسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন পবিত্র মক্কা থেকে মদীনা তাইয়্যেবা হিজরত করেন তখন জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করেন। জামা'আতের সময় হলে কিভাবে সহজে লোকদের জড়ো করা যায় এ বিষয়টি তাঁকে ভাবিয়ে তুলে। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ বিষয়ে সাহাবাগণের সাথে পরামর্শ করেন। এ পর্যায়ে কেউ কেউ বললেন, সালাতের জামা'আত শুরু করার প্রারম্ভে প্রতীক হিসেবে একটি দীর্ঘ পতাকা উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। কেউ কেউ বললেন, কোন উঁচু জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কেউ কেউ পরামর্শ দিলেন ইয়াহুদীরা তাদের ইবাদতখানার যেমন শিঙা বাজায় সেরূপ আমরা শিঙা বাজিয়ে লোকদের জামা'আতে শরীর করতে পারি। কেউ কেউ খ্রিস্টানদের ঘন্টা বাজানোর অভিমত দেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ এসব অভিমত কোনটিকেই সন্তুষ্ট হলেন না। তারপর তিনি এ বিষয় চিন্তা-বিভোর থাকেন। তাঁর এ চিন্তিতভাবে সাহাবাদের ভাবিয়ে তুলে। তাঁদের মধ্যকার এক আনসার সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়িদ ইবনে আবদ রাবিবহ্ (রা) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে চিন্তিত দেখে অস্থির হয়ে পড়েন। সে রাতেই তিনি স্বপ্নযোগে আযান ও ইকামতের শব্দমালা লাভ করেন। (যার সবিস্তার বিবরণ পরবর্তী হাদীস থেকে জানা যাবে)। তিনি অতি প্রত্যুষে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে গিয়ে স্বপ্নের বিষয় তাঁকে অবহিত করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ্ চাহেত তোমার স্বপ্ন যথার্থ এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। (এ কথার সত্যতা তিনি এজন্য মেনে নেন যে, সাহাবীর স্বপ্ন সংঘটিত বিষয় অবহিত হওয়ার পূর্বেই তিনি ওহী যোগে শব্দমালা অবহিত হয়েছিলেন, অথবা স্বপ্ন বৃত্তান্ত শোনার পর আল্লাহ্ তাঁর অন্তরে প্রত্যয় সৃষ্টি করেন।) মোটকথা তিনি হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ ইবনে আবদ রাব্বিহকে এ মর্মে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন হযরত বিলাল (রা) কে আযান ও ইকামতের শব্দমালা শিক্ষা দেন। উল্লেখ্য হযরত বিল্লাল (রা) উচ্চকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। তিনি প্রত্যেক সালাতের জন্য আযান দিতেন। এদিন থেকেই আযানের শুভ সূচনা ঘটে। আজ পর্যন্ত তা ইসলামের বিশেষ প্রতীকরূপে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। এই ভূমিকা পাঠের পর আযান ও ইকামত সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত হাদীসসমূহ পাঠ করা যেতে পারে।
ইসলামে আযানের শুভ সূচনা
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন পবিত্র মক্কা থেকে মদীনা তাইয়্যেবা হিজরত করেন তখন জামা'আতের সাথে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করেন। জামা'আতের সময় হলে কিভাবে সহজে লোকদের জড়ো করা যায় এ বিষয়টি তাঁকে ভাবিয়ে তুলে। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ বিষয়ে সাহাবাগণের সাথে পরামর্শ করেন। এ পর্যায়ে কেউ কেউ বললেন, সালাতের জামা'আত শুরু করার প্রারম্ভে প্রতীক হিসেবে একটি দীর্ঘ পতাকা উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। কেউ কেউ বললেন, কোন উঁচু জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কেউ কেউ পরামর্শ দিলেন ইয়াহুদীরা তাদের ইবাদতখানার যেমন শিঙা বাজায় সেরূপ আমরা শিঙা বাজিয়ে লোকদের জামা'আতে শরীর করতে পারি। কেউ কেউ খ্রিস্টানদের ঘন্টা বাজানোর অভিমত দেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ এসব অভিমত কোনটিকেই সন্তুষ্ট হলেন না। তারপর তিনি এ বিষয় চিন্তা-বিভোর থাকেন। তাঁর এ চিন্তিতভাবে সাহাবাদের ভাবিয়ে তুলে। তাঁদের মধ্যকার এক আনসার সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়িদ ইবনে আবদ রাবিবহ্ (রা) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে চিন্তিত দেখে অস্থির হয়ে পড়েন। সে রাতেই তিনি স্বপ্নযোগে আযান ও ইকামতের শব্দমালা লাভ করেন। (যার সবিস্তার বিবরণ পরবর্তী হাদীস থেকে জানা যাবে)। তিনি অতি প্রত্যুষে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে গিয়ে স্বপ্নের বিষয় তাঁকে অবহিত করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ্ চাহেত তোমার স্বপ্ন যথার্থ এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। (এ কথার সত্যতা তিনি এজন্য মেনে নেন যে, সাহাবীর স্বপ্ন সংঘটিত বিষয় অবহিত হওয়ার পূর্বেই তিনি ওহী যোগে শব্দমালা অবহিত হয়েছিলেন, অথবা স্বপ্ন বৃত্তান্ত শোনার পর আল্লাহ্ তাঁর অন্তরে প্রত্যয় সৃষ্টি করেন।) মোটকথা তিনি হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ ইবনে আবদ রাব্বিহকে এ মর্মে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন হযরত বিলাল (রা) কে আযান ও ইকামতের শব্দমালা শিক্ষা দেন। উল্লেখ্য হযরত বিল্লাল (রা) উচ্চকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। তিনি প্রত্যেক সালাতের জন্য আযান দিতেন। এদিন থেকেই আযানের শুভ সূচনা ঘটে। আজ পর্যন্ত তা ইসলামের বিশেষ প্রতীকরূপে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। এই ভূমিকা পাঠের পর আযান ও ইকামত সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত হাদীসসমূহ পাঠ করা যেতে পারে।
ইসলামে আযানের শুভ সূচনা
৩১. হযরত আনাস তনয় আবু উমায়র সূত্রে তাঁর আনসার চাচা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জামা'আতে সালাত আদায় কল্পে কিভাবে লোক জমা করা যায় সে বিষয়ে নবী কারীম ﷺ চিন্তিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ বললেন সালাতের সময় পতাকা উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। লোকেরা যখন তা দেখবে তখন অন্যদের সালাতের জামা'আতের কথা জানাবে। কিন্তু নবী কারীম ﷺ এই অভিমত পসন্দ করলেন না। বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর কাছে ইয়াহুদীদের শিঙার (বিউগল) প্রস্তাব দেওয়া হলো। কিন্তু তিনি এতে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। তিনি বললেন, এ হচ্ছে ইয়াহুদীদের ব্যবহৃত একটি বস্তু। বর্ণনাকারী বলেন তারপর তাঁর নিকট খ্রিস্টানদের ঘন্টার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বললেন, এতে খিস্টানদের ব্যবহৃত বস্তু (মোটকথা সে মজলিসে কোন সিদ্ধান্ত হল না)। রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ভীষণ চিন্তিত দেখে আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ (রা) ভীষণ চিন্তিত হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর স্বপ্নে তাঁকে আযানের শব্দাবলী জানানো হয়। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, অতি প্রত্যুষে আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ (রা) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এ সংবাদ অবহিত করে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তখন নিদ্রা জাগ্রত অবস্থায় ছিলাম। ইতোমধ্যে এক আগন্তুক এসে আমাকে আযানের শব্দমালা শিখিয়ে দিল। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে বিলাল! উঠো এবং আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ কী বলে তা শিখে নাও। বর্ণনাকারী বলেন, বিলাল (রা) কার্যত নির্দেশ মান্য করেন এবং আযান দেন। (আবু দাউদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسٍ ، عَنْ عُمُومَةٍ لَهُ مِنْ الْأَنْصَارِ ، قَالَ : "اهْتَمَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلصَّلَاةِ كَيْفَ يَجْمَعُ النَّاسَ لَهَا ، فَقِيلَ لَهُ : انْصِبْ رَايَةً عِنْدَ حُضُورِ الصَّلَاةِ فَإِذَا رَأَوْهَا آذَنَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا ، فَلَمْ يُعْجِبْهُ ذَلِكَ ، قَالَ : وَذُكِرَ لَهُ الْقُنْعُ يَعْنِي شَبُّورُ الْيَهُودِ فَلَمْ يُعْجِبْهُ ذَلِكَ ، وَقَالَ : هُوَ مِنْ أَمْرِ الْيَهُودِ ، قَالَ : فَذُكِرَ لَهُ النَّاقُوسُ ، فَقَالَ : هُوَ مِنْ أَمْرِ النَّصَارَى ، فَانْصَرَفَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ وَهُوَ مُهْتَمٌّ لِهَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَأُرِيَ الْأَذَانَ فِي مَنَامِهِ ، قَالَ : فَغَدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي لَبَيْنَ نَائِمٍ وَيَقْظَانَ إِذْ أَتَانِي آتٍ فَأَرَانِي الْأَذَانَ ، فَقَالَ : رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَا بِلَالُ ، قُمْ فَانْظُرْ مَا يَأْمُرُكَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ فَافْعَلْهُ ، قَالَ : فَأَذَّنَ بِلَالٌ ". (رواه ابو داؤد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইসলামে আযানের শুভ সূচনা
৩২. মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ ইবনে আবদ রাব্বিহি (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ (রা) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি (আমার পিতা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে লোকদের একত্র করার উদ্দেশ্যে ঘন্টা বানানোর নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে স্বপ্নে একব্যক্তি আমার নিকট একটি ঘন্টা হাতে নিয়ে উপস্থিত হলো। আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! ঘন্টাটি কি বিক্রি করবে? সে জিজ্ঞেস করল, তুমি এর দ্বারা কি করবে? আমি বললাম, আমরা এর দ্বারা লোকদেরকে সালাতের জামা'আতে ডাকব। সে বলল, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম বিষয় বলব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। সে মতে সে বলল, তুমি বল, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ, হায়্যা আলাস্ সালাহ্, হায়্যা আলাস সালাহ; হায়্যা আলাল ফালাহ্, হায়্যা আলাল ফালাহ্; আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্। তিনি (আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ রা) বলেন, সে আমাকে আযানের শব্দমালা বলে খানিকটা পিছু হটে গেল এবং কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, এরপর যখন সালাতে দাঁড়াবে তখন এভাবে ইকামত দিবে আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হায়্যা আলাস্ সালাহ্, হায়্যা আলাল ফালাহ্, ক্বাদ-কামাতিস্ সালাতু ক্বাদ-কামাতিস সালাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্। তারপর আমি ভোরে ঘুম থেকে উঠে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট গেলাম এবং রাতে যা স্বপ্নে দেখেছি তাঁকে তা অবহিত করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্ চাহেত তোমার স্বপ্ন সত্য। তুমি যা স্বপ্নে দেখেছ তা বিলালকে শেখাও এবং বিলাল সেই শব্দযোগে যেন আযান দেয়। কেননা সে তোমার চেয়ে উচ্চকণ্ঠের অধিকারী। সুতরাং আমি বিলালের সাথে গেলাম এবং তাঁকে তা শেখালাম। ফলে সে আযান দিল। তিনি (আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ) বলেন, উমর (রা) তাঁর ঘর থেকে আযান শুনে নিজ চাদর হেঁচড়াতে হেঁচাড়াতে বেরিয়ে আসেন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে যিনি সত্যসহ পাঠিয়েছেন সেই মহান সত্তার শপথ তাকে (আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়িদ) যেরূপ স্বপ্ন দেখান হয়েছে তদ্রুপ আমিও সে স্বপ্ন দেখেছি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: সকল প্রশংসা ও স্তুতি আল্লাহর জন্য। (আবূ দাউদ ও দারিমী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ ، قَالَ : "لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاقُوسِ يُعْمَلُ لِيُضْرَبَ بِهِ لِلنَّاسِ لِجَمْعِ الصَّلَاةِ ، طَافَ بِي وَأَنَا نَائِمٌ رَجُلٌ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ ، فَقُلْتُ : يَا عَبْدَ اللَّهِ ، أَتَبِيعُ النَّاقُوسَ؟ قَالَ : وَمَا تَصْنَعُ بِهِ؟ فَقُلْتُ : نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلَاةِ ، قَالَ : أَفَلَا أَدُلُّكَ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكَ؟ فَقُلْتُ لَهُ : بَلَى ، فَقَالَ : تَقُولُ : اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، قَالَ : ثُمَّ اسْتَأْخَرَ عَنِّي غَيْرَ بَعِيدٍ ، ثُمَّ قَالَ : تَقُولُ إِذَا أَقَمْتَ الصَّلَاةَ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ ، أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا رَأَيْتُ ، فَقَالَ : إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٌّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ، فَقُمْ مَعَ بِلَالٍ فَأَلْقِ عَلَيْهِ مَا رَأَيْتَ فَلْيُؤَذِّنْ بِهِ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ ، فَقُمْتُ مَعَ بِلَالٍ فَجَعَلْتُ أُلْقِيهِ عَلَيْهِ وَيُؤَذِّنُ بِهِ ، قَالَ : فَسَمِعَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ ، وَيَقُولُ : وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ مَا اُرِىَ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : فَلِلَّهِ الْحَمْدُ". (رواه ابو داؤد والدارمى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইসলামে আযানের শুভ সূচনা
৩৩. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: সালাত আদায়ের লক্ষ্যে আগত মুসল্লী সংখ্যা যখন বেড়ে যায়, তখন সাহাবা কিরাম পরিচিত জিনিসের মাধ্যমে সালাতের সময় জানিয়ে দেওয়ার বিষয় আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে তারা আগুন জ্বালানো অথবা ঘন্টা বাজানোর কথা উল্লেখ করেন। তারপর বিলাল (রা) কে আযানের শব্দমালা দু'বার করে এবং ইকামতের শব্দমালা একবার করে বলার নির্দেশ দেয়া হয়। (বুখারী ও মুসলিম, তবে শব্দমালা মুসলিমের)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : لَمَّا كَثُرَ النَّاسُ ، "ذَكَرُوا أَنْ يَعْلَمُوا وَقْتَ الصَّلَاةِ بِشَيْءٍ يَعْرِفُونَهُ ، فَذَكَرُوا أَنْ يُورُوا نَارًا أَوْ يَضْرِبُوا نَاقُوسًا ، فَأُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَأَنْ يُوتِرَ الْإِقَامَةَ" (رواه البخارى ومسلم اللفظ له)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আবূ মাহযূরা (রা) কে আযান শিক্ষাদান
৩৪. হযরত আবূ মাহযূরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে আমাকে আযান শিক্ষা দেন এবং বলেনঃ তুমি বল আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশাহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লালাহ্, আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লালাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ তারঃপর তুমি পুনরায় বলঃ আশাহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল লা-ইলাহা আল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ, হায়্যা আলাস্ সালাহ্, হায়্যা আলাস্ সালাহ্, হায়্যা আলাল ফালাহ্, হায়্যা আলাল ফালাহ্; আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লালাহ্ (মুসলিম)।
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ ، قَالَ : أَلْقَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ ، فَقَالَ : " قُل : اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ثُمَّ تَعُوْدُ ، فَتَقُوْلُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ". (رواه مسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আবূ মাহযূরা (রা) কে আযান শিক্ষাদান
৩৫. হযরত আবু মাহযূরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী কারীম ﷺ তাঁকে উনিশ বাক্যে আযান শিক্ষা দিয়েছেন এবং ইকামত শিক্ষা দিয়েছেন সতের বাক্যে। (আহমাদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসাঈ, দারিমী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَهُ الأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً ، وَالإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً. (رواه احمد والترمذى وابوداؤد والنسائى والدارمى وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতে দীনের মৌলিক শিক্ষা ও দাওয়াত নিহিত
যদিও বাহ্যত আযান ও ইকামত সালাতের সময়ে নির্দেশ করে তথাপি একথা লক্ষণীয় যে আযান ও ইকামতের হাকীকতের যে আল্লাহ্ তা'আলা আযান ও ইকামতে বিশেষ অর্থবোধক শব্দের সমাহার ঘটিয়েছেন যা মূলতঃ দীনের প্রাণ। বরং বলা চলে, তিনি দীনের পূর্ণ বুনিয়াদী শিক্ষা ও দাওয়াত এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। দীনের মূল বিষয় হচ্ছে আল্লাহর সত্তা ও তাঁর গুণাবলী। এ পর্যায়ে যে আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ধবনি দিয়ে লোকদের সালাতের দিকে আহবান করা হয় এর চাইতে উত্তম বাক্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। এটাই হচ্ছে একত্ববাদের মূলকথা এবং এতে রয়েছে আল্লাহর গুণবাচক নামের সমাহার। কোননা 'আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, এর মধ্যে যে প্রভাবময়ী শব্দগুচ্ছ রয়েছে, সংক্ষেপে এর চেয়ে চমৎকার শব্দগুচ্ছ নির্বাচন করা সত্যিই অসম্ভব। একথার মূলে রয়েছে এ স্বীকারোক্তি যে আল্লাহ্ আমাদের ইলাহ্ ও উপাস্য। এর সাথে সাথে এ প্রশ্ন জাগে যে, তাঁর দাসত্বের বিশুদ্ধ পদ্ধতি কিভাবে শেখা যাবে? এর উত্তরে "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ” এর চেয়ে উত্তম ও যুক্ত বাক্য আর হতে পারে না। এর পর 'হায়্যা আলাস সালাহ’ বলে সালাতের দাওয়াত দেওয়া হয়। আর এ ইবাদত হচ্ছে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মাধ্যম এবং আল্লাহর অভিমুখী হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। এর পর 'হায়্যা আলাল ফালাহ্' বলে মূলত এই ঘোষণাই দেওয়া হয় যে, এই ইবাদতই মানুষ কে কল্যাণ, মুক্তি ও সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এ পথ ছেড়ে অন্য পথে বিচরণ করে সে মূলত সফলতা থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। মনে করা যেতে পারে যে, এ যেন আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের একটি অনন্য ঘোষণা। এ আহবান এমন শব্দ যোগে করা হয় যা কেবল বিশ্বাসের সাথেই সংশ্লিষ্ট নয় বরং জীবনের সর্বপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবেও গণ্য।
পরিশেষে আল্লাহু আকবার; আল্লাহু আকবার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' দ্বারা এই ঘোষণাই দেওয়া হয় যে, সর্বাবিধ বড়ত্ব ও মাহাত্ম্যের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ্। তিনি অংশীদার মুক্ত এবং শাশ্বত সত্য সত্তা। সুতরাং তাঁর সন্তুষ্টি আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
আযান ও ইকামাতে দীনের মৌলিক বিষয়ে যে বিশেষ অর্থবোধক বাক্যসমূহ ব্যবহৃত হয়েছে এবং প্রভাবময়ী দাওয়াত বিঘোষিত হয়েছে তা গভীরভাবে প্রণিধানযোগ্য। বলাবাহুল্য আমাদের মসজিদসমূহ থেকে দৈনিক পাঁচবার এহেন দীনী দাওয়াত উচ্চকণ্ঠে ঘোষিত হয়।
কাজেই প্রত্যেক মুসলমান যদি তার শিশু সন্তানদের আযান তথা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ' এর মর্ম সবিস্তার বুঝিয়ে দেয় তাহলে আশা করা যায় যে, তারা পারিপার্শ্বিক অনৈসলামিক দাওয়াতের শিকারে পরিণত হবে না।
আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
যদিও বাহ্যত আযান ও ইকামত সালাতের সময়ে নির্দেশ করে তথাপি একথা লক্ষণীয় যে আযান ও ইকামতের হাকীকতের যে আল্লাহ্ তা'আলা আযান ও ইকামতে বিশেষ অর্থবোধক শব্দের সমাহার ঘটিয়েছেন যা মূলতঃ দীনের প্রাণ। বরং বলা চলে, তিনি দীনের পূর্ণ বুনিয়াদী শিক্ষা ও দাওয়াত এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। দীনের মূল বিষয় হচ্ছে আল্লাহর সত্তা ও তাঁর গুণাবলী। এ পর্যায়ে যে আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ধবনি দিয়ে লোকদের সালাতের দিকে আহবান করা হয় এর চাইতে উত্তম বাক্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। এটাই হচ্ছে একত্ববাদের মূলকথা এবং এতে রয়েছে আল্লাহর গুণবাচক নামের সমাহার। কোননা 'আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, এর মধ্যে যে প্রভাবময়ী শব্দগুচ্ছ রয়েছে, সংক্ষেপে এর চেয়ে চমৎকার শব্দগুচ্ছ নির্বাচন করা সত্যিই অসম্ভব। একথার মূলে রয়েছে এ স্বীকারোক্তি যে আল্লাহ্ আমাদের ইলাহ্ ও উপাস্য। এর সাথে সাথে এ প্রশ্ন জাগে যে, তাঁর দাসত্বের বিশুদ্ধ পদ্ধতি কিভাবে শেখা যাবে? এর উত্তরে "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ” এর চেয়ে উত্তম ও যুক্ত বাক্য আর হতে পারে না। এর পর 'হায়্যা আলাস সালাহ’ বলে সালাতের দাওয়াত দেওয়া হয়। আর এ ইবাদত হচ্ছে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মাধ্যম এবং আল্লাহর অভিমুখী হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। এর পর 'হায়্যা আলাল ফালাহ্' বলে মূলত এই ঘোষণাই দেওয়া হয় যে, এই ইবাদতই মানুষ কে কল্যাণ, মুক্তি ও সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এ পথ ছেড়ে অন্য পথে বিচরণ করে সে মূলত সফলতা থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। মনে করা যেতে পারে যে, এ যেন আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের একটি অনন্য ঘোষণা। এ আহবান এমন শব্দ যোগে করা হয় যা কেবল বিশ্বাসের সাথেই সংশ্লিষ্ট নয় বরং জীবনের সর্বপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবেও গণ্য।
পরিশেষে আল্লাহু আকবার; আল্লাহু আকবার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' দ্বারা এই ঘোষণাই দেওয়া হয় যে, সর্বাবিধ বড়ত্ব ও মাহাত্ম্যের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ্। তিনি অংশীদার মুক্ত এবং শাশ্বত সত্য সত্তা। সুতরাং তাঁর সন্তুষ্টি আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
আযান ও ইকামাতে দীনের মৌলিক বিষয়ে যে বিশেষ অর্থবোধক বাক্যসমূহ ব্যবহৃত হয়েছে এবং প্রভাবময়ী দাওয়াত বিঘোষিত হয়েছে তা গভীরভাবে প্রণিধানযোগ্য। বলাবাহুল্য আমাদের মসজিদসমূহ থেকে দৈনিক পাঁচবার এহেন দীনী দাওয়াত উচ্চকণ্ঠে ঘোষিত হয়।
কাজেই প্রত্যেক মুসলমান যদি তার শিশু সন্তানদের আযান তথা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ﷺ' এর মর্ম সবিস্তার বুঝিয়ে দেয় তাহলে আশা করা যায় যে, তারা পারিপার্শ্বিক অনৈসলামিক দাওয়াতের শিকারে পরিণত হবে না।
আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
৩৬. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিলাল (রা) কে বললেনঃ হে বিলাল! যখন তুমি আযান দেবে, ধীরস্থিরভাবে ও দীর্ঘস্বরে আযান দেবে এবং যখন ইকামত দেবে তাড়াতাড়ি ও অনুচ্চস্বরে ইকামত দেবে, তোমার আযান ও ইকামতের মাঝখানে এতটুকু সময় অবকাশ দেবে যাতে আহার গ্রহণকারী তার আহার থেকে, পানকারী তার পান থেকে এবং যার পায়খানা পেশাবের প্রয়োজন সে যেন তা সেরে নিতে পারে। আর তোমরা আমাকে না দেখা পর্যন্ত সালাতে দাঁড়াবে না। (তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ جَابِرٍ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِبِلاَلٍ : يَا بِلاَلُ ، إِذَا أَذَّنْتَ فَتَرَسَّلْ فِي أَذَانِكَ ، وَإِذَا أَقَمْتَ فَاحْدُرْ ، وَاجْعَلْ بَيْنَ أَذَانِكَ وَإِقَامَتِكَ قَدْرَ مَا يَفْرُغُ الآكِلُ مِنْ أَكْلِهِ ، وَالشَّارِبُ مِنْ شُرْبِهِ ، وَالمُعْتَصِرُ إِذَا دَخَلَ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ ، وَلاَ تَقُومُوا حَتَّى تَرَوْنِي. (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
৩৭. রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর (কু'বা মসজিদের) মু'আযযিন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিলাল (রা) কে তাঁর দুই আঙ্গুল দুই কানের মধ্যে ঢুকাতে নির্দেশ দেন এবং বলেন, এ পদ্ধতি তোমার কণ্ঠস্বর উচ্চ করবে। (ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ سَعْدٍ ، مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِلَالًا أَنْ يَجْعَلَ إِصْبَعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ ، وَقَالَ : « إِنَّهُ أَرْفَعُ لِصَوْتِكَ » . (رواه ابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
৩৮. হযরত যিয়াদ ইবনে হারিস সুদায়ী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে ফজরের সালাতের আযান দিতে বললেন, সে মতে আমি আযান দিলাম। বিলাল (রা) একামত দিতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: সুদায়ী আযান দিয়েছে। কাজেই যে আযান দেবে, ইকামতও সেই দেবে। (তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ زِيَادِ بْنِ الحَارِثِ الصُّدَائِيِّ ، قَالَ : أَمَرَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُؤَذِّنَ فِي صَلاَةِ الفَجْرِ ، فَأَذَّنْتُ ، فَأَرَادَ بِلاَلٌ أَنْ يُقِيمَ ، فَقَالَ : رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ أَخَا صُدَاءٍ قَدْ أَذَّنَ ، وَمَنْ أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ. (رواه الترمذى وابوداؤد وابن ماجه)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
৩৯. হযরত উসমান ইবনে আবুল আ'স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার কাছ থেকে সর্বশেষ যে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন তা ছিল এই আমি এমন একজন মুআযযিন রাখব যে আযানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নিবে না। (তিরমিযী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي العَاصِ ، قَالَ : إِنَّ مِنْ آخِرِ مَا عَهِدَ إِلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَنْ اتَّخِذْ مُؤَذِّنًا لاَ يَأْخُذُ عَلَى أَذَانِهِ أَجْرًا. (رواه الترمذى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০
সালাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামত সম্পর্কীয় কতিপয় নির্দেশ
৪০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ (সা.) বলেছেন: ইমাম হলো যামিন এবং মু'আযযিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ্! ইমামদের সৎপথ দেখাও এবং মু'আযযিনদের ক্ষমা কর। (আহমাদ, আবূ দাউদ, তিরমিযী ও শাফিয়ী)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الإِمَامُ ضَامِنٌ ، وَالمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ ، اللَّهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ ، وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّ نِينَ. (رواه احمد وابوداؤد والترمذى والشافعى)
তাহকীক: